> মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর 2024 » Qবাংলা

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর 2024

প্রিয় ছাত্র ছাত্রী
মাধ্যমিক বাংলা WBBSE বিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখতে হয়- বেশ কিছু নমুনা প্রশ্ন এবং তার উত্তর নিচে দেওয়া আছে। প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি যাতে কোনরকম খামতি না থাকে সেই বিষয়ের প্রতি নজর রেখে মাধ্যমিকের বাংলা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে- এই সমস্ত টিপস অনুসরণ করে চললে আশা করি তোমাদের কোন প্রশ্নের উত্তর ভুল হবে না

২) কমবেশি কুড়িটি শব্দে উত্তর দাও:
২.১ যে কোন চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৪ X ১=৪
২.১.১ “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের ”- কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?
উঃ) “জ্ঞানচক্ষু” শীর্ষক গল্পে লেখকদের বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল। লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটমামা বা মেজ কাকুর মত মানুষ- সেই বিষয়েই তপনের সন্দেহ ছিল।

২.১.২ “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস”- সেই বক্তব্যটিকে দুর্লভ বলার কারণ কি ?
উঃ) জগদীশ বাবুর বাড়িতে আগত হিমালয়বাসী এক সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলিকেই এখানে “দুর্লভ জিনিস” বলা হয়েছে। কারণ সেই সন্ন্যাসী শুধুমাত্র জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকে তার পায়ের ধুলি গ্রহণ করতে দেন না।

২.১.৩ “লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল”- লোকটির পরিচয় দাও।
উঃ) গিরিশ মহাপাত্রকে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে, থানার একটি আলাদা ঘরে আটক করা হয়েছিল। “পথের দাবী” গল্পের এই অংশে, এই গিরিশ মহাপাত্রই হলেন আলোচিত “লোকটি” ওরফে সব্যসাচী মল্লিককেই উল্লেখ করা হয়েছে।

২.১.৪ “উনি ঘোষণা করলেন”- কার, কি ঘোষণা করার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
অথবা- কে, কি ঘোষণা করলেন ?
অথবা – “অদল বদল গল্প” গ্রাম প্রধানের কানে গেলে, তিনি কি ঘোষণা করেছিলেন ?
উঃ) পান্নালাল প্যাটেল এর রচিত “অদল বদল” শীর্ষক গল্পে অমৃত ও ইসাব যে, অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছিল, সেটি গ্রামপ্রধানের কানে যায়। তিনি খুশি হয়ে অমৃতকে, অদল এবং ইসাবকে, বদল বলে সম্বোধন করার কথা ঘোষণা করেন।

২.১.৫ “নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে”- নদীর বিদ্রোহের কারণ কি ছিল ?
অথবা – কে , কি করে নদীর বিদ্রোহের কারণ বুঝতে পেরেছিল ?
উঃ পাঁচদিনের অবিরাম বৃষ্টির কারণে নদী কানায় কানায় জলধারা পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং যেভাবে রোষে- ক্ষোভে আর্তনাদ করে ছুটে চলেছিল, তাতে নদের চাঁদের মনে হয়েছিল, নদী যেন মানুষের তৈরি এই ব্রীজ আর দু’পাশের বাঁধ ভেঙ্গে, আপন গতিতে ছুটে চলতে চাই।

২.২ যে কোন চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:  
২.২.১. “তারপর যুদ্ধ এলো”- যুদ্ধ কিসের মত এল ?
উঃ) পাবলো নেরুদার “অসুখী একজন” নামাঙ্কিত কবিতায়, যুদ্ধের প্রসঙ্গ আছে। এই যুদ্ধ রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মত নেমে এসেছিল।

২.২.২ “ছিনিয়ে নিয়ে গেলো তোমাকে”- কে, কাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো ?
উঃ) অন্ধকারাচ্ছন্ন আফ্রিকা মহাদেশকে রুদ্র সমুদ্রের বাহু, প্রাচী ধরিত্রীর বুক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো, এবং অন্ধ কালো অন্তঃপুরে অর্থাৎ গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীর বুকে স্থাপন করল।

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর 2024

২.২.৩ “আমাদের পথ নেই আর” -এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কি?
উঃ) বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে আমাদের আর কোনো পথ নেই। কিন্তু কবি শঙ্খ ঘোষ এই পরিস্থিতিতে, আমাদের সকলকে একতাবদ্ধ তথা সংঘবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান করেছেন।

২.২.৪.“এ মায়া, পিতা: বুঝিতে না পারি !”- কোন মায়া, কে বুঝতে পারেন না ?
উঃ “অভিষেক” কাব্যাংশে, রাবণ পুত্র ইন্দ্রজিৎ, রামচন্দ্রের মারা গিয়েও আবার জীবিত হয়ে ওঠার মায়া অর্থাৎ মৃতের পুনরায় বেঁচে ওঠার মায়া বুঝতে পারেননি।

২.২.৫ “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন”- পঞ্চকন্যা কিভাবে চেতনা ফিরে পেলেন ?
উঃ_ পদ্মাবতী সহ, তার চারজন সখি সমুদ্রতীরে মূর্ছিতা অবস্থায় ছিলেন। সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীরা মিলে চার দন্ড ধরে, বহু যত্নে, তন্ত্র- মন্ত্র এবং মহৌষধি প্রয়োগে, তাদের চিকিৎসা করেন। এর ফলে তারা চেতনা ফিরে পান।

৩) যে কোন তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩.৩.১ “ক্যালিগ্রাফিস্ট” কাদের বলে ?
উঃ) “ক্যালিগ্রাফিস্ট” কথার অর্থ হল লিপি- কুশলী। যারা ওস্তাদ কলমবাজ তাদের বলা হতো ক্যালিগ্রাফিস্ট । মুঘল দরবারে এদের অনেক সম্মান ছিল।

৩.৩.২ “সোনার দোয়াত কলম যে সত্যিই হতো,..” – তা লেখক কিভাবে জেনে ছিলেন ?
উঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ শুভ ঠাকুর অর্থাৎ সুভগেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখেছিলেন। সেখান থেকে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, সত্যিই সোনার দোয়াত কলম হয়।

৩.৩.৪ “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন ”-কোন ত্রিবিধ কথার প্রসঙ্গ লেখক স্মরণ করেছেন ?
উঃ “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে রাজ শেখর বসুর মতে, আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন।
সেগুলি হল- ১) অভিধা ২)লক্ষণা ৩)ব্যঞ্জনা।

৩.৩.৪ “এই ধারনা পুরোপুরি ঠিক নয় ” – কোন ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয় ?
উঃ অনেকের ধারণা যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা ক্ষেত্রে, পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলেই, রচনা সহজ হয়। প্রাবন্ধিক রাজ শেখর বসুর মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।

৪) যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৪.৪.১ বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখ।
উঃ বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য হল- বিভক্তির নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। অপরদিকে, অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।

৪.৪.২ মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘন্টা।- নিম্নরেখ পদটি কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো ।
উঃ মন্দিরে- অধিকরণ কারকে “এ” বিভক্তি।

৪.৪.৩ ব্যাসবাক্যসহ একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ- ভাইবোন।
ব্যাসবাক্য- ভাই ও বোন।

৪.৪.৪ “মেঘে ঢাকা” শব্দটির ব্যাসবাক্য সহ সমাসের নাম উল্লেখ করো।
উঃ মেঘে ঢাকা= মেঘে ঢাকা
সমাসের নাম – অলোপ করন তৎপুরুষ | অথবা,- মেঘের দ্বারা ঢাকা= মেঘে ঢাকা, – করন তত্পুরুষ সমাস।

৪.৪.৫ বিধেয় প্রসারকের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাক্যটিকে বিধেয় প্রসারিত করে লিখলে হবে- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সুতরাং “গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য” হলো বিধেয় প্রসারক।

৪.৪.৬ ঠিক ইসাবের মত জামাটি না পেলে ও স্কুলে যাবে না।- যৌগিক বাক্যে পরিণত করো।
উঃ ঠিক ইসাবের মত জামাটি তার চাই, নতুবা ও স্কুলে যাবে না। ( যৌগিক বাক্যে)

৪.৪.৭ কর্তৃবাচ্য কাকে বলে ?
উঃ যে বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তার সম্পর্কে স্পষ্ট হয় অর্থাৎ কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়া কর্তার অনুগামী হয় তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন- আমরা ফুটবল খেলি।

৪.৪.৮ তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারলো না।- ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো।
উঃ তাদের আর স্বপ্ন দেখা হলো না। ( ভাববাচ্য )

৪.৪.৯ অলোপ সমাস কি ?
উঃ যে সমাসের সমস্তপদে সমস্যমান পূর্বপদের বিভক্তি লুপ্ত হয় না, তাকে বলে অলোপ সমাস অলুক সমাস। যেমন- রাজার হাট= রাজারহাট।

৪.৪.১০ সে তখন যেতে পারবে না।- হ্যাঁ- বাচক বাক্য পরিবর্তন করো।
উঃ তার পক্ষে তখন যাওয়া অসম্ভব। ( হ্যাঁ- বাচক বাক্য )

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading