> শিক্ষার সার্কাস প্রশ্নোত্তর class11 » Qবাংলা

শিক্ষার সার্কাস প্রশ্নোত্তর class11

class11 বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য “শিক্ষার সার্কাস” কবিতা | কবিতাটির রচয়িতা আইয়াপ্পা পানিকর| প্রিয় ছাত্র ছাত্রী এই সিরিজে এই গল্প থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে| সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এই সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে | ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য করো। class11 বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই click here

শিক্ষার সার্কাস বড় প্রশ্ন উত্তর

) “সব শিক্ষা একটি সার্কাস” – “শিক্ষার সার্কাস” কবিতা অবলম্বনে শিক্ষা সার্কাসের সঙ্গে কিভাবে তুলনীয় তা আলোচনা কর। / অথবা- কবি কেন শিক্ষাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন তা কবিতা অবলম্বনে সংক্ষেপে লেখ।

উঃ) প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায়, পুঁথিগত বিদ্যাপাঠ করে পরীক্ষার মাধ্যমে পরের শ্রেণীতে যাওয়ার একটা মাধ্যম তৈরি করছে। তাই  আইয়াপ্পা পানিকর তার “শিক্ষার সার্কাস” নামক কবিতায় ভারতীয় অন্তঃসারশূন্য শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

সার্কাসে পশুকে যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়, পশু ঠিক সেই ভাবেই আচরণ করে মানুষকে বিনোদন দেয়। প্রভু তাদেরকে যে শিক্ষা দেয়, সেই শিক্ষার বাইরে তারা কিছু আচরণ করতে পারে না। বর্তমানে আমাদের ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায়ও  এই সার্কাসের মতোই। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তক মুখস্ত করে পরীক্ষার মাধ্যমে পরের শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে আড়াল করা হচ্ছে।  প্রচলিত বা প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীকে একের পর এক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করছে ঠিকই কিন্তু শিক্ষার্থী প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে না।

ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় এই এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যবস্থাকেই কবি সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সার্কাসে যেমন পশুরা বারবার একই খেলার পুনরাবৃত্তি করে, বর্তমান শিক্ষা ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীরা যেন বারবার একই বিষয় পুনরাবৃত্তি করে। তারা শুধুমাত্র শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়াকেই আসল উদ্দেশ্য মনে করে। কিন্তু তাদের প্রকৃত জ্ঞান লাভ সম্ভব হয় না। তাদের যে প্রকৃত জ্ঞান বা সৃজনশীল ক্ষমতা বা উদ্ভাবনী শক্তি তার কোনোটিই বিকাশ হয় না।তাই ভারতীয়  এই অন্তসারশূন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকেই কবি বলেছেন :-“সব শিক্ষা একটি সার্কাস”

২) “শিক্ষার সার্কাস” কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর

উঃ আমাদের পাঠ্য “শিক্ষার সার্কাস”  কবিতাটির নামকরণ যথোপযুক্ত হয়েছে কিনা তা কবিতাটির বিষয়বস্তুর দিকে আলোকপাত করলেই পরিস্ফুট হবে।

আইয়াপ্পা পানিকর তার “শিক্ষার সার্কাস” নামক কবিতায় ভারতীয় অন্তঃসারশূন্য শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি হতাশা ব্যক্ত করেছেন।সার্কাসে পশুকে যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়, পশু ঠিক সেই ভাবেই আচরণ করে মানুষকে বিনোদন দেয়। প্রভু তাদেরকে যে শিক্ষা দেয়, সেই শিক্ষার বাইরে তারা কিছু আচরণ করতে পারে না। বর্তমানে আমাদের ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায়ও এই সার্কাসের মতোই।  শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তক মুখস্ত করে পরীক্ষার মাধ্যমে পরের শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্যকে আড়াল করা হচ্ছে। পরীক্ষার মাধ্যমে বেশি নম্বর পাওয়াকেই তারা জ্ঞান লাভের সার্থকতা মনে করে। 

প্রচলিত বা প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীকে একের পর এক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করছে ঠিকই কিন্তু শিক্ষার্থী প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে না | শ্রেণীগত এই অন্তঃসারশূন্য শিক্ষার কোন সারবত্তা নেই। তাদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার প্রকৃত বিকাশসাধন সম্ভব হয় না। সার্কাসে পশু যেমন একই খেলার বারবার পুনরাবৃত্তি করে, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবসাও ঠিক সেই রকম, একই বিষয় বারবার পুনরাবৃত্তি করে শিক্ষার্থীরা। সুতরাং সার্বিকভাবে আলোচনা করে এ কথাই বলা যায় যে, বর্তমানে সার্কাসের কায়দায় যেন বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোটা তৈরি হয়েছে। তাই এই দিক দিয়ে বিচার করলে আমরা বলতে পারি, কবিতাটির নামকরণ “শিক্ষার সার্কাস” শিল্পসার্থক হয়েছে তা বলাই যায়।

শিক্ষার সার্কাস ছোট প্রশ্ন উত্তর

২.১ “যদি সব শ্রেণীর শেষ হয়ে যায়”- তাহলেও বক্তা কি করতে চান ? অথবা- “যদি সব শ্রেণীর শেষ হয়ে যায়”- তবুও কি ঘটবে?
উঃ  “শিক্ষার সার্কাস” শীর্ষক কবিতায়  উল্লেখিত, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার এক শিক্ষার্থী মনে করে যে, যদি সব শ্রেণীর শেষ হয়ে যায় তাহলেও বক্তা অর্থাৎ সেই শিক্ষার্থী পরের শ্রেণীতে যাবে অর্থাৎ পরবর্তী শ্রেণীতে সে উত্তীর্ণ হবে।

২.২ আইয়াপ্পা পানিকর কোন ভাষার কবি? তার একটি কাব্যের নাম লেখ।
উঃ আইয়াপ্পা পানিকর মূলত মালেয়ালাম ভাষা সাহিত্যের কবি। তার বিখ্যাত একটি কাব্যগ্রন্থের নাম “কুরুক্ষেত্রম”

২.৩ “সব শিক্ষা একটি সার্কাস”- কবি এ কথা বলেছেন কেন? অথবা- কবি শিক্ষাকে সার্কাস কেন বলেছেন?
উঃ সার্কাস নামক খেলায় পশুরা তাদের প্রভু যা শিক্ষা দেয়, ঠিক সেই শিক্ষায় বারবার পুনরাবৃত্তি করে। বর্তমান ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক সেই রকম। শিক্ষার্থীরা পুঁথিগত পাঠ মুখস্ত করে শুধুমাত্র এক শ্রেণি থেকে পরের শ্রেণীতে যাওয়ার একটি মাধ্যম মনে করে। তাই কবি শিক্ষাকে সার্কাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২.৪ “আমি তবু পরের শ্রেণীতে যাব”- কবি পরের শ্রেণীতে কেন?
উঃ  “শিক্ষার সার্কাস” নামক কবিতায় যদি সব শ্রেণীর শেষ হয়ে যায়? এই প্রশ্ন করা হলে কবি উত্তর দেন, যেহেতু ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় এক শ্রেণী থেকে আরেক শ্রেণীতে যাওয়ার একটি মাধ্যম। তাই কবি উত্তর দেন,  তিনি উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তবুও পরের শ্রেণীতে যাবেন।

২.৫ “ জ্ঞান কোথায় গেল”- কবির এমন সংশয়ের কারণ কি?অথবা:- কবি কেন এমন কথা বলেছেন?
উঃ কবি আইয়াপ্পা পানিকর বর্তমান ভারতীয় অন্তঃসারশূন্য শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। কারণ এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়। তারা এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে উত্তরণের একমাত্র উপায় বলে মনে করে। তাই কবি এমন কথা বলেছেন

২.৬ “সে যেখানে গেছে, সেটা ধোঁকা”- কে কোথায় গেছে? 
উঃ “শিক্ষার সার্কাস” কবিতায় কবি আইয়াপ্পা পানিকর ভারতীয় অন্তঃসারশূন্য শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা প্রকৃত জ্ঞান লাভ থেকে বঞ্চিত। তাই শিক্ষার নামে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করছে। তারা প্রকৃত জ্ঞানলাভ করতে পারছে না। তাই এমন কথা বলেছেন।

২.৭ “এক, দুই, তিন……চার” এগুলি কিসের সংখ্যা?
উঃ এগুলি শ্রেণী উত্তরণের সংখ্যা। জনৈক্য কোন এক ব্যক্তি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করলে, সে হাতের কর গুনে গুনে, চতুর্থ শ্রেণীতে যাবে বলে মন্তব্য করেছে।

২.৮ “যদি সব শ্রেণি শেষ হয়ে যায়”- উত্তরে বক্তা কি বলেন?
উঃ “শিক্ষার সার্কাস” কবিতায় বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীকে, যদি সব শ্রেণীর শেষ হয়ে যায়, এমন প্রশ্ন করা হলে সে উত্তর দেয় তবুও সে পরের শ্রেণীতে যাবে।

বিশেষ কিছু কথা:- “শিক্ষার সার্কাস” কবিতাটি বিষয়বস্তু খুবই সহজ। প্রশ্নও খুব সোজা আসে প্রতিবছর। এই কবিতা থেকে উত্তর লেখাও যথেষ্টই সহজ। তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর উচিত, এই কবিতা থেকে প্রশ্নের উত্তর করা। বিষয়বস্তু ভালোভাবে আয়ত্ত করা থাকলে, যেকোন প্রশ্নের উত্তর করা যেতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উত্তর করার কোন প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রায় একই রকম হয়। তাই বিষয়বস্তুটা ভালো করে পড়লে অন্য কোন প্রশ্ন করার কোন দরকার হবে না। কারণ প্রশ্ন যেমনই হোক না কেন, তোমাকে উত্তর সেই বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ্য করেই লিখতে হয়।

শুধু উত্তরটা সাজিয়ে নিতে হয়। আরেকটি কথা বলব, অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নের ক্ষেত্রে, প্রতিবছর প্রশ্ন আসে না। এক বছর প্রশ্ন এলে, পরের বছর আর প্রশ্ন আসে না। এমনটাই হয়েছে প্রতি বছর বছর। তোমরা চাইলে সালের প্রশ্নগুলো যাচাই করতে পারো। সেখানে দেখবে এক বছর শর্ট আনসার টাই প্রশ্ন এসেছে ঠিক তার পরের বছরে এমন প্রশ্ন দেয়নি।

class11 বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই click here

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading