কোন সহায়িকা বই ভালো ?- মাধ্যমিক WBBSE এবং উচ্চমাধ্যমিকের WBCHSE প্রায় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী কোনো না কোনো কোম্পানির বা লেখকের বাজার চলতি সহায়িকা বই ব্যবহার করে থাকে।কোন সহায়িকা বই ভালো ?- এমনকি বহু শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন– যারা এই সহায়িকা বই দেখে দেখে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, সহায়িকা বই থেকে উত্তরও তাদেরকে লিখিয়ে থাকেন। ছাত্র-ছাত্রীরা সেই সহায়িকা বইয়ের কপি বা নকল করে পরীক্ষার খাতায় লিখে দেয়। বাজার চলতি এইসব সহায়িকা গুলো কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেমন
- প্রায় প্রতিটি বাজার চলতি সহায়িকা বইগুলিতে উত্তরের মান নিম্নমানের
- প্রায় প্রতিটি সহায়িকা বইগুলি লেখা হয় সব ধরনের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে সহজে বুঝতে পারে। যাতে সহজে তারা কম পরিশ্রমে লিখতে পারে। তাই সহায়িকা বইগুলোর উত্তর গুণগতমান কম হয়ে থাকে।
- যে সমস্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় টপার রেজাল্ট করতে চায় বা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর তুলতে চায়। তাদের ক্ষেত্রে সহায়িকা বই দেখে দেখে উত্তর লেখা সমুচীন হবে না
- যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী কম পরিশ্রম করতে চায় বা যারা টেক্সটবই ভালোভাবে পড়ে না বা অনেকগুলি প্রশ্নের উত্তর করতে চায় না বা যেমন করে হোক পাস করতে হবে বা বেশি নাম্বার তোলার ক্ষমতা রাখেনা- তাদের ক্ষেত্রে সহায়িকা বই অত্যন্ত ভালো। তারা সহায়িকা বই ব্যবহার করে উত্তর লিখলে তাদের ক্ষেত্রে কোন ক্ষতিকর ব্যাপার নয়।
- যারা বেস্ট রেজাল্ট করতে চায় বা জীবনে একটা বড় ধরনের কিছু করতে চাই- তাদের ক্ষেত্রে সহায়িকা বই ব্যবহার করা ভালো হলেও কিন্তু সহায়িকা বই কপি করে বা নকল করে উত্তর লেখা একদম উচিত নয়। কেননা সহায়িকা বইয়ের উত্তর অধিকাংশ ছেলে মেয়ে লেখে। তাই উত্তরের মান সবার প্রায় এক হয়ে যায়। সেজন্য নম্বরটা গড় দিয়ে দেওয়া হয়।
তাছাড়া যে সমস্ত কোম্পানি বাংলা সহায়িকা বই পাবলিস করে থাকে- তারা যাতে বাজারে বেশি করে বইটি বিক্রি হয় বা তাদের যাতে লাভ হয় সেই দিকে নজর রেখে বইগুলোর উত্তর লিখে পাবলিস করে। তাই বইয়ের উত্তর ভালো বা কি খারাপ বা কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তর লিখলে সে সর্বোচ্চ নম্বর পাবে– সেই দিকে তারা নজর রাখে না। তারা নজর রাখে প্রচুর পরিমাণে অবাঞ্চিত প্রশ্ন। একই প্রশ্ন বারবার উত্তর দেওয়া বা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর একই রকম দেওয়া বা অতিরিক্ত অনেক কিছু জিনিস প্রযুক্ত করে বইটাকে ভারী করে তোলা।
কোন সহায়িকা বই ভালো ?
এখন প্রশ্ন হল তাহলে কি সহায়িকা বই ব্যবহার করা উচিত নয়? বা সহায়িকা বই কেনা উচিত নয়? বা সহায়িকা বই পড়া উচিত নয়?- বিষয়টি কিন্তু একদমই তা নয় । সহায়িকা বই মানে তোমাকে উত্তর লিখতে সাহায্য করবে। বিষয়বস্তু বুঝতে সাহায্য করবে। শব্দার্থ টিকা উৎস অন্যান্য প্রসঙ্গ– জানতে সাহায্য করবে। তবে উত্তরের ক্ষেত্রে তোমাকে একটু চালাকি করতে হবে। তুমি যেকোন সহায়িকা বই কিনতে পারো কিন্তু তাতে যে প্রশ্নের উত্তর করা আছে– সেগুলি হুবহু কপি করতে যাবেনা বা সহায়িকা বইয়ের উত্তর তোমার পরীক্ষার খাতায় লিখে দেবে না উত্তরগুলি তুমি নিজে তৈরি কর বা
⇒ কোন সহায়িকা বই ভালো ?- তোমার যে টিউশন শিক্ষক মহাশয় আছেন তাকে দিয়ে প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে নাও। বা আলাদা ইউনিক উত্তর তৈরি করার চেষ্টা করো। যাতে সহায়িকা বইয়ের কপি করা উত্তর না হয় । তুমি যদি জীবনে ভালো রেজাল্ট করতে চাও বা পরীক্ষার সর্বাধিক নাম্বার পেতে চাও– তাহলে তোমাকে সহায়িকা বইয়ের উত্তর লেখা বন্ধ করতে হবে।
সহায়িকা বইয়ের সাহায্যে কিভাবে ইউনিক উত্তর তৈরি করব ?
কোন সহায়িকা বই ভালো ?-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল– তুমি তোমার উত্তর ইউনিক বা সবার থেকে আলাদা কিভাবে তৈরি করবে? তোমার হাতে নিশ্চয়ই কোন না কোন কোম্পানির সহায়িকা বই থাকবে বা তুমি একটা বাজার চলতি সহায়িকা বই কিনেছো– সেটাকে অবলম্বন করে যে প্রশ্ন পরীক্ষায় আসবে বা গুরুত্বপূর্ণ সেটা সহায়িকা কিভাবে লেখা আছে– আগে সেই উত্তর দেখো এবং তারপর তোমার টেক্সট বইটাকে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখো। সেখানে কি কি দেওয়া আছে। এবার তোমার মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়ে যাবে যে কিভাবে উত্তরটা তুমি তৈরি করবে বা লিখতে পারবে এক্ষেত্রে তুমি তোমার টিউশন শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারো। চেষ্টা করো যতটা সম্ভব টেক্স বইকে অবলম্বন করে নিজের উত্তর তৈরি করা।
বিভিন্ন বাজার চলতি সহায়িকা বইয়ের ধরন
কোন সহায়িকা বই ভালো ?-বর্তমানে বাজারে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি বা নানা ধরনের লেখকের সহায়িকা বই বিক্রি হচ্ছে। এবং বিভিন্ন জেলাভিত্তিক এক একটা কোম্পানির বই বিখ্যাত হয়ে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীরা সেই সমস্ত কোম্পানির বই কিছু না দেখে। কিছু না বুঝে বাড়িতে কিনে নিয়ে চলে আসে। ওই সমস্ত সহায়িকা বৈ বইগুলির সাধারণ বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো জানলে তোমাদের ও সহায়িকা বইয়ের আসল উদ্দেশ্য জানতে পারবে। এবং এগুলি হল
- প্রায় প্রতিটি সহায়িকা বই সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিকে নজর রেখে লেখা হয়ে থাকে অর্থাৎ যারা একটু নিম্নমানের শিক্ষার্থী বা যারা উত্তর প্রায় লিখতে পারে না। তাদের দিকে নজর রেখে সহায়িকা বইগুলি লেখে। কারণ এই সমস্ত কোম্পানিগুলো জানে যে যারা ভালো ছেলে তাদের তুলনায় মাঝারি বা যারা একটু লো মেরিটের শিক্ষার্থী তাদের সংখ্যাটাই সবচেয়ে বেশি আর এদেরই সহায়িকা বইয়ের প্রয়োজন। তাই তারা উত্তরগুলো সেই রকমই লিখে থাকে।
- যারা টপার রেজাল্ট করে বা যারা ক্লাসে ফাস্ট হয় বা যারা বোর্ড পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে থাকে বা রেংক করে থাকে তারা কিন্তু কখনোই কোন কোম্পানির সহায়িকা বই এর উত্তর হুবহু কপি করে লিখে না। তারা প্রচন্ড পরিশ্রম করে নিজেরা উত্তর তৈরি করে ইউনিক বা সবার থেকে আলাদা উত্তর লেখার চেষ্টা করে । এই জন্যই তারা টপার হয় বা ফাস্ট হয়
- বিভিন্ন কোম্পানি সহায়িকা বই গুলিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর আলাদা আলাদা ভাবে উত্তর করা থাকে এবং তারা চেষ্টা করে যতটা সম্ভব প্রশ্নের সংখ্যা বাড়াতে। যত বেশি সংখ্যা হবে বই তত বেশি বাজারে বিক্রি হবে। সেজন্য তারা অবাঞ্চিত নানান ধরনের প্রশ্ন বাড়িয়ে সহায়িকা বইটিকে ভারী করে তোলে। এজন্য তোমরা দেখে থাকবে সহায়িকা বইগুলিতে প্রচুর প্রচুর পরিমাণে প্রশ্ন থাকে কিন্তু ওই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর তুমি নিজেও তৈরি করতে পারবে।
কোন সহায়িকা ব্যবহার করব ?
কোন সহায়িকা বই ভালো ?-তুমি যে কোন সহায়িকা বই ব্যবহার করতে পারো কোন অসুবিধা নেই কিন্তু মনে রাখবে তোমাকে ফার্স্ট হতে গেলে বা টপার রেজাল্ট করতে গেলে তোমার উত্তর কিন্তু ইউনিক হতে হবে অর্থাৎ সবার থেকে আলাদা যেন হয়ে থাকে । এর জন্য তুমি কি করবে তা আগেই বলা হয়েছে। তুমি যে কোন কোম্পানির একটি সহায়িকা বই কিনে হাতের কাছে রাখতে পারো । সেটা তোমার সময়ে অসময়ে তোমাকে সাহায্য করবে।
⇒ কোন সহায়িকা বই ভালো ?- কোন কিছুর টিকা অংশ তোমাকে জানতে সাহায্য করবে বা হয়তো এমন একটা প্রশ্ন আছে যার উত্তর তুমি করতে পারছ না সেটা তুমি সহায়িকা বইয়ে গিয়ে দেখে নিতে পারো। একটু সাহায্য নিতে পারো কিন্তু ওই উত্তরটাই তুমি লিখবে না। তুমি টেক্সট বইটি ফলো করে উত্তর তৈরি করো বা তোমার টিউশন শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নাও। তোমার টিউশন শিক্ষক নিশ্চয়ই তোমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবে।
মাধ্যমিক বাংলা কীভাবে উত্তর লিখতে হয়- Click Here
বোর্ড পরীক্ষায় সহায়িকা বইয়ের উত্তর লেখা কি উচিত ?
মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের মতো বড় ধরনের বোর্ড পরীক্ষায় তুমি সহায়িকা বইয়ের উত্তর লিখবে কি লিখবে না– সেটা তোমার উপর ডিপেন্ড করছে। তুমি যদি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে চাও বা বিদ্যালয়ে টপার রেজাল্ট করতে চাও বা বোর্ড পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর তুলতে চাও– তাহলে কিন্তু তোমার সহায়িকা বইয়ের উত্তর লেখা একদমই উচিত নয়। কারণ সহায়িকা বইয়ের উত্তরের মান খুব ভালো নয়। সহায়িকা বইয়ের উত্তর– যাতে সবাই লিখতে পারে সেই দিকে নজর রেখেই লেখা হয়েছে।
»»কোন সহায়িকা বই ভালো ?- তাই তুমি সহায়িকা বইকে ব্যবহার করে কিভাবে তোমার উত্তর আলাদা করবে বা কিভাবে তুমি একটা ইউনিক উত্তর তৈরি করবে– সেটা তোমার টিউশন শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে করতে পারো। তবে যারা সাধারণ ছেলে মেয়ে বা লো মেরিটের শিক্ষার্থী তাদের ক্ষেত্রে সহায়িকা বই ভালো কারণ তাদের কাছে বিকল্প কোন রাস্তা নেই। তাই তারা সহায়িকা বই উত্তর কপি করে বা মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারে।
সহায়িকা বইয়ের উত্তর লিখলে কি ফুল মার্কস পাওয়া যায় ?
সহায়িকা বইয়ের উত্তর হুবহু কপি করে তোমার পরীক্ষার খাতায় বা বোর্ডের পরীক্ষায় যদি লিখে আসো তাহলে ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। ফুল মার্কস পাবে না বললেই চলে। কারণ ওই সহায়িকা বইয়ের উত্তর আরো বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীরা লিখে আসবে। তাই উত্তরের মান তো একই হয়ে যাবে । তাই সহায়িকা বইয়ের উত্তর লিখলে পরীক্ষক ফুল মার্কস দিতে চান না। যাদের উত্তর আলাদা হয় বা একটু খেটে উত্তর তৈরি করে লিখেছে। বা উত্তরটা ইউনিক হয়েছে বা কোন কবিতা গল্পের লাইন ব্যবহার করে উত্তর লিখেছে– তাদের উত্তরের মান খুব ভালো হয়। এবং পরীক্ষক ফুল মার্কস দিয়ে থাকেন।কোন সহায়িকা বই ভালো ?
কিভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেব ?
কোন সহায়িকা বই ভালো ?-বোর্ড পরীক্ষা জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। তাই বোর্ড পরীক্ষায় যাতে খুব ভালো নাম্বার ওঠে বা সবচেয়ে বেশি নাম্বার পাওয়া তার জন্য তোমাকে অনবরত পড়াশোনা এবং অভ্যাস করে যেতে হবে। বিভিন্ন সাবজেক্টের বিভিন্ন খাতা তোমার নিজের জন্য রাখতে হবে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে, প্রশ্ন-উত্তর সল্ভ করতে হবে। নিজেকে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রতিনিয়ত লেখা অভ্যাস করো। প্রশ্ন নিজে তৈরি করে নিজে উত্তর লেখার চেষ্টা করো। একটা রুটিন তৈরি করে রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা কর।