> মাধ্যমিক বাংলা সংলাপ রচনা class10 » Qবাংলা

মাধ্যমিক বাংলা সংলাপ রচনা class10

 WBSE মাধ্যমিক বাংলা সংলাপ রচনা। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিকের বাংলায় সংলাপ রচনা লেখা খুবই সহজ। অল্প কথায় গুছিয়ে সুন্দর করে লিখতে পারলে ফুল মার্কস পাওয়া যায়। প্রতিবেদন লেখাও খুব সহজ। তোমরা মাধ্যমিকে প্রতিবেদন এবং সংলাপ এই দুটি যে কোন একটি বিষয় নিয়ে প্রস্তুতি তৈরি কর। যারা সহজে প্রতিবেদন লেখার টেকনিক বা সংলাপ লেখার সহজের টেকনিক চাইছো তারা qbangla.com সাইটটিকে ফলো করো সমস্ত সমস্যার সমাধান তোমরা পাবে।

মাধ্যমিক বাংলা সংলাপ রচনা

1.সম্প্রতিক তোমার বিদ্যালয়ে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হল- এই বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা কর।

 বৃক্ষরোপণ বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ রচনা:-

শুভজিৎ:  রন , আমাদের বিদ্যালয় তো আজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হল। আমরা প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী একটি করে বৃক্ষরোপন করলাম আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
রন:   হ্যাঁ। খুবই ভালো একটি কর্মসূচি। আমিও এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমিও নিজের হাতে বিদ্যালয়ের ফাঁকা জায়গায়- একটি গাছ রোপণ করেছি।

শুভজিৎ:  আমার মনে হয় পৃথিবীকে সবুজময় করে তুলতে বা পৃথিবীতে সবুজের সমারোহ গড়ে তুলতে প্রতিবছরই এরকম একটি করে বনসৃজন কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রত্যেকের প্রয়োজন।
রন:  হ্যাঁ শুভজিৎ তুই ঠিকই বলেছিস। যেভাবে আমাদের বৃক্ষচ্ছেদন করে নগরায়নের পরিকল্পনা চলছে তাতে একদিন এই সবুজ নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই তাকে রক্ষা করতে হলে প্রতিটি মানুষকে বৃক্ষরোপণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

শুভজিৎ:   হ্যাঁ এটি একটি সফল কার্যকরী উপায়। আমাদের বিদ্যালয়ে এরকম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আমি নিজেকে খুবই গর্ববোধ করছি। আমরা সকল ছাত্র-ছাত্রীরা অতি আনন্দ উৎসাহের সঙ্গে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। প্রত্যেককেই একটি করে চারা রোপন করেছি।
রন:    এটি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। আমাদের স্যার ম্যাডামেরা সহযোগিতা করেছেন। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী একটি করে চারাগাছ নিয়ে এসেছিল বিদ্যালয়ে। প্রত্যেকেই নিজের হাতে করে সেই চারা গাছ রোপন করেছে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফাঁকা অংশে।

শুভজিৎ:    হ্যাঁ আগামী ছয় সাত মাসের মধ্যে সেই সব চারা গাছ সবুজে ভরে উঠবে এবং বিদ্যালয় চারি পাশে সবুজের ঘেরা হয়ে উঠবে।
রন:   হ্যাঁ। আর তখন আমাদের বিদ্যালয় দেখতে খুব সুন্দর লাগবে এবং আমাদের বিদ্যালয়ের চারিপাশে প্রকৃতিও আমরা উপভোগ করতে পারব।

শুভজিৎ:  শুধু প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবে কেন? প্রকৃতির একটা ভারসাম্য যে রক্ষিত হবে সেটাও কিন্তু কম অবদানের কথা নয় । আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেহারে বৃক্ষচ্ছেদন ঘটছে- সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নগণ্য মাত্র একটি কাজ করেছি। এটা বৃহত্তম অংশের ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে।
রন:    এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষ গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে- তার জন্য আমরা ছাত্র-ছাত্রীরাই উদ্যোগ নিতে পারি। যেমন ভাবে আমরা গুরুত্ব বুঝে এর উদ্যোগ নিলাম ঠিক সেই ভাবে।

শুভজিৎ:   ঠিক আছে রন। আজকের কর্মসূরিতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং ভবিষ্যতে এরকম কর্মসূচি আরও করতে চাই। আজ তাহলে এই পর্যন্তই পরে দেখা হলে আরও এই বিষয়ে কথা বলব।
রন:    হ্যাঁ ঠিক আছে পরে দেখা হলে বিস্তারিত আমরা আলোচনা করব। ওকে বাই।
শুভজিৎ: ওকে বাই।

2.  বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ রচনা কর

 ফুটবল ম্যাচ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ রচনা

অণয়:   প্রণব ,  আজকের ম্যাচ দেখলি তো। কেমন ভাবে আমরা জিতে গেলাম। দারুন খেললো কিন্তু আমাদের টিম।
প্রণব: হ্যাঁ , দেখলাম। দারুন ভাবে জিতেছে আমাদের টিম। খুব উপভোগ করলাম আজকের খেলা।

অণয়:   তবে যাই বলিস ফাইনালে কিন্তু আমাদের টিম জিতবে, তুই দেখে নিস। আজকে যেভাবে বিপ্লব খেললো এবং দারুণভাবে যে গোলটা করেছে- তাতে ফাইনালে নিশ্চিত ও আবার একটা গোল করবে।
প্রণব:   শুধু বিপ্লব কেন। আমাদের যে গোলকিপার শুভময় সেও তো দারুন ভাবে কতগুলো গোল সেভ করেছে। ও না থাকলে আমরা প্রায় হেরে যেতাম। অনেকগুলো নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে আমাদের।

অণয়:   হ্যাঁ , অবশ্যই শুভময় কিন্তু একটা দারুন প্লেয়ার। গোলকিপার হিসেবে দারুণ খেললো আজকে। ও আমাদের সবার মন জয় করে নিল।
প্রণব:   তবে যাই বলিস খেলার শেষে আমরা যে জিতলাম। তার যে উল্লাস আমরা করছিলাম। সেই উল্লাসে আমাদের স্যারেরাও কিন্তু অংশগ্রহণ করেছিলেন। স্যারেরাও ভীষণভাবে আনন্দ উপভোগ করেছিলেন। সত্যিই আজকের দিনটা অন্যরকম। খুব মজার ব্যাপার

অণয়:   হ্যাঁ । অভিজিৎবাবু তো প্রায় মাঠে নেমেই পড়ছিলেন। নিজেকে সামলাতেই পারছিলেন না। উত্তেজনা এমন পর্যায়ে চলে গেছিল।
প্রণব:   যদিও বৃষ্টির কারণে খেলা মাঝখানে দমে গেছিল কিন্তু তারপর যে উদ্যমে আমাদের ১১ জন ছেলে দৌড়াদৌড়ি করে খেললো সত্যিই অবিশ্বাস্য ব্যাপার।

অণয়:   দেখ ভাই। ফাইনালও কিন্তু এর থেকেও একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চাই । কোনোমতেই এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়া যাবে না। আমরা কিন্তু জিতবই।
প্রণব:   সে তো অবশ্যই সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।

অণয়:    ঠিক আছে ভাই। তাহলে আমরা ফাইনালের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ওকে বাই।
প্রণব:   ওকে। ভাই পরে দেখা হলে কথা হবে।

3. জীবনের লক্ষ্য- নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ রচনা কর।

জীবনের লক্ষ্য কি এই বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ:-
অমিত:  সুব্রত, ভালো আছিস?
সুব্রত:  হ্যাঁ ভাই অমিত। ভালো আছি। তুই কেমন আছিস?

অমিত:  হ্যাঁ সুব্রত। আমি ভালো আছি। তারপর বল কি করছিস?
সুব্রত:   এইতো । আর কি । সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই পড়াশোনা জোর কদমে চলছে। আর তুই কি করছিস?

অমিত:  আমারও তাই। আচ্ছা মাধ্যমিকের পর ভবিষ্যতে কি হতে চাইছিস? কিছু ভেবে রেখেছিস?
সুব্রত:   এখন সেরকম কিছু ভাবছি না। তবে আমার বাবা মায়ের ইচ্ছা, আমি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হব।

অমিত:   ও খুব ভালো। আমি তো একদম ঠিক করেই রেখেছি। আমি বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়বো। এবং একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং হয়ে, নিজের ক্যারিয়ার শুরু করব।
সুব্রত:   আমি বড় হয়ে আমার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করব। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ক্যারিয়ার শুরু করব। আমি নিজেকে ভবিষ্যতে শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই। সেই জন্য আমার পড়াশোনাটাও সেই রকম ভাবেই আমি করছি।

অমিত:  হ্যাঁ । শিক্ষকতা একটা খুব ভালো পেশা । সমাজে অনেক সম্মানও আছে।
সুব্রত:  হ্যাঁ অবশ্যই। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং-এও অনেক কদর বর্তমানে আছে। ভালোভাবে পড়াশোনা করলে ইঞ্জিনিয়ারিংও সফল ক্যারিয়ার শুরু করা যায়।

অমিত: হ্যাঁ অবশ্যই। তবে সব সফলতা কিন্তু অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমের উপর নির্ভরশীল। আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারলেই, আমাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হব।
সুব্রত:   হ্যাঁ । একদমই ঠিক বলেছিস। পরিশ্রম ছাড়া নিজের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব নয়।

অমিত:   তবে আমার ইঞ্জিনিয়ারিং হবার পিছনে একটি কারণ আছে। আমার বাবা নিজে একজন ইঞ্জিনিয়ার । তাই আমিও আমার বাবার পথ অনুসরণ করে, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।
সুব্রত:   অবশ্যই । তবে আমি নিজেকে শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাইছি। কারণ শিক্ষকতা পেশা আমার ভালো লাগে। এই পেশাকে আমি খুব ভালোবাসি। তাই ভবিষ্যতে আমি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নই দেখছি।

অমিত:   হ্যাঁ । ঠিক আছে ভাই । স্বপ্নকে অবিচল রেখে কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে সামনে এগিয়ে চল।
সুব্রত:    অবশ্যই ।
অমিত:   ঠিক আছে ভাই । পরে দেখা হলে কথা হবে। সুব্রত: ঠিক আছে। ওকে । গুড বাই।

4. “বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে এক ছাত্রীর মৃত্যু” এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

 | বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে এক ছাত্রীর  মর্মান্তিক  মৃত্যু |

গুরাপ, খাজুরদহ; ১৭ আগস্ট ২০২৩: হুগলির গুড়াপ থানার অন্তর্গত খাজুরদহ-মেল্কি পঞ্চায়েতের খাজুরদহ গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক ছাত্রীর মৃত্যু ঘটল। ওই ছাত্রীর নাম তনয়া দাস। খাজুরদহ উচ্চ বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণীর পাঠরতা। এদিন বৃষ্টির পর স্কুল ছুটি হওয়ার পথে বাড়ি ফিরছিল তনয়া। রাস্তায় একটি বিদ্যুতের তার পড়েছিল। সেখানে বৃষ্টির জল আটকেছিল। সেখান দিয়ে যাবার সময় বিদ্যুত পিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটেছে তনয়ার। তনয়ার মৃতদেহ নিয়ে তার বাবা মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনায় গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখায় । গুড়াপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় বিদ্যুতের তার মেরামতের ব্যবস্থা করা ছিল না। বহু পুরনো তার ছিল । তাই হয়তো কোন কারনে সেই তার কেটে নিচে পড়ে যায় এবং জমা জলের উপর সেই তার পরে থাকে। এর ফলেই ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি করে। এতে বিদ্যুৎ দপ্তরের অবহেলার কারণই দেখতে পাচ্ছে গ্রামবাসীরা । গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসছে। ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এলাকার এম.এল.এ শোক প্রকাশ করেছেন । ওই ছাত্রীর মৃত পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসও তিনি জানিয়েছেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading