> উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা » Qবাংলা

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা wbchse প্রবন্ধ রচনা বিষয়ে একটি প্রবন্ধ রচনা লিখতে হয় মোট চারটি প্রবন্ধ রচনা থাকে সেখান থেকে বেছে নিয়ে একটি প্রবন্ধ রচনা করতে হয়। তার মধ্যে একটি থাকে বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনাএই বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা লিখতে পারলে ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি

কারণ বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে তথ্যমূলক রচনা করতে হয় এবং এখানে বানিয়ে বানিয়ে লেখার জায়গা থাকে না ফলত এখানে যারা লেখে অনেকটাই তথ্যবহুল রচনা হয় descriptive উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা  এবং যদি প্যারা প্যারা করে সুন্দর করে হাতের লেখা যদি লিখতে পারা যায় তাহলে ফুল মার্কস তোমরা পাবেএকটি নমুনা তোমাদের জন্য নিচে দেওয়া হল যারা প্রবন্ধ রচনা খুঁজছো তাদের জন্য নিচে একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হলো বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা 

বিতর্কের বিষয়:- “চলভাষ ছাড়া চলমান জীবন অচল”

সূচনা:- আধুনিক জীবনে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অন্যতম উত্তম মাধ্যম হল চলভাষ বা মোবাইল। এই চলভাষ বা মোবাইলের মাধ্যমেই, আমরা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের, যেকোনো খবরা-খবর এক নিমিষেই পেয়ে যাচ্ছি। বর্তমান এই গতিশীল জীবনে চলভাষ, এখন প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে। তাই বিতর্কের বিষয় হিসেবে বিবেচিত চলভাষ, আমাদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করবে- এ কথা বলাই যায়।  

স্বপক্ষে যুক্তিক্রম:–  প্রথমতঃ একথা ঠিক যে, চলভাষ বা মোবাইলের আবিষ্কার আধুনিক যুগে, মানুষের যোগাযোগ মাধ্যমকে অনেক সহজ করে তুলেছে। মানুষ অল্প সময়ের মধ্যেই দূর-দূরান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলছে। কিন্তু তাই বলে, আমরা চলভাষ বা মোবাইল ছাড়া চলতে পারি না- একথা, সর্বস্ব ঠিক নয়। কারণ, মোবাইল আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ চিঠিপত্রের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করেছে।

     তাছাড়া সেই চিঠিপত্র লিখতে গিয়েও মানুষ তাদের মাতৃভাষার চর্চাও করে ফেলত এবং এই চিঠিপত্রের মাধ্যমে বা ডাকঘরের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান একেবারেই নির্ভুলভাবে হয়। যেটা চলভাষের মাধ্যমে অনেক সময় বিপদের ঝুঁকি নিয়ে আসে। বর্তমানে নির্ভুলভাবে বিভিন্ন তথ্য বা সরকারি কাগজপত্র আদান-প্রদান করতে গেলে আমাদের একমাত্র ডাকঘরের উপরই নির্ভরশীল হতে হয়। তাই এই আধুনিক যুগে চলভাষ ছাড়া আমাদের জীবন অচল- একথা একেবারেই ঠিক নয়।

দ্বিতীয়তঃ মানুষ সময়কে গুরুত্ব দিতে গিয়েই, তারা তাদের আত্মীয় পরিজনের কাছ থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। চলোভাসের কারণে, মানুষ নিজের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে না। চলভাষ শুধুমাত্র দূরের মানুষকে কাছে করেছে কিন্তু মানুষের অনুভূতি, দুঃখ, যন্ত্রণা ভাগ করতে গেলে মানুষকে মানুষের কাছেই আসতে হয়। চলভাষের কারণে, মানুষ দীর্ঘক্ষন সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায়।

   এর ফলে মানুষ ক্রমশ একাকী হয়ে পড়ছে। তাই আমরা বলতে পারি- আমাদের গতিশীল জীবনে চলভাষ একমাত্র সঙ্গী নয়। বরং চলভাষ আমাদের জীবনের শুধুমাত্র একটা প্রয়োজনীয় অংশ। এর বেশি কিছু নয়।

তৃতীয়তঃ চলভাষের অত্যধিক ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বর্তমান শিশুরা। শিশুরা চলভাষের প্রতি দারুণভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। চলভাষের বিভিন্ন গেম কার্টুন ইত্যাদি শিশু মানসিকতার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে শিশুরা ক্রমশ পড়াশোনা থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছে।

     যে সময় তাদের পড়াশোনা করার সময় বা খেলাধুলার পরিসরের সময়- সেই সময় শিশুরা মোবাইলে গেম খেলতে ব্যস্ত থাকে। যার কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। সুতরাং আজকের যুগে আমরা যতই চলভাষের উপর নির্ভরশীল হই না কেন- শিশুরা কিন্তু এর কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। তাই চলোভাসকে শুধুমাত্র দূরের মানুষের সঙ্গে কথা বলা বা যোগাযোগ স্থাপন করার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা উচিততাই আমাদের এই চলমান জীবনে চলভাষ তাই অতি প্রয়োজনীয় বস্তু নয়।

চতুর্থ:- আজকাল মানুষকে  চলভাষ বা মোবাইল কানে নিয়ে রেললাইন পারাপার বা রাস্তা পারাপার করতে দেখা যায়। যার ফলে অনেক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। তাছাড়া মোবাইলের উপর অতিরিক্ত আসক্তির ফলে মানুষকে করে তুলছে অলস। এমনকি নানা রকম জটিল রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। এটা ঘটছে একমাত্র চলভাষকে সঙ্গী করে নেওয়ার ফলে। তাই আজকের কর্মব্যস্ত মানুষের কাছে মোবাইল ফোন বা চলভাষ সবকিছু নয়। 

পঞ্চমতঃ  চলভাষ বা মোবাইল হাতে পাওয়ার ফলে মানুষ খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র বা তথ্য ইত্যাদি ইমেইল বা এস.এম.এস এর মাধ্যমে আদান-প্রদান করছে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মুহূর্তে মানুষের সেই সব তথ্য বেফাঁস হয়ে যেতে পারে। অথচ এইসব আদান-প্রদান পূর্বে চিঠিপত্রের মাধ্যমে নির্ভুল ভাবে চলতো এবং আজও তা চলছে। তাই সঠিক ভাবে সঠিক তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে চলভাষ বা মোবাইল সঠিক পন্থা নয়। 

     আজকের এই গতিশীল যুগে চলভাষ বা মোবাইল মানুষকে অনেক দূরে এগিয়ে দিলেও, এই চলভাষের কারণেই মানুষ অনেক জালিয়াতির শিকার হচ্ছে। চলভাষ ইন্টারনেট ছাড়া অচল অথচ মানুষের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য এই ইন্টারনেটেই সংরক্ষিত আছে। যার ফলে হ্যাকারদের দ্বারা মানুষের সেইসব ব্যক্তিগত তথ্য বেফাঁস হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অনেক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে।

সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, আজকের দিনে চলভাষ অতি প্রয়োজনীয় হলেও, এই চলভাষের কারণেই নানান সমস্যাও ডেকে নিয়ে আসছে। তাই চলভাষ ছাড়া আমাদের জীবন যে অচল- একথা একেবারেই ঠিক নয়। বরং আমরা চলভাষ ছাড়াই আমাদের জীবনকে নিরাপদে চালিত করতে পারি।

 উত্তরগুলি খুব সুন্দর করে প্যারা করে লেখা আছে। তোমরা তোমাদের উত্তর প্যারা করে লিখলে নম্বর ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে আর হাতের লেখা খুব সুন্দর করে উত্তর লিখতে হবে তাহলেই তোমরা ফুল মক্স পাবে অবশ্যই প্রতিনিয়ত প্রশ্নগুলির উত্তর লেখা প্র্যাকটিস করতে হবে হাতের লেখাটা যাতে সুন্দর করে তোলা যায়

উত্তর লেখার কৌশল –

উচ্চমাধ্যমিকে প্রবন্ধ লিখতে গেলে তোমাদের কিছু বিষয় নজর রাখতে হয়। যেমন

  1. বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনাটি টার্গেট কর।
  2. এতে ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রচনা অবশ্যই পয়েন্ট আউট করে লেখ।
  3. হাতের লেখা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা কর।
  4. বিতর্কমূলক প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে নাম্বারিং করবে অর্থাৎ প্রথমত দ্বিতীয় করে লিখবে।
  5. বানান ভুল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করো

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয় আরও প্রশ্নের উত্তর দেখতে click here

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading