সামনেই ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এ বছর যারা ২০২৪ সালের মাধ্যমিক WBBSEপরীক্ষায় বসছে– আশা করছি তাদের প্রস্তুতি জোড় কদমে এগিয়ে চলেছে। প্রত্যেকেরই স্বপ্ন জীবনের এই প্রথম বড় বোর্ড পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার তুলে নিজের বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করে নিজের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করে রাখা। qbangla.com সাইটে তোমাদের ২০২৪ সালের প্রস্তুতি যাতে আরো মজবুত হয় এবং আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারো– তার কতগুলি সাইন্টিফিক পদ্ধতি এবং কিছু টিপস আলোচনা করে দেওয়া হলো।–তবে তার আগে এ বছর ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিনটি এক ঝলকে দেখে নাও–
- ২ ফেব্রুয়ারি –শুক্রবার- প্রথম ভাষা– বাংলা
- ৩ ফেব্রুয়ারি– শনিবার – দ্বিতীয় ভাষা – ইংরেজি
- ৫ ফেব্রুয়ারি –সোমবার- ইতিহাস
- ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)- ভূগোল
- ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহষ্পতিবার)-গণিত
- ৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)-জীবন বিজ্ঞান,
- ১০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)-ভৌতবিজ্ঞান
- ১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার)- ঐচ্ছিক বিষয়
2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২রা ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে প্রথম ভাষা অর্থাৎ বাংলা পরীক্ষা দিয়ে। তবে যেহেতু ২০১৪ সালে লোকসভা ভোট আছে– তাই পরীক্ষার রুটিন চেঞ্জ বা পরিবর্তন হলেও হতে পারে। তবে পরিবর্তন হবে না বলেই মনে হয়।
2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেব?
2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা কিভাবে প্রস্তুতি তোমরা নেবে– তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এবং কিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সারিবদ্ধভাবে আলোচনা করা হলো। এই সমস্ত পদ্ধতিগুলো তোমরা প্রতিনিয়ত অনুসরণ করে চললে– তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় টপার রেজাল্ট করতে কেউই আটকাতে পারবেনা।
রুটিন তৈরি করা
তোমার পড়াশোনা যাতে খামতি না হয় বা একটা স্মার্ট ভাবে যাতে প্রস্তুতি নিতে পারো তার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন একটি সময় মাফিক রুটিন তৈরি করা। সেই রুটিন অনুযায়ী সমস্ত সাবজেক্টগুলো ভাগ করে– প্রতিদিন তোমাকে পড়াশোনা করে যেতে হবে। 2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা কন্টিনিউ পড়াশোনা করতে হবে– একটা রুটিনের নমুনা তোমাকে নিচে করে দেওয়া হল:-
- সোমবার – 7.00am- 9.30am. 10.30am-12.00. 2.00pm- 4.00pm. 6.00pm- 9.30pm. 10.00pm- 11.00pm.
- মঙ্গলবার– 7.00am- 9.30am. 10.30am-12.00. 2.00pm- 4.00pm. 6.00pm- 9.30pm. 10.00pm- 11.00pm.
- বুধবার– 7.00am- 9.30am. 10.30am-12.00. 2.00pm- 4.00pm. 6.00pm- 9.30pm. 10.00pm- 11.00pm.
- বৃহস্পতিবার– 7.00am- 9.30am. 10.30am-12.00. 2.00pm- 4.00pm. 6.00pm- 9.30pm. 10.00pm- 11.00pm
- শুক্রবার– 7.00am- 9.30am. 10.30am-12.00. 2.00pm- 4.00pm. 6.00pm- 9.30pm. 10.00pm- 11.00pm
- শনিবার– 7.00am- 9.30am. 10.30am-12.00. 2.00pm- 4.00pm. 6.00pm- 9.30pm. 10.00pm- 11.00pm
- রবিবার-7.00am- 9.30am. 10.30am-12.00. 2.00pm- 4.00pm. 6.00pm- 9.30pm. 10.00pm- 11.00pm.
এই রুটিন অবশ্যই টেস্ট এর এক সপ্তাহ আগে থেকে অনুসরণ করে চলবে এবং টেস্ট পরীক্ষার পর এই রুটিন হট ভাবে মেনে চলবে। কারণ এই রুটিন ছুটির সময়ই।। সময় অনুযায়ী তোমার যে সময়ে যে সাবজেক্ট পড়তে ভালো লাগে– সেই সাবজেক্ট লিখে নেবে । প্রত্যেকটি সাবজেক্ট যেন প্রতিদিন একটা সময় থাকে। তাহলে প্রতিটি সাবজেক্ট প্রতিদিন তুমি কিছু না কিছু পড়তে পারবে। কিছু না কিছু প্রশ্ন উত্তর তৈরি করে রাখতে পারবে। এইভাবে তোমার রুটিন অনুযায়ী প্রিপারেশন বা প্রস্তুতি চালিয়ে গেলে তবেই তোমার মাধ্যমিকে টপার রেজাল্ট করতে পারবে। ২০১৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার এই রুটিন তুমি ফলো করে নিজের প্রস্তুতি গড়ে তুলতে পারলে তুমি নিশ্চয়ই পরীক্ষা টপার রেজাল্ট করে ফেলবে।
প্রশ্নের উত্তর তৈরি করা
2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সব থেকে বড় একটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হল প্রশ্নের উত্তর নিজে তৈরি করা। প্রতিটি সাবজেক্ট এর জন্য আলাদা আলাদা খাতা তৈরি করতে হবে এবং সেই খাতাতে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা সাবজেক্টের বিষয় ভিত্তিক চ্যাপ্টার উল্লেখ করে তাতে প্রশ্ন লিখে তার উত্তর তোমাকে লিখে রাখতে হবে। তুমি যেই দিন যে সময়ে যে সাবজেক্ট পড়বে– যতটুকু পড়বে– ততটুকু প্রশ্নের উত্তর খাতায় লিখে রাখবে। সেই সঙ্গে সময় তারিখ এবং বার উল্লেখ করে রাখলে আরো ভালো হয়।

ছুটির সময়কে কাজে লাগানো
প্রায় কিছুদিন বা কোন না কোন দিন বিদ্যালয় ছুটি থাকে। নয়তো টিউশন ছুটি থাকে। নয়তো কোন ওকেশানে কোন না কোন দিন ছুটি থাকে– এই ছুটির সময়গুলো তোমাকে কাজে লাগাতে হবে। অধিকাংশ ছাত্র–ছাত্রী ছুটির সময়গুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না। তারা ছুটির সময় পড়াশোনা না করে এদিক ওদিক ঘুরেয়ে বেরিয়ে কাটিয়ে দেয়। এই ছুটির সময়তেই তোমাকে বেশি বেশি করে পড়ে রাখতে হবে। টেক্সট বইগুলোকে খুব ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আগে রিডিং করে ফেলতে হবে। ছুটির সময়গুলোকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। ছুটির সময় তোমার অতিরিক্ত খেলাধুলা বা মোবাইল ঘাটা বা টিভি দেখা বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া– এই সমস্ত বদ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। পরিবর্তে তোমাকে বই হাতে নিয়ে পড়তে হবে।
টেস্ট পরীক্ষার আগের প্রস্তুতি
2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা – মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রায় দু মাস আগে বিদ্যালয়ে একটি টেস্ট পরীক্ষা হয়। এই টেস্ট পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রস্তুতির ঝালাই পর্ব। তাই তোমাদের উচিত টেস্ট পরীক্ষার আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা। ওপরে যে রুটিন দেওয়া আছে– সেই রুটিন অনুযায়ী টেস্ট পরীক্ষার এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ আগে থেকে কঠিন পরিশ্রম আরম্ভ করে দাও। তাহলে টেস্ট পরীক্ষায় যে ফলাফল তুমি দেখতে পাবে– সেই ফলাফল মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিগুণ ফলাফল তুমি লাভ করতে পারবে। তাই টেস্ট পরীক্ষার আগে কোনরকম গাফিলতি না করে কোন রকম ঢিলেমি না করে সিরিয়াস ভাবে কঠিন ভাবে পরিশ্রম করে অন্তত প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী প্রত্যেকটি সাবজেক্ট ক্রমাগত পড়তে থাকো।
মাধ্যমিক বাংলা কীভাবে উত্তর লিখতে হয় – Click Here
টেস্ট পরীক্ষার পরের প্রস্তুতি
2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা- সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হল টেস্ট পরীক্ষার পরের সময় যে দুই মাস বা দেড় মাস ছুটি থাকে– বাড়িতে যে সময় পাও– সেই সময় হলো আসল প্রস্তুতির সময়। এই সময়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়কে যে বা যারা কাজে লাগাতে পারে– তারাই মাধ্যমিকে সাফল্য লাভ করতে পারে। তাই টেস্ট পরীক্ষার পরে মাধ্যমিকের প্রস্তুতি অবশ্যই ভালোভাবে নিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তোমার কিছু করণীয় আছে। তা হল:-
- টেস্ট পরীক্ষায় যা যা ভুল করেছো– যা যা গাফিলতি তুমি দেখতে পেয়েছ– সেইগুলো অতি দ্রুত কভার করে ফেলো।
- টেস্ট পরীক্ষায় তুমি যে প্রশ্নগুলি করতে পারোনি, যে চ্যাপ্টারগুলো তোমার দুর্বলতা থেকে গেছে– যে সাবজেক্টে তোমার দুর্বলতা থেকে গেছে– সেগুলিকে বেশি বেশি করে আরো সময় নিয়ে– টেস্ট পরীক্ষার পরে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পড়তে শুরু কর
- সমস্ত ভুল ত্রুটি সুধরে নিয়ে– টেস্ট পরীক্ষার পরে একেবারে আদা জল খেয়ে আবার শুরু থেকে উপরের যে রুটিন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে– সেই রুটিন অনুযায়ী তুমি জোর কদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাও।
- টেস্ট পরীক্ষার পরে কোন শিক্ষার্থী আর বিদ্যালয়ে যায় না। ছুটি থাকে বললেই চলে। তাই ওপরের যে রুটিন তৈরি করে দেওয়া আছে– সেই রুটিন অবশ্যই কাজে লাগিয়ে ছুটির সময়গুলোকে পড়াশোনায় পরিবর্তন করে প্রস্তুতি চালিয়ে যাও।
- টেস্ট পরীক্ষায় যে নম্বর তুমি পেয়েছো – সেই নম্বর ভুলে যাও। টেস্ট পরীক্ষায় তোমার যা পিপারেশন ছিল– তার থেকে আরও দশ গুন প্রিপারেশনের সময় বাড়িয়ে দাও।
- যতটা সম্ভব খেলাধুলার জন্য যে সময় বা অবসর সময় যেগুলো আছে– সেই সময়গুলোকে কমিয়ে দিয়ে– সেই জায়গায় পড়াশোনার সময় বার করে নাও।
- খেলাধুলা বা সময় নষ্ট করা বা সময় অপচয় করা একেবারেই ভুলে যেতে হবে। মনে রাখবে– এটা তোমার বোর্ড পরীক্ষার প্রথম সবথেকে বড় পরীক্ষা। সারা জীবনের জন্য পরীক্ষা। তাই এর প্রস্তুতি কঠিন ভাবে কর। কখনোই নিজেকে কম্প্রোমাইজ করে পড়াশোনার গাফিলতি রাখবে না।2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা
নিজের দুর্বলতা খুঁজে বার করা
সব থেকে বড় আরেকটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো নিজের দুর্বলতাকে যাচাই করা। তুমি যে বিষয়ে– যে জায়গায় দুর্বল আছো– সেই জায়গাগুলোকে বেশি করে আলোচনা কর। বেশি করে সময় নিয়ে পড়াশোনা কর। কোন দুর্বলতা জায়গা রাখার প্রয়োজন নেই। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। কোন প্রশ্ন কঠিন বলে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। সমস্ত সাবজেক্ট খুঁটিয়ে খুটিয়ে ভালোভাবে রিডিং করো। প্রশ্নের উত্তর নিজে করার চেষ্টা করো। প্রয়োজন পড়লে টিউশন শিক্ষকের সাহায্য নিতে থাকো।
বাড়িতে নিজেকে সময় দাও
বহু শিক্ষার্থী আছে– যারা অনেক টিউশন শিক্ষক নিয়ে পড়াশোনা করে– এক একজন প্রায় ৭-৮ জন টিউশন শিক্ষক নিয়ে থাকে। এর ফলে প্রতিদিনই কোন না কোন স্যারের কাছে পড়া থাকে। এমনকি কোন কোন দিন দুই তিন জন শিক্ষকের কাছেও পরা টিউশন থাকে। এর ফলে কি হয়?- ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে নিজে পড়াশোনা করার সময় পায় না। এটা সবথেকে বড় একটা ক্ষতিকর দিক।
⇒ 2024 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা-সে যাই হোক- তুমি যতজন টিউশন শিক্ষক নাও না কেন- টেস্ট পরীক্ষার পরে তোমাকে উপরে দেওয়া যে রুটিন আছে– সেই রুটিন অনুযায়ী বাড়িতে নিজেকে সময় দিতে হবে । নিজের পড়ার প্রতি সময় বার করতে না পারলে তোমার পরীক্ষা খুব একটা ভালো হবে না। তাই টেস্ট পরীক্ষার পরে বাড়িতে নিজেকে সময় দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা প্রতিদিন টেস্ট পরীক্ষার পরে পড়তে হবে।
সহায়িকা বইগুলির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমাতে হবে
প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থী বাজার চলতি কোনো না কোনো কোম্পানির সহায়িকা বই ব্যবহার করে থাকে। সহায়িকা বই ব্যবহার করা খারাপ নয়। তবে সহায়িকা বই কপি করে বা হুবহু নকল করে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখা সবথেকে ক্ষতিকর দিক। কারণ এই সহায়িকা বইএর উত্তর তোমার পরীক্ষার খাতায় লিখলে গড় নম্বর তুমি পাবে। ফুল মার্কস তোমাকে পরীক্ষক দিতে চান না। কারণ সহায়িকা বইয়ের উত্তর প্রায় প্রতিটি সাধারণ ছেলে মেয়েরা লিখে থাকে। ফলে উত্তর প্রায় একই রকম হয়ে যায়।
প্রশ্ন উত্তর নিজে তৈরি কর
টেস্ট পরীক্ষার পরে হাতে যে দুমাস সময় পাবে– সেই দু–মাসকে দারুন ভাবে কাজে লাগাও। টেস্ট পরীক্ষার আগে তুমি যে প্রশ্নের উত্তর গুলো তৈরি করেছিলে। সেগুলোকেই টেস্ট পরীক্ষার পরে আবার ঝালিয়ে নাও। এইরকম প্রস্তুতি করতে গেলে– তোমাকে আগে থেকেই প্রশ্ন উত্তর তৈরি করতে হবে– প্রশ্নের উত্তর নিজেকে খেটেই পরিশ্রম করে তৈরি করতে হবে– এর জন্য প্রয়োজন যথার্থ পরিমাণ সময়। যেটা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।
টেস্ট পেপারকে কাজে লাগানো
টেস্ট পরীক্ষার পরে বিদ্যালয় কর্তৃক অর্থাৎ সংসদ কর্তৃক একটি টেস্ট পেপার দেওয়া হয়। এছাড়াও এ বি টি এ ডব্লিউ বি টি এ ইত্যাদি কোম্পানির বাজারের টেস্ট পেপার থাকে। তুমি পারলে সবগুলি টেস্ট পেপার সংগ্রহ করে রাখবে এবং প্রতিদিন সেই টেস্ট পেপার ধরে ধরে প্রশ্নের উত্তর সলভ করবে। এটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতি তোমাকে অনুসরণ করতেই হবে। টেস্ট পেপারগুলোকে ফলো করে প্রশ্ন উত্তর তৈরি করতেই হবে। এক্ষেত্রে তুমি তোমার টিউশন শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারো।
টেক্স বইটিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে রিডিং পড়
মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে বা 99% নম্বর পেতে গেলে– তোমার হাতিয়ার কিন্তু একমাত্র তোমার পাঠ্য টেক্সট বইটি । তোমার পাঠ্য যে টেক্সট বইটি আছে– সেটিকে টেস্ট পরীক্ষার বহু আগেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে রিডিং পড়ে– সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চালনির মত চেলে বের করে আনতে হবে। এর ফলেই তুমি কিন্তু সমস্ত mcq থেকে শুরু করে রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই করতে পারবে। যারা এই টেক্সট বই খুঁটিয়ে খুটি রিডিং করে– তারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রচুর নম্বর তুলে পারে ।
♦ কারণ টেক্সট বইটি সমস্ত রিডিং পড়ার ফলে কোন প্রশ্ন তাদের অজানা থাকে না। আর এখানেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী টেক্সট বইয়ের প্রতি অনীহা থাকে। টেক্সট বই খুঁটি খুঁটিয়ে রিডিং পড়তে চাই না বা সময় বার করতে পারে না বা তাদের রিডিং পড়তে ভালো লাগে না। এখানেই সবথেকে বড় ভুল করে থাকে।
প্রশ্ন-উত্তর সলভ করা
এটি একটি পুরনো পদ্ধতি। পুরনো পদ্ধতি হলেও এটাও কিন্তু একটা সেরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেও পরীক্ষায় ভালো নম্বর তোলার কার্যকরী একটা উপায়। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর বিভিন্ন প্রশ্নগুলোকে খাতায় তুলে তার প্রশ্ন উত্তর নিজেকেই সলভ করতে হবে। যদি না পারো তাহলে টিউশন শিক্ষকের সাহায্য নিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
অবসর সময় বার কর
কঠোরভাবে অর্থাৎ প্রচন্ড পরিশ্রম করে পড়াশোনা করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখা বা একটু স্পেস দেওয়া প্রয়োজন আছে। তাই সারাদিন পড়াশোনা করার পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা অবসর সময়ও বার করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা একটু নিজেকে রিলিফ মনে করে বা যাতে সমস্ত পড়াগুলো মস্তিষ্কে ঠিকঠাক মনে রাখতে পারে। তার জন্য এই অবসর সময় অবশ্যই দরকার। তবে অবসর সময়ে যেন উল্টোপাল্টা কাজ না করে থাকে। অবসর সময়ে অবশ্যই বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটানো বা ভাই বোনের সঙ্গে সময় কাটানো বা হাসির কোন সিরিয়াল বা সিনেমা দেখে নেওয়া ।
»» আমি ওপরে যে রুটিন দিয়েছি সেই রুটিনে অবসর সময় আছে। একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখো বিকেল চারটে থেকে ছটা পর্যন্ত এই দু ঘন্টা অবসর সময়। এই সময় তুমি তোমার মস্তিষ্ককে একটু ফাঁকা রাখবে বা একটু নিজেকে পড়াশোনা থেকে দূরে রাখবে। তাহলে তোমার সমস্ত পড়াশোনা ঠিকঠাক মনে থাকবে।
এই সমস্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলি হল মাধ্যমিকের ৯৯% নম্বর তোলার টিপস এবং আসল রহস্য । এই সমস্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করেই বা এইভাবে পড়াশোনা করেই ক্লাসে ফার্স্ট বয় বা ফার্স্ট গার্ল টপার রেজাল্ট করে থাকে। অর্থাৎ দিনের পর দিন এইভাবেই টপার স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে এবং এভাবেই পড়াশোনা করেই তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছায়। তাই সমস্ত শিক্ষার্থীদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ– তোমরা যারা 2024 সালের মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর তোলার চেষ্টা করছো বা চাইছো– তারা উপরের দেওয়া – ওই সমস্ত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করো। মনে রাখবে বিন্দুতে বিন্দুতে সিন্ধু তৈরি হয়। তাই তোমার একটু একটু পরিশ্রমেই জীবনের সাফল্য এনে দেবে।