> সমাস কাকে বলে সমাসের শ্রেণীবিভাগ কি » Qবাংলা

সমাস কাকে বলে সমাসের শ্রেণীবিভাগ কি

class10 wbbse বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য সমাস |এই সিরিজে এই  সমাস থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য কর | মাধ্যমিক মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর জানতে অবশ্যই  click here

১) সমাস কাকে বলে?

উঃ এক বা একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করার নাম সমাস। সমাস কথার অর্থ- সংক্ষেপন | যেমন:- “সিংহ চিহ্নিত আসন”= সিংহাসন। এখানে “সিংহ”, “চিহ্নিত”, “আসন” তিনটি পদকে এক পদে পরিণত করে “সিংহাসন” পদটি তৈরি করা হলো।

সমাস সংক্রান্ত পরিভাষা

) সমস্যমান পদ কাকে বলে? উঃ যেসব পদের সমন্বয়ে সমাস গঠিত হয় তাদের প্রত্যেকটিকে সমস্যমান পদ বলে। যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন। এখানে “সিংহ এবং “আসন এই দুটি পদের দ্বারা “সিংহাসন সমাস পদটি গঠিত হয়েছে। তাই সিংহ এবং আসন পদ দুটি হলো সমস্যামান পদ।

) পূর্বপদ এবং পরপদ বা উত্তর পদ কাকে বলে? উঃ সমস্যমান পদের প্রথম পদটিকে বলা হয় পূর্বপদ এবং শেষের পদটিকে বলা হয় পরপদ বা উত্তরপদ। যেমন:- সিংহাসন= সিংহ চিহ্নিত আসন। এখানে সিংহ হল পূর্বপদ এবং আসন হল পরপদ বা উত্তরপদ।

) সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ কাকে বলে? উঃ সমস্যমান পদের সমন্বয়ে যে নতুন পদ সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ। যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসনএখানে, “সিংহ এবং “আসন সমস্যমান পদের সমন্বয়ে “সিংহাসন নামক নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে।  

for more question answers cli kc here-  মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ সম্পূর্ণ

) ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাস বাক্য কাকে বলে?   

উঃ যে সমস্ত বাক্য বা বাক্যাংশ দ্বারা সমাসবদ্ধ পদের অর্থ বিশ্লেষণ করা হয় তাকে,ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য বলে। যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন। এখানে “সিংহ চিহ্নিত আসন বাক্যাংশটির দ্বারা “সিংহাসন পদটির অর্থ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই “সিংহ চিহ্নিত আসন বাক্যাংশটি ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য।

সমাসের শ্রেণীবিভাগ:–  বর্তমান পাঠ্যক্রম অনুযায়ী বাংলা সমাসকে মোট নয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:-

  • ১)দ্বন্দ্ব সমাস
  • ২)কর্মধারয় সমাস
  • ৩)তৎপুরুষ সমাস
  • ৪)বহুব্রীহি সমাস
  • ৫)দ্বিগু সমাস
  • ৬)অব্যয়ীভাব সমাস
  • ৭)নিত্য সমাস
  • ৮)অলপ সমাস এবং
  • ৯) বাক্যশ্রয়ী সমাস

দ্বন্দ্ব সমাস:-  যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটি কোন সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং দুটি পদেরই অর্থ সমানভাবে প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন:- সাদা-কালো= সাদা ও কালো। এখানে সাদা পূর্বপদ এবং কালো পরপদ উভয়ই অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

দ্বন্দ্ব সমাসের আরও উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

  1. ছেলে-মেয়ে= ছেলে ও মেয়ে
  2. পিতা-মাতা= পিতা ও মাতা।
  3. মাসি-পিসি= মাসি ও পিসি।
  4. গণ্যমান্য=গণ্য ও মান্য
  5. যাকে-তাকে= যাকে ও তাকে
  6. কেনাবেচা= কেনা ও বেচা
  7. চেয়ার-টেবিল= চেয়ার ও টেবিল 

একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস:- যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে বহুবচনান্ত একটি মাত্র পদ অবশিষ্ট থাকে, তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন:- আমরা= আমি ও তুমি। তোমরা= তুমি ও সে | তোমাদের= আমার ও তোমার

২) কর্মধারায় সমাস:-   যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটির একটি বিশেষ্য এবং অন্যটি বিশেষণ অথবা উভয়ই বিশেষ্য অথবা বিশেষণ এবং পরপদটির অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় কথার অর্থ, যে করে সেই ধরে (কর্ম চাসৌ ধারশ্চ) কর্মকে ধারণ করে বলে, এই সমাসটির নাম কর্মধারয়। | যেমন: মহাজন= মহান যে জন। এখানে পূর্বপদ মহান বিশেষণ এবং পরপদ জন বিশেষ্য এবং এই দুটি পদে সমাসবদ্ধ হবার পর জন পদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণীবিভাগ: কর্মধারয় সমাস পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।যথা:-

  • ১) সাধারণ
  • ২) মধ্যপদ লোপী
  • ৩) উপমান
  • ৪) উপমিত এবং
  • ৫) রূপক কর্মধারয়

) সাধারণ কর্মধারয় সমাস: সাধারণ কর্মধারয় সমাসে পুর্বপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ অথবা পরপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়, যেমন:পূর্ণচন্দ্র= পূর্ণ যে চন্দ্র। কালপুরুষ= কাল যে পুরুষ| কারুশিল্পী= যিনি কারু তিনিই শিল্পী 

) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:- যে কর্মধারয় সমাসে,ব্যাস বাক্যের মাঝে অবস্থিত পদ, সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন:সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন| এখানে “চিহ্নিত পদটি সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়েছে।

) উপমান কর্মধারয় সমাস:উপমান বাচক পূর্বপদের সঙ্গে সাধারণ ধর্মবাচক পরপদের সমাস হলে তাকে বলা হয় উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।| যেমন:- ঘনশ্যাম= ঘনের ন্যায় শ্যাম।মসীকৃষ্ণ= মসীর ন্যায় কৃষ্ণ | এখানে উপমান ঘন এবং সাধারণ ধর্ম শ্যাম উপস্থিত কিন্তু উপমেয় নেই।

উপমেয়:- যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে।

উপমান:যার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে উপমান বলে।

সাধারণ ধর্ম: উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে যে, সাধারণ গুনগত সাদৃশ্য থাকে, তাকে সাধারণ ধর্ম বলে।

উদাহরণ:কাজলের মতো কালো চোখ। এখানে, চোখ হল উপমেয়, কারন চোখের সঙ্গেই তুলনা করা হয়েছে। কাজল হল উপমান, কারণ কজলের সঙ্গেই চোখকে,তুলনা করা হয়েছে। কালো হল সাধারণ ধর্ম কারন, চোখ এবং কাজল উভয়েই কালো। অর্থাৎ প্রধান বিষয়টি হল উপমেয়, অপ্রধান বিষয়টি হল উপমান।যার জন্য উভয়ের মধ্যে মিল দেখানো হয় সেটিই সাধারণ ধর্ম।

) উপমিত কর্মধারয় সমাস:উপমেয়বাচক পূর্বপদের সঙ্গে উপমানবাচক উত্তরপদ বা পরপদের সমাস হলে তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।যেমন:- পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়।এখানে উপমেয় পুরুষ এবং উপমান সিংহ উপস্থিত কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই। (অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান থাকবে এবং সাধারণ ধর্ম থাকবে, উপমেয় থাকবে না, উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান উভয়ই থাকবে।)

উপমান কর্মধারয় সমাস এবং উপমিত কর্মধারয় সমাসের পার্থক্য:

  • ১) উপমান কর্মধারয় সমাসে, পূর্বপদে উপমান থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় থাকবে।
  • ২) উপমান কর্মধারয় সমাসে উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উত্তরপদে উপমান থাকবে।
  • ৩) উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান এবং সাধারণ ধর্ম থাকে, উপমেয় থাকে না কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান তুই থাকে কিন্তু সাধারণ ধর্ম থাকে না। 

উদাহরণ:- উপমান কর্মধারয় সমাস:- তুষারধবল= তুষারের ন্যায় ধবল। এখানে তুষার পদটি হল, উপমান আর ধবল হল সাধারণ ধর্ম কিন্তু উপমেয় এখানে নেই। অর্থাৎ তুষারের মতো কি ধবল, সেটা নেই।

উপমিত কর্মধারয় সমাস:পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়। এখানে পূর্বপদ পুরুষ হলো, উপমেয় পরপদ সিংহ হল উপমান কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই অর্থাৎ পুরুষ সিংহের মতো কি সেটা নেই, কালো না সাদা না লম্বা না শক্তিশালী এরকম সাধারণ ধর্ম নেই।

) রূপক কর্মধারয় সমাস:যে সমাসে উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন:- মনমাঝি= মন রূপ মাঝি। বিপদসিন্ধু= বিপদ রূপ সিন্ধু। রূপক কর্মধারয় সমাসে, উপমান এবং উপমেয়ের মধ্যে রূপ শব্দটি থাকবে। 

) তৎপুরুষ সমাস:- যে সমাসে, পূর্বপদে থাকা কারক বিভক্তি এবং অনুসর্গ  লুপ্ত হয় এবং পরপদের অর্থটি প্রাধান্য পায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। তৎপুরুষ সমাস মানে কারক সমাস। তৎপুরুষ কথার অর্থ হল, তার পুরুষ। তদ-√পৃ+উষ

তৎপুরুষ মানুষের শ্রেণীবিভাগ:তৎপুরুষ সমাসকে ছটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা:- ) কর্ম তৎপুরুষ সমাস:– যে তৎপুরুষ সমাসে, পূর্বপদে কর্মকারকের বিভক্তি সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে কর্ম তৎপুরুষ সমাস বলে।যেমন:- কাপড়কাচা= কাপড়কে কাচা। হাতদেখা= হাতকে দেখা। রথদেখা= রথকে দেখা।

) করন তৎপুরুষ সমাস: যে তৎপুরুষ সমাসে করণ কারকের বিভক্তি পূর্বপদে লোভ পায় এবং পূর্বপদের সঙ্গে করণ কারকের অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে করন তৎপুরুষ সমাহ বলে।যেমন:- লাঠিখেলা= লাঠি দিয়ে খেলা। হাতছানি=হাত দিয়ে ছানি। হাতধরা=হাত দিয়ে ধরা।

) নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস: যে তৎপুরুষ সমাসে, পূর্বপদের নিমিত্ত কারকের বিভক্তি লোপ পায়। অর্থাৎ জন্য, উদ্দেশ্য, নিমিত্ত ইত্যাদি অনুসর্গ লুপ্ত হয়, তাকে নিমিত তৎপুর সমাস বলে। যেমন:- পুত্রশোক= পুত্রের নিমিত্ত শোক। বিয়েপাগল= বিয়ের জন্য পাগলা। রান্নাঘর= রান্নার জন্য ঘর।

৪) অপাদান তৎপুরুষ সমাস:-  যে তৎপুরুষ সমাসে, পূর্বপদে অপাদান কারকের বিভক্তি লোপ পায় অর্থাৎ তে, হতে, থেকে, অনুসর্গ লোপ পায় তাকে অপাদান তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:- স্বর্গভ্রষ্ট= স্বর্গ হতে ভ্রষ্ট। বন্ধনমুক্ত= বন্ধন থেকে মুক্ত। জলাতঙ্ক= জল থেকে আতঙ্ক। 

) অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস:- যে তৎপর সমাসে, পূর্বপদে অধিকরণ কারকের বিভক্তি লোপ পায়, তাকে অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:- অকালমৃত্যু= অকালে মৃত্যু। গাছপাকা= গাছে পাকা। অকালবোধন= অকালে বোধন।

)সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস:- যে তৎপুরুষ সমাসে, পূর্বপদে অ- কারক বিভক্তি যেমন র, এর, ইত্যাদি লুপ্ত হয়, তাকে সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:- রাজবাড়ী= রাজা বাড়ি। গ্রামসভা= গ্রামের সভা। সভাপতি= সভা প্রতি।

তৎপুরুষ সমাসের অন্যান্য ভাগ:–   )উপপদ তৎপুরুষ সমাস: যে তৎপুরুষ সমাসে, উপপদের সঙ্গে কৃদন্ত পদের সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:- ইন্দ্রজিৎ= ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি। পঙ্কজ= পাঁকে জন্মে যা। অগ্রগামী= অগ্রে গমন করেন যিনি। ইত্যাদি উপপদ তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ।

) নঞ তৎপুরুষ সমাস বা না তৎপুরুষ সমাস: যে তৎপুরুষ সমাসে, পূর্বপদে না, নয়, নি,নাই ইত্যাদি না-বাচক অব্যয়, উপসর্গ রূপে অবস্থান করে, তাকে না তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:- অচেনা= নয় চেনা। অনশন=নয় অশন। অনাহার= নয় আহার। অনেক= এক নয়।

) ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস: যে তৎপুরুষ সমাসে, স্থান, কালের ব্যাপ্তি বা বিস্তার বোঝায়, তাকে ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন:- আপাদমস্তক= পা থেকে মাথা পর্যন্ত। চিরদুঃখী= চিরকাল ব্যাপিয়া দুঃখী। চিরসবুজ= চিরকাল ব্যাপিয়া সবুজ।

) নির্দেশক বাক্য থেকে প্রশ্নসূচক বাক্যে রূপান্তর:

নিয়ম:-> প্রশ্নসূচক বাক্য থেকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর:-

  • ১) নির্দেশক বাক্য থেকে প্রশ্নসূচক বাক্যে, রূপান্তর করতে গেলে, কি, কেন, কোথায়, কিভাবে, ইত্যাদি প্রশ্নসূচক অব্যয় ব্যবহার করতে হবে এবং বাক্যটিতে জিজ্ঞাসা চিহ্ন(?) ব্যবহার করতে হবে।
  • ২) বাক্যটি যদি হ্যাঁ বাচক বাক্য থাকে, তাহলে তাকে প্রশ্ন সূচক বাক্যে রূপান্তর করতে গেলে, বাক্যটিকে প্রথমে না বাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হবে এবং তার সঙ্গে প্রশ্ন সূচক অব্যয় ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ হ্যাঁ বাচক বাক্যকে রূপান্তর করে প্রশ্ন সূচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  • ) বাক্যটি যদি না বাচক বাক্যে থাকে, তাহলে তাকে প্রশ্নসূচক বাক্যে রূপান্তর করতে গেলে, বাক্যটিকে প্রথমে হ্যাঁ বাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হবে এবং তার সঙ্গে প্রশ্ন সূচক অব্যয় ব্যবহার করতে হবে অর্থাৎ না বাচক বাক্যে রূপান্তর করে প্রশ্নসূচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  • অর্থাৎ ইতিবাচক বাক্যকে প্রশ্ন বাচকে করতে গেলে বাক্যটির সঙ্গে না, নয়, নি, নহে ইত্যাদি না সূচক শব্দ ব্যবহার করে কি, কেন, কোথায় ইত্যাদি প্রশ্নসূচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  • নেতিবাচক বাক্যকে প্রশ্ন বাচকে করতে গেলে না, নয়, নি, নহে ইত্যাদি না সূচক শব্দ গুলি সরাতে হবে এবং তার সঙ্গে কি, কেন, কোথায় ইত্যাদি প্রশ্ন সূচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
  • সোজা কোথায়- হ্যাঁ বাচক থাকলে তাকে না বাচকে করতে হবে এবং না বাচক থাকলে তাকে হ্যাঁ বাচকে করে প্রশ্ন করতে হবে।

প্রশ্ন বাচক বাক্যকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর করতে গেলে ওপরে নিয়ম গুলির বিপরীত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

উদাহরণ:১) আমি দুঃখ পেয়েছি।

এই বাক্যটি হ্যাঁ বাচক বাক্য আছে। একে প্রশ্ন বাচক বাক্যে রূপান্তর করতে গেলে, বাক্যটিকে না বাচক বাক্যে রূপান্তর করে প্রশ্ন করতে হবে যেমন-

>আমি কি দুঃখ পাইনি? (বাক্যটি হ্যাঁ বাচক থেকে না বাচকে করে প্রশ্ন করা হয়েছে)

১)  আমি তাকে চিনি না।

এই বাক্যটি না বাচক বাক্যে আছে। একে প্রশ্ন বাচক বাক্যে করতে গেলে, হ্যাঁ বাচক বাক্যে রূপান্তর করে, প্রশ্ন করতে হবে। যেমন:-

> আমি কি তাকে চিনি? ( বাক্যটি না বাচক থেকে হ্যাঁ বাচকে করে প্রশ্ন করা হয়েছে)

আরো বেশ কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

  • ১) এখন গেলে তার দেখা পাবে না।
  • > এখন গেলে কি তার দেখা পাবে? (প্রশ্ন সূচক বাক্য)
  • ২) সে বেঁচে আছে।
  • > সে কি বেঁচে নেই? (প্রশ্নসূচক বাক্য)
  • ৩) রামকে পাওয়া যাবে না।
  • > রামকে কি পাওয়া যাবে? (প্রশ্ন সূচক বাক্য)
  • ৪) এখন গেলে তার দেখা পাবে না।
  • > এখন গেলে কি তার দেখা পাবে?( প্রশ্ন সূচক বাক্যে)

প্রশ্নসূচক বাক্য থেকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর:-

  • ) আমি কি দুঃখ পায়নি?
  • > আমি দুঃখ পেয়েছি।
  • ২) আমি কি তাকে চিনি?
  • > আমি তাকে চিনি না।
  • ৩) এখন গেলে কি তার দেখা পাবে?
  • > এখন গেলে তার দেখা পাবে না।
  • ৪) রামকে কি পাওয়া যাবে?
  • > রাম কে পাওয়া যাবে না।

(টিপস:- প্রশ্নসূচক বাক্যটি যদি না বাচক হয়, তাহলে নির্দেশকে, হ্যাঁ বাচক হয়ে যাবে। এবং বাক্যটি যদি হ্যাঁ বাচক থাকে, তাহলে বাক্যটি না বাচকে হয়ে যাবে।)

)  নির্দেশক বাক্য থেকে আবেগ সূচক বাক্যে রূপান্তর  

> আবেগ সূচক বাক্য থেকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর

নিয়ম:-

  • ক) নির্দেশক বাক্যের সঙ্গে ইস, কি, কেমন, বটে, ভারী, বেশ, চমৎকার,আহা: ইত্যাদি আবেগ সূচক অব্যয় যোগ করে বাক্যটিকে আবেগ সূচক বাক্যে রূপান্তর করতে হবে।
  • খ) বাক্য শেষে অবশ্যই বিস্ময় সূচক চিহ্ন(!) ব্যবহার করতে হবে।
  • গ) আবেগ সূচক বাক্যকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর করতে গেলে আবেগ সূচক অব্যয়গুলি অর্থাৎ ইস, কি, কেমন, ভারী, বেশ, বটে, চমৎকার, আহা: ইত্যাদি অব্যয়গুলি সরাতে হবে এবং বিষয়সূচক চিহ্ন সরিয়ে শেষে দাড়ি(।) বসাতে হবে।

উদাহরণ:-

  • ১) সে ভয়ানক যুদ্ধ।
  • > সে কি ভয়ানক যুদ্ধ!( আবেগ সূচক বাক্য)
  • ২) দৃশ্যটি খুব সুন্দর।
  • > আহা: দৃশ্যটি খুব সুন্দর!( আবেগ সূচক বাক্য)
  • ৩) কি বিচিত্র এই দেশ!
  • > এই দেশ বড়ই বিচিত্র। (নির্দেশক বাক্য)
  • ৪) কি বড় বাড়ি!
  • > খুব বড় বাড়ি। (নির্দেশক বাক্য)

মাধ্যমিকে যেমন প্রশ্ন আসে:-   

১) সিতবাবু আর কোন প্রশ্ন করলেন না। > সিতবাবু কি আর কোন প্রশ্ন করলেন?

) অনুজ্ঞাসূচক বাক্যের একটি উদাহরণ দাও।  2017 > তুমি অংক করতে বসো।

৩) সে তখন যেতে পারবে না। (হ্যাঁ বাচক বাক্যে পরিবর্তন করো)2019 > তার তখন যাওয়া অসম্ভব।

৪) আর কোন ভয় নেই।( প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিবর্তন করো)  2018 > আর কি কোনো ভয় আছে?

৫) “ হয়, তোমার এমন দশা কে করলে!- এটি কি ধরনের বাক্য?  2018

  • ক) অনুজ্ঞা সূচক বাক্য
  • খ)বিস্ময় সূচক বাক্য
  • গ)নির্দেশক বাক্য
  • ঘ)প্রশ্নবোধক বাক্য  উঃ খ) বিস্ময় সূচক বাক্য

৬) যে বাক্যে সাধারণভাবে কোন কিছু বর্ণনা বা বিবৃতি থাকে তাকে বলা হয়- 2017

  • ক) অনুজ্ঞা বাচক বাক্য
  • খ)নির্দেশক বাক্য
  • গ)আবেগ সূচক বাক্য
  • ঘ)প্রশ্নবোধক বাক্য  উঃ খ) নির্দেশক বাক্য

৭) “বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?- অর্থগত দিক থেকে এটি-

  • ক) না সূচক বাক্য
  • খ)সন্দেহ বাচক বাক্য
  • গ) প্রশ্ন বোধক বাক্য
  • ঘ) প্রার্থনা সূচক বাক্য 2019  উঃ গ) প্রশ্ন বোধক বাক্য

৮) তুমি কেন অকারণে ওকে কষ্ট দাও? (অনুজ্ঞা সূচক বাক্যে) উঃ)  তুমি অকারনে ওকে কষ্ট দিও না।

৯) আপনি একটা গল্প লিখুন- এটি কি ধরনের বাক্য?

  • ক) নির্দেশক বাক্য
  • খ) অনুজ্ঞা সূচক বাক্য
  • গ)প্রার্থনা সুচক বাক্য
  • ঘ) আবেগ সূচক বাক্য উঃ খ) অনুজ্ঞা সূচক বাক্য

১০) “ ইস! যদি পাখির মত পাখা পেতাম !”- অর্থগত দিক থেকে বাক্যটি-

  • ক) নির্দেশক বাক্য
  • খ)অনুজ্ঞা সূচক বাক্য
  • গ) প্রার্থনা সূচক বাক্য
  • ঘ) আবেগ সূচক বাক্য  উঃ ঘ) আবেগ সূচক বাক্য

for more question answers click here

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading