বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023
রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
১) “আমি বাঞ্ছা করি দেখবো তারি।“ বক্তা কাকে দেখতে চান? কিভাবে তার দর্শন পাওয়া সম্ভব ?
অথবা- “ আমি কেমনে যে গাঁয় যাইরে।“ বক্তা সেই গাঁয়ে কীভাবে যেতে পারেন বলে মনে করেন ?
উঃ “বাড়ির কাছে আরশীনগর” গীতিকাটিতে বাউল সাধক লালন ফকির তার জীবন দেবতা “সাঁই” তথা মনের মানুষের সন্ধান করেছেন। তার “পড়শী” তার কাছে থেকেও তাকে তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। আলোচিত এই অংশে বক্তা তথা লালন ফকির তার এই “পড়শী” তথা “মনের মানুষকে” দেখার ইচ্ছা বা বাঞ্ছা প্রকাশ করেছেন।
***গীতিকার লালন ফকির বিশ্বাস করেন যে, তার বাড়ি স্বরূপ দেহের মধ্যেই তার “সাঁই” তথা “মনের মানুষ” অবস্থান করেন। কিন্তু তার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর দর্শন থেকে বঞ্চিত। তার মনের মধ্যেই এই “পড়শী” বসবাস করেন। এই “পড়শী” তার কাছে থাকলেও তাঁর দর্শন পাওয়া অত সহজ কাজ নয়। কারণ –
“গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি
ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে-“
লালন কঠিন জীবন পথ পাড়ি দিয়ে তার মনের মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছেন কিন্তু তার মনের মানুষের কাছে পৌঁছাতে গেলে “অগাধ পানি” স্বরূপ মায়ার বন্ধন, লোভ-লালসা , পার্থিব বস্তু ইত্যাদির প্রতি মোহ ত্যাগ করে তবেই তার কাছে পৌঁছানো সম্ভব। লালন ফকির জানেন, ভক্ত আর ভগবানের কাছে পৌঁছাতে বা দর্শন পেতে হলে কঠোর তপস্যার পথ পেরিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ অগাধ পানির বাধা তাকে বেরোতে হবে যা খুবই কঠিন কাজ। আধ্যাত্ম পথের বাধা তাকে বঞ্চিত করছে তার মনের মানুষের সঙ্গে দর্শন পাওয়ার ক্ষেত্রে।
**অর্থাৎ ইন্দ্রিয়সুখ, বিষয়বাসনা, লোভ-লালসা, পার্থিববস্তুর প্রতি মোহ ইত্যাদি তৈরি হয় সাধনার পথের বাধা। এই কঠিন সাধনার পথ পেরিয়েই মনের মানুষের সঙ্গে দর্শন পাওয়া সম্ভব। মনের মানুষ দেহের মধ্যে অবস্থান করলেও তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি অসীম তাকে। দর্শন পেতে গেলে অশেষ কঠোর তপস্যা প্রয়োজন।। ( বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023)
আরও পড়-
বাড়ির কাছে আরশিনগর – বিষয়বস্তু-mcq and saq প্রশ্নোত্তর
২) “আমার যম- যাতনা যেত দূরে।“ যম-যাতনা কি? কিভাবে এই “যম- যাতনা” দূরে যেতে?
অথবা – “পড়শী যদি আমায় ছুঁত।“ এই পড়শী কে? পড়শী ছুঁলে কি হতো? (বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023)
উঃ “বাড়ির কাছে আরশীনগর” শীর্ষক গীতিকায় বাউল সাধক লালন ফকির সারা জীবন তার পরম আরাধ্য দেবতা তথা “সাঁই” বা “মনের মানুষের” সন্ধান করেছেন। তার বাড়ি স্বরূপ দেহের মধ্যেই “মনের মানুষ” অবস্থান করলেও, তাকে তিনি দেখতে পাননি। আলোচিত এই অংশে “সাঁই” বা “মনের মানুষকেই” লালন “পড়শী” বলেছেন।
** মানুষের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা হলো- মৃত্যুযন্ত্রণা ।এই মৃত্যু যন্ত্রণাই শেষ যন্ত্রনা। জীবদ্দশায় মানুষকে রোগ- শোক- জরা- ব্যাধি- যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। লালন এই জীবন- যন্ত্রণাকেই যম- যাতনা বলেছেন।
** মরমিয়া বাউল সাধক লালন ফকির তার পড়শীর কাছে এই আরতি প্রকাশ করেছেন তার সাধনার কথা মনের মানুষ তার দেহের মধ্যেই অতি সন্নিকটে বিরাজ করছেন কিন্তু তার কাছে তিনি আজও অধরা তার দেখা পাননি কারণ তার দেখা পেতে গেলে–
“গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি।
ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে।“-
অর্থাৎ কঠিন তপস্যার জীবন পথ পাড়ি দিতে হবে। লোভ-লালসা, পার্থিব বস্তুর প্রতি মোহ , আত্মকেন্দ্রিকতা ইত্যাদি তার সাধনার পথের বাধা বা “অগাধ পানি”। তাই তার “পড়শী” তার কাছে থেকেও তাকে ধরা দেন না। তাই লালন তার পড়শীর কাছে আবেদন করেছেন, তার সাঁই বা মনের মানুষ যদি তাকে ছুঁয়ে দিতেন বা তাকে দেখা দিতেন বা তাকে স্পর্শ করতেন তাহলে তার এই জীবন যন্ত্রণা অর্থাৎ রোগ- শোক- জরা –দুঃখ-কষ্ট –মৃত্যু যন্ত্রণা, দূর হয়ে যেত অর্থাৎ তিনি পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি লাভ করতেন যা প্রতিটা মানুষেরই মনের ইচ্ছা। লালন তার মনের ইচ্ছা সাঁই বা পড়শীর কাছে প্রকাশ করেছেন।।
৩) “তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে।“- কার সঙ্গে এই ব্যবধান? “লক্ষ যোজন ফাঁক” কথাটির তাৎপর্য কি? বা “ লক্ষ যোজন ফাঁক” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ ভক্ত এবং ভগবানের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান । “বাড়ির কাছে আরশীনগর” শীর্ষক গীতিকায় লালন ফকির তার মনের মানুষ নিজের দেহের মধ্যে অবস্থান করলেও তার মধ্যে দুস্তর ব্যবধান অর্থাৎ লালন এবং তার জীবন দেবতা তথা সাঁই বা মনের মানুষ এর মধ্যে দুস্তর ব্যবধান।
**** ভক্তের চিরকালীন মনোবাসনা থাকে তার জীবন দেবতার সঙ্গে দর্শন পাওয়া। কিন্তু পারিপার্শ্বিক মোহ- মায়া- আত্মকেন্দ্রিকতা- সাংসারিক বন্ধন, ইত্যাদির বাধা মানুষকে তার আরাধ্য দেবতার কাছে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে বা তার সাধনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বাউল সাধক লালন ফকির তার পরম আরাধ্য দেবতার সঙ্গে দর্শন পেতে চান বা তাকে কাছে পেতে চান। কিন্তু লালন জানেন যে, তার মনের মানুষ তার দেহের মধ্যে অবস্থান করছেন। কিন্তু যেহেতু তিনি অসীম। শূন্যে অবস্থান করেন, তাই তাকে ধরা বা ছোঁয়া যায় না ।
কারণ তার মনের মানুষের সঙ্গে তার দূরত্ব লক্ষ যোজন ফাঁক। এই লক্ষ যোজন ফাঁক হলো- সাধনার পথ, কঠিন তপস্যার পথ। মায়ার বন্ধন, সাংসারিক বাধা, আত্মকেন্দ্রিকতা পার্থিব বস্তুর প্রতি মোহ ইত্যাদি বাধা হল লক্ষ যোজন ফাঁক। সাঁই বা মনের মানুষ, লালন এর অতি সন্নিকটে থাকলেও তার সঙ্গে দুস্তর ব্যবধান আছে। (বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023)
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ– (বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023)
১) “বাড়ির কাছে আরশিনগর” কবিতাটি একটি গান। কবিতাটির বিষয়বস্তু ভালো করে আয়ত্ত করতে পারলে যে কোন প্রশ্নের উত্তর লেখা খুবই সহজ হবে।
২) কবিতাটিতে প্রতিটি লাইন বিশেষ অর্থ বহন করে। এই বিশেষ অর্থ ভালোভাবে জানতে হবে।
৩) বিভিন্ন লাইনের জন্য বিভিন্ন রকম উত্তর না করে বিষয়বস্তুটিকে ভালো করে পড়লে দেখা যাবে, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রায় একই রকম, তাই যেকোন প্রশ্ন উত্তর লিখতে গেলে, বিষয়বস্তুটিকে বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ প্রতিটি লাইনে প্রায় একই রকম কথা বলা হয়েছে।
৪) কবিতাটির ভাববস্তু খুবই সহজ। তাই পাঁচ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লেখা খুবই সহজ হবে। বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023
৫) পাঁচ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরের জন্য প্রাসঙ্গিক লাইন অবশ্যই ব্যবহার করবে। নাহলে উত্তরটির গুণগত মান ভালো হবেনা বা বানানো বা বানিয়ে বানিয়ে লেখা বলে মনে হবে। তাই প্রাসঙ্গিক লাইন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আর প্রাসঙ্গিক লাইন দুটো- তিনটে মুখস্থ করতেই হবে বা মনে রাখতে হবে।
৬) পাঁচ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরের জন্য কমপক্ষে দুটি প্যারা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে । তিনটি প্যারা লিখলে উত্তরটি আরো ভালো হবে এবং দেখতে সুন্দর হবে । তাই পাঁচ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরের জন্য প্যাঁরা ভিত্তিক অবশ্যই লিখবে।
৭) বানিয়ে বানিয়ে বা গল্প করে উত্তর লিখলে উত্তরটি গুণগতমান অনেক কম হবে। এবং নম্বর খুব কম পাওয়া যাবে। তাই বানিয়ে বানিয়ে উত্তর লেখা চলবে না। ( বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023)
৭) বিকল্পধর্মী প্রশ্নের উত্তর এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরের জন্য পাঠ্যবইটি ভালোভাবে পড়তে হবে । তাহলে তোমরা নিজেরাই সহজেই উত্তর করতে পারবে। পাঠ্য বই ভালো করে না পড়লে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখা সহজ হবে না ।তাই পাঠ্যবইয়ের লাইনগুলি ভালো করে পড়লে নিজেরাই অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর লিখতে পারবে। এর জন্য কোন বড় ধরনের সহায়িকা বই প্রয়োজন পড়বে না।।
বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র।
১) “গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি।“ এখানে বেরিয়ে শব্দের অর্থ–
ক) পার হয়ে
খ) বেষ্টন করে ✓ ২০১৪
গ)ঘুরে ঘুরে
ঘ) মধ্যে
২)” পড়শী যদি আমায় ছুঁত।“ পড়শী ছুঁলে কি হবে? বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023
ক) যম-যাতনা দূর হবে ✓
খ) সুবুদ্ধির বিকাশ হবে ২০১৫
গ)সমাজ সচেতনতা বাড়বে
ঘ) ভালোবাসা বোধ জাগবে
৩) লালন ও পড়শীর মধ্যে দূরত্ব হলো-
ক) কয়েক মাইল
খ) একশ মাইল ২০১৬
গ) হাজার মাইল
ঘ) লক্ষ যোজন ✓
৪)” আরশী” শব্দের অর্থ কি?
ক) আয়না ✓ ২০১৭
খ) পড়শী
গ) কাচ
ঘ) ছায়া
৫) “ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে-“ তরণী শব্দের অর্থ কি? বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023
ক) স্থলভাগ
খ) বাসস্থান ২০১৮
গ) মানুষ
ঘ) নৌকা ✓
৬) লালন ও পড়শীর মধ্যে দূরত্ব হলো–
ক) কয়েক মাইল
খ) হাজার মাইল। ২০১৯
গ) একশ মাইল
ঘ) লক্ষ যোজন ✓
৭) “ আরশিনগরে” কে বাস। করে ? ( বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023)
ক) মুর্শিদ
খ) আল্লাহ্ / ভগবান ২০২০
গ) মনের মানুষ
ঘ) পড়শী ✓
৮) “পড়শী যদি আমায় ছুঁত।“ পড়শী ছুঁলে কি হবে?
ক) যম যাতনা দূর হবে ✓
খ) সুবুদ্ধির উদয় হবে। ২০২২
গ) সমাজ সচেতনতা বাড়বে
ঘ) ভালোবাসা বুধ জাগবে
২ অনধিক কুড়ি টি শব্দে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023
১) “আমার যম- যাতনা যেত দূরে।“ যম-যাতনা শব্দবন্ধটি তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। ২০১৪
উঃ। ( প্রশ্নটির উত্তর এর জন্য অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির তিন নম্বরের প্রশ্ন দ্রষ্টব্য।)
২) “ আমি বাঞ্ছা করি দেখবো তারি।“ “বাঞ্ছা” শব্দের অর্থ কি? বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023
২০১৫
উঃ ( প্রশ্নটির উত্তর এর জন্য অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী এক নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য)।
৩) “ গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি ।“ এখানে কোন গ্রামের কথা বলা হয়েছে? বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023
উঃ গীতিকার লালন ফকিরের “পড়শী” যে গ্রামে বাস করেন সেই আরশীনগর এর কথা বলা হয়েছে ।
৪) “আমি কেমনে সে গাঁয় যায় রে।“ বক্তা কেন সেখানে যেতে পারছেন না? ২০১৭
উঃ (প্রশ্নের উত্তরের জন্য অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির চার নম্বরের প্রশ্ন দ্রষ্টব্য)
৫) “ও এক পড়শী বসত করে।“ পড়শী কোথায় বাস করেন? ( বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023)
২০১৮
উঃ (প্রশ্নটির উত্তর এর জন্য অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির 6 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর দ্রষ্টব্য)
৬) “লক্ষ যোজন ফাঁক।“ ফাঁক এর কারণ কি? ২০১৯
উঃ( প্রশ্নটির উত্তর এর জন্য অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির 13 নম্বর প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য) বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023
রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
(রচনাধর্মী প্রশ্নের ক্ষেত্রে কবিতা থেকে প্রতিবছরই একটি করে প্রশ্ন আসে)
১) “তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে।“ কার সঙ্গে এই ব্যবধান? একত্রে থেকেও এই ব্যবধান এর তাৎপর্য কি? ২০১৪
২) “বলব কি সেই পড়শীর কথা “। পড়শী কে ? উক্তির আলোকে পড়শী -র স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করো। ২০১৫
৩) “তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে।“ কার সঙ্গে এই ব্যবধান? একত্রে থেকেও এই ব্যবধান এর তাৎপর্য কি? ২০১৭
৪) ‘আমি বাঞ্ছা করি দেখবো তারি।“ বক্তা কাকে দেখতে চান? কিভাবে তার দেখা পাওয়া সম্ভব? ২০১৮
৫) “বলব কি সেই পড়শীর কথা।“ পড়শী কে ? তার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করো। ২০১৯
৭) “আমি বাঞ্ছা করি দেখবো তারি।“ কবি কাকে দেখতে চান? কিভাবে তার দর্শন পাওয়া সম্ভব? ২০২০
৮) “বলব কি সেই পড়শীর কথা।“ পড়শী কে? তার স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করো। ২০২২
(প্রশ্নগুলির উত্তর এর জন্য রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য প্রশ্নগুলির উত্তর প্রায় একই রকমের)
you may like it-
https://en.wikipedia.org/wiki/Lalon
১) “আমি বাঞ্ছা করি দেখবো তারি।“ বক্তা কাকে দেখতে চান? কিভাবে তার দর্শন পাওয়া সম্ভব ?
অথবা- “ আমি কেমনে যে গাঁয় যাইরে।“ বক্তা সেই গাঁয়ে কীভাবে যেতে পারেন বলে মনে করেন ?
উঃ “বাড়ির কাছে আরশীনগর” গীতিকাটিতে বাউল সাধক লালন ফকির তার জীবন দেবতা “সাঁই” তথা মনের মানুষের সন্ধান করেছেন। তার “পড়শী” তার কাছে থেকেও তাকে তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। আলোচিত এই অংশে বক্তা তথা লালন ফকির তার এই “পড়শী” তথা “মনের মানুষকে” দেখার ইচ্ছা বা বাঞ্ছা প্রকাশ করেছেন।
***গীতিকার লালন ফকির বিশ্বাস করেন যে, তার বাড়ি স্বরূপ দেহের মধ্যেই তার “সাঁই” তথা “মনের মানুষ” অবস্থান করেন। কিন্তু তার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর দর্শন থেকে বঞ্চিত। তার মনের মধ্যেই এই “পড়শী” বসবাস করেন। এই “পড়শী” তার কাছে থাকলেও তাঁর দর্শন পাওয়া অত সহজ কাজ নয়। কারণ –
“গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি
ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে-“
লালন কঠিন জীবন পথ পাড়ি দিয়ে তার মনের মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছেন কিন্তু তার মনের মানুষের কাছে পৌঁছাতে গেলে “অগাধ পানি” স্বরূপ মায়ার বন্ধন, লোভ-লালসা , পার্থিব বস্তু ইত্যাদির প্রতি মোহ ত্যাগ করে তবেই তার কাছে পৌঁছানো সম্ভব। লালন ফকির জানেন, ভক্ত আর ভগবানের কাছে পৌঁছাতে বা দর্শন পেতে হলে কঠোর তপস্যার পথ পেরিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ অগাধ পানির বাধা তাকে বেরোতে হবে যা খুবই কঠিন কাজ। আধ্যাত্ম পথের বাধা তাকে বঞ্চিত করছে তার মনের মানুষের সঙ্গে দর্শন পাওয়ার ক্ষেত্রে।
**অর্থাৎ ইন্দ্রিয়সুখ, বিষয়বাসনা, লোভ-লালসা, পার্থিববস্তুর প্রতি মোহ ইত্যাদি তৈরি হয় সাধনার পথের বাধা। এই কঠিন সাধনার পথ পেরিয়েই মনের মানুষের সঙ্গে দর্শন পাওয়া সম্ভব। মনের মানুষ দেহের মধ্যে অবস্থান করলেও তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি অসীম তাকে। দর্শন পেতে গেলে অশেষ কঠোর তপস্যা প্রয়োজন।। ( বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতার প্রশ্নোত্তর-2023)
আরও পড়-
বাড়ির কাছে আরশিনগর – বিষয়বস্তু-mcq and saq প্রশ্নোত্তর
২) “আমার যম- যাতনা যেত দূরে।“ যম-যাতনা কি? কিভাবে এই “যম- যাতনা” দূরে যেতে?
অথবা – “পড়শী যদি আমায় ছুঁত।“ এই পড়শী কে? পড়শী ছুঁলে কি হতো? (বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023)
উঃ “বাড়ির কাছে আরশীনগর” শীর্ষক গীতিকায় বাউল সাধক লালন ফকির সারা জীবন তার পরম আরাধ্য দেবতা তথা “সাঁই” বা “মনের মানুষের” সন্ধান করেছেন। তার বাড়ি স্বরূপ দেহের মধ্যেই “মনের মানুষ” অবস্থান করলেও, তাকে তিনি দেখতে পাননি। আলোচিত এই অংশে “সাঁই” বা “মনের মানুষকেই” লালন “পড়শী” বলেছেন।
** মানুষের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা হলো- মৃত্যুযন্ত্রণা ।এই মৃত্যু যন্ত্রণাই শেষ যন্ত্রনা। জীবদ্দশায় মানুষকে রোগ- শোক- জরা- ব্যাধি- যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। লালন এই জীবন- যন্ত্রণাকেই যম- যাতনা বলেছেন।
** মরমিয়া বাউল সাধক লালন ফকির তার পড়শীর কাছে এই আরতি প্রকাশ করেছেন তার সাধনার কথা মনের মানুষ তার দেহের মধ্যেই অতি সন্নিকটে বিরাজ করছেন কিন্তু তার কাছে তিনি আজও অধরা তার দেখা পাননি কারণ তার দেখা পেতে গেলে–
“গ্রাম বেড়িয়ে অগাধ পানি।
ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে।“-
অর্থাৎ কঠিন তপস্যার জীবন পথ পাড়ি দিতে হবে। লোভ-লালসা, পার্থিব বস্তুর প্রতি মোহ , আত্মকেন্দ্রিকতা ইত্যাদি তার সাধনার পথের বাধা বা “অগাধ পানি”। তাই তার “পড়শী” তার কাছে থেকেও তাকে ধরা দেন না। তাই লালন তার পড়শীর কাছে আবেদন করেছেন, তার সাঁই বা মনের মানুষ যদি তাকে ছুঁয়ে দিতেন বা তাকে দেখা দিতেন বা তাকে স্পর্শ করতেন তাহলে তার এই জীবন যন্ত্রণা অর্থাৎ রোগ- শোক- জরা –দুঃখ-কষ্ট –মৃত্যু যন্ত্রণা, দূর হয়ে যেত অর্থাৎ তিনি পার্থিব জীবন থেকে মুক্তি লাভ করতেন যা প্রতিটা মানুষেরই মনের ইচ্ছা। লালন তার মনের ইচ্ছা সাঁই বা পড়শীর কাছে প্রকাশ করেছেন।।
বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023 বাড়ির কাছে আরশিনগর বড় প্রশ্নোত্তর-2023