> আমার বাংলা- সুভাষ মুখোপাধ্যায় class12 » Qবাংলা

আমার বাংলা- সুভাষ মুখোপাধ্যায় class12

উচ্চ মাধ্যমিক class12  বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য আমার বাংলা | গ্রন্থটির রচয়িতা সুভাষ মুখোপাধ্যায়।এই সিরিজে এই গ্রন্থ থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য কর উচ্চ মাধ্যমিক মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর জানতে অবশ্যই  click here | আমার বাংলা গ্রন্থ থেকে যে যে বিষয়ের প্রশ্ন এই সিরিজে তোমরা পাবে তা হল

  1. হাত বাড়াও
  2. কলের কলকাতা
  3. ছাতির বদলে হাতি 

অন্যান্য আরও প্রশ্ন উত্তর পেতে qbangla.com এই ওয়েবসাইটটি অনুসরণ কর

আমার বাংলা বড় প্রশ্ন

আমার বাংলা গ্রন্থ থেকে যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরগুলি এ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং যে প্রশ্নগুলি আসার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত – সেই প্রশ্নগুলির উত্তর পরপর সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রিয় ছাত্র ছাত্রী উত্তরগুলি ভালোভাবে পড়ে তার উত্তর লেখার কৌশলটি দেখো –

হাত বাড়াও বড় প্রশ্ন

১) “তোমরাও হাত ….সাহায্য করো”- লেখক কাকে, কিভাবে কেন সাহায্য করতে বলেছেন ? 2016 / অথবা- লেখক কাদেরকে, কেন সাহায্য করার কথা বলেছেন?
উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের“আমার বাংলা”গদ্যগ্রন্থের অন্তর্গত “হাত বাড়াও” শীর্ষকরচনাটি, পঞ্চাশের মন্বন্তরের ভূমিকায় রচিত। দুর্ভিক্ষের আকালে মানুষ না খেতে পেয়ে কঙ্কাল সার হয়ে জন্তুতে পরিণত হয়ে,রাস্তায় রাস্তায় খাবার খুঁটে খুঁটে খেয়ে বেরিয়েছে। তারই এক করুন মর্মান্তিক ছবি লেখক “হাত বাড়াও” অংশে দেখিয়েছেন।

কাকে সাহায্য করতে বলেছেন – দুর্ভিক্ষের এই আকালের সময়ে বারো-তেরো বছরের এক শিশু না খেতে পেয়ে তার মাজা পড়ে গিয়ে,জন্তুতে পরিণত হয়েছে। সে খাবার খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে। লেখক এই অমৃতের পুত্র মানব শিশুকেই সকলকে সাহায্য তথা হাত বাড়াতে বলেছেন।

কিভাবে কেন সাহায্য করতে বলেছেন – লেখক সেই ছেলেটির মধ্যে লক্ষ্য করেছেন এক ভয়ঙ্কর  জন্তুর  বিকৃতি। তার জ্বলন্ত দুটি চোখ সন্ধান করছে, সেই সমস্ত খুনিদের। যারা এই শস্যশ্যামলা বাংলায়  কৃত্রিম ভাবে এই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে। তাদের শোষণেই শস্যশ্যামলা বাংলা অনাহারে শ্মশানে পরিণত হয়েছে। সে শাস্তি চাই। লেখক দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে সকলের কাছে আবেদন করেছেন, সকলসাধারণ মানুষ, যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় |  বাংলার বুক জুড়ে সবুজ মাঠের সোনালী ফসলে,চাষির  গোল ভরা ধানে ভরে উঠুক শান্তি। কারখানায়  কারখানায় বন্ধন মুক্ত মানুষের আন্দোলিত বাহুতে বাহু মিলাক  শান্তি।কোটি কোটি বলিষ্ঠ হাতে এবার স্বাধীন সুখী জীবন চায়। সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় এই আকালের  অভিশাপ কেটে উঠবে। তাই সকল আপামর জনতাকে তিনি বলেছেন- “তোমরাও হাত …….সাহায্য করো”

২) “সরু লিকলিকে ……ই সব খুনিদের সে সনাক্তকরছে”- কে সনাক্তকরছে? কাদের কেন খুনি বলা হয়েছে?
উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের “আমার বাংলা” গদ্যগ্রন্থের অন্তর্গত “হাত বাড়াও” শীর্ষক রচনাটি, পঞ্চাশের মন্বন্তরের ভূমিকায় রচিত। দুর্ভিক্ষের আকালে মানুষ না খেতে পেয়ে কঙ্কাল সার হয়ে জন্তুতে পরিণত হয়ে, রাস্তায় খাবার খুঁটে খুঁটে খেয়ে বেরিয়েছে। তারই এক করুন মর্মান্তিক ছবি লেখক “হাত বাড়াও” অংশে দেখিয়েছেন।

কে সনাক্ত করছে?- দুর্ভিক্ষের এই আকালের সময়ে বারো-তেরো বছরের এক শিশু না খেতে পেয়ে তার মাজা পড়ে গিয়ে, জন্তুতে পরিণত হয়েছে। সে খাবার খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে। অমৃতের পুত্র মানব শিশু তার সরু  লিকলিকে আঙ্গুল দিয়েই সনাক্ত করছে সেই সমস্ত খুনিদের।

কাদের কেন খুনি বলা হয়েছে?-“সেই সব খুনি”বলতে যাদের কারণে, শস্যশ্যামলা বাংলার বুকে,দুর্ভিক্ষ নেমে এসেছিল। একদিকে যুদ্ধ আর অন্যদিকে মন্বন্তরের দুর্ভিক্ষের ঘনায়মান অন্ধকারে, বাংলা অনাহারের শ্মশানে পরিণত হয়েছিল। সেই সব জোতদার-আড়তদারদেরই“খুনি” বলা হয়েছে। তাদের লোভ-লালসা, নিজেদের গুদামে  খাদ্যশস্য  মজুত  রেখে,কৃত্রিমভাবে অভাব সৃষ্টি করে দুর্ভিক্ষকে, অনিবার্য করে তুলেছিল। বাংলার বহু মানুষ এই দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েঅনাহারে মৃত্যু হয়।মাজা পড়ে যাওয়া শীর্ণকায় মানব শিশুটি, এই দুর্ভিক্ষের সময়ে না খেতে পাওয়া মানুষের প্রতিনিধি।সে তার সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সেই সব খুনিদের সনাক্ত করছে।

ছাতির বদলে হাতি  বাংলা বড় প্রশ্ন

১) “তাতে চেংম্যানের চোখ কপালে উঠল”-চেংমানকে ? তার চোখ কপালে ওঠার কারণ কি?
/অথবা-“চেংমান এর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল”-চেংম্যানকে? তার মাথায় কখন, কেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল?
উঃ “আমার বাংলা” নামক গদ্যগ্রন্থের অন্তর্গত “ছাতির বদলে হাতি” শীর্ষক রচনায়,লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়,শোষিত, দরিদ্র মানুষের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন। এইরকমই একটি চরিত্র হলেন চেংমান। যিনি একজন গারোচাষী।

তার চোখ কপালে ওঠার কারণ কি?গারোচাষী  চেংমান,হালুয়াঘাট বন্দরে সওদা করতে এসেছিলেন। সেখানে মুষলধারে বৃষ্টিতে তিনি আটকে পড়ে, মহাজনের দোকানের ঝাঁপির নিচে আশ্রয় নেন। সেই সময় মহাজন মদনমোহন এর করুণা হয়। তিনি তাকে একটি ছাতা দিয়েছিলেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি, এই ছাতা তাকে সুদের হারে ধার দেওয়া হয়েছিল।  চেংমান ফি-বার হাটে গিয়ে, মহাজনকে পাওনা মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু মহাজন মদনমোহন তাতে আমল দেন না।চেংমান ক্রমে এই ছাতার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ একদিন মদনমোহন একটি বড় লাল খাতা নিয়ে তাকে পাকড়াও করেন।চেংম্যান সুদের কথা জেনে অবাক হলেন।

দেখা গেল যে, এই ক-বছরে চক্রবৃদ্ধি হারে ছাতির দামবাবদ সুদ সমেত পাওনা হয়েছে, হাজার খানেক টাকা, প্রায় একটা হাতির দামের সমান।অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে সুদ সহ প্রায় একটি হাতির দামের সমান। এই কথা জানতে পেরেই, “চেংমানের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল”

২) “আর এক….আছে-নান কার প্রথা”-নানকার প্রজাদের অবস্থা কেমন ছিল? পরে তাদের অবস্থার কি পরিবর্তন হয়েছিল?/অথবা- এই নামকার প্রথা কিভাবে অবসান ঘটেছিল?নানকার প্রজাদের অবস্থা কেমন ছিল? পরে তাদের অবস্থার কি পরিবর্তন ঘটেছিল?
উঃ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়“আমার বাংলা” নামক গদ্যগ্রন্থের অন্তর্গত “ছাতির বদলে হাতি” লেখক “নানকার প্রথা” নামে এইরকম একটি শোষণের হাতিয়ার তথা প্রথার কথা উল্লেখ করেছেন। নানকার অর্থ নিষ্কর অর্থাৎ খোরাকের জন্য যে জমি নিষ্কর দেওয়া হয়। অবিভক্ত বঙ্গের গারো পাহাড়ে এই নানকার নামক শোষণ প্রথা প্রচলিত ছিল।

নানকার প্রথা কিভাবে অবসান ঘটেছিল- গারো পাহাড়ের অধিবাসীদের জন্য প্রচলিত নানকার প্রথা অনুযায়ী প্রজাদের ওপর জমির কোন স্বত্ব ছিল না। জমি জরিপের পর আড়াই টাকা পর্যন্ত খাজনা সাব্যস্ত থাকতো। জমিদারেরা কর্জা ধানে এক মনে দুমন সুদ আদায়  করতো। খাজনা দিতে না পারলে তহসিলদার, প্রজাদের কাছারিতে ধরে নিয়ে যেত।তারপর মালঘরে আটকে রাখতো। তাদের সম্পত্তি নিলামে তুলে খাস করে নিত।পাহাড়ের আনাচে কানাচে থাকা গারো আদিবাসীরা এই শোষিত বঞ্চিত প্রতারিত জীবনকেই বংশ পরম্পরায় মেনে আসছিল। কিন্তু গারো পাহাড়ের নিচে লাল খুঁটি গাড়া নিশান তাদের চোখ খুলে দিল।তারা বলেছেন,“জমিদারের খামারে আমরা ধান তুলব না”।নওয়াপাড়া,ঘোষপাড়া,দুমনাকুড়া,ভুবনকুরার বিরাট তল্লাটে ডালুরচাষিরা জেগে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত জমিদারেরা হার মেনেছিল। এই ভাবে নানকার প্রথার অবসান ঘটে।

৩) “ছিল জোরদার আর তালুকদারদের নিরঙ্কুশ শাসন”- শাসন সম্পর্কে লেখক কি জানিয়েছেন তার নিজের ভাষায় লেখ। 
উঃ  কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় “আমার বাংলা” নামক গদ্যগ্রন্থের অন্তর্গত “ছাতির বদলে হাতি” শীর্ষক রচনায় অবিভক্ত বঙ্গ সমাজের শোষণ ক্লিষ্ট প্রজাদের দুর্বিসহ জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন।

চেংমান- গারোচাষী  চেংমান, হালুয়াঘাট বন্দরে সওদা করতে এসেছিলেন। সেখানে মুষলধারে বৃষ্টিতে তিনি আটকে পড়ে, মহাজনের দোকানের ঝাঁপির নিচে আশ্রয় নেন। সেই সময় মহাজন মদনমোহন এর করুণা হয়। তিনি তাকে একটি ছাতা দিয়েছিলেন।চেংমান  ফি- বার হাটে গিয়ে, মহাজনকে পাওনা মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু মহাজন মদনমোহন তাতে আমল দেন না। চেংমান ক্রমে এই ছাতার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ একদিন মদনমোহন একটি বড় লাল খাতা নিয়ে তাকে পাকড়াও করেন। চেংম্যান সুদের কথা জেনে অবাক হলেন। এই ক-বছরে চক্রবৃদ্ধি হারে ছাতির দামবাবদ সুদ সমেত পাওনা হয়েছে, হাজার খানেক টাকা, প্রায় একটা হাতির দামের সমান।

নানকার প্রথা –এছাড়া আর এক রকমের প্রথা ছিল তা হলো নানকার  প্রথা। গারো পাহাড়ের অধিবাসীদের জন্য প্রচলিত নানকার প্রথা অনুযায়ী প্রজাদের ওপর জমির কোন স্বত্ব ছিল না। জমি জরিপের পর আড়াই টাকা পর্যন্ত খাজনা সাব্যস্ত থাকতো। জমিদারেরা কর্জা ধানে এক মনে দুমন সুদ আদায় করতো। খাজনা দিতে না পারলে তহসিলদার, প্রজাদের কাছারিতে ধরে নিয়ে যেত। পিছমোড়া করে বেঁধে মারতো। তারপর মালঘরে আটকে রাখতো। তাদের সম্পত্তি নিলামে তুলে খাস করে নিত।  কিন্তু গারো পাহাড়ের নিচে লাল খুঁটি গাড়া নিশান তাদের চোখ খুলে দিল। তারা সত্যকে চিনল।

for more question answers class12 click here– রূপনারানের কূলে 

কলের কলকাতা বড় প্রশ্ন

১)“অমনি মনের মধ্যে গুন…..মার কাছে শেখাগান”- মার কাছে শেখা গানটি কি? কোন প্রসঙ্গে লেখক এর এই উক্তি?
উঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়  জেলখানা থেকে বেরিয়ে, লেখক এই সময়ে,ছেলেবেলায় তার মায়ের কাছে শেখা, একটি গান মনে পড়ে যায়। গানটি হলো-“ও তোর শিকল পরা ছল। শিকল পড়ে শিকলেরে তুই করবি রে বিকল”।

প্রসঙ্গে- লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের  বাড়িওলা, রামদুলালবাবু দেশের জন্য বন্দী হয়েছিলেন। পরে অবশ্য লেখক সঠিক তথ্য জানতে পারেন।রামদুলালবাবুর দাদার সঙ্গে, লেখক কারাগারে যান, তার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে। সেখানে লেখক এর চোখে পড়ে, কারাগারে ঢুকতে গেলে মাথা নিচু করে কারাগারে প্রবেশ করতে হবে। কারণ দরজা খুব নিচু ছিল।ভারতীয়রা যাতে মাথা হেঁট করে ঢুকতে পারে, তাই ব্রিটিশ সরকার এই ব্যবস্থা করেছিল। এই ঘটনায় লেখক মনে মনে  ব্যথিত  হয়েছিলেন। তার পরেও দেখেন,গাড়ি ভর্তি বিপ্লবীদের জেলখানায় নিয়ে আসা হচ্ছে এবং “বন্দেমাতারাম” ধ্বনিতে জেলখানা কেঁপে উঠছে। এই জেলখানায় সুভাষচন্দ্র বসু বন্দী ছিলেন।

জেলখানার ভিতরের এইসব দৃশ্য দেখে, তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। তার মন কেমন করতে থাকে। ঠিক এই সময় তার মায়ের কাছে শেখা বিখ্যাত সেই গানটি মনে পড়ে যায়। লেখকের মনে হয়, বিপ্লবীরা কারাবন্ধন  হচ্ছেন, শিকল পড়ছেন,  তা আসলে ভারতের শিকল মুক্ত করার জন্য। তারা যেন ভয়কে জয় করার জন্যই শিকল পড়ছেন। এই প্রসঙ্গেই লেখক এর এমন মন্তব্য।

২)“হঠাৎ একদিন ক্ষেপে …..কলকাতা”- কলকাতার ক্ষেপে ওঠা বলতে কি বোঝানো হয়েছে? কলকাতার ক্ষেপে ওঠার ফল কি হয়েছিল?
উঃ) সুভাষ মুখোপাধ্যায় “আমার বাংলা” শীর্ষক গদ্যগ্রন্থের অন্তর্গত “কলের কলকাতা” নামক রচনায়, পরাধীন ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জোয়ারের শহর কলকাতার, তৎকালীন পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।

কলকাতার ক্ষেপে ওঠা বলতে কি বোঝানো হয়েছে?-আলোচিত রচনাটি চল্লিশের এর দশকের পটভূমিকায় রচিত।তৎকালীনসময়কাল ছিল স্বদেশী আন্দোলনের সময়। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের জোয়ার চলছে। এই আন্দোলনের জোয়ার থেকে কলকাতাও বাদ ছিল না।লেখক কলকাতার এই স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাবল্যকেই কলকাতার ক্ষেপে ওটা বলেছেন।

কলকাতার ক্ষেপে ওঠার ফল কি হয়েছিল?-উক্ত সময়ে, কলকাতা শহর আন্দোলনে জন সমুদ্রের  জোয়ারে মুখরিত হয়ে উঠল। গলিগুলো সব এক টানে বড় রাস্তায় এসে পড়ল। শহরময় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।গোলপুকুর,গোলদীঘিতে, রাস্তার বড় বড় মোরে চলল ঘন ঘন  মিটিং।মিটিং ছাড়া মানুষ নেই। পাড়ার ছেলেরা বাঙাল বলে আর কাউকে ক্ষেপাই না। তারা কাঁধে হাত দিয়ে বলে, চলো ভাই মিটিংয়ে। পার্কে রোজ মিটিং আর স্কুলে  পিকেটিং। এ এক নতুন মজা। কিন্তু মেতে উঠেছে সবাই। কেউই আর পরাধীন থাকতে চায় না। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে? কে বাঁচিতেচায়?

সাড়া শহরে আগুন জ্বলেওঠে। পাড়ায় পাড়ায় দল বেরিয়েছে। গমগম করছে তাদের আওয়াজে‌। বিলিতি  কাপড় পুড়িয়ে ফেলো । ভয়ে আঁতকে ওঠে, যে যার ঘর আগলাবার জন্য।এই ভাবেই উক্ত সময়ে কলের কলকাতা ক্ষেপে উঠলে তার পরিবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে।

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading