> কে বাঁচায় কে বাঁচে-2023-উচ্চ মাধ্যমিক » Qবাংলা

কে বাঁচায় কে বাঁচে-2023-উচ্চ মাধ্যমিক

দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের একটি পাঠ্য গল্প কে বাঁচায় কে বাঁচে | গল্পটির রচয়িতা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় |এই সিরিজে কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আলোচনা করা হয়েছে | প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী এই অংশের প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে লক্ষ্য কর। উত্তর লেখার কৌশলটি লক্ষ্য করুন। দ্বাদশ শ্রেণীর অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর জানতে click here

বিষয় সংক্ষেপ-কে বাঁচায় কে বাঁচে

মৃত্যুঞ্জয় অফিসে উচ্চপদস্থ চাকুরিজীবী ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষ। শহরের নিরালা পরিবেশে তার বাড়ি। ফুটপাথে চলাফেরা করে না বললেই চলে। বাড়ি থেকে বেরিয়েই ট্রামে চড়ে, ট্রাম থেকে নেমেই অফিসের ফটক। বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা নিজে করে না। চাকর কিংবা ছোটো ভাই সামাল দেয়।।
অফিস আসার পথে দৈবক্রমে ফুটপাথে দুর্ভিক্ষপীড়িত এক অনাহারীকে সে মরতে দেখে। না খেতে পেয়ে মরার ভয়ানক যন্ত্রণা ও বীভৎসতা তার মনকে এমন আহত করে যে, সে অফিসে এসে মানসিক ও শারীরিক উভয় দিক থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে ও বমি করে। তাকে দেখে তার সমপদস্থ সহকর্মী নিখিলের মনে হয়, বড়ো একটা সমস্যার সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তার মধ্যে। তার বক্তব্যে তার প্রকাশ ঘটে।

চারবেলা ভরপেট খেয়ে একশ্রেণির মানুষ দিব্যি স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকল, আর-এক শ্রেণির হতভাগা মানুষ না খেয়ে মরছে—এই অসম বণ্টন আর বৈষম্যজনিত যে অপরাধ, তার প্রায়শ্চিত্ত কী ?

মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ওই অপরাধীর একজন ভেবে শত ধিক্কার দেয় নিজেকে।
তবে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য মৃত্যুঞ্জয়ের কিছু করার আন্তরিকতা অকৃত্রিম। সে তার বেতনের সবটাই রিলিফ ফান্ডে দান করে। সে কিছু একটা করতে চায়। রাতে তার ঘুম হয় না, খেতে বসে খেতে পারে না। একবেলা খায় আর তাদের স্বামী-স্ত্রীর একবেলার খাবার ভুখা মানুষদের বিলিয়ে দেয়। তাতেও তার শান্তি নেই। সে যেন ভিতরে ভিতরে পুড়তে থাকে। তার মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। অফিস, সংসার সবকিছু থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হয়ে দুর্ভিক্ষপীড়িত নিরন্ন মানুষের সান্নিধ্যে তাদের ভয়ংকর কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক জীবনযাত্রার সঙ্গে একাত্ম হতে চায়।

অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করে তাদের ভাষা, বলার ভঙ্গি। বুঝতে পারে তাদের বুকে কারও বিরুদ্ধে নালিশ বা প্রতিবাদ নেই। কী থেকে তাদের এই দুর্দশা, তা জানতেও চায় না তারা। তারা অদৃষ্টনির্ভর। তাদের মুখে একই দুঃখের কাহিনি। মৃত্যুঞ্জয় আরও উপলদ্ধি করে তার যথাসর্বস্ব দিয়েও ওদের নিরন্নতার প্রতিকার করা সম্ভব নয়।

ওই অসহায়তা ও হতাশা তাকে ক্রমশ মুষড়ে ফেলে। পরিশেষে মৃত্যুঞ্জয় তাদেরই একজন হয়ে যায়। তাদের মতনই ফুটপাথের ভুখা মানুষ হয়ে খাবারের জন্য বিনীত আর্জি রাখে। মহত্তম মানবতাবোধের টানে মধ্যবিত্ত স্তর পেরিয়ে মৃত্যুঞ্জয় নেমে আসে সর্বহারাদের স্তরে। সমষ্টি মানুষের ভিড়ে ব্যক্তি মানুষের উপস্থিতি। এই। জীবনদর্শন লেখকের মার্কসীয় জীবনদর্শনেরই প্রতিচ্ছবি যেন।

মূল কথা- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কে বাঁচায় ,কে বাঁচে ’ গল্পে ১৩৫০ বঙ্গাব্দের মন্বন্তরকে কেন্দ্র করে কলকাতার বুকের এক মর্মান্তিক মৃত্যুর ছবি এঁকেছেন। না খেতে পাওয়া মানুষের মৃত্যুর ছবি। মূল চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় । তার চোখ দিয়ে একের পর এক ভূমিকা দৃশ্যপট আমাদের সামনে এসেছে এবং একে কেন্দ্র করে নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্রে উত্তরণ ঘটেছে । নিরীহ , শান্ত , দরদি মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদ ও নৈতিকতার কারণেই স্থির থাকেনি । উচ্চবিত্তের ঔদাসীন্য বা মধ্যবিত্তের স্বার্থপরতায় জড়িয়ে না পড়ে মৃত্যুঞ্জয় ক্ষুধিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে যথার্থ মানসিক সত্তা নিয়ে ।

শেষপর্যন্ত গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিণতি মনুষ্যত্ববোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে । কলকাতা শহরের ফুটপাথে দুর্ভিক্ষপীড়িত বুভুক্ষু মানুষের অনাহারে মৃত্যু। মৃত্যুর প্রত্যক্ষ দর্শনের প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুঞ্জয় মানসিক ও শারীরিক উভয় দিক থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারই প্রভাবে মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রের ও তার ভাবাদর্শের পরিবর্তন ও ট্র্যাজিক পরিণতির কাহিনিই গল্পের প্রতিপাদ্য বিষয়। তার চরিত্র ও তার অনুসৃত

আদর্শের স্বাতন্ত্র তাকে নায়ক চরিত্রের ব্যক্তিত্বে ভূষিত করেছে।
মৃত্যুঞ্জয় সাম্যবাদী চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী ছিল। সে বিশ্বাস তার বিশ্বাস ছিল যে, এই দুনিয়ায় একজন উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যদি ভাত খেতে পায়, তাহলে একজন নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষও ভাত পাওয়া উচিত। সমাজে যতক্ষণ অন্ন বস্ত্রের যোগান আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার সম বন্টন হওয়া উচিত। এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় মনে করত, একজন মানুষ অভুক্ত থেকে যদি অন্য মানুষ খেয়ে তার স্বাভাবিক জীবন যাপনে মগ্ন থাকে, তবে তা অন্যায়।

নামকরণ-সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের পাঠ্য “কে বাঁচায়, কে বাঁচে” শীর্ষক ছোটগল্পটির নামকরণ যথার্থ হয়েছে কিনা, তা গল্পটির বিষয়বস্তুর প্রতি আলোকপাত করলে পরিস্থিত হবে

কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পটি পঞ্চাশের ভয়াবহ মন্বন্তরের পটভূ ভূমিকায় রচনা করেছেন। মন্বন্তরের সময় মর্মান্তিক এক মৃত্যুর দৃশ্য এই গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক। মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যাওয়ার পথে হঠাৎ অনাহারে অর্থাৎ না খেতে পাওয়া এক মানুষের মৃত্যু দৃশ্য দেখে এই দৃশ্য দেখার পর তার মানসিক টানা পড়েন চলতে থাকে। আদর্শবাদ নীতিবোধ তাকে তার মনের গভীরে যন্ত্রণায় দগ্ধ করতে থাকে নিজেকে অপরাধী মনে করে। কারণ সে রোজ চার বেলা যাচ্ছে।

এরপর দেখা যায় মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক এবং শারীরিক উভয় উভয় ভাবেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বহুক্ষু মানুষদের জন্য কিছু করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে তার মাইনের সমস্ত টাকাটা নিখিলকে রিলিফ ফান্ডে জমা করে দিতে বলে এমন কি তার নিজের সংসার সম্পর্কেও উদাসীন হয়ে পড়ে ধীরে ধীরে অফিস যাওয়া বন্ধ করে দেয়। চুপচাপ বসে থাকে নিজে নম্বর খানায় গিয়ে ফুটপাত বাসীদের সঙ্গে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

শেষ পর্যন্ত দেখা যায় নিখিল এই বুভুক্ত মানুষদের হৃদয়ের অন্তরের না খাওয়ার যন্ত্রণা নিজের শরীরে অনুভব করার জন্য, ওই সমস্ত মানুষদের সঙ্গে মিশে যায় এবং তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে সেই, অভুক্ত মানুষদের হৃদয় বিদারক কথা- “গা থেকে এইচি। ….খেতে দাও।“ অর্থাৎ গল্পে লেখক মেখক, দরদী সমাজবাদীদের মুখোশ খুলে দেয়ার জন্য, মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে দিয়ে সমাজের আসল চেহারা দেখালেন অর্থাৎ নিজে বাঁচবো আর অন্য কেউ বাঁচাব- এই কাঙ্খিত পথটি লেখক গল্পে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। এই দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যায় যে, গল্পটির নামকরণ সার্থক হয়েছে।

বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নাবলী (MCQ)

১.১) “আজ চোখে পরলো প্রথম”- কি প্রথম চোখে পড়েছিল ? ক) ফুটপাতে লোকের ভিড় খ) ফুটপাতে দুর্ঘটনা গ) অনাহারে মৃত্যু ঘ) না খেতে পাওয়া মানুষ
উঃ গ) অনাহারে মৃত্যু

১.২) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িটা শহরের কোন দিকে ?
ক) শহরের কেন্দ্রস্থলে খ)শহরের এক প্রান্তে গ)শহরের বাইরে ঘ)এক নিরিবিলি অঞ্চলে
উঃ ঘ)এক নিরিবিলি অঞ্চলে

১.৩) “সংসারে তার নাকি মন নেই” – সংসারে কার মন নেই ? ক) মৃত্যুঞ্জয় খ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর গ) নিখিলের ঘ) নিখিলের স্ত্রীর
উঃ ক)মৃত্যুঞ্জয়

১.৪) মৃত্যুঞ্জয় কে নিখিল পছন্দ করে কেন ?
ক) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত বন্ধু বৎসল খ) মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ ও ভালোমানুষ গ) মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা তাপস ঘ)মৃত্যুঞ্জয় অনের বিপদে পাশে দাঁড়াতে জানে
উঃ ঘ) মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা তাপস

১.৫) “এ অপরাধের প্রায়শ্চিত কি?”- বক্তা এখানে কোন বিষয়টিকে অপরাধ মনে করেন ?
ক) নিজের বেঁচে থাকাকে খ)নিজের চারবেলা করে ভাত খাওয়াকে গ)যথাযথ রিলিফ ফান্ডে টাকা না দেওয়া ঘ)নিজের উদাসীন থাকাকে
উঃ খ) নিজের চারবেলা করে ভাত খাওয়াকে

১.৬) “নিখিল চুপ করে থাকে” – নিখিলের এই চুপ করে থাকার কারন কি?
ক)সে তার ভুল বুঝতে পেরেছ খ)মৃত্যুঞ্জয় তাকে চুপ করতে বলেছে গ) নিখিল অপরাধ করেছে ঘ)মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করে উটেছে
উঃ ঘ)মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করে উটেছে

১.৭) “সেটা হয় অনিয়ম”-এই অনিয়মটি কী ?
ক) বাস্তব নিয়ম উল্টে মধুর আধ্যাতিক নীতিতে পরিণত করা খ) নিজের কাজকর্ম ছেড়ে রীলিফে অংশ নেওয়া গ) রিলিফ ফান্ডে টাকা না দেওয়া ঘ) অনাহারে না খেতে পেয়ে মানুষদের সাহায্য না করা
উঃ ক)বাস্তব নিয়ম উল্টে মধুর আধ্যাতিক নীতিতে পরিণত করা

১.৮) বিক্ষুব্ধ চিত্তে এইসব কথা ভাবতে ভাবতে নিখিল সংবাদপত্রটি তুলে নিল” – সংবাদপত্রে কোন বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল ?
ক)দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে খ)শহরের পথে ঘাটে বহু অনহারী মানুষের মৃত্যু ঘটেছে গত) অনাহারী মানুষদের জন্য রিলিফ ফান্ড করা হয়েছে ঘ) গোটা কুড়ি মৃতদেহকে স্বর্গে পাঠানো হয়নি
উঃ ঘ) গোটা কুড়ি মৃতদেহকে স্বর্গে পাঠানো হয়নি

১.৯) “নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে” – নিখিল বন্ধুকে বুঝিয়ে কি বলে?
ক) এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না খ) রিলিফ ফান্ডে টাকা না দিতে বলা গ) স্ত্রীর স্বাস্থ্যের প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের যত্ন নেওয়া উচিত ঘ)নিজে না খেয়ে অন্যকে বাঁচানো যায় না
উঃ ক)এ ভাবে দেশের লোকে বাঁচানো যায় না

১.১০) “না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই” – কথাটি কে বলেছে?
ক)মৃত্যুঞ্জয় খ) নিখিল গ)মৃত্যুঞ্জয়ের ছোটো ভাই ঘ)টুনুর মা
উঃ গ) নিখিল

১.১১) “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা”–কোন বিষয়টিকে “পাশবিক স্বার্থপরতা ” বলা হয়েছে ?
ক) না খেতে পাওয়া মানুষকে সাহায্য না করা খ)না খেতে পাওয়া মানুষদের রিলিফ ফান্ডে টাকা না দেওয়া গ) দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড় পাপ ঘ) ফুটপাত বাসিকে না খেতে দেওয়া
উঃ গ)দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড় পাপ

১.১২) “নিখিল ধীরে ধীরে টাকাটা গুনল”- কিসের টাকা ?
ক)মানুষকে অর্থ সাহায্য করার টাকা খ) মৃত্যুঞ্জয়ের মাইনের টাকাটা গ) সরকারি টাকা ঘ) রিলিফ ফান্ডের টাকা
উঃ খ) মৃত্যুঞ্জয়ের মাইনের টাকাটা

১.১৩) “নিখিল কে বার বার আসতে হয়”- নিখিলকে কোথায় বারবার আসতে হয় ?
ক) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে খ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে গ) মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসে ঘ) ফুটপাতে মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে
উঃ খ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে

১.১৪) মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে কত টাকা মাইনে বেশি পায় ?
ক) কুড়ি টাকা খ) পঞ্চাশ টাকা গ) একশো টাকা ঘ) তিরিশ টাকা
উঃ খ) পঞ্চাশ টাকা

১.১৫) নিখিল দেখেছিলো যে মৃত্যুঞ্জয় সর্শিতে আটকানো মৌমাছির মতো –
ক)উড়ে বেড়াচ্ছে খ) মধু খাচ্ছে গ)গুন গুন করছে ঘ)মাথা খুঁড়ছে
উঃ খ) মাথা খুঁড়ছে

১.১৬) নিখিলকে প্রতি মাসে কিছু কিছু টাকা পাঠাতে হয় –
ক) দুই জয়াগায় খ)তিন জায়গায় গ) চার জায়গায় ঘ)পাঁচ জায়গায়
উঃ খ) তিন জায়গায়

১.৭) মৃত্যুঞ্জয় কিভাবে অফিসে অফিসে যায় ?
ক) ট্রেনে খ) ট্রামে গ) বাসে ঘ) হেঁটে
উঃ খ) ট্রামে

১.১৮) “ক্রমে ক্রমে নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয়”- কেন নিখিল হাল ছেড়ে দেয় ?
ক)নিখিল অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল খ) নিখিল মৃত্যুঞ্জয় কে বুঝিয়ে পারে না গ)নিখিল অফিসের কাজে ব্যস্ত হয় পড়ে ঘ) নিখিলের যুক্তি মৃত্যুঞ্জয়ের অভিজ্ঞার কাছে অর্থহিন হয়ে পড়ে
উঃ ঘ) নিখিলের যুক্তি মৃত্যুঞ্জয়ের অভিজ্ঞার কাছে অর্থহিন হয়ে পড়ে

১.১৯) “দারুন একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে” -হতাশা জাগার কারণ কি ?
ক) টুনুর মা অসুস্থ খ) দিনদিন অনাহার–মৃত্যু বাড়ছে গ)যতাসর্বশ দান করলেও সে দুর্ভিক্ষ পিরীত দের ভালো করতে পারবে না ঘ) অফিসে যেতে ইচ্ছাই করে না
উঃ ঘ) যতাসর্বশ দান করলেও সে দুর্ভিক্ষ পিরীতদের ভালো করতে পারবে না

১.২০) “টুনুর মা তাকে সকাতর অনুরোধ জানাই”- টুনুর মা অনুরোধ করে-
ক)নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নজর রাখে
খ)মৃত্যুঞ্জয় যেন মাইনের পুরো টাকা টা রিলিফ ফান্ডে না দেয়
গ)মৃত্যুঞ্জয়ের চাকরিটা যাতে না যায়
ঘ)নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়কে ফিরিয়ে আনে
উঃ ক) নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নজর রাখে

১.২১) মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পেত।– কারণ-
ক)মৃত্যুঞ্জয় বেশি কাজ করতো খ) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে প্রতিদিন যেত গ) মৃত্যুঞ্জয় অফিস এ বাড়তি দায়িত্ব পালন করতো ঘ) মৃত্যুঞ্জয় মৃত্যুঞ্জয় দেরিতে বাড়ি আসতো
উঃ গ) মৃত্যুঞ্জয় অফিস এ বাড়তি দায়িত্ব পালন করতো

১.২২) মৃত্যুঞ্জয় রোজ অফিসে যায়—
ক)বাসে করে খ) ট্রামে চেপে গ) পায়ে হেঁটে ঘ) নিজের গাড়িতে
উঃ খ) ট্রামে চেপে

১.২৩) মৃত্যুঞ্জয় এর রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারলো …. ।”—নিখিল অনুমান করলো —
ক)তার শরীর ভালো নেই খ) বড়ো একটা সমস্যার সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে গ) তার মন ভালো নেই ঘ) তার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছে
উঃ খ) বড়ো একটা সমস্যার সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে।

১.২৪) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা করে—
ক) মৃত্যুঞ্জয় নিজে খ) তার ভাই ও চাকর গ) টুনুর মা ঘ) মৃত্যুঞ্জয় ও তার চাকর
উঃ খ) তার ভাই ও চাকর

১.২৫) “সেদিন অফিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখলো”- মৃত্যুর কারণ
ক) রোগ খ) দুর্ঘটনা গ) হত্যা করা হয়েছে ঘ) অনাহার
উঃ ঘ) অনাহার

১.২৬) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে কতজন লোক থাকে থাকে ?
ক) দশ জন লোক খ) পাঁচ জন লোক গ) সাত জন লোক
ঘ) ন’জন লোক
উঃ ঘ) ন’জন লোক

১.২৭) “নিখিল সন্তর্পনে প্রশ্ন করলো।”— মিছিল কি প্রশ্ন করেছিল?
ক) তোমার কি হল ? খ) কি হল তোমার ? গ) কি হল হে তোমার ? ঘ) কি হয়েছে তোমার ?
উঃ গ) কি হল হে তোমার ?

১.২৮)নিখিল রোগা, তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং একটু–
ক) আলসে প্রকৃতির লোক খ) সাহসী প্রকৃতির লোক
গ) তীক্ষ্ণ বুদ্ধি প্রকৃতির লোক ঘ) বাস্তব প্রকৃতির লোক
উঃ ক) আলসে প্রকৃতির লোক

১.২৯) “ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না”- কেন ফুটপাতে হাটা প্রয়োজন হয় না?
ক) বাড়ির সামনেই অফিস খ) বাড়ি থেকে বাসে যায় গ) ফুটপাতে সে হাঁটে না ঘ) বাড়ি থেকে বেরিয়েই দু পা হেঁটেই ট্রামে ওঠে
উঃ ঘ) বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু পা হেঁটেই ট্রমে ওঠে

১.৩০) নিখিল অবসর জীবন কীভাবে কাটাতে চায়?
ক) দুস্থ মানুষের সেবা করে খ) দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে গ) গান শুনে ও নাটক দেখে ঘ) বই পড়ে আর একটা চিন্তার জগৎ গড়ে তুলে
উঃ ঘ) বই পড়ে আর একটা চিন্তার জগৎ গড়ে তুলে

১.৩১) ‘গ্রুয়েল’ কথাটির অর্থ হলো—
ক) এক ধরনের টনিক খ) ভাতের ফ্যান গ) ফলের সরবত ঘ) সুস্বাদু খাবার
উঃ খ) ভাতের ফ্যান

১.৩২) “কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল। কারণ—
ক) অফিসে কাজের প্রবল চাপ ছিল খ) প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেঁটে সে অফিসে এসেছিল গ) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল ঘ)মৃত্যুঞ্জয় আগে থেকেই অসুস্থ ছিল
উঃ গ) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল

2. অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নাবলী

২.১ মৃত্যুঞ্জয় সেদিন অফিস আসার পথে কী দেখল?
উঃ “কে বাঁচায়, কে বাঁচে” শীর্ষক ছোটগল্পে, মৃত্যুঞ্জয় সেদিন অফিস আসার পথে প্রথম না খেতে পাওয়া মানুষের মৃত্যু দেখলো অর্থাৎ অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখল। (কে বাঁচায় ,কে বাঁচে-2023-উচ্চ মাধ্যমিক)

২.২) “এতদিন শুধু শুনে আর পড়ে এসেছিল..” এতদিন কী শুনে বা পড়ে এসেছে?
উ: মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়ার পথে প্রথম অনাহারে, না খেতে পেয়ে মানুষের মৃত্যুর দৃশ্য দেখেছিল এই ঘটনা, মৃত্যুঞ্জয় এতদিন শুনে বা পড়ে পড়ে এসেছিল এই ফুটপাতে মৃত্যুর কথা।

২.৩) “কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল” —মৃত্যুঞ্জয়েৱ সুস্থ শরীরটা কয়েক মিনিটে অসুস্থ হয়ে পড়ল কেন?
উ:। “কে বাঁচাই, কে বাঁচে” শীর্ষক ছোটগল্পে মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাতে প্রথম অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে। এই দৃশ্য দেখার পর তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়। মানসিক বেদনাবোধের সঙ্গে চলতে থাকে তার শারীরিক কষ্ট। এজন্য তার শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল।

২.৪) “তখন সে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছে” – কে, কেন কাবু হয়ে পড়েছিল?
উঃ মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়ার পথে প্রথম ফুটপাতে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে। এই দৃশ্য দেখার পর তার শরীরটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মানসিক বেদনাবোদের সঙ্গে চলতে থাকে শারীরিক কষ্টবোধ। তাই অফিসে ঢুকেই মৃত্যুঞ্জয় রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছিল।

২.৫) মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী নিখিল কেমন প্রকৃতির মানুষ ?
উঃ মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী নিখিল একই অফিসে চাকরি করে এবং প্রায় সমপদস্থ । চেহারা ও প্রকৃতির দিক থেকে রোগা, তীক্ষবুদ্ধি এবং আলসে প্রকৃতির মানুষ।

২.৬) নিখিল তার অবসৱ জীবনটা কীভাবে কাটাতে চায় ?
উঃ মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী নিখিল তার অবসর জীবনটা বই পড়ে আর একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে কাটিয়ে দিতে চায়।

২.৭) “…আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয়” -মৃত্যুঞ্জয় কী বলে আর্তনাদ করে উঠল ?
উঃ মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাতে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয় এবং অফিসে তার শরীরটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ‘মরে গেল! না খেয়ে মরে গেল। আনমনে বলে মৃত্যুঞ্জয় আর্তনাদ করে উঠল।

২.৮) “ধিক। শত ধিক আমাকে।”—মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার জানাল কেন ?
উ: ফুটপাতে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়। সে নিজেকে ধিক্কার দেয়, কারণ এতকাল সে জেনে শুনে চার বেলা পেট ভরে খেয়ে এসেছে। যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক হচ্ছে না। তাছাড়া লোকের অভাবে আরো এদিকে ভেবে পাইনা যে, কি করে সময় কাটবে। তাই নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছে ।

২.৯) “একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই”- কে, কি কাজ করে দিতে বলেছে ?
উ: মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে তার মাইনের সমস্ত টাকা দেয় এবং নিখিলকে বলে যে, এই টাকাটা কোন রিলিফ ফান্ডে দিয়ে আসতে। এই কাজটিই মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে করতে বলেছে ।

২.১০) মৃত্যুঞ্জয় ও টুনুৱ মা একবেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে কেন ?
উ: মত্যয় আর টুনুর মা একবেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে, কারণ তাদের সেই বেলার ভাত দুর্ভিক্ষপীড়িত ক্ষুধার্ত মানুষদের বিলিয়ে দেয়।

২.১১) “দারুন একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে”-, কার মনে, কেন হতাশা জেগেছে ?
উ: “ কে বাঁচায়, কে বাঁচে”- নামক ছোট গল্পে টুনুর মা নিখিলকে জানায় যে, মৃত্যুঞ্জয়ের কেমন একটা ধারণা জন্মেছে, তার যথাসর্বস্ব দান করলেও কিছুই ভালো করতে পারছে না এজন্য মৃত্যুঞ্জয়ের মনে হতাশা জেগেছে ।

২.১২) “তখন সে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছে”- সে কাবু হয়ে পড়েছিল কেন?
উ: মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে মানুষকে প্রথম অনাহারে মরতে দেখে শরীরে কষ্ট ও মনে বেদনাবোেধ নিয়ে অফিসে নিজের চেয়ারে বসে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন ২৪। অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।”—কী কারণে ‘সে’ মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করে ?
উ: মৃত্যুঞ্জয় শান্ত, নিরীহ, দরদি, ভালো মানুষ ; তা ছাড়া মানবসভ্যতার সবচেয়ে পুরোনো ও পচা আদর্শবাদের কল্পনা তাপস। এইজন্য নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে খুব পছন্দ করে।

২.25) মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে বেশি মাইনে পায় কেন ?
উ: মৃত্যুঞ্জয় এবং নিখিল একই অফিসে কাজ করে এবং প্রায় সমপদস্থ। মাইনে প্রায় একই কিন্তু একটা বাড়তি দায়িত্বের জন্য মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি পায় ।

for more question answers click here

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading