About Us 2

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

সূচীপত্র

২) কমবেশি কুড়িটি শব্দে উত্তর দাও:

২.১ যে কোন চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৪ X ১=৪

২.১.১ “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের ”- কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?

উঃ) “জ্ঞানচক্ষু” শীর্ষক গল্পে লেখকদের বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল। লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটমামা বা মেজ কাকুর মত মানুষ- সেই বিষয়েই তপনের সন্দেহ ছিল।

২.১.২ “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস”- সেই বক্তব্যটিকে দুর্লভ বলার কারণ কি ?

উঃ) জগদীশ বাবুর বাড়িতে আগত হিমালয়বাসী এক সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলিকেই এখানে “দুর্লভ জিনিস” বলা হয়েছে। কারণ সেই সন্ন্যাসী শুধুমাত্র জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকে তার পায়ের ধুলি গ্রহণ করতে দেন না।

২.১.৩ “লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল”- লোকটির পরিচয় দাও।

উঃ) গিরিশ মহাপাত্রকে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে, থানার একটি আলাদা ঘরে আটক করা হয়েছিল। “পথের দাবী” গল্পের এই অংশে, এই গিরিশ মহাপাত্রই হলেন আলোচিত “লোকটি” ওরফে সব্যসাচী মল্লিককেই উল্লেখ করা হয়েছে।

২.১.৪ “উনি ঘোষণা করলেন”- কার, কি ঘোষণা করার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
অথবা- কে, কি ঘোষণা করলেন ?
অথবা – “অদল বদল গল্প” গ্রাম প্রধানের কানে গেলে, তিনি কি ঘোষণা করেছিলেন ?
উঃ) পান্নালাল প্যাটেল এর রচিত “অদল বদল” শীর্ষক গল্পে অমৃত ও ইসাব যে, অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছিল, সেটি গ্রামপ্রধানের কানে যায়। তিনি খুশি হয়ে অমৃতকে, অদল এবং ইসাবকে, বদল বলে সম্বোধন করার কথা ঘোষণা করেন।

২.১.৫ “নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে”- নদীর বিদ্রোহের কারণ কি ছিল ?
অথবা – কে , কি করে নদীর বিদ্রোহের কারণ বুঝতে পেরেছিল ?

উঃ পাঁচদিনের অবিরাম বৃষ্টির কারণে নদী কানায় কানায় জলধারা পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং যেভাবে রোষে- ক্ষোভে আর্তনাদ করে ছুটে চলেছিল, তাতে নদের চাঁদের মনে হয়েছিল, নদী যেন মানুষের তৈরি এই ব্রীজ আর দু’পাশের বাঁধ ভেঙ্গে, আপন গতিতে ছুটে চলতে চাই।

 

আরও পড় দেখ-

বাচ্য ও বাচ্যের রূপান্তর নিয়ম- সাজেশন

 

২.২ যে কোন চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

২.২.১. “তারপর যুদ্ধ এলো”- যুদ্ধ কিসের মত এল ?

উঃ) পাবলো নেরুদার “অসুখী একজন” নামাঙ্কিত কবিতায়, যুদ্ধের প্রসঙ্গ আছে। এই যুদ্ধ রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মত নেমে এসেছিল।

২.২.২ “ছিনিয়ে নিয়ে গেলো তোমাকে”- কে, কাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো ?

উঃ) অন্ধকারাচ্ছন্ন আফ্রিকা মহাদেশকে রুদ্র সমুদ্রের বাহু, প্রাচী ধরিত্রীর বুক থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো, এবং অন্ধ কালো অন্তঃপুরে অর্থাৎ গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীর বুকে স্থাপন করল।

২.২.৩ “আমাদের পথ নেই আর” -এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কি ?

উঃ) বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে আমাদের আর কোনো পথ নেই। কিন্তু কবি শঙ্খ ঘোষ এই পরিস্থিতিতে, আমাদের সকলকে একতাবদ্ধ তথা সংঘবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান করেছেন।

২.২.৪.“এ মায়া, পিতা: বুঝিতে না পারি !”- কোন মায়া, কে বুঝতে পারেন না ?

উঃ “অভিষেক” কাব্যাংশে, রাবণ পুত্র ইন্দ্রজিৎ, রামচন্দ্রের মারা গিয়েও আবার জীবিত হয়ে ওঠার মায়া অর্থাৎ মৃতের পুনরায় বেঁচে ওঠার মায়া বুঝতে পারেননি।

২.২.৫ “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন”- পঞ্চকন্যা কিভাবে চেতনা ফিরে পেলেন ?

উঃ_ পদ্মাবতী সহ, তার চারজন সখি সমুদ্রতীরে মূর্ছিতা অবস্থায় ছিলেন। সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীরা মিলে চার দন্ড ধরে, বহু যত্নে, তন্ত্র- মন্ত্র এবং মহৌষধি প্রয়োগে, তাদের চিকিৎসা করেন। এর ফলে তারা চেতনা ফিরে পান।

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023
মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

৩) যে কোন তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

৩.৩.১ “ক্যালিগ্রাফিস্ট” কাদের বলে ?

উঃ) “ক্যালিগ্রাফিস্ট” কথার অর্থ হল লিপি- কুশলী। যারা ওস্তাদ কলমবাজ তাদের বলা হতো ক্যালিগ্রাফিস্ট । মুঘল দরবারে এদের অনেক সম্মান ছিল।

৩.৩.২ “সোনার দোয়াত কলম যে সত্যিই হতো,..” – তা লেখক কিভাবে জেনে ছিলেন ?

উঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ শুভ ঠাকুর অর্থাৎ সুভগেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখেছিলেন। সেখান থেকে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, সত্যিই সোনার দোয়াত কলম হয়।

৩.৩.৪ “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন ”-কোন ত্রিবিধ কথার প্রসঙ্গ লেখক স্মরণ করেছেন ?

উঃ “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” শীর্ষক প্রবন্ধে রাজ শেখর বসুর মতে, আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন।
সেগুলি হল- ১) অভিধা ২)লক্ষণা ৩)ব্যঞ্জনা।

৩.৩.৪ “এই ধারনা পুরোপুরি ঠিক নয় ” – কোন ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয় ?

উঃ অনেকের ধারণা যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা ক্ষেত্রে, পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলেই, রচনা সহজ হয়। প্রাবন্ধিক রাজ শেখর বসুর মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।

 

৪) যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

৪.৪.১ বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখ।

উঃ বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য হল- বিভক্তির নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। অপরদিকে, অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।

৪.৪.২ মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘন্টা।- নিম্নরেখ পদটি কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো ।

উঃ মন্দিরে- অধিকরণ কারকে “এ” বিভক্তি।

৪.৪.৩ ব্যাসবাক্যসহ একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।

উঃ দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ- ভাইবোন।
ব্যাসবাক্য- ভাই ও বোন।

৪.৪.৪ “মেঘে ঢাকা” শব্দটির ব্যাসবাক্য সহ সমাসের নাম উল্লেখ করো।

উঃ মেঘে ঢাকা= মেঘে ঢাকা
সমাসের নাম – অলোপ করন তৎপুরুষ | অথবা,- মেঘের দ্বারা ঢাকা= মেঘে ঢাকা, – করন তত্পুরুষ সমাস।

৪.৪.৫ বিধেয় প্রসারকের একটি উদাহরণ দাও।

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাক্যটিকে বিধেয় প্রসারিত করে লিখলে হবে- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সুতরাং “গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য” হলো বিধেয় প্রসারক।

৪.৪.৬ ঠিক ইসাবের মত জামাটি না পেলে ও স্কুলে যাবে না।- যৌগিক বাক্যে পরিণত করো।

উঃ ঠিক ইসাবের মত জামাটি তার চাই, নতুবা ও স্কুলে যাবে না। ( যৌগিক বাক্যে)

৪.৪.৭ কর্তৃবাচ্য কাকে বলে ?

উঃ যে বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তার সম্পর্কে স্পষ্ট হয় অর্থাৎ কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়া কর্তার অনুগামী হয় তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন- আমরা ফুটবল খেলি।

৪.৪.৮ তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারলো না।- ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো।

উঃ তাদের আর স্বপ্ন দেখা হলো না। ( ভাববাচ্য )

৪.৪.৯ অলোপ সমাস কি ?

উঃ যে সমাসের সমস্তপদে সমস্যমান পূর্বপদের বিভক্তি লুপ্ত হয় না, তাকে বলে অলোপ সমাস অলুক সমাস। যেমন- রাজার হাট= রাজারহাট।

৪.৪.১০ সে তখন যেতে পারবে না।- হ্যাঁ- বাচক বাক্য পরিবর্তন করো।

উঃ তার পক্ষে তখন যাওয়া অসম্ভব। ( হ্যাঁ- বাচক বাক্য )

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

 

) সমাস কাকে বলে?

উঃ এক বা একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করার নাম সমাস। সমাস কথার অর্থ- সংক্ষেপন | সমাস কাকে বলে সমাসের শ্রেণীবিভাগ কি কি part-1

যেমন:- “সিংহ চিহ্নিত আসন”= সিংহাসন।

এখানে “সিংহ”, “চিহ্নিত”, “আসন” তিনটি পদকে এক পদে পরিণত করে “সিংহাসন” পদটি তৈরি করা হলো।

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

সমাস সংক্রান্ত পরিভাষা:–   

) সমস্যমান পদ কাকে বলে?

উঃ যেসব পদের সমন্বয়ে সমাস গঠিত হয় তাদের প্রত্যেকটিকে সমস্যমান পদ বলে।

যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন। এখানে “সিংহ এবং “আসন এই দুটি পদের দ্বারা “সিংহাসন সমাস পদটি গঠিত হয়েছে। তাই সিংহ এবং আসন পদ দুটি হলো সমস্যামান পদ।

) পূর্বপদ এবং পরপদ বা উত্তর পদ কাকে বলে?

উঃ সমস্যমান পদের প্রথম পদটিকে বলা হয় পূর্বপদ এবং শেষের পদটিকে বলা হয় পরপদ বা উত্তরপদ।

যেমন:- সিংহাসন= সিংহ চিহ্নিত আসন। এখানে সিংহ হল পূর্বপদ এবং আসন হল পরপদ বা উত্তরপদ।

) সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ কাকে বলে?

উঃ সমস্যমান পদের সমন্বয়ে যে নতুন পদ সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ।

যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন

এখানে, “সিংহ এবং “আসন সমস্যমান পদের সমন্বয়ে “সিংহাসন নামক নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে।

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

) ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাস বাক্য কাকে বলে?   

উঃ যে সমস্ত বাক্য বা বাক্যাংশ দ্বারা সমাসবদ্ধ পদের অর্থ বিশ্লেষণ করা হয় তাকে,ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য বলে। যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন। এখানে “সিংহ চিহ্নিত আসন বাক্যাংশটির দ্বারা “সিংহাসন পদটির অর্থ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই “সিংহ চিহ্নিত আসন বাক্যাংশটি ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য।

সমাসের শ্রেণীবিভাগ:

বর্তমান পাঠ্যক্রম অনুযায়ী বাংলা সমাসকে মোট নয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:-

)দ্বন্দ্ব সমাস

)কর্মধারয় সমাস

)তৎপুরুষ সমাস

)বহুব্রীহি সমাস

)দ্বিগু সমাস

)অব্যয়ীভাব সমাস

)নিত্য সমাস

)অলপ সমাস এবং

) বাক্যশ্রয়ী সমাস        মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

 

) দ্বন্দ্ব সমাস:– সমাস কাকে বলে সমাসের শ্রেণীবিভাগ কি কি part-1

যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটি কোন সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং দুটি পদেরই অর্থ সমানভাবে প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন:- সাদা-কালো= সাদা ও কালো। এখানে সাদা পূর্বপদ এবং কালো পরপদ উভয়ই অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

দ্বন্দ্ব সমাসের আরও উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

ছেলে-মেয়ে= ছেলে ও মেয়ে

পিতা-মাতা= পিতা ও মাতা।

মাসি-পিসি= মাসি ও পিসি।

গণ্যমান্য=গণ্য ও মান্য

যাকে-তাকে= যাকে ও তাকে

কেনাবেচা= কেনা ও বেচা

চেয়ার-টেবিল= চেয়ার ও টেবিল

একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস:- যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে বহুবচনান্ত একটি মাত্র পদ অবশিষ্ট থাকে, তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন:- আমরা= আমি ও তুমি। তোমরা= তুমি ও সে

তোমাদের= আমার ও তোমার

২) কর্মধারায় সমাস:-  

যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটির একটি বিশেষ্য এবং অন্যটি বিশেষণ অথবা উভয়ই বিশেষ্য অথবা বিশেষণ এবং পরপদটির অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় কথার অর্থ, যে করে সেই ধরে (কর্ম চাসৌ ধারশ্চ) কর্মকে ধারণ করে বলে, এই সমাসটির নাম কর্মধারয়।

যেমন: মহাজন= মহান যে জন। এখানে পূর্বপদ মহান বিশেষণ এবং পরপদ জন বিশেষ্য এবং এই দুটি পদে সমাসবদ্ধ হবার পর জন পদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণীবিভাগ: কর্মধারয় সমাস পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।যথা:-

১) সাধারণ ২) মধ্যপদ লোপী ৩) উপমান ৪) উপমিত এবং ৫) রূপক কর্মধারয়

) সাধারণ কর্মধারয় সমাস: সাধারণ কর্মধারয় সমাসে পুর্বপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ অথবা পরপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়,

যেমন:পূর্ণচন্দ্র= পূর্ণ যে চন্দ্র।

কালপুরুষ= কাল যে পুরুষ

কারুশিল্পী= যিনি কারু তিনিই শিল্পী

) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:- যে কর্মধারয় সমাসে,ব্যাস বাক্যের মাঝে অবস্থিত পদ, সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন

এখানে “চিহ্নিত পদটি সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়েছে।

) উপমান কর্মধারয় সমাস:

উপমান বাচক পূর্বপদের সঙ্গে সাধারণ ধর্মবাচক পরপদের সমাস হলে তাকে বলা হয় উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- ঘনশ্যাম= ঘনের ন্যায় শ্যাম।

মসীকৃষ্ণ= মসীর ন্যায় কৃষ্ণ

এখানে উপমান ঘন এবং সাধারণ ধর্ম শ্যাম উপস্থিত কিন্তু উপমেয় নেই।

 

উপমেয়:- যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে।

উপমান:যার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে উপমান বলে।

সাধারণ ধর্ম: উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে যে, সাধারণ গুনগত সাদৃশ্য থাকে, তাকে সাধারণ ধর্ম বলে।

উদাহরণ:কাজলের মতো কালো চোখ।

এখানে, চোখ হল উপমেয়, কারন চোখের সঙ্গেই তুলনা করা হয়েছে।

কাজল হল উপমান, কারণ কজলের সঙ্গেই চোখকে,তুলনা করা হয়েছে।

কালো হল সাধারণ ধর্ম কারন, চোখ এবং কাজল উভয়েই কালো। অর্থাৎ প্রধান বিষয়টি হল উপমেয়, অপ্রধান বিষয়টি হল উপমান।যার জন্য উভয়ের মধ্যে মিল দেখানো হয় সেটিই সাধারণ ধর্ম।

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

) উপমিত কর্মধারয় সমাস:– 

উপমেয়বাচক পূর্বপদের সঙ্গে উপমানবাচক উত্তরপদ বা পরপদের সমাস হলে তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়।

এখানে উপমেয় পুরুষ এবং উপমান সিংহ উপস্থিত কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই।

(অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান থাকবে এবং সাধারণ ধর্ম থাকবে, উপমেয় থাকবে না, উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান উভয়ই থাকবে।)

 

উপমান কর্মধারয় সমাস এবং উপমিত কর্মধারয় সমাসের পার্থক্য:

১) উপমান কর্মধারয় সমাসে, পূর্বপদে উপমান থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় থাকবে।

২) উপমান কর্মধারয় সমাসে উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উত্তরপদে উপমান থাকবে।

৩) উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান এবং সাধারণ ধর্ম থাকে, উপমেয় থাকে না কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান তুই থাকে কিন্তু সাধারণ ধর্ম থাকে না।

উদাহরণ:-

উপমান কর্মধারয় সমাস:-

তুষারধবল= তুষারের ন্যায় ধবল। এখানে তুষার পদটি হল, উপমান আর ধবল হল সাধারণ ধর্ম কিন্তু উপমেয় এখানে নেই। অর্থাৎ তুষারের মতো কি ধবল, সেটা নেই।

উপমিত কর্মধারয় সমাস:

পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়। এখানে পূর্বপদ পুরুষ হলো, উপমেয় পরপদ সিংহ হল উপমান কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই অর্থাৎ পুরুষ সিংহের মতো কি সেটা নেই, কালো না সাদা না লম্বা না শক্তিশালী এরকম সাধারণ ধর্ম নেই।

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

) রূপক কর্মধারয় সমাস:

যে সমাসে উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- মনমাঝি= মন রূপ মাঝি। বিপদসিন্ধু= বিপদ রূপ সিন্ধু।

রূপক কর্মধারয় সমাসে, উপমান এবং উপমেয়ের মধ্যে রূপ শব্দটি থাকবে। 

 

মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023 মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023  মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023 মাধ্যমিক বাংলা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর-2023

you may like

https://en.wikipedia.org/wiki/India

Ratan Das

Learn More