> বাচ্য কয় ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি? » Qবাংলা

বাচ্য কয় ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি?

class10  wbbse বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য বাচ্য কয় ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি? |এই সিরিজে এই  বাচ্য থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য কর | মাধ্যমিক মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর জানতে অবশ্যই  click here

বাচ্য কাকে বলে?

উঃ সাধারণত বাক্যের বাচনভঙ্গিকেই বাচ্য বলা হয় অর্থাৎ বলা যায়, বাক্যের কর্তা, কর্ম কিংবা ক্রিয়াভাবের প্রাধান্য বোঝাতে, ক্রিয়ার যে বিভিন্ন রূপ হয়, তাকে বাচ্য বলা হয়।  যেমন: সায়ন্তী বই পড়ে। > সায়ন্তির দ্বারা বই পড়া হয়। দুটি বাক্যের অর্থ একই কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা, প্রথমটি, কর্তার প্রাধান্য থাকায় কর্তৃবাচ্য( বাক্যে কর্তা অনুযায়ী ক্রিয়াটি গঠিত হয়েছে) দ্বিতীয়টি, কর্মের প্রাধান্য থাকায় সেটি কর্মবাচ্য(কর্ম অনুযায়ী ক্রিয়াটি গঠিত হয়েছে )

for more question answers click here- সিন্ধুতীরে

২) বাংলা ভাষায় বাচ্য কয় ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি?
উঃ বাংলা ভাষায় বাচ্য তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
যেমন-(১)কর্তৃবাচ্য, (২)কর্মবাচ্য এবং (৩)ভাববাচ্য। এছাড়াও (৪)কর্মকর্তৃবাচ্য বলে আরেক ধরনের প্রয়োগ বাংলা ভাষায় লক্ষ্য করা যায়।

৩) কর্তৃবাচ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে বাক্যে কর্তা অনুযায়ী ক্রিয়াপদটি গঠিত হয় অর্থাৎ কর্তার প্রাধান্য বোঝাতে ক্রিয়ার যে রূপ হয় তাকেই কর্তৃবাচ্য বলে।
যেমন- সায়ন্তি বই পড়ছে।তুমি বই পড়ছো। আমি বই পড়ছি। ইত্যাদি বাক্যগুলিতে ক্রিয়াপদ কর্তার অনুগামী হয়েছে অর্থাৎ কর্তা অনুযায়ী বাক্যের ক্রিয়াপদটি গঠন করা হয়েছে। সেজন্য একই ক্রিয়াপদ, পড়ছে, পড়ছো, পড়ছি ইত্যাদি রূপ হয়েছে। এই জন্য এই বাক্যগুলি কর্তৃবাচ্য

২) কর্মবাচ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 
উঃ যে বাক্যে কর্ম প্রাধান্য পায় অর্থাৎ কর্মের প্রাধান্য বোঝাতে ক্রিয়া পদের যে রূপ হয়, তাকে বলা হয় কর্মবাচ্য। যেমন- সায়ন্তির দ্বারা বই পড়া হচ্ছে।  তোমার দ্বারা বই পড়া হচ্ছে।
আমার দ্বারা বই পড়া হচ্ছে।
এই বাক্যগুলিতে ক্রিয়াপদ কর্মের অনুগামী হয়েছে অর্থাৎ কর্মই এখানে প্রধান হয়েছে। তাই বাক্যগুলি কর্মবাচ্য।

৩) ভাববাচ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে বাক্যে ক্রিয়া পদের প্রাধান্য বোঝাতে ক্রিয়ার যে রূপ হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
যেমন- তোমার কোথায় যাওয়া হচ্ছে? এই বাক্যটিতে যাওয়া ক্রিয়াটির প্রাধান্য বোঝানো হয়েছে বলে সেটি যেন হচ্ছে ক্রিয়ার কর্তার স্থান দখল করেছে।

৪) কর্মকর্তৃবাচ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যে বাক্যে কর্তার উল্লেখ থাকে না কিন্তু কর্মপদ কর্তৃপদের জায়গা অধিকার করে থাকে বলে মনে হয়, তাকে কর্মকর্তৃ বাচ্য বলে। যেমন- অংক করা হয়েছে।
এখানে যে অংকটি করছে সেটি কর্তা আর অংক হল কর্ম। কিন্তু কর্তৃপদের উল্লেখ না থাকায় অংক পদটি নিজেই কর্তৃপদ হয়ে গেছে।তাই এটি কর্মকর্তৃ বাচ্য।

বাচ্য পরিবর্তন

কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তন নিয়ম

  • ১) কর্তৃবাচ্যের কর্তা পদের সঙ্গে র অথবা এর বিভক্তি যুক্ত করতে হবে।
  • ২) দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, ইত্যাদি অনুসর্গ যোগ করতে হবে।
  • ৩) ক্রিয়া পদটি কর্মপদের অনুযায়ী গঠন করতে হবে।
  • ৪) হয় বা যা বা আছ্  ইত্যাদি সমাপিকা ক্রিয়াপদ আনতে হবে।

উদাহরণ- আমি ভাত খাচ্ছি।
আমার দ্বারা ভাত খাওয়া হচ্ছে। এখানে কর্তৃপদ, আমি এর সসঙ্গে “র” বিভক্তি যোগ করে, আমার করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে ক্রিয়াপদ “খাচ্ছি”, ভাত কর্মপদের অনুগামী হয়ে খাওয়া হচ্ছে হয়েছে। এভাবে আরো উদাহরণ নিচে দেয়া হল।–

  • ১) আমি বই কিনে এনেছি। > আমার দ্বারা বই কেনা হয়েছে।
  • ২) রাম লোকটিকে টাকা দিয়েছে। > রামের দ্বারা লোকটিকে টাকা দেওয়া হয়েছে।
  • ৩) সায়ন্তি অংক করেছে। > সায়ন্তির দ্বারা অংক করা হয়েছে।
  • ৪) সায়ন্তি কি গান জানে? > সায়ন্তির কি গান জানা আছে?
  • ৫) আস্তে আস্তে সবই জানলাম > আস্তে আস্তে সবই জানা হলো।

২) কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তর নিয়ম:- কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তর করতে গেলে ওপরের নিয়ম গুলির বিপরীত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

  • ১)  কর্তৃবাচ্যের কর্তা পদের সঙ্গে র অথবা এর বিভক্তি সরাতে হবে।
  • ২) দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, ইত্যাদি অনুসর্গ সরাতে হবে।
  • ৩) ক্রিয়া পদটি কর্তৃপদ অনুযায়ী গঠন করতে হবে।
  • ৪) হয় বা যা বা আছ্  ইত্যাদি সমাপিকা ক্রিয়াপদ সরাতে হবে।

 উদাহরণ-  আমার দ্বারা ভাত খাওয়া হচ্ছে। >আমি  ভাত খাচ্ছি ।
এখানে কর্তৃপদ, আমার এর সঙ্গে “র” বিভক্তি সরিয়ে, আমি করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে ক্রিয়াপদ “খাওয়া হচ্ছে” কর্তৃপদের অনুগামী হয়ে খাচ্ছি হয়েছে। এভাবে আরো উদাহরণ নিচে দেয়া হল।–

  • ১) সায়ন্তির দ্বারা অংক করা হবে না > সায়ন্তি অংক করতে পারবে না
  • ২) তার এখনও বইটি পড়া হয়নি। > সে এখনো বইটি পড়েনি।
  • ৩) আমার দ্বারা এ কাজ সম্ভব নয়। > আমি এ কাজ করতে সম্ভবপর নই।
  • ৪) রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক গীতাঞ্জলী রচিত হয়েছে। > রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি রচনা করেছেন।
  • ৫) রাম কর্তৃক রাবণ নিহত হন। > রাম রাবনকে নিহত করেন।

৩) কর্তৃ বাচ্য থেকে ভাববাচ্যে রূপান্তর নিয়ম:

  • ১) কর্তৃবাচ্যের কর্তার সঙ্গে র অথবা এর বিভক্তি যুক্ত করতে হবে
  • ২) কর্তৃবাচ্যের কর্মটি ভাববাচ্যে ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
  • ৩) হয় ক্রিয়া আনতে হবে।
  • উদাহরণ-  ১) তারা খেলা করে। > তাদের খেলা করা হয়।
  • ২) এখন একটু ঘুমোবো। > এখন একটু ঘুমোতে হবে।
  • ৩) আমি স্কুলে যাব না। > আমার স্কুলে যাওয়া হবে না।
  • ৪) আমি এখনো কাজ করিনি। >আমার এখনো কাজ করা হয়নি।

৪) ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তর নিয়ম:- ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তর করতে গেলে ওপরের নিয়ম গুলির বিপরীত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

  • ১) কর্তৃবাচ্যের কর্তার সঙ্গে র অথবা এর বিভক্তি সরাতে হবে।
  • ২) ভাববাচ্যের কর্মটি কর্তৃবাচ্যে ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
  • ৩) হয় ক্রিয়া সরাতে হবে।
  • উদাহরণ:-১) তারাদের খেলা করা হয়। > তারা খেলা করে।
  • ২) এখন একটু ঘুমোতে হবে। > এখন একটু ঘুমোব।
  • ৩) আমার স্কুলে যাওয়া হবে না। > আমি স্কুলে যাব না।
  • ৪) আমার এখনো কাজ করা হয়নি। >আমি এখনো কাজ করিনি।

মাধ্যমিকে যেমন প্রশ্ন আসে:

১)  তারা আর স্বপ্ন দেখাতে পারল না। (ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো)২০১৯
>তাদের আর স্বপ্ন দেখা হলো না।

২) ক্রিয়ার অর্থ প্রাধান্য পায়-

  • ক) কর্তৃবাচ্যে
  • খ) কর্মবাচ্যে
  • গ) ভাববাচ্যে
  • ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্যে ২০১৯   উঃ গ) ভাববাচ্যে

৩) এ কার লেখা?  (কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তন করে)
উঃ) এটি কে লিখেছে ?

৪) কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তনের অন্তত একটি পদ্ধতি উল্লেখ কর।
উঃ কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তন করতে গেলে, কর্তাপদের সঙ্গে র অথবা এর বিভক্তি যুক্ত করতে হবে।

৫) যে বাক্যে কর্ম  কর্তারূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে বলে-

  • ক) কর্মবাচ্য
  • খ) কর্তৃবাচ্য
  • গ) ভাববাচ্য
  • ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য   উঃ ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য।

৬)  “পাঁচ দিন নদীকে দেখা হয় নাই”- এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ-

  • ক) কর্তৃবাচ্য
  • খ)ভাববাচ্য
  • গ) কর্মবাচ্য
  • ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য   উঃ খ) ভাববাচ্য

৭) “তোরা সব জয়ধ্বনি কর”- এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?

  • ক) কর্তৃবাচ্য
  • খ) কর্মবাচ্য
  • গ) ভাববাচ্য
  • ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য   উঃ ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য।

৮) “তাকে টিকিট কিনতে হয়নি” বাক্যটির কর্তৃবাচ্যের রূপটি হল-

  • ক) তার টিকিট কেনা হয়নি
  • খ) তিনি টিকিট কেনেননি
  • গ) তার দ্বারা টিকিট ক্রীত হয়নি
  • ঘ) তিনি বিনা টিকিটে চলেছেন   উঃ তিনি টিকিট কেনেননি।

৯) নিম্নলিখিত কোনটি ভাববাচ্যের উদাহরণ?

  • ক) চোর ধরা পড়েছে
  • খ) এখন একটু ঘুমোবো
  • গ) রামসুন্দর তাহা জানিতেন
  • ঘ) শরমার ছবি আঁকা হয়েছে।  উঃ ক) চোর ধরা পড়েছে

১০) “আপনার কোথায় থাকা হয়?” এটি কোন বাচ্যের দৃষ্টান্ত-

  • ক) কর্মবাচ্য
  • খ) ভাববাচ্য
  • গ) কর্তৃবাচ্য
  • ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য    উঃ খ)  ভাববাচ্য

বাক্যের অর্থগত শ্রেণীবিভাগ:- অর্থগত দিক থেকে বাক্যকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা:- নির্দেশক বাক্য, প্রশ্নবাচক বাক্য, অনুজ্ঞা সূচক বাক্য, প্রার্থনা সূচক বাক্য, সন্দেহ বাচক বাক্য, আবেগ সূচক বাক্য এবং শর্তসাপেক্ষ বাক্য  |

১) নির্দেশক বাক্যঃ- যে বাক্য সাধারণভাবে কোন কিছু বিবৃতি বা নির্দেশ প্রকাশ পায় তাকে নির্দেশক বাক্য বলে।যেমনঃ- আমি স্কুল যাব।
রাম স্কুলে যাবে না।

নির্দেশক বাক্যকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, তথা:- (ক) ইতিবাচক বাক্য বা হ্যাঁ বাচক বাক্য বা সদর্থক বাক্য বা অস্ত্যর্থক বাক্য।  (খ) নেতিবাচক বাক্য  বা না বাচক বাক্য বা নঞর্থক বাক্য বা নস্ত্যর্থক বাক্য

ক) ইতিবাচক বাক্যঃ- যে নির্দেশক বাক্যে, হ্যাঁ-বাচক বিবৃতি প্রকাশিত হয়, তাকে ইতিবাচক বা হ্যাঁ বাচক বা সদর্থক বাক্য বলে। যেমন:- অমল অংক করে। আমি স্কুলে যাব। এগুলোতে হ্যাঁ বাচক বিবৃতি প্রকাশিত আছে। তাই এগুলো ইতিবাচক বাক্যে।

খ) নেতিবাচক বাক্যঃ- যে নির্দেশক বাক্যে, না বাচক বিবৃতি প্রকাশিত হয়, তাকে নেতিবাচক বা না বাচক বাক্য বলে। যেমনঃ- আমি স্কুলে যাব না। অমল আজ স্কুলে যায়নি। ইত্যাদি বাক্যগুলিতে না বাচক বিবৃতি প্রকাশিত আছে, তাই এগুলি নেতিবাচক বাক্য।

২) প্রশ্ন সূচক বাক্যঃ- যে বাক্যে প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা প্রকাশিত হয়, তাকে প্রশ্নসূচক বাক্য বলে। অথবা- যে বাক্যের মাধ্যমে কোন কিছু প্রশ্ন করা বোঝায় তাকেই প্রশ্নবোধক বাক্য বলে। যেমনঃ- আমি কি ভাত খাব না? রাম তুমি কি অংক করেছো? ইত্যাদি বাক্যগুলোতে জিজ্ঞাসা প্রকাশিত আছে। তাই এগুলি প্রশ্নসূচক বাক্য।

৩) অনুজ্ঞা সূচক বাক্য:- যে বাক্যে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ ইত্যাদি অর্থ প্রকাশিত হয়, তাকে অনজ্ঞা সূচক বাক্য বলে। যেমনঃ- তুমি পড়তে বসো, আমাকে এক গ্লাস জল দাও। ইত্যাদি বাক্য গুলি অনুজ্ঞা সূচক বাক্য।

৪) প্রার্থনা সূচক বাক্যঃ- যে বাক্যে প্রার্থনা বা কামনা বা ইচ্ছা প্রকাশিত হয় তাকে প্রার্থনা সূচক বাক্য বলে। যেমনঃ- ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুক। তুমি পরীক্ষায় ভালো ফল করো। ইত্যাদি প্রার্থনা সূচক বাক্য।

৫) সন্দেহ বাচক বাক্যঃ- যে বাক্যে কোন বিষয়ের সন্দেহ, সংশয় বা দ্বিধা বা অনুমান, প্রকাশিত হয়, তাকে সন্দেহ বাচক বাক্য বলে। যেমনঃ- আজ হয়তো বৃষ্টি হতে পারে। সম্ভবত কাল সুভাষ আসবে। তোমার বুঝি জ্বর হয়েছে। ইত্যাদি বাক্যগুলি সন্দেহ বাচক বাক্য।

৬) আবেগ সূচক বাক্যঃ- যে বাক্যে মনের আনন্দ, শোক, ক্রোধ, ঘৃণা, বিরক্তি, বিস্ময়, উৎসাহ ইত্যাদি প্রকাশ পায়, তাকে আবেগ সূচক বাক্য বলে। যেমনঃ- কি সুন্দর দৃশ্য! কি দারুন সেজেছে আজ! সত্যিই অপূর্ব লাগছে! ইত্যাদি বাক্য গুলি আবেগ সূচক বাক্য।

৭) শর্তসাপেক্ষ বাক্যঃ- যে বাক্যে কোন কিছুর শর্ত প্রকাশ পায়, তাকে শর্তসাপেক্ষ বাক্য বলে। যেমনঃ- যদি তুমি পড়ো তাহলে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। যদি মেঘ করে তবে বৃষ্টি হবে। ইত্যাদি বাক্যগুলি শর্তসাপেক্ষ বাক্য।

বাক্য রূপান্তরের নিয়ম

১) নেতিবাচক বাক্য থেকে ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তর:-

> ইতিবাচক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর: 

নিয়ম-১) বাক্যের অর্থ এক থাকতে হবে, বাকের অর্থ পরিবর্তন করা যাবে না।

  • ২) সাধারণত বিপরীত শব্দ যুক্ত করে, ইতিবাচক থেকে নেতিবাচক অথবা নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
  • ৩) ইতিবাচক থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে গেলে, না, নয়, নি, নহে, ইত্যাদি না বাচক শব্দগুলিকে যুক্ত করতে হবে।
  • ৪) নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে গেলে, না, নয়, নি, নহে ইত্যাদি না সূচক শব্দগুলিকে সরাতে হবে এবং বাক্যটিকে হ্যাঁ বাচক বাক্যে করতে হবে কিন্তু অর্থ এক থাকবে।

উদাহরণঃ- ১) সে নির্দোষ। (হ্যাঁ বাচক বাক্য) > সে দোষী নয়। (না বাচক বাক্য)
এই ক্ষেত্রে বিপরীত শব্দ (নির্দোষ> দোষী) যোগ করে হ্যাঁ বাচক থেকে না বাচক করা হয়েছে।এবং সেই সঙ্গে “নয়” শব্দটি যোগ করা হয়েছে। কিন্তু দুটি বাক্যের অর্থ এক আছে।

২) সে উত্তর করিল না।( না বাচক বাক্য) > সে নিরুত্তর রহিল। (হ্যাঁ বাচক বাক্য) এক্ষেত্রেও বিপরীত শব্দ (উত্তর> নিরুত্তর) যুক্ত করে, না বাচক থেকে হ্যাঁ বাচক বাক্যে করা হয়েছে। এবং সেই সঙ্গে না বাচক বাক্যের, নয় সূচক শব্দটি সরানো হয়েছে কিন্তু বাক্যের অর্থ এক আছে

এইভাবে আরো বেশ কিছু উদাহরণ দেয়া হলো

১) সে দুর্লভ জিনিস। (হ্যাঁ বাচক বাক্য)
> সে সুলভ জিনিস নয়। (না বাচক বাক্য)

২) শ্যামল মন্দ ছেলে নয়।( না বাচক বাক্য)
> শ্যামল ভালো ছেলে।( হ্যাঁ বাচক বাক্য)

৩) এই কাজটা করা অসম্ভব (হ্যাঁ বাচক বাক্য)
> এই কাজটা করা সম্ভব নয়।( না বাচক বাক্য)

৫) সে আমার পরিচিত নয়। (না বাচক বাক্য)
> সে আমার অপরিচিত।( হ্যাঁ বাচক বাক্য)
মনে রাখতে হবে, না বাচক বাক্য, মানেই বাক্যটির সঙ্গে না, নয়, নি, নহে ইত্যাদি, না বাচক শব্দগুলি থাকবে। আর অন্যদিকে হ্যাঁ বাচক বাক্য মানেই না, নয়, নি, নহে ইত্যাদি না সূচক শব্দগুলি থাকবে না।

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading