সূচীপত্র

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর    হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বড় প্রশ্নের উত্তর    হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের এস এ কিউ এবং এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর      মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর     Class 10 Bengali question answer    Class 10 Bengali suggestion    হারিয়ে যাওয়া কালি কলম শ্রীপান্থ

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের  SAQ প্রশ্ন উত্তর

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নের উত্তর

১. “নিবের কলমের মান মর্যাদা’ – শেষ পর্যন্ত কে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন?

উঃ: প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ  তার  “হারিয়ে যাওয়া কালি কলম” প্রবন্ধে” জানান যে,  একমাত্র সত্যজিৎ রায়ই শেষপর্যন্ত নিবের কলমে লেখালেখি করে সেই কলমের মান মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

২. “বলে আমি মুনশি।’ – মুনশি শব্দের অর্থ কী? অথবা- ‘মুনশি’ কাদের বলা হয়েছে?

উঃ  ‘মুনশি’ একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ- বিদ্বান, পণ্ডিত, উর্দু শিক্ষক বা কেরানি। তাদের লেখালেখি পেশা তাদের মুনশি বলা হয়।

৩. “কালযুগ বুঝিবা আজ আমরাও তা-ই’ – ‘আমরাও তা-ই’ বলতে প্রাবন্ধিক কি বুঝিয়েছেন?

উঃ “হারিয়ে যাওয়া কালি কলম” প্রবন্ধে লেখক শ্রীপান্থ  বাংলার এক প্রবাদ অনুযায়ী বোঝাতে চেয়েছেন যে, কালি ও কলম ছাড়াই এখন সবাই মুনশি।

৪. “গরুকে অক্ষর খাওয়ানো নাকি পাপ”- সে কারণে লেখকরা শৈশবে কী করতেন? অথবা -লেখকরা শৈশবে হোমটাস্কের পাতাগুলি কী করতেন?

উঃ: শৈশবে লেখকরা কলাপাতায়  হোমটাস্ক করতেন মাস্টারমশাইয়ের ফেরত দেওয়া হোমটাস্ক করা কলাপাতার অংশটি বাড়ি ফেরার  সময়  পুকুরে ফেলে দিতেন। কারণ গরু সেটা খেলে অমঙ্গল হবে বলে মনে করা হত।

৫. “আমাদের ছিল সহজ কালি তৈরি পদ্ধতি।’ – লেখকদের সহজ কালি তৈরির পদ্ধতিটি কী ছিল?

উঃ কাঠের উনুনে ব্যবহার করা লোহার কড়াই-এর নীচে কালি জমত। লাউপাতা দিয়ে সেটাকে ঘষে তুলে নিয়ে একটা পাথরের পাত্রে তুলে জলে গুলে নেওয়া হত। এটাই ছিল শৈশবে লেখকদের কালি তৈরির সহজ পদ্ধতি।

৬. “ আমি যদি ফিনিসিয়ান হতাম”- লেখক ফিনিসীয় হলে কী করতেন?

উঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ তার “হারিয়ে যাওয়া কালিকলম”- প্রবন্ধে, জানান যে, তিনি যদি ফিনিসীয় হতেন তাহলে, তিনি বনপ্রান্ত থেকে একটা হাড় কুড়িয়ে এনে কলম হিসেবে ব্যবহার করতেন।

৭. স্টাইলাস কী?

 

আর পড়——-     হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের  বড় প্রশ্ন উত্তর 

 

উঃ “হারিয়ে যাওয়া কালিকলম “- প্রবন্ধে জানা  যায় যে, ব্রোঞ্জের সরু শলাকার পোশাকি নাম স্টাইলাস। প্রাচীনকালে কলম হিসেবে ব্যবহৃত হত ব্রোঞ্জের এই সরু শলাকা।

৮. ফাউন্টেন পেনের আদি নাম কী ছিল?

উঃ আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন।

১০. “এমন কী আমি যদি রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হতাম।’ – পাঠ্য প্রবন্ধে কোন্ অধীশ্বরের নাম আছে?

উঃ পাঠ্য হারিয়ে যাওয়া কালিকলম”- প্রবন্ধে যে রোমান অধীশ্বরের নাম আছে, তার নাম জুলিয়াস সিজার।

১১. লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি লেখা দেখে কী বলতেন?

উঃ পালকের কলমের ইংরেজি নাম কুইল  লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের গরম গরম ইংরেজি লেখা দেখে বলতেন ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’।

১০. ‘একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন’ – বিদেশি সাংবাদিক কী লিখেছিলেন?

উঃ বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন যে, কলকাতার চৌরঙ্গীর পথে গিজগিজ করছে ফেরিওয়ালা। যাদের এক-তৃতীয়াংশের পেশা হল কলম বিক্রি।

১১. ফাউন্টেন পেনের নেশা ছিল এমন দুজন লেখকের নাম লেখ। 

অথবা :- “তারও ছিল ফাউন্টেন পেনের নেশা”- কার ফাউন্টেন পেনের নেশা ছিল?

উঃ “হারিয়ে যাওয়া কালি কলম” প্রবন্ধে নিখিল সরকার জানান যে, শৈলজানন্দ এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর ফাউন্টেন পেনের নেশা ছিল।

১১. ‘কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।’ – কাদের কাছে, কেন কলম অস্পৃশ্য?

উঃ  পকেটমারদের কাছে কলম আজ অস্পৃশ্য। কারণ কলম এখন এতই সস্তা এবং এতই সর্বভোগ্য হয়ে উঠেছে যে, পকেটমাররাও কলম নিয়ে হাত সাফাইয়ের খেলা দেখায় না।

১২. ‘আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে’- কে, কেন কালির সন্ধানে ছুটলেন ?

উঃ  লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান কালির সন্ধানে ছুটলেন। কারণ তার চুক্তিপত্রে কালির দোয়াত উপুড় হয়ে, কালি পড়ে গিয়েছিল এবং চুক্তিপত্র নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য তিনি কালির সন্ধানে ছুটলেন

১৩. আদিতে ফাউন্টেন পেনের কী নাম ছিল?

উঃ আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন।

১৪. কলমকে দামি ও পোক্ত করার জন্য কী করা হত? 

উঃ কলমকে দামি ও পোক্ত করার জন্য প্লাটিনাম, সোনা – এই সব দিয়ে মুড়ে দেওয়া হতো।

১৬. বিভিন্ন রকম দোয়াতের নাম উল্লেখ কর।

উঃ বিভিন্ন রকম দোয়াতের মধ্যে আছে- কাচের, পোর্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, পিতলের, ব্রোঞ্জের, ভেড়ার সিংয়ের, সোনার দোয়াত ইত্যাদি।

১৭. গ্রামে দু’একটা পাশ দিতে পারলে বুড়ো-বুড়িরা কী বলে আশীর্বাদ করতেন?

উঃ “হারিয়ে যাওয়া কালি কলম” প্রবন্ধে জানা যায় যে, গ্রামে দু’একটা পাশ দিতে পারলে বুড়ো-বুড়িরা এই বলে আশীর্বাদ করতেন- ‘বেঁচে থাকো বাবা, তোমার সোনার দোয়াত কলম হোক’

১৮. ‘সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ’- অর্থ লেখ।

অথবা- এর সরল অর্থ কি?

উঃ   ‘সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ’- এর অর্থ হল- সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন।

১৯. অষ্টাদশ শতকে চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে একজন লেখক কী কী পেতেন?

উঃ“ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম” নামক প্রবন্ধ থেকে জানা যায় যে, অষ্টাদশ শতকে চার খন্ড রামায়ণ কপি করে একজন লিপিকার নগদ সাত টাকা, কিছু কাপড় আর মিঠাই পেতেন

২০. টাইপ-রাইটারে লিখেছেন এমন দু’জন লেখকের নাম উল্লেখ কর।

উঃ   টাইপ রাইটার এ লিখেছেন এমন দুজন লেখক হলেন- সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং অন্নদাশঙ্কর রায়।

২২. নিবের কলম কীভাবে ঘাতকের ভূমিকা নিয়েছিল?

অথবা-  “নিবের কলমকে দেখা গেছে খুনির ভূমিকায়”- কখন খুনের ভূমিকায় দেখা গেছে?

উঃ স্বনামধন্য বাঙালি লেখক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের কলম অসাবধানতাবশত বুকে ফুটে গিয়েছিল এবং সেই আঘাতের ফলেই নাকি তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। এইভাবেই নিবের কলমকে খুনির ভূমিকায় দেখা গেছে

২৩. ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির দাম কত ?

উঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির দাম আড়াই হাজার পাউন্ড।

২৪. ‘’হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে ব্যবহৃত যেকোনো দুটি প্রবাদের উল্লেখ কর।

উঃ ‘কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি’ এবং ‘কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত’। এই হল প্রবন্ধে ব্যবহৃত দুটি প্রবাদ।

২৮. কোন সাহিত্যিক শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন?

উঃ “হারিয়ে যাওয়া কালি কলম” নামাঙ্কিত প্রবন্ধ থেকে জানা যায় যে, একমাত্র সত্যজিৎ রায় শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

৩০. উনিশ শতকে বারো আনায় কত অক্ষর লেখানো যেত?

উঃ উনিশ শতকে ইংরেজ আমলে,  বারো আনায় বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেত।

 

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর    হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বড় প্রশ্নের উত্তর    হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের এস এ কিউ এবং এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর      মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর     Class 10 Bengali question answer    Class 10 Bengali suggestion    হারিয়ে যাওয়া কালি কলম শ্রীপান্থ

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের  SAQ প্রশ্ন উত্তর 

Ratan Das

Learn More