কবি পরিচিতি – একাদশ শ্রেণি বাংলা নুন- বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের এক পরিচিত সাহিত্যিক হলেন কবি জয় গোস্বামীর । ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম ধীরানন্দ গোস্বামী এবং মাতার নাম সবিতা গোস্বামী । আট বছর বয়সে পিতৃবিয়োগ হয় । তার মা ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা । রানাঘাটের শিক্ষা জীবন অতিবাহিত হয় । মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাড়ির সিলিং ফ্যান নিয়ে কবিতা লেখা শুরু করেন ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে “দেশ” পত্রিকায় ডাকযোগে পাঠানো অনেক কবিতা প্রকাশ পেয়েছিল ।
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে “ঘুমিয়েছো ঝাউপাতা?” কাব্যের জন্য এবং ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে “যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল” কাব্যোপন্যাসের প্রকাশের জন্য আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন । এছাড়া “বজ্রবিদ্যুত ভর্তি খাতা” এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার -এ সম্মানিত হয়েছিলেন । তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গুলি হল- “প্রত্নজীব”, “উন্মাদের পাঠক্রম”, “ভুতুম ভগবান”, “বিষাদ”, “মা নিষাদ”, “তোমাকে আশ্চর্যময়ী”, “পাগলী তোমার জন্য” ।
বিষয়-সংক্ষেপে- কবি জয় গোস্বামীর “নুন” কবিতা নিম্নবিত্ত তথা হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণার চিত্র তথা দৈনন্দিন জীবনযাত্রা চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতার কথক এর মধ্যে দিয়ে এই নিম্নবিত্ত সমাজের, নিত্যদিনের সংগ্রামের ছবি ফুটে উঠেছে । কবিতায় “আমরা” বলতে কবি অতিসাধারণ হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ তথা নিম্নবিত্ত মানুষের কথাই বলতে চেয়েছেন । তাদের দুঃখ করে কোন লাভ নেই । কারণ দুঃখের অনুশোচনা করে তাদের দুঃখের অবসান হবে না ।তাদের দিনযাপন কেটে যায় , অসুখ-বিসুখে। ধার-দেনা করে । তাদের নিত্যদিনের সংসারের যে চালচিত্র তা এখানে কবি জয় গোস্বামীর তুলে ধরেছেন
তাদের নিত্যদিনের দুঃখ যন্ত্রণা কষ্ট ধারদেনা অভাব-অনটন ইত্যাদিকে ভুলে থাকার জন্য রাত্রে গঞ্জিকাতে বিভোর হয়ে থাকে অর্থাৎ দুই ভাই মিলে গঞ্জিকাতে টান দেয় ।অনেক সময় তাদের রোজগারের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না । তাই সবদিন তাদের বাজার হয় না ।অর্থাৎ হিসাবের বাইরে চলে যায় । সেজন্য কথক বাড়ি ফেরার পথে অপ্রয়োজনীয় গোলাপ চারা কিনে নিয়ে আসে । এই গোলাপ চারা হল এই নিম্নবিত্ত মানুষের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য, কামনা-বাসনার প্রতিক । যেটা তারা পূরণ করতে পারেনা । এই গোলাপ চারা কিনার পরেও, সমস্যা দেখা দেয় ।
বহুবিকল্পধর্মী প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণি বাংলা নুন
১) “নুন” কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ?
- ঘুমিয়েছ ঝাউপাতা
- মা নিষাদ
- পাগলী তোমার জন্য
- ভুতুম ভগবান উঃ) ঘ ) ভুতুম ভগবান
২) “নুন” কবিতায় আমরা কারা ?
- বাপ বেটা
- ভাইবোন
- স্বামী-স্ত্রী
- গুরু শিষ্য উঃ) ক) বাপ বেটা
৩) রাত্তিরে দুই ভাই কি করে ?
- গল্প করে
- বই পড়ে
- গন্জিকা টানে
- রান্না করে উঃ) গ) গন্জিকা টানে
৪) বাড়ি ফেরার পথে তারা কি কিনে আনে ?
- ভাত কাপড়
- ওষুধপত্র
- গোলাপ চারা
- খাতা বই উঃ)গ) গোলাপ চারা
৫) বাপ বেটা দুভাই মিলে সারা পাড়া মাথায় করে কেন ?
- অভাবের তাড়নায় কখনো কখনো মাথায় রাগ চড়ে যায়
- কবির স্বভাবই সারাপাড়া মাথায় করা
- দুভাই প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করে
- সারা পাড়ার লোক বাড়িতে জর হয় উঃ)ক) অভাবের তাড়নায় কখনো কখনো মাথায় রাগ চড়ে যায়
৬) কবির পরিবারের দিন কেমন যায় ?
- কান্নাকাটি করে
- হইচই করে
- হেসে খেলে- কষ্ট করে
- অন্যদের দুঃখ দিয়ে উঃ)গ)হেসে খেলে- কষ্ট করে
৭) “রাত্রিরে দুই ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে “ —- কারণ
- আমরা বঞ্চিত টানতে ভালোবাসি
- রাতে আমাদের আর কোন কাজ নেই
- বন্ধুরা আমাদের বাধ্য করে
- অভাবের তাড়নায় অসুখে ধার-দেনায় কষ্ট ভুলতে উঃ)ঘ) অভাবের তাড়নায় অসুখে ধার-দেনায় কষ্ট ভুলতে
৮) “আমাদের দিন চলে যায়’- আমাদের দিন কেমন করে যায় ?
- কষ্ট করে
- হেসে হেসে
- হেসে খেলে
- হেসে খেলে কষ্ট করে উঃ)ঘ) হেসে খেলে কষ্ট করে
৯) “চলে যায় দিন আমাদের অসুকে —–”
- ধারদেনাতে
- কষ্ট করে
- যন্ত্রণা ভোগ করে
- অভাবে উঃ)ক) ধারদেনাতে
১০) “সে অনেক পরের কথা”– পরের কথাটি হলো –
- গঞ্জিকাতে টান দেওয়া
- সুখ-দুঃখের কথা বলা
- গোলাপ চারাতে ফুল হওয়া
- সংসারে অভাব দেখা দেওয়া উঃগ) গোলাপ চারাতে ফুল হওয়া
১১) “নুন” কবিতায় কথক বাড়ি ফেরে —
- মাঝরাত্তিরে
- দুপুরবেলায়
- দুপুর রাতে
- ভোরবেলায় উঃ)গ) দুপুর রাতে
১২) ঠান্ডা ভাতে কি থাকে না ?
- জল থাকে না
- তরকারি থাকেনা
- লঙ্কা থাকেনা
- নুন থাকে না উঃ)ঘ) নুন থাকে না
১৩ ) “ রাত্তিরে দু – ভাই মিলে ” কী করে ?
- গল্প করে
- অভিনয়
- গঞ্ঝিকাতে টান দেয়
- মেশিন চালায় । উঃ)গ) গঞ্ঝিকাতে টান দেয়
১৪) “ খেতে বসে রাগ চড়ে যায় । ” কারণ—
- ঠান্ডা ভাতে নুন নেই
- তরকারি ঝাল হওয়ায়
- মাথায় অনেক চিন্তা
- ভাত না থাকায় উঃ)ক) ঠান্ডা ভাতে নুন নেই
১৫) “ বাড়িতে ফেরার পথে কিনে আনি ” –কী কিনে আনে ?
- নুন
- চাল
- গোলাপচারা
- ডাল উঃ)গ) গোলাপচারা
১৬) “ আমাদের………. ভাত – কাপড়ে ” এর কারণ—
- তারা অল্পে খুশি
- তারা উদার
- তারা সাধারণ ভাত – কাপড়ই পছন্দ করে
- তারা স্বচ্ছল উঃ)ক) তারা অল্পে খুশি
১৭) “ আমাদের ……চলে যায় … ”
- হেসে – কেঁদে
- কষ্ট করে
- বাজার করে
- সাধারণ ভাত – কাপড়ে উঃ)ঘ) সাধারণ ভাত – কাপড়ে
১৮) “ রাগ চড়ে ….. আমি তার … ”
- মাথায় চড়ি
- নিন্দা করি
- গোলামি করি
- তিরস্কার করি উঃ)ক) মাথায় চড়ি
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
1.1 “আমাদের …… যায়” – আমাদের দিন চলে কীভাবে ?
উত্তর) জয় গোস্বামীর “নুন” শীর্ষক কবিতা নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে | এই নিম্নবিত্ত মানুষের দিন চলে সাধারণ ভাতকাপড়ে।
২.২) “কী হবে ……করে ?” –এই কথা বলার কারণ কী ?
উত্তর ) নিম্নবিত্ত মানুষেরা জানে যে, তাদের দুঃখ করে, দুঃখের অবসান হয় না | সুতরাং দুঃখ করে কোন লাভ নেই । কারণ তারা অল্পতেই খুশি |
২,৩) “বাত্তিরে ……. টান দিই গঞ্জিকাতে” — গঞ্জিকাতে টান দেয় কেন ?
উত্তর) “নুন” নামক কবিতায় রাত্তিরে দু-ভাই মিলে, গঞ্জিকাতে টান দেয় ,কারণ সংসারের অভাব-অনটন, দুঃখদারিদ্র, অসুখবিসুখ, ধারদেনার চাপ ও দুশ্চিন্তা ভুলে থাকার জন্য।
২.৪) “সর দিন ….. বাজাৱ ; হলে, হয় মাত্রাছাড়া” – সব দিন বাজার হয় না কেন ?
উত্তর) নিম্নবিত্ত মানুষজনদের বা দিনমজুর মানুষদের প্রতিদিন কাজ না থাকায় তাদের আয়ের কোন নিশ্চয়তা নেই | এই কারণে তাদের প্রতিদিন বাজার করা সম্ভব হয় না, হলে কখনো কখনো তা বেহিসেবিপনায় মাত্রা ছাড়িয়ে যায় ।
২.৫) “বাড়ি ফেরার পথে—” বাড়ি ফেরার পথে কী ঘটে ?
উত্তর) “নুন” কবিতার কথক বাড়ি ফেরার পথে দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য সামগ্রী না কিনে , হিসেবের বাইরে,অপ্রয়োজনীয় গোলাপের চারা কিনে ঘরে আসে।
২.৬) “সে অনেক….. কথা” – কোন প্রসঙ্গে এই কথাটি বলা হয়েছে ? অথবা পরের কথাটি কি ?
উত্তর) কথক বাড়ি ফেরার পথে অপ্রয়োজনীয় গোলাপ চারা কিনে নিয়ে আসে । কিন্তু গোলাপের চারা কোথায় পুঁতবে, তাতে ফুল হবে কিনা ইত্যাদি অগ্রপশ্চাৎ কোনো কিছু না ভেবে গোলাপের চারা কিনে আনার প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে।
২.৭) “মাঝে …… না দিন” – মাঝে মাঝে দিন চলে না কেন ?
উত্তর) নিম্নবিত্ত মানুষদের অর্থাৎ দিনমজুর মানুষদের রোজগারের কোন নিশ্চয়তা থাকে না । তাই মাঝে মাঝে তাদের দিন চলে না
২.৮) “বাড়ি …….র রাতে” – দুপুর রাতে বাড়ি ফেরার পর কী ঘটে ?
উত্তর) “নুন” কবিতার কথক দুপুররাতে বাড়ি ফেরে এবং ঠান্ডা ভাতে নুনের সংস্থান না থাকলে মাথায় রাগ চড়ে। গৱিব খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে মাঝে এই ভাবে দিন চলেনা ।
2.৯)”আমি …..থায় চড়ি” – কাৱ মাথায় চড়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর) “নুন” কবিতার কথক দুপুর রাতে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা হতে নুন দেখতে পায়না , তখন তার মাথায় রাগ চড়ে যায় অর্থাৎ এখানে রাগের মাথায় চড়ার কথা বলেছেন।
২.১০) “কিন্তু …. কোথায়?” – কি পোঁতার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর) “নুন” কবিতার গোলাপচারা পোঁতার কথা বলা হয়েছে।
২.১১) “নুন” কবিতায় “আমরা” কারা ?
উত্তর) “নুন” কবিতার ‘আমরা হল,- বাব-বেটা । এ দেশের সমাজের শ্রমজীবী নিম্নবিত্ত মানুষ, যাদের দিন চলে সাধারণ ভাতকাপড়ে।
২.১২) “নুন” কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর) “নুন” কবিতাটি কবি জয় গোস্বামীর লেখা “ভুতুম ভগবান” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
২.১৩) “কিন্তু …. কোথায়?” – কথকেৱ এ মন্তব্যের কারণ কী ?
উত্তর ) নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ অর্থাৎ গরিব শ্রমজীবী কথক ঘরে ফেরার সময় অপ্রয়োজনীয় গোলাপ চারা কিনে ফেলেছে, কিন্তু থাকার ঘরটুকু ছাড়া চারা পোতার মতো জায়গা নেই। তাই এমন মন্তব্য করা হয়েছে ।
২.১৪) “আমাদের ….. সাধারণ ভাত- কাপড়ে।” –সাধারণ ভাতকাপড়ে দিন চলে যাওয়ার কারণ কী ?
উত্তর ) “নুন” কবিতায় নিম্নবিত্ত মানুষেরা অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষেরা দীন-দুঃখী, সাধারণ ও সামান্য মানুষ। তারা অল্পতে খুশি। সেজন্য সাধারণ ভাতকাপড়ে তাদের জীবন চলে যায়।
২.১৫) “আমরা ….অল্পে খুশি”—এখানে ‘আমরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর ) “নুন” কবিতায় আমরা প্রত্যেক নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ, যারা দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে, যারা প্রত্যেকদিনের কঠিন পরিশ্রমে প্রত্যেকদিন রোজগার করে, ‘আমরা’ বলতে তাদের বোঝানো হয়েছে।
২.১৬) “দিন …. যায়”— কীভাবে দিন চলে যায় ?
উত্তর ) সাধারণ ও সামান্য মানুষ যারা, তারা অসুখে ভোগে,ধারদেনা করে, কিন্তু এত কষ্ট করলেও হেসে খেলে সাধারণ ভাতকাপড়েই দিন চালিয়ে নেয়।
২.১৭) “হলে ….মাত্রাছাড়া”— মাত্রাছাড়া কী হয় ?
উত্তর ) যারা দরিদ্র মানুষ, তাদের রোজগার অতি সামান্য, কিন্তু যেদিন তাদের বেশি রোজগার হয়, সেদিন তারা বিলাসী হয়ে উঠে মাত্রাছাড়া বাজার করে বসে।
রচনাধর্মীপ্রশ্নোত্তর
৩.১) “আমাদেৱ ….. ব্যবস্থা হোক।”—কে বলেছে ? এ দাবি কার কাছে ? কেন ? অথবা, “আমাদেৱ শুকনো …… ব্যবস্থা (হাক।”—কাৱা, কাদের কাছে এই দাবি করেছে ? এই দাবি কতটা যুক্তিসংগত
উত্তর ) কবি জয় গোস্বামী রচিত “ভুতম ভগবান” কাব্যের অন্তর্গত “নুন” শীর্ষক কবিতাটিতে নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবী হতদরিদ্র এক অতি সাধারণ পরিবারের দুঃখ বেদনার কাহিনী ফুটে উঠেছে | কবিতার কথক সমস্ত নিম্নবিত্ত মানুষের প্রতিনীধি সদস্য হয়ে শাসকশ্রেণীর কাছে তাদের এই দাবি তুলে ধরেছে | তাদের দাবি- তাদের জীবনে সামান্যটুকু নুনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক অর্থাৎ তাদের জীবনের অতি সাধারণ বিষয় নিয়ে সরকার তথা শাসকগোষ্ঠী যেন মুখ তুলে তাকায |
দাবি কতটা যুক্তিসংগত- নিম্নবিত্ত এই মানুষদের তাদের আয়ের কোন নিশ্চয়তা থাকে না। তারা অল্পতেই খুশি হয়ে সাধারণ ভাত-কাপড়ে তাদের দিন কেটে যায় | তাদের জীবন চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, ধারদেনা করে।।তাদের যথেষ্ট অর্থের যোগান না থাকায় তারা সব দিন বাজার করতে পারে না | যদিও বা হয় তাও আবার অতিরিক্ত হয়ে যায় অর্থাৎ মাত্রাছাড়া হয়ে যায় । তারা তাদের জীবনে সৌন্দর্য আনন্দ উপভোগ করতে চায় | তাই বাড়ি ফেরার পথে অপ্রয়োজনীয় গোলাপ চারা কিনে নিয়ে আসে কিন্তু সেই গোলাপ চারা পোঁতার জায়গাও তাদের থাকে না | তাছাড়া সেই গোলাপের ফুল ফুটবে কিনা -তরও কোনো নিশ্চয়তা নেই |
তাই কথক সমস্ত দীন-দরিদ্র অসাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে, শাসকগোষ্ঠীর কাছে আবেদন করেছে | নিদেনপক্ষে তাদের শুকনো ভাতে নুনটুকুর ব্যবস্থা হোক। অর্থাৎ তাদের দৈনন্দিন জীবনের সামান্য চাহিদাটুকু যেন পূরন হয় | তাদের আর্জি এই সভ্যসমাজে, হতদরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এই প্রশাসনিক মানবিকতাটুকু তাদের ওপর বর্ষিত হাোক। দয়া নয়, করুণা নয়, এ হল ন্যায্য অধিকারের বিনীত দাবি। তাই কবিতার শেষে সেই দাবি ফুটে উঠেছে- “আমাদের …… ব্যবস্থা হোক |”
৩.২) “ আমরা ….. খুশি ” — ‘ অল্পে খুশি ‘ মানুষদের জীবনযন্ত্রণার যে ছবি “নুন “ কবিতায় ফুটে উঠেছে , তার পরিচয় দাও কবি জয় গোস্বামী “নুন” কবিতায় সমাজের শ্রমজীবী নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার যে ছবিএঁকেছেন, তা বর্ণনা করো।
উত্তর) কবি জয় গোস্বামী রচিত “ভুতম ভগবান” কাব্যের অন্তর্গত “নুন” শীর্ষক কবিতাটিতে নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবী হতদরিদ্র এক অতি সাধারণ পরিবারের দুঃখ বেদনার কাহিনী ফুটে উঠেছে | নুন কবিতায় আমরা বলতে নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবী হতদরিদ্র এক অতি সাধারণ পরিবারের মানুষজনকে বোঝানো হয়েছে ।
শ্রমজীবী নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রা- নিম্নবিত্ত এই মানুষদের তাদের আয়ের কোন নিশ্চয়তা থাকে না। সাধারণ ভাত-কাপড়ে তাদের দিন কেটে যায় | তাদের জীবন চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, ধারদেনা করে।।তাদের যথেষ্ট অর্থের যোগান না থাকায় তারা সব দিন বাজার করতে পারে না | যদিও বা হয় তাও আবার অতিরিক্ত হয়ে যায় অর্থাৎ মাত্রাছাড়া হয়ে যায় । তারা তাদের জীবনে সৌন্দর্য আনন্দ উপভোগ করতে চায় | তাছাড়া সেই গোলাপের ফুল ফুটবে কিনা -তরও কোনো নিশ্চয়তা নেই | এই ভাবেই হেসে খেলে, দুঃখ কষ্ট করে ধারদেনাতে তাদের জীবন কেটে যায় | দুপুর রাতে বাড়ি ফিরে যখন ঠান্ডা ভাতে নুন দেখতে পায় না, তখন তাদের মাথায় রাগ চড়ে যায। তা নিয়ে বাপ-ব্যাটায় কিংবা ভাইয়ে- ভাইয়ে চাচামেচি শুরু হয়।
তাই কথক সমস্ত দীন-দরিদ্র অসাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে, শাসকগোষ্ঠীর কাছে আবেদন করেছে | নিদেনপক্ষে তাদের শুকনো ভাতে নুনটুকুর ব্যবস্থা হোক। অর্থাৎ তাদের দৈনন্দিন জীবনের সামান্য চাহিদাটুকু যেন পূরন হয় | তাদের আর্জি এই সভ্যসমাজে, হতদরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার জন্য এই প্রশাসনিক মানবিকতাটুকু তাদের ওপর বর্ষিত হাোক। দয়া নয়, করুণা নয়, এ হল ন্যায্য অধিকারের বিনীত দাবি। তাই কবিতার শেষে সেই দাবি ফুটে উঠেছে –“আমাদের ……. ব্যবস্থা হোক “
class11 বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য কবিতা “নুন” | কবিতাটির রচয়িতা কবি জয় গোস্বামী| এই সিরিজে এই কবিতা থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য কর | class11 বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর জানতে অবশ্যই – clic here