> চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী রায় অবদান কি » Qবাংলা

চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী রায় অবদান কি

চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী:-উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা wbchse বিষয়ে  বাঙালির শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস বইটি থেকে দুটি ৫ নম্বরের বড় প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এই বইটি থেকে প্রশ্নের উত্তর লেখা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটি কঠিন বিষয়। কিন্তু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এখান থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন কমন থাকে | ছাত্রছাত্রীরা এই বইটি থেকে মনোযোগ সহকারে ঠিকমতো প্র্যাকটিস করলে পরীক্ষার খাতায় অবশ্যই কমন পাবে | এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস থেকে যে প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আসার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া যায় সেগুলি হল 

  1. চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজ এর অবদান 
  2. চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান 
  3. যামিনী রায়ের অবদান বাংলা 
  4. সংগীতের ধারায় নজরুলের অবদান
  5.  বিজ্ঞান চর্চায় উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর অবদান 
  6. বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটক মৃণাল সেনের অবদান 
  7. নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারের অবদান ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর দেখতে click here |এই পড়বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী রায়ের অবদান আলোচনা কর |প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই এই প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে এই অংশে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে | প্রশ্নের উত্তরটিও খুব সহজ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে ভালো লাগবে এবং উত্তর লিখতেও ভালো লাগবে।

যামিনী রায়

১) বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী রায়ের অবদান লেখ।
উঃ- বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী রায় একজন বিশিষ্ট নাম।
যামিনী রায় মূলত বাংলার বিখ্যাত লোকচিত্র “কালীঘাট পটচিত্র” কে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার বিখ্যাত ছবিগুলি ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ ফাইন আর্টের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বাংলা চিত্রকলায় তার স্বাজাত্যভিমান, সুনয়িনী দেবীর মতোই তাকে নিয়ে যায় বাংলা লোক শিল্পের কাছে।

চিত্রকলায় অবদান:- যামিনী রায় তার চিত্রচর্চা শুরু করেছিলেন ব্রিটিশ একাডেমিক স্বাভাবিকতাবাদী রীতি অনুসরণ করে। অবশ্য তিনি কিছুদিন ফরাসি ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের মত চিত্রচর্চা করেন। বিশেষত তিনি পটচিত্রেই অধিক আকৃষ্ট হন। এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি মেদিনীপুর, বেলিয়াতোড়, কালীঘাট প্রভৃতি অঞ্চল থেকে পট সংগ্রহ শুরু করেন। এইসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ অনুশীলন করে ক্রমেই তিনি তার চিত্রভাষা অর্জন করেন। তার ছবির বিষয় ছিল রামায়ণ-মহাভারতের নারী ও পুরুষ, যীশু খ্রীষ্ট, আদিবাসী সমাজ, পশু পাখি ইত্যাদি। তার বিখ্যাত আঁকা চিত্রের মধ্যে আছে- মাদলবাদনরত সাঁওতাল”, “নৃত্যরত সাঁওতাল” “সাঁওতাল জননী ও শিশু ইত্যাদি

যামিনী রায়ের আঁকা এই ছবিগুলি সমতল রঙে চিত্রিত। চিত্রিত মানুষজন, পশুপাখির অবস্থান পুরো পট জুড়েই থাকতো। সমতল ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখা যায় ছোট বড় অলংকরণ। বস্তুত, লৌকিক চিত্রকলাকে অধিকৃত করে নিজস্ব চিত্রচর্চার অংশ করে তোলার প্রয়াস, প্রগাঢ় ভাবে আয়ত্ত করেছিলেন যামিনী রায়।

শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস বইটি থেকে প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশল

এই অংশ থেকে উত্তর লেখার জন্য অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী বেশিরভাগই ভুল করে। তারা যার অবদান জানতে চাওয়া হয় তার জন্ম ইতিহাস কর্মজীবন ইত্যাদি নিয়ে লিখতে গিয়ে অহেতুক উত্তরটিকে বড় করে ফেলে | তোমার পাঠ্য বইয়ে যেটুকু লেখা আছে শুধুমাত্র সেইটুকু নিয়ে তোমার উত্তরের উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করে লিখতে হবে | এর জন্য তুমি পয়েন্ট আউট করেও লিখতে পারো অথবা পয়েন্ট না করেও সংক্ষেপে ছোট ছোট দুটি প্যারা বা তিনটি পারায় উত্তর লিখতে পারো। পয়েন্ট আউট না করলে একটা সুবিধা হয়। সেটি হচ্ছে পরীক্ষক তোমার উত্তরটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না | তাই তোমরা চেষ্টা করো পয়েন্ট আউট না করতে | আর যদি মনে কর পয়েন্ট আউট করবো তাহলেও পয়েন্ট আউট করতে পারো কোন অসুবিধা নেই।

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading