> কোনি বড় প্রশ্ন উত্তর » Qবাংলা

কোনি বড় প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক wbbse  বাংলা বিষয়ের সহায়ক গ্রন্থের পাঠ্য গল্প উপন্যাস কোনি | গল্পটির রচয়িতা মতি নন্দী। মাধ্যমিকে প্রতিবছর তিনটি প্রশ্ন আসে। সেখান থেকে দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এই সিরিজে এ বছর মাধ্যমিকের যে প্রশ্নগুলি আসার সম্ভাবনা প্রবল সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করা হয়েছে।প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি উত্তর লেখার কৌশল গুলি ভালোভাবে লক্ষ্য কর | মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর জানতে অবশ্যই  click here

কোনি উপন্যাসের বিষয়বস্তু

উঃজনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক  মতি নন্দী রচিতকোনিউপন্যাসে, কোনি দারিদ্রতা এবং নানা বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো এবং সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতিশ সিংহের কঠোর অনুশীলন এবং উত্থান পতনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। জুপিটার ক্লাবের সদস্যরা ষড়যন্ত্র করে ক্ষিতীশকে প্রধান ট্রেনারের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করায় কিন্তু ক্ষিতীশ ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল না।  এক সময়ে কোনিকে আবিষ্কার করেন ক্ষিতীশ   ক্ষিতীশ কোনির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা  লক্ষ্য করেছিলেন তাই তিনি কোনিকেই বেছে নিলেন তার লড়াই এর শিষ্যা হিসেবে কোনিও একজন প্রকৃত সাঁতার প্রশিক্ষণকে পেয়ে নিজের সাফল্যের রাস্তা সুগম করতে থাকে।

প্রচণ্ড পরিশ্রম , ও  অধ্যবসায় এবং দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ– কোনিকে এনে দেয় সাফল্য  সঙ্গে যুক্ত হয়  ক্ষিতীশ সিংহের প্রশিক্ষণ হিয়া মিত্র , অমিয়া , রমা যোশী প্রমুখ বাংলা বাংলার বাইরের সমস্ত দক্ষ সাঁতারুকে পরাস্ত করে কোনি জয়ী হয় কোনি  ।  কোনির জীবনে নিরন্তর অনুপ্রেরণা কাজ করেছিল যে বাণী যা ক্ষিতিশ তার দেহ মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল তা হল- ফাইট কোনি, ফাইট ” ।

2) ‘কোনিউপন্যাসের চরিত্র- ক্ষিতীশ, কোনি, লীলাবতী, বিষ্টুচরণ, হিয়া, প্রণবেন্দু, অমিয়া, হরিচরণ,কমল, বেলা, ধীরেন,বিনোদ প্রমুখ

কোনি উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর

3) “কোনি” উপন্যাসে অবলম্বনে কোনির চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
ans-‘কোনি’ উপন্যাসের প্রধান কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনি। ক্ষিতীশের অভিভাবকত্বে কোনি, কিভাবে নিরলস অধ্যবসায় ও সমস্যার সাথে মোকাবিলা করে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছায়, তার কাহিনী এই উপন্যাসে পরিণত হয়েছে
ক্ষিতীশ কোনিকে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সহিষ্ণুতা শিখেছেন, জয়লাভের দিকে ঠেলে দিয়েছেন

দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়:কোনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। জন্ম থেকেই অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু এবং দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী গঙ্গায় আম কুড়ানো নিয়ে ঝগড়ায় হোক বা হিয়া মিত্রের হাতে আঘাত করে জল ফেলে দেওয়া হোক, সবকিছুর মধ্যেই যেন সমস্ত প্রতিকূলতাকে সরিয়ে আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে সদা তৎপর

কোনির প্রতিভা:- কোনি দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও তার মধ্যে প্রতিভা লুকিয়ে ছিল। ক্ষিতিশের মতো একজন যোগ্য প্রশিক্ষক তা খুঁজে বের করে তাকে সঠিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করেন প্রতিভা থাকলে সফলতার পথে কোন কাঁটাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না কোনি সেটাই বারবার প্রমাণ করেছে হরিচরণ থেকে শুরু করে তার সতীর্থরা তাকে আটকে রাখতে পারেনি সে সমস্ত বাধা কাটিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে

জেদি মানসিকতাঃকোনি চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তার জেদ জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতায় হিয়ার কাছে হেরে যাওয়া সে তা ভুলতে পারেনি জেতার জেদ তার চোয়ালকে আরো কঠিন করে তুলেছিল সেজন্য হয়তো ক্ষিতীশ বলেছিল এই রাগ বুকের মধ্যে পুষে রাখুক বড়োলোকের মেয়ে হিয়াকে চড় মারতেও তার হাত কাঁপেনি কোনির এই জেদকে ক্ষিতীশ কাজে লাগিয়ে তার কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করে, তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেয়।

দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই:- সফলতার রাস্তা যে সহজ হয় না তার প্রমাণ কোনি নিজে।কোনি দারিদ্র আর বঞ্চনার সঙ্গে লড়াই করে নিজের সাধনার প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে। কোনি ক্ষিতিশের কঠোর প্রশিক্ষণে নিজেকে তৈরি করে এবং সেই সঙ্গে নানান বাধা এবং অপমান সহ্য করে। ক্ষিতীশ কোনির জীবনে এসেছে দেবদূতের মতো কোনি ক্ষিতিশের সাহায্যে সমস্যার সাথে মোকাবেলা করেই সাফল্যের মুখ দেখেছে

4) কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও

উঃ- সাহিত্যিক মতি নন্দী রচিতকোনিউপন্যাসের প্রধান চরিত্র কনকচাঁপা পাল বা কোনি একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে অভাবের মধ্যেই তাদের জীবন যাপন।

 শ্যামপুকুর বস্তিতে কোনিদের বাসস্থান সাত ভাইবোনের মধ্যে কোনি চতুর্থ বড় ভাই কমল রাজাবাজারে একটা মোটর গ্যারেজে কাজ করে মাসে  দেড়শ টাকা উপার্জন করে, তাতেই তাদের পরিবারের অন্নসংস্থান হয়; মেজো ভাই ট্রেনের ইলেকট্রিক তারে প্রাণ হারিয়েছে। আর সেজো ভাই পিসির বাড়িতে কাঁচরাপাড়ায় থাকে কোনির পরেও রয়েছে দুই বোন এবং এক ভাই কোনির বাবা টিভি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আগেই মা আর বাকি ভাইবোনদের সঙ্গে কোনি থাকে বস্তির স্যাঁতসেঁতে ঝুপড়িতে তাই পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তার দাদা কমলের উপর

 কিন্তু তার বাবার অকাল মৃত্যুতে সাঁতার শেখা আর হয়ে ওঠে না শুধু তাই নয়, স্কুলের পড়াশোনাও তাকে ছাড়তে হবে।  কোনিকে সাঁতার শেখানোর মতো সামর্থ্য তার ছিল নাক্ষিতীশ প্রথম দিন কোনিদের বাড়ি গিয়ে দেখে কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা, কাঁচা পেঁয়াজ, ফ্যান এবং সম্ভবত তার মধ্যে কিছু ভাত আছে আর তেতুলকমলও টি.বি রোগে মারা যায়এর ফলে কোনিদের পরিবার চরম দুর্দশার মুখোমুখি হয় এইসময়ই ক্ষিতীশ তাদের পাশে অন্নদাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোনির প্রশিক্ষণ সহ তাদের পরিবারের অন্নসংস্থানের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল কোনিকে মাসিক চল্লিশ টাকার বিনিময়ে প্রজাপতি দোকানে কাজ দেন এবং কোনির মায়ের জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা করে দেন। এই ভাবেই উপন্যাসে কোনির পারিবারিক জীবনের চরম দারিদ্রতার ছবি ফুটে উঠে

5) ক্ষিদ্দা কীভাবে কোনির জীবনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল সে সম্পর্কে আলাচোনা করো অথবা: ক্ষিতীশ কিভাবে কোনিকে সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন করে তুলেছিল তা উপন্যাস অবলম্বনে সংক্ষেপে লেখ।

উঃ- মতি নন্দীরকোনিউপন্যাসে দরিদ্র পরিবারের সন্তান কোনি নিরলস অধ্যবসায় ও নানান সমস্যার সাথে মোকাবিলা করে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছায়। কোনির এই সাফল্যের পিছনে যে মানুষটি তার প্রকৃত পথপ্রদর্শক এবং প্রকৃত প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছিলেন, তিনি হলেন কোনির প্রিয় ক্ষিদ্দা তথা ক্ষিতীশ সিংহ।

সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন – খেলাধুলার প্রতি কোনির আগ্রহ ছিল ঠিকই কিন্তু তাকে সাঁতার শেখানোর মতো সামর্থ্য ছিলনা তার দাদা কমলের।  ক্ষিতীশই   কোনির মধ্যে সাঁতারের অসাধারণ প্রতিভার সন্ধান পান এবং তিনি বুঝতে পারেন এই মেয়েই ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়ন হবে। তাই ক্ষিদ্দা নিজে থেকেই তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ক্ষিতীশ কোনিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ সাঁতারু করে তোলেন  কোনি হল ক্ষিদ্দারই আবিষ্কার কোনি যে একজন সাঁতারু এবং তার আসল লজ্জা জলে এবং আসল গর্বও জলে’, একথা ক্ষিদ্দাই কোনিকে শিখিয়েছিলেন

সর্বদা তার সঙ্গে থেকেছেন। সর্বদা তাকে উৎসাহিত করেছেন। এমনকি কোনির দারিদ্রতা বা কোন বাধা যাতে তার প্রশিক্ষণের বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য তিনি কোনিকে  বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদদের জীবন সংগ্রামের কাহিনি শোনাতেন তার মতো দারিদ্রপীড়িত অতিসাধারণ ঘরের মেয়েরাও যে জীবনে সফল হতে পারে, ক্ষিদ্দাই কোনিকে সেই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেনক্ষিদ্দা কোনিকে দিয়ে যেমন কঠোর অনুশীলন করিয়েছেন তেমনি বিভিন্ন সময়ে কোনির জেতার জেদ তার বুকের মধ্যে পুষিয়ে দিয়েছিলেন। অমিয়া, হিয়ার প্রতি কোনির যে বিরূপ মনোভাব ছিল, ক্ষিদ্দা তাকে কাজে লাগিয়ে তার অনুশীলনে আরো বেশি করে শান দিতে থাকেন। কারণ, তিনি জানতেন এই তেজটাই সাঁতার কাটার সময় কোনিকে ক্ষিপ্র করে তুলবে

6) “জোচ্চুরি করে …… এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে”- কোনির এই অভিমানের কারণ কী? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

কোনির এই অভিমানের কারণ- জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মতি নন্দীরকোনিউপন্যাসের প্রধান চরিত্র কোনি নানা বাধা পেরিয়ে বাংলা সাঁতারু দলে স্থান পেলেও মাদ্রাজে গিয়ে ক্লাবকর্তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয় জাতীয়  দলে থাকলেও, তাকে কোন ইভেন্টে নামতে দেওয়া হয়নি, নানা অজুহাতে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল অবশেষে অমিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে কোনির ডাক পড়েছিল কিন্তু কোনি তার বিরুদ্ধে হওয়া এই অনাচারের জন্য সে অভিমান করে জলে নামতে রাজি হয়নি। এইজন্য কোনির অভিমান হয়েছিল

পরবর্তী ঘটনা – ৪×১০০ মিটার রিলে নামার জন্য কোনিকে ডাকতে আসে হিয়া কিন্তু এতোদিন ধরে তাকে বিনা কারণে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে কোনি ক্ষুব্ধ, মর্মাহত সে কোনোমতেই জলে নামতে রাজি হয়না হিয়া কোনিকে বোঝায় যে বেঙ্গল টিমের জন্যই তাকে প্রয়োজন কোনির অভিযোগ, হিয়া নিজের সোনার মেডেল নিশ্চিত করার জন্যই তাকে ডাকতে এসেছে উত্তেজিত হিয়া কোনিকে চড় মারার জন্য হাত তুললে কোনিও তাকে মারতে উদ্যত হয় কোনির কস্ট্যুম ছিল না, হিয়ার অতিরিক্ত কস্ট্যুমটা পরেই সে প্রস্তুত হয়জলে নামার আগে  সেখানে হাজির হন ক্ষিদ্দা

ফাইট, কোনি ফাইটবলে কোনিকে উৎসাহিত করে তোলেন। ক্ষিতীশকে দেখে, কোনি সুইমিংপুলের জলে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করার মনোবল ফিরে পেল রমা যোশির থেকে তিন সেকেন্ড পরে জলে নেমেও অসম্ভব গতিতে এগিয়ে আগেই বোর্ড স্পর্শ করে কোনি এবং সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন হয়

কোনি উপন্যাসের ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র

7) “কোনিউপন্যাস অবলম্বনে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র সংক্ষেপে আলাচোনা করো

:- কথাসাহিত্যিক মতি নন্দী কোনি উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র ক্ষিতীশ সিংহ বা ক্ষিদ্দা ছিলেন জুপিটার ক্লাবের সাঁতার প্রশিক্ষক তিনি ছিলেন একজন প্রকৃতই প্রশিক্ষক এবং পথপ্রদর্শক এবং প্রতিভার সদ্ব্যবহার করতে তিনি জানতেন

দক্ষ এবং প্রকৃত প্রশিক্ষক:  ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন একজন প্রকৃতই পথ প্রদর্শক এবং প্রশিক্ষক তিনি তার শিক্ষার্থীদের কঠোর অনুশীলন এবং অধ্যাবসায়ের পাশাপাশি কঠোরভাবে নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষা দিতেন আর এই কারণেই ‌জুপিটার ক্লাবের সদস্যদের কাছে তিনি অপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাছাড়া একজন প্রকৃত প্রশিক্ষক হিসেবেই তিনি কোনির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন

আদর্শ এবং সততা: তার নিজের প্রাণপ্রিয় ক্লাব জুপিটার, তার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করে, তাকে চিপ ট্রেনারের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তা সুইমারদের সঙ্গে অসাধু চক্রান্ত করে ক্ষিতীশকে ক্লাবছাড়া করার বন্দোবস্ত করেছিল  প্রিয় ক্লাবকে ছেড়ে দিতে কষ্ট হলেও ক্ষিতীশ নিজের সততা এবং আদর্শকে বিসর্জন দেননি। এমনকি, জুপিটার থেকে বিতাড়িত হবার পরেও তিনি মনেপ্রাণে জুপিটারকে ভালোবেসে গেছেন 

ক্রীড়াপ্রেমী:-  ক্ষিতীশ ছিলেন জুপিটার ক্লাবের ছাতার প্রশিক্ষক এবং সেই সঙ্গে তিনি ক্রীড়া প্রেমিক ছিলেন। কোনি মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ্য করে তাকে বিনা স্বার্থে চ্যাম্পিয়ন করে তোলার জন্য তার  কঠোর অনুশীলন এবং নানান বাধা অতিক্রম করে তাকে বাংলার জাতীয় সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন করে তোলেন। কোনির জন্য তাকেই অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল

প্রকৃত পথপ্রদর্শক: ক্ষিতীশ কোনিকে শুধুমাত্র অনুশীলনই করাননি। তিনি কোনিকে সঙ্গে নিয়ে নানা জায়গায় ঘুরেছেন তাকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিয়েছেন। বড় বড় ক্রীড়াবিদদের জীবন সংগ্রাম তাকে শুনিয়েছেন এমনকি তিনি কোনির মধ্যে জেতার তীব্র আগ্রহ তৈরি করে তোলেন এবং তার কানে এই মন্ত্র ঢুকিয়ে দেন যে– – সব পারে, মানুষ সব পারে

8)“ওইটেই তো আমি….তো আমি”- বক্তা কে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর

:- প্রখ্যাত কথা সাহিত্য মতি নন্দীরকোনিউপন্যাসে কোনির পথপ্রদর্শক এবং প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ একথা বলেছেন

উক্তিটির তাৎপর্য- মাদ্রাজে  ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ মুহূর্তে কোনি জলে নামার সুযোগ পেয়েছিল। কোনিকে নানাভাবে বঞ্চনা করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাকে কোন ইভেন্টেই নামতে দেওয়া হয়নি। শেষ মুহূর্তে বাংলার একজন অসুস্থ হলে তাকে জলে নামার সুযোগ দেওয়া হয়। জলে নেমে কোনি তার সর্বশক্তি দিয়ে রমা যশীকে হারিয়ে বাংলার জয় নিশ্চিত করেন। জল থেকে উঠে এসে কোনি ক্ষিতীশকে তার ভীষণ যন্ত্রণার কথা বললে, সেই উদ্দেশ্যে খেতিস মন্তব্য করে।- “ওইটাই তো আমি রে যন্ত্রণা টাই তো আমি”

ক্ষিতীশ ছিলেন একজন দক্ষ সাঁতারু প্রশিক্ষক। তার অনুশীলনের মূল মন্ত্র ছিল কঠোর তপস্যা, কঠোর অনুশীলন। তার বিশ্বাস ছিল যে শরীরকে ঘষে ঘষে সানিয়ে তুললে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় । তিনি কোনির প্রশিক্ষণে কোনরকম  খামতি রাখেননি। তাকে অসম্ভব যন্ত্রণা দিয়ে সাঁতারের দক্ষ করে তুলেছিলেন অর্থাৎ তিনি জানেন তার যে, শিক্ষার্থীরা, যত বেশি যন্ত্রণা উপভোগ করবে, যত বেশি কঠোর অনুশীলন রক্ত করবে,  তত তাড়াতাড়ি সাফল্যের শিখরে পৌঁছাবে। যার প্রমাণ কোনি। 

“9) “অবশেষে কোনি …..তার দলে জায়গা পেল”- কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল তা সংক্ষেপে লেখো। 

উ:- মতি নন্দীরকোনিউপন্যাসে কোনি এক হত দরিদ্র পরিবারের বস্তির মেয়ে থেকে জাতীয় স্তরে সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু কোনির এই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠার উত্তরণের পথ সহজ ছিল না। ক্ষিতীশ কোনির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা লক্ষ্য করেছিলেন। 

কোনিকে জাতীয় সাঁতারু দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অনুশীলন এবং পাশাপাশি বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। মূলত দুই ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। প্রথমত:- তার পরিবারের দারিদ্রতা। দ্বিতীয়তঃ- জুপিটার ক্লাবের সদস্যদের ক্ষিতীশ বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই। কোনি একজন সাধারণ বস্তির মেয়ে । সেজন্য ক্লাব কর্তারা তাকে দলে সুযোগ দিতে চাননি।  মাদ্রাজ জাতীয় সাঁতারু দলে নির্বাচনী সভায় হিয়ার প্রশিক্ষক প্রণবেন্দু বিশ্বাস প্রথম কোনিকে দলে নেওয়ার কথা বলেন।

কিন্তু তাতে অন্যান্য সদস্যরা রাজি ছিলেন না। কারণ তাদের ক্ষিতীশ বিরোধী বিদ্বেষ। কিন্তু প্রণবেন্দু  বিশ্বাস স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন “কনকচাঁপা পাল কে বাংলা দলে রাখতে হবে” কারণ প্রণবেন্দু বিশ্বাস জানতেন যে, কোনি জুপিটার ক্লাবকর্তাদের বঞ্চনার শিকার তাছাড়া কোনি হিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্বেও তিনি কোনিকে বাংলা দলে নিতে চেয়েছিলেন 

ধীরেন ঘোষ, বদু চাটুজ্যেরা প্রমুখ জুপিটার ক্লাবের কর্তারা প্রণবেন্দুর প্রস্তাবে রাজি না হলে, প্রণবিন্দু সরাসরি জানিয়ে দেন যে, কোনিকে বাংলার জাতীয় দলের না নেওয়া হলে, বালিগঞ্জ ক্লাবের কর্তারাও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে কোন সুইমার পাঠাবে না। এর ফলে জুপিটার ক্লাবেকর্তারা তথা ক্ষিতীশ বিরোধী দল প্রণবেন্দুর প্রস্তাবের কাছে মাতা নত করতে বাধ্য হয় এবং কোনিকে বাংলা দলে বাংলা জাতীয় দলে স্থান দেওয়া হয়। এই ভাবেই জাতীয় নির্বাচনী সভায় তুমুল তর্কবিতর্কের পর শেষ পর্যন্ত কোনিকে বাংলা দলে বাংলা জাতীয় দলে নেওয়া হয়।

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading