> বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান- প্রশ্নোত্তর » Qবাংলা

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান- প্রশ্নোত্তর

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান- প্রশ্নোত্তর- তোমরা অবশ্যই মনে রাখবে, এটি একটি প্রবন্ধ। লেখক যুক্তি দিয়ে বিভিন্ন সমস্যার খন্ডন করেছেন এবং সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই যখন তোমরা কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে, কোন সমস্যা বিষয়ে- প্রাবন্ধিক সেই বিষয়ে যা যা কথা বলেছেন সেই কথাগুলোই লিখতে হবে। বাড়তি কোন কিছু কথা লেখা যায় না। প্রবন্ধে অতিরিক্ত কোন কথা লেখা উচিত নয়। প্রাবন্ধিক যা বলেছেন সেগুলি তোমার উত্তরের আকারে সাজিয়ে লিখবে।

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর 2025

১) “কারণ তাদের নতুন করে শিখতে হচ্ছে”- কাদের কি, নতুন করে শিখতে হচ্ছে?
উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে, আমাদের সরকার ক্রমে ক্রমে রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন। এর ফলে অনেকেই মুশকিলে পড়েছেন। কারণ রাজকার্য পরিচালনার জন্য, দেশি পরিভাষাগুলি তাদের নতুন করে শিখতে হচ্ছে।

২) “তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন”- কারা, কোন মুশকিলে পড়েছেন?
উঃ) আমাদের সরকার ক্রমে ক্রমে রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন। এর ফলেই অনেকেই তাতে মুশকিলে পড়ছেন। কারণ তাদেরকে সেই সমস্ত দেশি পরিভাষাগুলি নতুন করে শিখতে হচ্ছে।

৩) “তারা বিধান দিয়েছেন যে”- কারা, কি বিধান দিয়েছেন?
উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে- বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত সমিতি বিধান দিয়েছেন যে, নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলা বানানে চলবে। যেমন অক্সিজেন, প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন প্রভৃতি।

৪) তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে”- কখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে?
উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক জানিয়েছেন যে, কাল ক্রমে যদি এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার লাভ হয় তাহলে, জনসাধারণের জন্য বাংলায় বিজ্ঞান রচনার অসুবিধা দূর হবে। তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।

৫) “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন”- শব্দের ত্রিবিধ  কথাগুলি কি কি?
উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে, আমাদের অলংকারিকগন শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন। যথা- অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা।

৬) “এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়”- কোন ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়?
উঃ) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনার ক্ষেত্রে অনেকে মনে করেন যে, পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়, প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।

৭) “একটি দোষ প্রায় নজরে পড়ে”- এখানে কোন দোষের কথা বলা হয়েছে?
উঃ) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা ক্ষেত্রে অনেক সময় লেখকরা না জেনে বা কম জেনে তথ্য পরিবেশন করে থাকেন। রাজশেখর বসু “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে, এই দোষের কথাই উল্লেখ করেছেন।

৮) “সম্পাদকের উচিত…”- সম্পাদকের কি উচিত? 
উঃ) প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে, জানিয়েছেন যে, কোন অবিখ্যাত লেখকের বৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশের আগে, সম্পাদকের উচিত, সেই লেখা কোন অভিজ্ঞ লোক দিয়ে তা অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া।

৯) প্রাবন্ধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের যে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন তা উল্লেখ কর।অথবা- “তাদের মোটামুটি দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে”- এই দুই শ্রেণী কি কি?অথবা- “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে রাজশেখর বসু পাঠকদের কটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন এবং কি কি?
উঃ) প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তার “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের পাঠকদের দুটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। যথা-প্রথমতঃ যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে আর দ্বিতীয়তঃ যারা ইংরেজি জানে, ও ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।

১০) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতিতে কারা কারা ছিলেন?
উঃ ১৯৩৬ সালের কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন তাতে, বিভিন্ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতত্ত্ব, সংস্কৃতজ্ঞ পন্ডিত এবং কয়েকজন লেখক একযোগে কাজ করেছিলেন।

১১) “তাদের উদযোগের এই ত্রুটি ছিল যে”- কাদের উদযোগের কি ত্রুটি ছিল?
উঃ) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী লেখক তাদের পরিভাষা রচনার ক্ষেত্রে, কিছু ত্রুটি ছিল। ত্রুটিটি হল, তারা একযোগে কাজ না করে স্বতন্ত্রভাবে করেছিলেন। তার ফলে তাদের সংকলিত পরিভাষার সাম্য রক্ষিত হয়নি।

১২) “তার ফলে তাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে”- কাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছিল?
উঃ) ১৯৩৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন, তাতে যে বিভিন্ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতত্ত্ব, সংস্কৃত পন্ডিত এবং কয়েকজন লেখক -তারা এক যোগে পরিভাষা রচনা করেছিলেন। তাদের পরিভাষা রচনার চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছিল।

১৩) “এতে রচনা উৎকট হয়”- কিসে রচনা উৎকট হয়?
উঃ) প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু জানিয়েছেন যে, অনেক লেখক তাদের বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং যথাযথ বাংলা অনুবাদে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। আর এতেই রচনা উৎকট হয়।

১৪) পরিভাষার উদ্দেশ্য কি? উঃ) প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তার “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে জানিয়েছেন যে, পরিভাষার উদ্দেশ্য হল- ভাষার সংক্ষেপ এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।

for more question answers click here-    জ্ঞানচক্ষু- গল্পের প্রশ্নোত্তর 

১৫) “তাতে পাঠকের অসুবিধা হয়”- কিসে পাঠকের অসুবিধা হয়?
উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” , শীর্ষক রচনায়, পরিভাষার ক্ষেত্রে, যদি বারবার কোন বিষয়ের বর্ণনা দিতে হয়, তবে অনর্থক কথা বেড়ে যায়। আর এতে পাঠকের অসুবিধা হয়।

১৬) “এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত”- কোন কথাটি সকল লেখকদেরই মনে রাখা উচিত?
উঃ) বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক- প্রাবন্ধিক এই কথাটি সকল লেখকদের মনে রাখা উচিত বলে মনে করেছেন।

১৭) বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে অলংকারের প্রয়োগ সম্বন্ধে প্রাবন্ধিক কি জানিয়েছেন?
উঃ) প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে, বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে স্থানবিশেষে উপমা এবং রূপক অলংকারে প্রয়োগ চলতে পারে। কিন্তু অন্যান্য অলংকার যথাসম্ভব বর্জন করা উচিত।

১৮) “নানা ত্রুটি হতে পারে”- কিসে, কেন ত্রুটি হতে পারে?
উঃ) পরিভাষা রচনা, কোন ব্যক্তির একক কাজ নয়, সেই কাজ সমবেতভাবে না করলে ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে বলে, প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু মনে করেন।

১৯) “তা অনেক লেখক এখনও আয়ত্ত করতে পারেনি”- কি আয়ত্ত করতে পারেনি?
উঃ) আমাদের দেশের অনেক লেখক বিজ্ঞান আলোচনার জন্য যথার্থ রচনা পদ্ধতি এখনো আয়ত্ত করতে পারেননি বলে, প্রাবন্ধিক জানিয়েছেন।

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বড় প্রশ্ন উত্তর

১) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চায় এখনও নানারকম বাধা আছে”- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে প্রাবন্ধিক যেসব বাধার কথা উল্লেখ করেছেন তা সংক্ষেপে লেখ। অথবা- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনা ক্ষেত্রে কি কি অসুবিধার কথা প্রাবন্ধিক আলোচনা করেছেন?  অথবা- “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” রচনা প্রাবন্ধিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধার কথা বলেছেন তা আলোচনা কর।

উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে, প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে বা গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে বেশ কতগুলি বাধা সম্পর্কে নিজের সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এই অভিমত নিম্নে বর্ণিত হল:- প্রথমতঃ প্রাবন্ধিক প্রথমেই  বাংলা পারিভাষিক শব্দের কথা বলেছেন। বাংলা ভাষায় পারিভাষিক শব্দের অভাব আছে। যদিও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী লেখক নানা বিষয়ে পরিভাষা রচনা করেছিলেন কিন্তু যেহেতু তারা একযোগে কাজ না করে, স্বতন্ত্রভাবে কাজ করেছিলেন, তাই তাদের সংকলনের পরিভাষার সাম্য সংরক্ষিত হয়নি। 

দ্বিতীয়তঃ পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান খুবই নগণ্য। প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে কিঞ্চিৎ পরিচয় না থাকলে, কোন বৈজ্ঞানিক লেখা বোঝা খুবই মুশকিল। কালক্রমে যদি এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হয়, তাহলে এই অসুবিধা দূর হবে।

তৃতীয়তঃ বিজ্ঞান আলোচনার জন্য যে রচনা পদ্ধতি আবশ্যক তা, অনেক লেখক এখনও আয়ত্ত করতে পারেননি। অনেক স্থলে তাদের ভাষা আড়ষ্ট এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ হয়ে পড়ে। এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে, বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন।

চতুর্থঃ অনেকেই মনে করেন পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে, রচনা সহজ হয়। এর ফলে রচনার সহজবোধ্যতা আসে না। যা পাঠকের চরম অসুবিধে হয়।

উপরি উল্লিখিত সমস্যাগুলি ছাড়াও অন্যতম আরেকটি সমস্যা হল- যারা বৈজ্ঞানিক রচনা লেখেন, তাদের ভুল তথ্য পরিবেশন। অনেক লেখকই ঠিক তথ্য না জেনে, কিংবা সামান্য জেনে প্রবন্ধ রচনায় হাত দেন। যা একেবারেই উচিত নয়। এর থেকে মুক্তিলাভের জন্য প্রাবন্ধিক বলেন, সম্পাদকের………র আগে অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া। 

২) বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শীর্ষক প্রবন্ধ দিতে প্রবন্ধটিতে পরিভাষা রচনা প্রসঙ্গে লেখক যে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তা আলোচনা কর।  অথবা- “সমাবেতভাবে না করলে নানা ত্রুটি হতে পারে” এখানে কোন ত্রুটির কথা বলা হয়েছে? কি সমবেতভাবে না করলে নানা ত্রুটি হতে পারে? এই ত্রুটি কিভাবে দূর হতে পারে বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন?

উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে, প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে বা গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে বেশ কতগুলি বাধা সম্পর্কে নিজের সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল, পরিভাষা সংক্রান্ত সমস্যা।

প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে, বাংলা ভাষায় পারিভাষিক শব্দের অভাব আছে। পূর্বে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী লেখক নানা বিষয়ের পরিভাষা রচনা করেছিলেন। কিন্তু তাদের এই উদ্যোগের ত্রুটি ছিল। তারা একযোগে কাজ না করে, স্বতন্ত্রভাবে কাজ করেছিলেন। এর ফলে তাদের সংকলিত পরিভাষার সাম্য রক্ষিত হয়নি। ১৯৩৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন, তাতে বিভিন্ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক ভাষাতত্ত্বজ্ঞ, সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত এবং কয়েকজন লেখক, একযোগে কাজ করেছিলেন। তার ফলে তাদের চেষ্টা অনেকটাই সফল হয়েছে।

পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে, বৈজ্ঞানিক রচনা সহজ হয়। প্রাবন্ধিকের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। স্থান বিশেষে পারিভাষিক শব্দ বাদ দেওয়া চলে। যেমন, অমেরুদন্ডীর বদলে লেখা যেতে পারে, যেসব জন্তু শিরদাঁড়া নেই। কিন্তু আলোকতরঙ্গ এর বদলে আলোর কাঁপন বা নাচন লিখলে, ততটা সহজ হয় না। আর পরিভাষার আসল উদ্দেশ্যই হল, ভাষার সংক্ষেপ  এবং অর্থ নির্দিষ্ট করা। যদি বারবার কোন বিষয়ের বর্ণনা দিতে হয়, তবে অনর্থক কথা বেড়েই চলে। 

) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চায় এখনও নানা রকম বাধা আছে”- এই বাধা দূর করতে লেখক কি কি পরামর্শ দিয়েছেন তা আলোচনা কর।

উঃ) “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে, প্রাবন্ধিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে  বেশ কতগুলি বাধা সম্পর্কে  যেমন, নিজের সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তেমনি সেই সমস্যা দূর করতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমতঃ  বাংলা ভাষায় পারিভাষিক শব্দের অভাব। তাই পরিভাষা রচনা স্বতন্ত্রভাবে না করে সমবেতভাবে করার পরামর্শ দিয়েছেন। যতদিন উপযুক্ত ও প্রামানিক বাংলা শব্দ রচিত না হয়, ততদিন ইংরেজির শব্দই বাংলা বানানে চালানো উচিত।

দ্বিতীয়তঃ  পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য। তাই প্রাবন্ধিক প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতন গোড়া থেকেই বৈজ্ঞানিক রচনা লেখার পরামর্শ দিয়েছেন। অবশ্য কাল ক্রমে যদি এ দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হয় তাহলে, এই সমস্যা দূর হবে।

তৃতীয়তঃ বিজ্ঞান আলোচনার জন্য যে রচনা পদ্ধতি প্রয়োজন তা, অনেক লেখক যেহেতু এখনও আয়ত্ত করতে পারেননি, তাই অনেক স্থলে তাদের ভাষা আড়ষ্ট্র এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ হয়ে পড়ে। তাই লেখক এই দোষ থেকে মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না ।

চতুর্থঃ ইংরেজি sensitive শব্দ নানা অর্থে চলে যেমন, sensitive person, wound,plant, paper ইত্যাদি। বাংলায় অর্থভেদে বিভিন্ন শব্দ প্রয়োগ করাই উচিত। যেমন: অভিমানী, ব্যথাপ্রবন, উত্তেজী, সুবেদী, সুগ্রাহী। sensitive paper এর অনুবাদ স্পর্শকাতর কাগজ, না করে সুগ্রাহী কাগজে লিখলে ঠিক হয়।

উপরি উল্লিখিত পরামর্শ ছাড়াও তিনি আরো বলেন যে, বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক। এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত। তাছাড়া প্রাবন্ধিক আরো বলেন, সম্পাদকের উচিত অবিখ্যাত …..আগে অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া

tips-  মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের  এই সিরিজে এ বছর মাধ্যমিকের যে প্রশ্নগুলি আসার সম্ভাবনা প্রবল সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করা হয়েছে।প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি উত্তর লেখার কৌশল গুলি ভালোভাবে লক্ষ্য কর | মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর জানতে অবশ্যই  click here

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading