একাদশ শ্রেণির class11 বাংলা বিষয়ের একটি ছোট গল্প একটি পাঠ্য ছোটগল্প কর্তার ভূত | গল্পটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | এই সিরিজে এই গল্প থেকে সমস্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার উদ্দেশ্য হল এই গল্প থেকে কিভাবে ছোট প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় তার কৌশল গুলো দেওয়া আছে| একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের আরো অন্যান্য বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই click here
কর্তার ভূত গল্পের saq প্রশ্নোত্তর
১) রবীন্দ্রনাথ ‘সনাতন ঘুম’ বলতে কী বুঝিয়েছেন ? / অথবা- “তাহলে সনাতন ঘুমের কি হবে” – এখানে সনাতন ঘুম বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ “কর্তার ভূত’ গল্পে ‘সনাতন ঘুম’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাচীন ধর্মতন্ত্রে তথা মন্ত্রতন্ত্রে আবদ্ধ থাকাকেই অর্থাৎ অতীতের চেতনায় ডুবে থাকাকেই সনাতন বলেছেন।
২) “কর্তার ভূত” বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?/ অথবা- “কর্তার ভূত” বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি বুঝিয়েছেন?
উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত ‘কর্তার ভূত’ গল্পে যিনি ক্ষমতার শীর্ষে বা যিনি সমাজ বা গোষ্ঠীর প্রধান তাঁর প্রতি অন্ধ অনুগমন এবং যুক্তিহীন অনুসরণকেই ‘কর্তার ভূত’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি মারা গেলেও তার শাসনতন্ত্র ভূত হয়ে মানুষকে পরিচালনা করবে।
৩) মরণকালে বুড়ো কর্তার দুঃখ হলো কেন?/ অথবা- “শুনে তারও মনে দুঃখ হল” – কার মনে, কেন দুঃখ হলো?
উঃ প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থার প্রধান বা গোষ্ঠীর প্রধান মৃত্যু আসন্ন হলে দেশের লোক তাদের শাসনতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ল। তারা কর্তার কাছে জিজ্ঞাসা করে যে, তিনি মারা গেলে তাদের কি দুর্দশা হবে। এই কথা শুনে সমাজ প্রধান বা বুড়ো কর্তার মনে দুঃখ হলো। কারণ তিনি জানেন যে, তিনি মারা গেলে ভারতবাসীকে নিস্তেজ কে করে রাখবে?
৪) “মোদ্দা কথাটা হচ্ছে” – মোদ্দা কথাটা কী ?
উঃ “কর্তার ভূত” গল্পে “মোদ্দা কথাটা হচ্ছে”- অর্থাৎ আসল কথাটি হলো, বুড়ো কৰ্তা বেঁচেও নেই, মরেও নেই, ভূত হয়ে আছে। অর্থাৎ বর্তমানে বুড়ো কর্তা নেই, কিন্তু তার তৈরি করা, নিয়ম-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান, শাস্ত্রবিধি, ধর্মীয় আচার ইত্যাদি ভূত হয়ে আছে।
৫) “এ প্রশ্নকে ঠেকানো যায় না”- প্রশ্নটি কী ?
উ. যে প্রশ্নকে ঠেকানো যায় না বলে গল্পকার মন্তব্য করেছেন সেই প্রশ্নটি হলো যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে জানতে চাওয়া— “কীসে খাজনা দেব !”
৬) “কেবল অতি ….একটু মুশকিল বাঁধল।”— মুশকিলটি কী ?
উ. পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলি অতীতের প্রাচীন পন্থাগুলিকে অন্ধভাবে অনুসরণ করেনি। তারা বিজ্ঞানকে আপন করে সত্যের পথে চলছে অর্থাৎ এই সমস্ত দেশে ভূতে পায়নি অর্থাৎ তারা প্রাচীন রীতিনীতি, আচার, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেনি।-এখানে লেখক এই বিষয়টিকে ‘মুশকিল” বলেছেন।
৭) অদৃষ্টের চালে চলার মাধ্যমে ভূতগ্রস্ত দেশ কী অনুভব করে ?
উ. অদৃষ্টের চালে চলার মধ্য দিয়ে ভূতগ্রস্ত দেশ আপন আদিম আভিজাত্য অনুভব করে।
৮) সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুৱা কীভাবে চলত ?
উ. সৃষ্টির প্রথম চক্ষুহীন কীটাণুরা নিয়তির অমোঘ বিধানে অদৃষ্টের চালে চলত, অর্থাৎ তারা নিজেদেরকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিত।
৯) “তুমি গেলে আমাদের কী দশা হবে।”-কে, কাকে, কখন এ প্রশ্ন করেছিল ?
উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ গল্পের ভূতগ্রস্ত দেশের লোক বুড়োকর্তার মৃত্যু আসন্ন হলে, বুড়োকর্তাকেই উদ্ধৃত প্রশ্নটি করেছিল।
১০) “তারা খায় ভূতের কানমলা।” কারা, কখন ভূতের কানমলা খায় ?
উঃ ‘কর্তার ভূত’ শীর্ষক গল্পে, যেসব মানুষরা নিজের ভাবনা নিজে ভাবতে যায়, তারা ভূতের কানমলা খায়। অর্থাৎ সমাজ বা গোষ্ঠীর রোষের মুখে পড়তে হয়।
১১) “বেরোবার মধ্যে বেরিয়ে যায়…।” গল্পকার কী বেরোনোর কথা বলেছেন ?
উ. কর্তার ভূত’ গল্পে লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের তেজ বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
for more question answers click here- বাড়ির কাছে আরশিনগর- প্রশ্নোত্তর
১২) “দেশটাকে সে নাড়েও না , অথচ ছাড়াও না ।”-‘সে’ কে ?
উ. বুড়ো কর্তা।
১৩) “যেমন করে পারি ভূত ছাড়াবো।”- উক্তিটি কার ? ans শিরোমনি চূড়ামণির দল
১৪) “সেইখানে তো ভূত”- ভুতের অবস্থান কোথায় ?
উঃ. ভয়ের মধ্যে। অর্থাৎ যেখানে ভয় সেখানেই নানান ধরনের কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, অন্ধ অনুকরণ গড়ে ওঠে।
১৫) “একমাত্র বর্গীরই দোষ”- ‘দোষটি’ কী ?
উঃ বর্গির দলের আশাকে দোষ বলা হয়েছে।
১৬) “দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল।”- দেশের লোকের নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ কি?
উঃ বুড়ো কর্তা মারা গেলেও তিনি ভূত হয়ে দেশবাসীর শাসন নিয়ন্ত্রণ করবেন। এই আশ্বাসবাণী শুনে দেশের লোক নিশ্চিন্ত হল। কেননা তাদের ভবিষ্যৎ এই বুড়ো কর্তার উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া তারা অতীতকে আঁকড়ে নিয়েই চলতে চাইছে, তাই তারা নিশ্চিন্ত হল।
১৭) “অত্যন্ত সান্ত্বনা বোধ করল।”-কাদের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ ভূতের রাজ্যে, ভূতের শাসনে
কর্তার ভূত থেকে ছোট প্রশ্নের উত্তর লিখতে হলে গল্পটি ভালোভাবে রিডিং পড়তে হবে | গল্পের লাইনগুলি পূর্বাপর মনে রাখতে হবে। কোন সহায়িকা বই ফলো করে প্রচুর প্রশ্ন উত্তর মুখস্ত করে কোন লাভ হবে না |কারণ মনে থাকবে না |এই গল্পটি একটি তথ্যমূলক রূপক গল্প | তাই গল্পে লাইনে যা বলা আছে তা কিন্তু নয় | এর ভেতরে একটি অর্থ আছে | সেটার দিকে লক্ষ্য রেখে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। তাই গল্পটি ভালোভাবে রিডিং পড়ে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করার চেষ্টা করো | কোনো বড় প্রশ্ন বা কোন ছোট প্রশ্ন আগাম কোন সহায়িকা বই থেকে মুখস্ত করে কোন লাভ নেই।
fore more question answers click here