শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023

সূচীপত্র

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (  শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)                                

 ১)  “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে।”— কে নেমে এসেছে ?

উঃ)   “শিকার”  শীর্ষক কবিতায়, হরিণটি চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে,  ভোরের আলোয় নেমে এসেছে  |

২ )  “একটা অদ্ভুত শব্দ’– শব্দকেঅদ্ভুতবলার কারণ কী ?

উত্তর )  “শিকর: নামাঙ্কিত কবিতায় বন্দুকের গুলি ছোড়ার শব্দকে অদ্ভুত শব্দ বলা হয়েছে | কারণ, অরণ্য প্রকৃতির পরিবেশে বন্দুকের গুলির আওয়াজ অদ্ভুত অর্থাৎ পশুপাখির কাছে এই শব্দ অপরিচিত, তাই এখানে বন্দুকের গুলি ছোড়ার শব্দকে অদ্ভুত বলা হয়েছে | ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

৩ )  “আগুন জ্বলল আবার”– এখানে কোন আগুনের কথা বলা হয়েছেঅথবা- কখন আগুন জ্বলেছিল ?

উত্তর) টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত  মানুষ, একটি হরিণ শিকার করে | সেই হরিণের মাংস তৈরি করার জন্য আগুন জেলে ছিল তারা |

৪)  “রোগা শালিকের হদয়ের বিবর্ণ”-  ইচ্ছা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর) দেশোয়ালিরা  হিমের রাতে নিজের শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য সারারাত মাঠে আগুন জেলে ছিল | সেই আগুন সূর্যের আলোয় ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে আসছিল, এই আলোকে মুমূর্ষু অসুস্থ শালিক পাখির, শীর্ণকায় চেহারা এবং তার নৈরাশ্যের মতই বিবর্ণ বলে উল্লেখ করেন |

৫ )  “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”– কে, কেন নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল ?

উত্তর)  সুন্দর বাদামি হরিণ সারারাত নিজেকে চিতাবাঘের  হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এ বন থেকে ও বনে ঘুরে বেরিয়ে ছিল | তাই ভোরের আলোয় সে নিজের ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরটাকে একটু আবেগ দেওয়ার জন্য, নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল |

৬ )  “এখনও আগুন জ্বলছে তাদের ;” কারা, কেন আগুন জ্বালিয়েছে?

উত্তর)  জীবনানন্দ দাশ রচিত “শিকার” নামক কবিতায় দেশোয়ালিরা অর্থাৎ আদিম অধিবাসীরা হিমের রাতে নিজেদের শরীর ‘উম’ অর্থাৎ উষ্ণ রাখার জন্য সারারাত অশ্বখ পাতা দিয়ে মাঠে আগুন জেলে ছিল ।

৭)  “নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মত লাল”- নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল কেন?

উত্তর)  সুন্দর বাদামি হরিণ নিজের ক্লান্ত শরীরটাকে একটু আবেশ দেওয়ার জন্য নদীর জলে নেমেছিল |  সেই সময় টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ, বন্দুকের গুলি দিয়ে হরিণটিকে  হত্যা করে | এই হরিণের রক্তেই নদীর জল লাল হয়েছিল । (শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

8)  “এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল!” কে, কেন ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল?

উত্তর)  “শিকার” কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণ সারারাত চিতাবাঘিনী হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য,  একবন থেকে অন্য বনে ঘুরে বেরিয়ে ছিল | এই হরিণটি এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল

আরও পড় 

পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন-  প্রশ্নোত্তর

৯)  “সূর্যের আলোয় তার রং কুকুমের মতো নেই আর।”— কার রঙের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর ) দেশোয়ালিরা  অর্থাৎ আদিম অধিবাসীরা শীতের রাতে নিজেদের শরীরটাকে ‘উম’ অর্থাৎ উষ্ণ রাখার জন্য মাঠে সারারাত আগুন জ্বলেছিল |  সেই আগুন সূর্যের আলো আর কুমকুমের মত লাল ছিল না | সেটি বিবর্ণ হয়ে গেছিল |

১০)  “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।”  তারা টিকে কবি কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?

অথবাএকটি তারা আকাশে কীসের মতো জ্বলছে?

উত্তর ) ভোরের আকাশে যে তারাটি এখনো জ্বলছে, সেই তারাটিকে  কবির কাছে মনে হয়েছে, যেন পাড়াগাঁয়ের বাসর ঘরে বসে থাকা একাকী মহিলার মতো অথবা  হাজার হাজার বছর আগে, এক রাতের মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে মুক্তা কবির নীল মদের গ্লাসে রেখেছিল,  ঠিক সেইভাবে একটি তারা যেন আকাশের জ্বলছে |

১১)  হরিণের শরীরটা ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল ছিল কেন?

উত্তর)  সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হরিণটা বন থেকে বনান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছে। সারারাত পরিশ্রমের কারণে হরিণের শরীরটা ‘ঘুমহীন ক্লান্ত বিহুল’।

১২)  “নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম” – ঘুমকে নিস্পন্দ নিরপরাধ বলা হয়েছে কেন /

অথবা–  “নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম”  বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তর)  টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ জন বন্ধুকের সাহায্যে একটি হরিণ শিকার করেছে। সেই হরিণটির ঘুমকে,  এখানে “নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম” বলা হয়েছে । কারণ হরিণটি বন্য প্রকৃতির  প্রাণী | তার কোন অপরাধ না থাকা সত্ত্বেও তার মৃত্যু হয়েছে।

১৩)  ‘সুন্দর বাদামী হরিণচিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন বনে ঘুরেছিল?

উত্তর)  সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নক্ষত্রহীন মেহগনির বনের মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল হরিণটা।

১৪)  “সিগারেটের ধোঁয়া”—কোথায় কেনসিগারেটের ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল?

উত্তর)  টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ হরিণ শিকার করে |  তার মাংসভোজে মত্ত হয়ে উঠেছিল। জঙ্গলে তারাই আনন্দ উপভোগের সময় সিগারেট ধোঁয়া উড়িয়ে ছিল  |

১৪)  “টেরিকাটা কয়েকটি মানুষের মাথা।”—কোথায় এই মানুষগুলোর মাথা দেখা গিয়েছিল?

উত্তর)  হরিণটিকে হত্যা করার পর তার মাংস তৈরি হলে আগ্রাসী মানুষেরা তাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে উঠেছিল। এখানেই টেরিকাটা এই মানুষগুলোর মাথা দেখা গিয়েছিল।

১৫)  দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন সূর্যের আলোয় কেমন বর্ণ ধারণ করেছিল?

উত্তর)  “শিকার” কবিতার  সূর্যের আলোয় দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন রোগা শালিকের হৃদয়ের ইচ্ছার মতো বিবর্ণরূপ ধারণ করেছিল। ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

৬) হিমের রাতে শরীরউম্করে রাখার জন্য দেশোয়ালিরা কী করে?

উত্তর ) দেশোয়ালি না অর্থাৎ আদিম অধিবাসীরা শীতের রাতে নিজের শরীরটাকে ওম অর্থাৎ উষ্ণ রাখার জন্য মাঠে সারারাত অসত্য পাতা দিয়ে আগুন জেলে ছিল| বনভূমিতে হিম বা শীতের কাতরতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালায়। শুকনো অশ্বত্থপাতাকে দুমড়ে মুচড়ে

রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর  ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)                                               

১)  “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে”-সেই ভোরের বর্ণনা দাও | ভোরের আলোয় নেমে আসার পর কি কি ঘটনা ঘটলো ? 

উত্তর) “শিকার”কবিতায় দুটি ভোরের বর্ণনা আছে |  প্রথম ভোরে, একদিকে যেমন, গ্রাম বাংলার অপরুপ  সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে অন্যদিকে, দ্বিতীয় ভোরে আছে, আধুনিক সভ্যতার নগ্ন রূপ |  যেখানে কয়েকটি টেরিকাটা মানুষজন অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতার শিক্ষিত মানুষ জনের একটি নিরপরাধ হরিণকে শিকার করে তার মাংস ভক্ষণ করতে দেখা গেছে  |

সুন্দরী বাদামী  হরিণ এই ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল | সে সারারাত চিতাবাঘের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল এবং এই ভোরের জন্য সে অপেক্ষা করছিল ।

ভোরের আলোয় নেমে  এসে, হরিণটি কচি বাতাবিলেবুর  মতো  সবুজ ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিল এবং নিজের অনিদ্রাজনিত ক্লান্ত শরীরটাকে একটু আবেগ দেওয়ার জন্য নদীর শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল  | নিজের মনের মতো একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য হিম শীতল  নদীর জলে নামে  | এ যেন  সাহসে সৌন্দর্যে হরিণীর প্রহরীকে চমক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য এত কিছু সে করেছিল |  কিন্তু চোরা শিকারিদের অব্যর্থ নিশানায়   হরিণটি শেষ পরিনতি মৃত্যু | এরপর ঘটল  সেই অমানবিক ঘটনা |  যা আধুনিক সভ্যতার নগ্নরূপটি  প্রকাশ পেয়েছে | একটা অদ্ভুত শব্দ আর সঙ্গে সঙ্গে

নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মত লাল

হয়ে যায় অর্থাৎ হরিণটিকে টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতায় শিক্ষিত মানুষ, বন্দুকের গুলির সাহায্যে হত্যা করল |  বনের মধ্যে আবার আগুন জ্বলল | কিন্তু এই আগুন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জানানো হয়নি | ই আগুন জ্বালানো হল-  উষ্ণ  হরিণের মাংস তৈরি  করার জন্য চারিদিকে সিগারেটের ধোঁয়া  উড়লো |  এই ভাবেই একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভোরের আলোয় নেমে এসে সুন্দর বাদামি হরিণ কি মানুষের লালসার শিকার হয়েছিল। যার হিংস্র রূপ প্রকাশ পায় এই কথায়-

“ -নিস্পন্দ নিরাপরাধ ঘুম”

2) “শিকারকবিতায় ভোরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখপরিবেশ কোন ঘটনাই করুন হয়ে উঠলো ?  ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

 উত্তর)  “শিকার”কবিতায় দুটি ভোরের বর্ণনা আছে |  প্রথম ভোরে, একদিকে যেমন, গ্রাম বাংলার অপরুপ  সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে অন্যদিকে, দ্বিতীয় ভোরে আছে, আধুনিক সভ্যতার নগ্ন রূপ |  যেখানে কয়েকটি টেরিকাটা মানুষজন অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতার শিক্ষিত মানুষ জনের একটি নিরপরাধ হরিণকে শিকার করে তার মাংস ভক্ষণ করতে দেখা গেছে  |

আমাদের পাঠ্য কবিতায় কবি প্রথম ভোরের যে বর্ণনা দিয়েছেন সেখানে, একটি অকৃত্রিম প্রাকৃতিক পরিবেশের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন | এই ভোরের আকাশ ঘাস ফড়িঙের দেহের মত কোমল নীল |  আর চারিদিকে পেয়ারা ও নোনার গাছ টিয়া পাখির পালকের মতো সবুজ দেখাচ্ছে |  এখনো আকাশে একটি তারা দেখা যাচ্ছে  | কবির কল্পনায় সেই তারা যেন,  পাড়াগাঁর বাসরঘরে একাকী বসে থাকার কোন গোধুলীমোদির মেয়ের মত অথবা হাজার হাজার বছর আগে সুদুর মিশরের কোন এক মানুষী তার বুকের থেকে মুক্তা রেখেছিল সেটি যেন কবির নীল মদের গেলাসে রাখা মুক্তার মত দেখাচ্ছে | শীতের রাতে দেশোয়ালিরা তাদের শরীরকে “উম” অর্থাৎ উষ্ণ রাখার জন্য অশ্বখপাতা দুমড়ে-মুচড়ে সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে | সেই আগুন সুর্যের আলোয় আর আগের মত লাল নেই|  এই ভাবে কবি এক অকৃত্রিম  ভোরের সুন্দর দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন |

ভোরের আলোয় নেমে  এসে, হরিণটি কচি বাতাবিলেবুর  মতো  সবুজ ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিল এবং নিজের অনিদ্রাজনিত ক্লান্ত শরীরটাকে একটু আবেগ দেওয়ার জন্য নদীর শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল  | নিজের মনের মতো একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য হিম শীতল  নদীর জলে নামে  | এ যেন  সাহসে সৌন্দর্যে হরিণীর প্রহরীকে চমক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য এত কিছু সে করেছিল |   এরপর ঘটল সেই   অমানবিক ঘটনা |  যা আধুনিক সভ্যতার নগ্নরূপটি  প্রকাশ পেয়েছে | একটা অদ্ভুত শব্দ আর সঙ্গে সঙ্গে-

নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মত লাল”

হয়ে যায় অর্থাৎ হরিণটিকে টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতায় শিক্ষিত মানুষ, বন্দুকের গুলির সাহায্যে হত্যা করে |  বনের মধ্যে আবার আগুন জ্বলল | কিন্তু এই আগুন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জ্বালানো হয়নি | এই আগুন জ্বালানো হল-  উষ্ণ  হরিণের মাংস তৈরি  করার জন্য | চারিদিকে সিগারেটের ধোঁয়া  উড়লো |  এই ভাবেই একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভোরের আলোয় নেমে এসে সুন্দর বাদামি হরিণ  মানুষের লালসার শিকার হয়েছিল| যার হিংস্র রূপ প্রকাশ পায় এই কথায়-

“ -নিস্পন্দ নিরাপরাধ ঘুম”

 ৩) “আগুন জ্বলল আবার“-  আবার শব্দটি ব্যবহারের তাৎপর্য কী ?আবার আগুন জ্বলল কেন ? এই ঘটনা কীসের ইঙ্গিত দেয় ?  ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)   ++ =

উঃ)  জীবনানন্দ দাশের “শিকার” কবিতায় দুইবার আগুন জ্বলার প্রসঙ্গ আছে  প্রথমবার আগুন জ্বালিয়েছিল দেশোয়ালি অর্থাৎ আদিম মানুষেরা। শীতের সময় শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য তারা শুকনো অশ্বখ পাতায় আগুন জ্বালিয়েছিল।

কিন্তু কবিতায় দ্বিতীয় আরো একবার আগুন জ্বালানো হয়েছিল ।সেই আগুন         জ্বালানো হয়, হরিণের মাংস তৈরির জন্য । এই দুই প্রকার আগুনের বিভেদ বোঝাতেই কবি ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

সুন্দরী বাদামী  হরিণ , ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল | সে সারারাত চিতাবাঘের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল এবং এই ভোরের জন্য সে অপেক্ষা করছিল ।

ভোরের আলোয় নেমে  এসে, হরিণটি কচি বাতাবিলেবুর  মতো  সবুজ ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিল এবং নিজের অনিদ্রাজনিত ক্লান্ত শরীরটাকে একটু আবেগ দেওয়ার জন্য নদীর শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল  | নিজের মনের মতো একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য হিম শীতল  নদীর জলে নামে  | এ যেন  সাহসে সৌন্দর্যে হরিণীর প্রহরীকে চমক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য এত কিছু সে করেছিল |  কিন্তু চোরা শিকারিদের অব্যর্থ নিশানায়   হরিণটি শেষ পরিনতি মৃত্যু |এরপর ঘটল  সেই অমানবিক ঘটনা |  যা আধুনিক সভ্যতার নগ্নরূপটি  প্রকাশ পেয়েছে | একটা অদ্ভুত শব্দ আর সঙ্গে সঙ্গে

নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মত লাল

হয়ে যায় অর্থাৎ হরিণটিকে টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতায় শিক্ষিত মানুষ, বন্দুকের গুলির সাহায্যে হত্যা করল |  বনের মধ্যে আবার আগুন জ্বলল | কিন্তু এই আগুন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জানানো হয়নি | ই আগুন জ্বালানো হল-  উষ্ণ  হরিণের মাংস তৈরি  করার জন্য চারিদিকে সিগারেটের ধোঁয়া  উড়লো |  এই ভাবেই একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভোরের আলোয় নেমে এসে সুন্দর বাদামি হরিণ কি মানুষের লালসার শিকার হয়েছিল।

অরণ্য পরিবেশে  হরিণটি রাতের অন্ধকারে চিতা বাঘের হাত থেকে  রক্ষা   পেলেও মানুষের লোভী দৃষ্টি থেকে রক্ষা  পাইনি । লোভী মানুষেরা নিজেদের স্বার্থ ও লোভ লালসা পূরণের জন্য যন্ত্র শক্তিকে ব্যবহার করে। তাই ক্ষমতালোভী মানুষেরা নিজেদের বাসনা চরিতার্থ করার জন্য মানুষকে মেরে ফেলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না। তাদের লোভের আগুনে পুড়ে কত নিষ্পাপ প্রাণ হারিয়ে যায়, কত স্বপ্ন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

 ৪)এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল“- কে অপেক্ষা করছিল? তার পরিণতি কী হয়েছিল?                           +=

 উঃ) কবি জীবনানন্দ দাশের “শিকার” কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি  সুন্দর বাদামি হরিণ ।  হরিণ  ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল | সে সারারাত চিতাবাঘের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল এবং এই ভোরের জন্য সে অপেক্ষা করছিল । কবিতার শেষ পর্যায়ে সুন্দর বাদামি হরিণটির মর্মান্তিক করুন পরিণতি লক্ষ্য করা যায়।

ভোরের আলোয় নেমে  এসে, হরিণটি কচি বাতাবিলেবুর  মতো  সবুজ ঘাস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছিল এবং নিজের অনিদ্রাজনিত ক্লান্ত শরীরটাকে একটু আবেগ দেওয়ার জন্য নদীর শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল  | নিজের মনের মতো একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য হিম শীতল  নদীর জলে নামে  | এ যেন  সাহসে সৌন্দর্যে হরিণীর প্রহরীকে চমক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য এত কিছু সে করেছিল |   এরপর ঘটল সেই   অমানবিক ঘটনা |  যা আধুনিক সভ্যতার নগ্নরূপটি  প্রকাশ পেয়েছে | একটা অদ্ভুত শব্দ আর সঙ্গে সঙ্গে-

                  “নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মত লাল”

হয়ে যায় অর্থাৎ হরিণটিকে টেরিকাটা কয়েকজন মানুষ অর্থাৎ আধুনিক সভ্যতায় শিক্ষিত মানুষ, বন্দুকের গুলির সাহায্যে হত্যা করে |  বনের মধ্যে আবার আগুন জ্বলল | কিন্তু এই আগুন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জ্বালানো হয়নি | এই আগুন জ্বালানো হল-  উষ্ণ  হরিণের মাংস তৈরি  করার জন্য | চারিদিকে সিগারেটের ধোঁয়া  উড়লো |  এই ভাবেই একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভোরের আলোয় নেমে এসে সুন্দর বাদামি হরিণ মানুষের লালসার শিকার হয়েছিল | যার হিংস্র রূপ প্রকাশ পায় এই কথায়-

“ -নিস্পন্দ নিরাপরাদ ঘুম|”

বাদামি হরিণ পরিণত হয় মানুষের লালসার ভোগ্যবস্তুতে । তার এই অনিবার্য পরিণতির পাশে ফুটে উঠেছে শিকারিদের পাশবিক উল্লাসের চিত্র। ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

বিগত  পরীক্ষার প্রশ্নপত্র  ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

বহু বিকল্প ধর্মী প্রশ্ন 

১) “ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে”-

ক)বন ও আকাশ                                                                                          2020

খ)আকাশ ও মাঠ

গ)মাঠ ও বন

ঘ)সুন্দরী বন ও অর্জুনের বন

উত্তর )   বন আকাশ

২) “উষ্ণ লাল রং” – কি ছিল?

ক)ভোরের সূর্যের

খ)  অস্তগামী সূর্যের

গ) হরিণের মাংসের                                                                                       2019

ঘ)  দেশোয়ালিদের জ্বলানো আগুনের

উত্তর ) হরিণের মাংসের 

৩) সবুজ সকাল কিসে ভেজা ?

ক) শিশিরে

খ) জলে

গ) মেঘে                                                                                                       2019

ঘ) ভোরের আলোয়

উত্তর ) ) শিশিরে

৪) “চারিদিকে পেয়ারা ও নোনার গাছ”-

ক)গোধূলিমোদি মেয়েটির মত ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023)

খ) মচকা ফুলের পাপড়ির মত

গ) ভোরের রৌদ্রর মত

ঘ) টিয়ার পালকের মতো                                                                         2018

উত্তর ) ) টিয়ার পালকের মতো

৫) “সূর্যের আলোয় তার রঙ কুমকুমের মত নেই আর”- কিসের রং ?

ক) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন                                                       2017

খ) তারার আলোর

গ)মচকা ফুলের

ঘ) হরিণের মাংস রাঁধার আগুনের

উত্তর) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন

৬) “ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে স্রোতের মতো / একটা আবেশ দেওয়ার জন্য”- হরিণটি কি করল?

ক)  নরম ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল

খ) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নামল                                                                   2016

গ) অর্জুনের বনের ছায়ায় বসে রইল

ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনে উত্তাপ নিল

উত্তর) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নামল 

৭) “রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো”-

ক)  কবির হৃদয়ের রং                                                                                      2015

খ) আকাশে  রং

গ) সূর্যের আলোর রং

ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং

উত্তর ) ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং 

সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন ( শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 20230 

) “নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামলো” – সে নদীতে কেন নামল ?

উত্তর ) “শিকার” কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণ নিজেকে চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য,  সারারাত সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেরিয়ে ছিল । তাই ভোরের আলোতে নিজের ক্লান্ত শরীরটাকে  স্রোতের মতো একটা আবেগ দেওয়ার জন্য, নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে হরিণটি  নামলো  ।                                                                                                                                        ২০১৮

) “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও”-  তারাটিকে দেখে কবির কি মনে হয়েছে  ? 

উত্তর ) ভোরের আকাশে যে তারাটি এখনো জ্বলছে, সেই তারাটিকে  কবির কাছে মনে হয়েছে, যেন পাড়াগাঁয়ের বাসর ঘরে বসে থাকা একাকী মহিলার মতো অথবা  হাজার হাজার বছর আগে, এক রাতের মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে মুক্তা কবির নীল মদের গ্লাসে রেখেছিল,  ঠিক সেইভাবে একটি তারা যেন আকাশের জ্বলছে |                                                                                             ২০১৭

রচনাধর্মী প্রশ্ন 

) “এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে”-  সেই ভোরের বর্ণনা দাও।  সে ভোরের আলোয় নেমে আসার পর কি কি ঘটনা ঘটলো  ?

(প্রশ্নটির উত্তর এর জন্য রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর দ্রষ্টব্য )                                                                                                                      ২০২০

) “শিকার”  কবিতায় ভোরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখ সেই  পরিবেশ কোন ঘটনায় করুন হয়ে উঠলো  ?                                                                                                                                                           ২০১৮

(প্রশ্নটির উত্তর এর জন্য রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য )

) “এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল”-   কে অপেক্ষা করছিলতার পরিণতি কি  হয়েছিল  ?                                         ২০১৬

you may like it-

https://en.wikipedia.org/wiki/India

 

শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023  শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023 শিকার কবিতার প্রশ্নোত্তর- 2023

 

 

 

   

Ratan Das

Learn More