> আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণী » Qবাংলা

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর || একাদশ শ্রেণী

 Introduction:-একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারে class 11 second semester পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থের অন্তর্গত আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধটি পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছে। Class 11 2nd semester পঞ্চতন্ত্র পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে পাঠ্য হবে সেখানে চারটি প্রবন্ধ আছে। তার মধ্যে একটি প্রবন্ধ হল আজব শহর কলকেতা। এই আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ থেকে একাদশ শ্রেণীতে দ্বিতীয় সেমিস্টারে বড় প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের যে সমস্ত বড় প্রশ্নগুলি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি নিয়ে আলোচিত হলো

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ Class 11 

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত পঞ্চতন্ত্র নামক গ্রন্থের প্রথম পর্ব থেকে গৃহীত হয়েছে। এই প্রবন্ধে লেখক কলকাতার শহরের আজব এক কাণ্ডকারখানা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন যেখানে একটি বইয়ের দোকানের নাম ফ্রেঞ্চ বুক শপ লেখক প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো কোন ফরাসি এই দোকানটি খুলেছেন পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, দোকানে এক ফরাসি মেমসাহেব আছেন অবশ্য ওই দোকানটি ফরাসি মেম সাহেবের নয় দোকানটি তার বান্ধবীর বান্ধবীর অবর্তমানে ওই ফরাসি মেমসাহেবটি ফরাসি সাহিত্য প্রচার এর জন্য দোকানে বসে আছেন

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তরএকাদশ শ্রেণী। 2nd semester

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধটি থেকে শুধুমাত্র সেকেন্ড সেমিস্টারে অর্থাৎ একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের বড় প্রশ্নের উত্তরের জন্য পড়তে হবে। মূলত ৫ নম্বরের প্রশ্ন হবে এই প্রবন্ধ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী নিম্নে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করা হলো।

) “মেম সাহেব আমার ইংরেজি বুঝতে পারছেন না মহা মুশকিল”- মেম সাহেব কে? তিনি লেখক এর ইংরেজি বুঝতে পারছিলেন না কেন? লেখক কি মুশকিলে পড়েছিলেন?

উঃ) প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থের অন্তর্গত আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ থেকে আলোচিত অংশটি গৃহীত হয়েছে। আলোচ্য উক্তিটি বক্তা হলেন প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী 

মেমসাহেব: প্রাবন্ধিক মেম সাহেব বলতে কলকাতার এক ফ্রেঞ্চ বুক শপ নামি দোকানে অবস্থানরতা এক ফুটফুটে মহিলার কথা বলেছেন যিনি ছিলেন আদতে একজন ফরাসি মহিলা

মেম সাহেবের ইংরেজি না বোঝার কারণ:লেখক ফ্রেঞ্চ বুক শপ নামের এক বইয়ের দোকানে গিয়েছিলেন সেখানে ফরাসির এক মেমসাহেব ছিলেন যিনি ইংরেজি ঠিকমতো বলতে পারেন না তার কারণ তিনি এদেশে এসেছেন তিন মাস হয়েছে। ইংরেজি ঠিকমত বলতে পারেন না তাই লেখকের উত্তরে তিনি যতই ইয়েস ইয়েস বলেন না কেন, আসলে তার চোখে মুখে না, নো ফুটে উঠেছিল এ থেকেই লেখ বুঝতে পারেন যে মেমসাহেব ইংরেজি জানেন না

লেখকের মুশকিল: লেখক এতে একটু মুশকিলেতেই পড়েছিলেন কারণ তিনি ফরাসি ভাষায় কিছু বলতে গিয়েছিলেন। ফলে মেমসাহেব বলে ওঠেন যে, মহাশয় আপনি তো ফরাসি বলতেই পারেন। ফলে লেখককে তার পুরনো শেখা কিছু ফরাসি ভাষা বলতে হয়েছিল।

) “হাজারো দোষের মধ্যে একটা কিছু ভালো দেখতে পেলেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে”- এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? কিসের জন্য প্রশংসা করেছিলেন? কেন তারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে?

উঃ ) “আজব শহর কলকেতা নামক প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী এই অংশে ফরাসি জাতির কথা বলেছেন

প্রশংসা করার কারণ:- লেখক কলকাতার ফ্রেঞ্চ বুক শপ নামের এক দোকানে গিয়েছিলেন সেখানে এক ফরাসি মেমসাহেব ছিলেন সেই ফরাসি মেম সাহেব লেখকের মুখে নিজেদের মাতৃভাষা ফরাসি শুনে লেখক এর অনেক প্রশংসা করেছিলেন।

কেন তারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন: মেমসাহেব ঠিকমতো ইংরেজি বলতে পারছিলেন না তার কারণ তিনি সবেমাত্র তিন মাস হয়েছে এদেশে এসেছেন তাই লেখক এর মুখে কিছু ফরাসি শব্দ শুনে মেমসাহেব তাকে ফরাসিতে কথা বলতে বলেন লেখক বহুদিনের পুরানো শেখা ফরাসি ভাষাতেই তার সঙ্গে কথা বলেন এতে ফরাসি মেমসাহেব অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং উভয়ের মধ্যে অনেক কথোপকথন হয় এ থেকে লেখক অনুমান করেন যে, এটা ফরাসি জাতির একটা ভালো গুণ হাজারো দোষের মধ্যে তারা যদি একটা কোন ভালো গুণ খুঁজে পায়। তাহলে তারা তাদেরকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেয় ফরাসি মেমসাহেব যেমন খুশি হয়েছিলেন, তেমনি লেখক ও অনেক খুশি হয়েছিলেন

) “ততক্ষণে আমি একটা খাসা বই পেয়ে গিয়েছি”- উক্তিটির বক্তা কে? কোথায় বই পেয়েছিলেন? যে বই পেয়েছিলেন সেই বইয়ের পরিচয় দাও

উঃ) “আজব শহর কলকেতা নামক প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুস্তাফা আলী আলোচিত উক্তির বক্তা।

প্রাবন্ধিক সৈয়দ  মুজতবা আলী কলকাতায় ফ্রেঞ্চ বুক শপ নামে এক বইয়ের দোকানে গিয়েছিলেন সেখানে তিনি একটি খাসা বই পেয়েছিলেন

বইয়ের পরিচয়: লেখক যে বইয়ের দোকানে গিয়েছিলেন সেখানে একজন ফুটফুটে ফরাসি মেমসাহেব ছিলেন যিনি ইংরেজি ঠিকমত বলতে পারছেন না তার সঙ্গে তিনি ফরাসি ভাষায় কথা বলেছিলেন এতে মেমসাহেব অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। ততক্ষণে তিনি একটি খাসা বই পেয়েছিলেন সেই বইটি ছিল, ন্যুরনবর্গের মোকদ্দমায় যেসব দলিল দস্তাবেশ পাওয়া গেছিল। তাই দিয়ে গড়া হিটলারের চরিত্র বর্ণনহিটলার সম্বন্ধে তার দুষমন ফরাসিরা কিভাবে সেই নিয়েই এই বই লেখা

) “সামনে দেখি বড় বড় হরফে লেখা ফ্রেঞ্চ বুক শপ”- ফ্রেঞ্চ বুক শপ দোকানটি কেমন ছিল? সেখানে লেখকের কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল?

উঃ) লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী কলকাতার এক ফ্রেঞ্চ বুক শপ নামের দোকানে গিয়েছিলেন সেই দোকানে লেখকের এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয় যেখানে এক ফরাসি ফুটফুটে মেম সাহেব ছিলেন

দোকানের বিবরণ:-লেখক দোকানটি দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন যে, কোন ফরাসি হয়তো পথ হারিয়ে কলকাতা এসে পড়েছেন এবং তার ট্যাকে যেটুকু পয়সা আছে তা সে খোয়াবার আগেই একটা বইয়ের দোকান খুলে ফেলেছেন। লেখক এমনও ভেবেছিলেন বইয়ের নাম দেখে যে, বইয়ের দোকানটি আসলে হাতির দাঁতের মতো বাইরে দেখাবার জন্য কিন্তু জিববার জন্য ভিতরে দাঁত লুকানো আছে অর্থাৎ বাইরে শুধু নাম ফ্রেন্স বুক শপ কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখা যাবে অন্য মাল আছে

লেখকের অভিজ্ঞতা: এই ভরসাই লেখক দোকানের ভেতরে ঢুকলেন দোকানের ভেতরে গিয়ে দেখেন যে, সেখানে প্রচুর ফরাসি বই এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে হলুদ সাদা মোলাটে ভরা যত্রতত্র বই ছড়িয়ে রেখেছে ফরাসি আসলে কলকাতায় এসে বাঙালি হয়ে গেছে বাঙালি দোকানদারের মতোই বই সাজিয়ে রেখেছে টাইপরাইটার এর মত হরফ সাজানো করে এইভাবেই লেখক কলকাতার এক ফরাসি বইয়ের দোকানে গিয়েছিলেন এবং এক মেমসাহেবের সঙ্গে ফরাসি ভাষায় কথোপকথন করেছিলেন

আজব শহর কলকাতা প্রবন্ধের মূল বক্তব্য

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধে লেখক প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী কলকাতায় এক ফ্রেঞ্চ বুক শপ নামের দোকানে গিয়েছিলেন সেখানে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। বইয়ের দোকানের নাম দেখে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন কোন ফরাসি হয়তো কলকাতায় এসে পথ হারিয়ে ফেলেছে। তাই টাকার অভাবের জন্য তিনি বইয়ে দোকান খুলে ফেলেছেন। এই বই এর দোকানে তিনি ঢুকে তিনি অবাক হয়ে যান সেখানে দেখেন এক ফুটফুটে ফরাসি মেমসাহেব আছেন যিনি এদেশে এসেছেন মাত্র তিন মাস হয়েছে। ঠিকমতো ইংরেজি বলতে পারেন না তবু চালিয়ে দিচ্ছেন লেখকের সঙ্গে তার মাতৃভাষা ফরাসিতে কথা বলায় তিনি লেখক এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যান এভাবে লেখক কলকাতার আজব কাণ্ডকারখানার সম্মুখীন হয়েছিলেন

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading