প্রায় ১৩০০০ শিক্ষকের তালিকা কমিশন জমা দেয়
নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় শান্তি প্রসাদ সিনহা সহ দুজন মিডলম্যান এর জেল হেফাজত আগেই হয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে নবম দশম শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলা উঠে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নবম দশমের ক্ষেত্রে যে সমস্ত অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তাদের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন যে, এসএসসি কমিশন সিবিআই এবং অভিযোগকারী প্রার্থীরা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে অযোগ্য প্রার্থীদের খুঁজে বের করবেন। সেই মোতাবেক আজ বিকেল পাঁচটা থেকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আলোচনা হয়। এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কমিশন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষকের তালিকা জমা দেয় আবেদনকারীদের আইনজীব এবং সিবিআই এর কাছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই ১৩০০০ নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকের শুধুমাত্র রোল নম্বর এবং নাম দেওয়া আছে, সেখানে কিভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের খুঁজে বের করা হবে- সেই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ফেরদৌস শামীম বলেন, নবম দশম এ পিপুল পরিমাণ অযোগ্য প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সাদা খাতা জমা দিয়ে, তাই যে বিপুল পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তা শুধুমাত্র এই রোল নাম্বার এবং নামের তালিকা দিয়ে তাদের খুঁজে বার করা সম্ভব নয়।

এদিকে যারা নবম দশমে ওয়েটিং আছেন তারা সংশয় প্রকাশ করছেন যে অনেকেই সাদা খাতা জমা দিয়ে পঞ্চাশে 55 পেয়ে বা ৫৩ পেয়ে চাকরি করছেন সে ক্ষেত্রে তাদের কিভাবে ধরা হবে অথবা ইন্টারভিউয়ে অনেক অযোগ্য প্রার্থীকে ১০ এর মধ্যে নয়, সাড়ে নয় নম্বর দিয়ে তালিকায় প্রথম দিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। যদিও আগামী 28 তারিখের মধ্যে সিবিআই এবং কমিশনের যৌথ তালিকা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবং সেই দিনেই জানা যাবে কতজন অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে নবম দশম শ্রেণীতে এবং ওই দিনই বিচারপতি তাদের চাকরি খারিজ করতে পারেন। এবং তার জায়গায় যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিতে পারেন। ইতিমধ্যেই এসএসসির গ্রুপ সি এবং ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় ৫৭৩ জন বাতিল হওয়া চাকরির জায়গায় যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ওয়েটিং কর্মপ্রার্থীরা প্রায় ৫৫৫ দিন ধরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা করছেন তাদের যোগ্য চাকরির দাবিতে। এখনো পর্যন্ত তাদের নিয়োগের কোন সুরাহা হয়নি। অনশনকারীদের পক্ষ থেকে এদিন শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা হয় এবং ডেপুটেশন দেওয়া হয়, তাদের আশ্বস্ত করা হয় যে, তাদের নিয়োগের ব্যাপারে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল আছে সরকার।
তাদের দাবি এই বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির কারণে তাদের অল ওয়েটিং নিয়োগ দিতে হবে। অল ওয়েটিং নিয়োগ দিলেই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তারা দাবি করছেন।