> আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর | পঞ্চতন্ত্র | class 11 » Qবাংলা

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর | পঞ্চতন্ত্র | class 11

ইতিমধ্যেই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর সেমিস্টার সিস্টেম চালু হয়ে গেছে নম্বর বিভাজন পর্ষদ প্রকাশ করে দিয়েছে। এমনকি বাংলা বিষয়ের কোন কোন পাঠ্য গল্প কবিতা আছে সেগুলো প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। একাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে হবে প্রথম সেমিস্টার হবে সম্পূর্ণ mcq এবং omr sheet দ্বিতীয় সেমিস্টারে দিতে হবে 40 নম্বরের বড় প্রশ্নের উত্তর  একাদশ শ্রেণির 2nd সেমিস্টারে একটি পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ পাঠ্য আছে। গ্রন্থটির নাম সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত পঞ্চতন্ত্র এই গ্রন্থের মোট চারটি প্রবন্ধ পাঠ্য আছে। এই চারটি প্রবন্ধ থেকে দ্বিতীয় সেমিস্টারে দিতে হবে 40 নম্বরের বড় প্রশ্নের উত্তর

একাদশ শ্রেণির নতুন সিলেবাস পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ । Class 11 Bengali new syllabus

2024 সাল থেকেই একাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে মোট চারটি সেমিস্টার তোমাদের দিতে হবে। class 11 Bengali 2nd semester সেই অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ অর্থাৎ একটি সম্পূর্ণ পাঠ্য বই পাঠ্য বিষয় প্রকাশ করা হয়েছেপ্রথম সেমিস্টারে (semester-i) পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে সৈয়দ মুস্তাফা আলীর পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থটি একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ে পড়ানো হবে এই গ্রন্থের মোট চারটি প্রবন্ধ পাঠ্যসূচি হিসেবে আছে। চারটি প্রবন্ধ পড়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারে দিতে হবে 40 নম্বরের বড় প্রশ্নের উত্তর 

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের উৎস

Class 11 Bengali new syllabus একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ে নতুন সিলেবাসে সৈয়দ মুস্তাফা আলীর রচিত পঞ্চতন্ত্রের প্রথম পর্বের চারটি প্রবন্ধ পাঠ্য পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে একটি পাঠ্য প্রবন্ধ হল আজব শহর কলকেতা এই প্রবন্ধটি পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থের অন্তর্গত প্রথম পর্ব থেকে গৃহীত হয়েছে

আজব শহর কলকেতাপ্রবন্ধের বিষয়বস্তু

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধে লেখক কলকাতার এক বইয়ের দোকানে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেনলেখক এর মনে হয়েছে কলকাতা যেন একটা আজব শহর কেন না লেখকের চোখে পড়েছে একটি বইয়ের দোকান যার নাম ফ্রেঞ্চ বুক শপ লেখক একটু অবাক হলেন লেখক মনে করলেন কোন ফরাসি হয়তো কলকাতায় এসে পথ হারিয়ে ফেলেছে এবং টাকা পয়সা হারানোর আগেই একটি বইয়ের দোকান খুলে ফেলেছেন অবশ্য বাঙালি প্রকাশকেরা মনে করে যে ভালো বই ছাপালেই হবে না সেই সঙ্গে রদ্দি উপন্যাস ও ছাপাতে হয়। তাই লেখক মনে করলেন যে এই ফ্রেঞ্চ বুক শপ হাতির দাঁতের মতো বাইরে দেখাবার জন্য বড় দাঁত কিন্তু চবাবার দাঁত জন্য ভেতরে লুকানো থাকে অর্থাৎ দোকানের নাম যদিও ফ্রেঞ্চ বুক শপ কিন্তু ভেতরে গিয়ে তিনি হয়তো পাবেন অন্য মাল

এই ভরসায় তিনি ঢুকলেন দোকানে দোকানদার শুধু ফরাসি বই বেচেই টাকা কামাতে চাই গাদা গাদা বই সব মলাট দেওয়া কিছু সাজানো-গোছানো আর কিছু এদিক-ওদিক ছড়ানো রয়েছে ফরাসি দোকানদার কলকাতা এসে বাঙালি হয়ে গেছে বাঙালির মতনই বইগুলি সাজিয়ে রেখেছে দোকানে এক ফুটফুটে ফরাসি মেম সাহেব আছেন লেখক তাকে পরশুরামের ভাষায় বললেন সেলাম মেমসাহেব ফরাসি মেম সাহেব বললেন কি চাই? এতে লেখক একটু ইতস্তত বোধ করেন কারণ তিনি ফরাসি ভাষা বহুকাল আগে বলেছিলেন এখন আর তেমন মনে নেই। লেখক সামান্য কিছু ফরাসি ভাষা বলতেই ফরাসি মেমসাহেব লেখককে আপন মনে করলেন এবং তার সঙ্গে অনেক কথা বললেন

এই প্রসঙ্গে লেখক ফরাসি জাতির গুনের কথা বলেন সামান্য কিছু প্রশংসা পেলেই তারা জড়িয়ে ধরে এই দোকান আসলে তার নয় তার বান্ধবীর তার অনুপস্থিতিতে তিনি ফরাসি সাহিত্যের প্রচার কামনায় এই দোকানে আছেন তুলসীদাস বলেছেন পৃথিবীর অদ্ভুত রীতি শুঁরিকে মদ বিক্রির জন্য খদ্দেরের কাছে যেতে হয় না। শুঁরি মদের দোকানে জেঁকে বসে থাকে দুনিয়ার সব লোক তার কাছে মদ কিনতে যায়। অথচ দুধ ওয়ালাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরেও কেউ দুধ কেনে না। ইতিমধ্যে এক ছোকরা দোকানে এসে কমার্শিয়াল আর্ট সম্বন্ধে বই খোঁজাখুঁজি করলে লেখক একটু আনন্দিত হলেন ততক্ষণে লেখক একটি খাসা বই পেয়ে গেছেন যেখানে হিটলারের চরিত্র বর্ণনা করা হয়েছে।

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের mcq প্রশ্ন উত্তর class 11

১)আজব শহর কলকাতা প্রবন্ধটির উৎস কি?

  1. পঞ্চতন্ত্র
  2. বই কেনা
  3. তোতা কাহিনী
  4. আড্ডা খানা     ans-পঞ্চতন্ত্র

২) “আজব শহর কলকেতা” প্রবন্ধটির লেখক কে ?

  1. সৈয়দ মুজতবা আলী
  2. সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
  3. কাজী নজরুল ইসলাম
  4. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর      ans-সৈয়দ মুজতবা আলী।

৩) “এমন সময় সপ্রমাণ হয়ে গেল”- কি সপ্রমাণ হয়ে গেল?

  1. আজব শহর কলকেতা
  2. শহর কলকাতা
  3. কলকাতা কলকাতাতেই আছে
  4. বিচিত্র শহর কলকাতা    ans-আজব শহর কলকেতা।

৪) “সামনে দেখি বড় বড় হরফে লেখা” বড় বড় হরফে কি লেখা ছিল?

  1. ফ্রেঞ্চ বুক শপ
  2. বুক শপ ইংলিশ
  3. বুক শপ বাঙালি
  4. বুক শপ   ans- ফ্রেঞ্চ বুক শপ

৫) “সেই ভরসায় ঢুকলুম”- লেখক কোথায় ঢুকলেন?

  1. কলকাতার বইয়ের  দোকানে
  2. ফ্রেঞ্চ বুক শপ দোকানে
  3. বাংলা বইয়ের দোকানে
  4. বাঙালির বইয়ের দোকানে      ans- ফ্রেঞ্চ বুক শপ দোকান।

৬) লেখক কাকে মুরুব্বী মানেন-

  1. কেদার চাটুজ্জকে
  2. মুখজ্জকে
  3. কেদার ঘোষকে
  4. কেদার বসুকে    ans-কেদার চাটুজ্জেকে

৭) ফরাসি কার দুশমন ?

  1. জার্মানির
  2. জাপানের
  3. ইংল্যান্ডের
  4. আমেরিকা     ans-জার্মানির

৮) “অতি সযত্নে তিনি আমার বইয়ের ফর্দ টুকে নিলেন”- কে ফর্দ টুকে নিলেন?

  1. বইয়ের দোকানদার
  2. বাঙালি পাবলিশার্স
  3. মেম সাহেব
  4. ইংরেজি বলার লোকটা        ans-মেম সাহেব

৯) “পৃথিবীর কি অদ্ভুত রীতি”- একথা কে বলেন?

  1. তুলসীদাস
  2. কালিদাস
  3. সৈয়দ মুজতবা আলী
  4. প্রেমচাঁদ        ans-তুলসীদাস

১০)বাঙালি ছোকরা দোকানে ঢুকে কিসের বই খুঁজছিলেন?

  1. কমার্শিয়াল আর্টস সম্বন্ধে
  2. কমার্শিয়াল সাইন্স সম্বন্ধে
  3. আর্টস সম্বন্ধে
  4. সাইন্স সম্বন্ধে     ans-কমার্শিয়াল আর্টস সম্বন্ধে

১১)“ততক্ষণে আমি একটা খাসা বই পেয়ে গিয়েছি”- উদ্ধৃত উক্তিটি কোন প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে?

  1. বই কেনা
  2. পঁচিশে বৈশাখ
  3. আজব শহর কলকেতা
  4. আড্ডা      ans-আজব শহর কলকেতা

১২) তুলসী দাস কি বলেছিলেন?

  1. পৃথিবীর কি অদ্ভুত রীতি
  2. পৃথিবী কি বিচিত্র
  3. পৃথিবীর কি অপরূপ সৌন্দর্য
  4. পৃথিবী অদ্ভুত রীতি        ans-পৃথিবীর কি অদ্ভুত রীতি

১৩) কেদার চাটুজ্জে চরিত্রটি কোন লেখক এর রচনায় পাওয়া যায়?

  1. পরশুরামের
  2. তুলসীদাসের
  3. রবীন্দ্রনাথ
  4. সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ       ans-পরশুরামের

১৪) “আজব শহর কলকেতা” প্রবন্ধে লেখক কোন ভাষার একটি গানের কথা উল্লেখ করেছেন?

  1. ফরাসি
  2. জার্মানির
  3. ইংল্যান্ড
  4. জাপান       ans- জার্মানির

১৫) লেখক যে বইয়ের দোকানে গিয়েছিলেন সেই দোকানে কে ছিলেন ?”

  1. দোকানদার
  2. একজন বাঙালি ছোকরা
  3. ফরাসি মেমসাহেব
  4. বাঙালি সম্পাদক        ans-ফরাসি মেমসাহেব

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের মূল বক্তব্য

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধে লেখক কলকাতার শহরের আজব কাণ্ডকারখানা তুলে ধরেছেন সংক্ষিপ্ত পরিসরে লেখক একটি ফরাসি বইয়ের দোকানে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন বই এর দোকানের নাম দেখে একটু অবাক হয়ে যান। বই এর দোকানের নাম ফ্রেঞ্চ বুক শপ বইয়ের দোকানটির সম্পর্কে লেখক এর ধারণা একটু ভিন্ন রকম ছিল কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখেন যে সেখানে বাঙালি দোকানদারের মতই বই সাজিয়ে রেখেছেন এছাড়া একজন বাঙালি ছোকরা দোকানে এসে কমার্শিয়াল আর্টস সম্বন্ধে বই খোঁজাখুজি করাই লেখক একটু আনন্দ পেয়েছিলেন বটে

পঞ্চতন্ত্র প্রবন্ধের প্রস্তুতি কিভাবে নেবে

পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থে মোট চারটি প্রবন্ধ আছে যেহেতু দ্বিতীয় সেমিস্টারে দিতে হবে 40 নম্বরের বড় প্রশ্নের উত্তর তাই প্রবন্ধগুলি শুধুমাত্র রিডিং পড়ে বিষয়বস্তু বুঝে নিতে পারলেই mcq উত্তর করে ফেলতে পারবে। চারটি প্রবন্ধের মধ্যে আড্ডাপ্রবন্ধটি একটু বড় আছে প্রায় আট পাতা প্রবন্ধ বাকি পঁচিশে বৈশাখ আজব শহর কলকেতা এবং বই কেনা প্রবন্ধ তিনটি সংক্ষিপ্ত সহজে রিডিং পড়ে বুঝে উঠতে পারবেন। সর্ব প্রথমে প্রবন্ধের চারটি পাঠ্য অংশ রিডিং পড়ে ফেলো। রিডিং পড়ে বিষয়বস্তুগুলি বুঝে নাও

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading