> class12 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন » Qবাংলা

class12 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন

উচ্চ মাধ্যমিকে   West Bengal  council of higher secondary education বাংলা বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল class12 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন যেখানে ১০ নম্বর থাকে শিক্ষার্থীরা ঠিকঠাক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে এই প্রবন্ধ রচনাতে ফুল মার্কস বা পূর্ণ নম্বর পেতে পারেআর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই রচনাতেই যদি ফুল মার্কস বা সঠিক নাম্বার পায় তাহলে তার নাম্বার অনেকটাই বেড়ে যায় তাই উচ্চ মাধ্যমিক প্রবন্ধ রচনা একটি অন্যতম বিষয়। class12 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন  ফুল মার্কস পেতে গেলে যে বিষয়গুলোর উপর নজর রাখতে হবে সেগুলি হল-

  • হাতের লেখা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
  • রচনাটি অবশ্যই প্যারা ভিত্তিক লেখ এতে দেখতে খুব সুন্দর হবে। 
  •  কখনোই বানিয়ে বানিয়ে লিখতে যেও না 
  •  যে বিষয়ের উপর তোমার বেশি দক্ষতা আছে সেই বিষয়টিকে নির্বাচন করে প্রবন্ধ রচনা কর
  •  রচনাটির শেষে অবশ্যই একটি উপসংহার বা পরিশেষ মূলক কিছু কথা নিজের বক্তব্য আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করবে এবং সেটি একটি ছোট প্যারায় মূলত ৩৪ লাইনে হয়ে থাকে। এটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
  •  যে সূচনা বা ভূমিকা লিখবে সেখানে অবশ্যই নিজস্ব কিছু বক্তব্য রাখবে। যে প্রবন্ধটি রচনা করবে- সেই প্রবন্ধটির বিষয়ভিত্তিক কিছু সূচনা বা প্রবন্ধ ভূমিকা অবশ্যই নিজস্ব কথার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবে এই প্যারাটিও অবশ্যই ৫ লাইনে রাখার চেষ্টা করবে

class12 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন বাংলায় চারটি রচনা পরে সেখান থেকে একটি বেছে নিয়ে তোমাদের লিখতে হয় যে চারটি বিষয় থাকে সেগুলি হল

  1.  মানষ -মানচিত্র
  2.  প্রস্তাবনা বা ভূমিকার স্বরূপ 
  3.  তর্ক-বিতর্ক মূলক অংশ এবং 
  4.  জীবনী

class12 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন এর মধ্যে তর্কবিতর্কমূলক বিষয়টি প্রবন্ধ আকারে ভালোভাবে লিখতে পারলে ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই থাকে। বাকিগুলোতে ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা একটু কম থাকে তবে ঠিকঠাক তত্ত্ববহুল লিখতে পারলে ফুল মার্কস পাওয়া যায় তোমরা যারা উচ্চমাধ্যমিকের অন্যান্য বিষয়গুলির প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছ তারা qbangla.com এই সাইটটিকে অনুসরণ কর এখানে একটি তর্ক বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা তোমাদের দেওয়া হল

class12 প্রবন্ধ রচনা সাজেশন

1.প্রতিপক্ষের চুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা কর

বিতর্কের বিষয়:-প্রাপ্ত নম্বর সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়।
মতের পক্ষে:- জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যথেষ্ট নয়। প্রাপ্ত নম্বর শুধুমাত্র একটা ডিগ্রী, একটা দক্ষতা পরিমাপের পরিচয় পত্র মাত্র। কিন্তু জীবনের বৃহত্তম অংশে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বিচার্য নয় সেক্ষেত্রে তার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দক্ষতার শেষ কথা বলে। সমাজে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি আছেন যাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বিচার্য ছিল না। তাদের দক্ষতাই শেষ কথা বলেছিল।

মতের বিপক্ষে যুক্তিক্রম:-
প্রথমতঃ  বর্তমানে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা পরিমাপ করার একমাত্র উপায় তার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বলে দিতে পারে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে। পরীক্ষায় যদি শিক্ষার্থী খুব ভালো নম্বর পায়। তাহলে সে একটা নিজের পছন্দ অনুযায়ী কোর্স বেছে নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে যেতে পারে। তাই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

দ্বিতীয়তঃ  প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বা চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করতে গেলে পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর অত্যন্ত জরুরী। কেননা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যে মেরিট নির্বাচন করা হয় তা বহুক্ষেত্রেই প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে হয়ে থাকে তাই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য পেতে গেলে শিক্ষার্থীকে তার প্রাপ্ত নম্বরের দিকে নজর দিতেই হয়।

তৃতীয়তঃ  বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে গেলে একটা মেরিট অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয় এবং এই মেরিট নির্বাচন করার একমাত্র উপায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর। শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মেরিট অনুযায়ী বিভিন্ন কলেজের বিভিন্ন কোর্স নিয়ে ভর্তিতে সুযোগ দেওয়া হয় তাই প্রাপ্ত নম্বরটা অত্যন্ত জরুরি বিষয়

চতুর্থতঃ  বর্তমানে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ চালু করেছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধার্থেএই স্কলারশিপগুলো প্রদান করা হয়ে থাকে তাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মেরিটের ভিত্তিতে যার যত বেশি মেরিট সে স্কলারশিপ তত বেশি পেয়ে থাকে এক্ষেত্রেও পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ভীষণ জরুরী একটা স্কলারশিপ এর জন্য

পঞ্চমতবিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় যে মেরিট তৈরি হয় সেটি প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি হয়ে থাকে। চাকরির যে পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষার সঙ্গে তার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে একটা মেরিট তৈরি করা হয়। এই মেরিটের নির্বাচনের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ দেওয়া হয় তাই পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করতে গেলে তার প্রাপ্ত নম্বর অত্যন্ত জরুরী

ষষ্ঠত:  শিক্ষার্থী কতটা কি জেনেছে বা কতটা শিখেছে তা জানা যায় তার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে। তাই শিক্ষার্থীর অগ্রগতির জন্য বা অগ্রগতি কোন দিকে হয়েছে তার জানার একমাত্র উপায় তার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দেয়া হয়

সপ্তমশিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করতে পারে। ভবিষ্যতে তারা কোন পেশায় যুক্ত হতে পারে বা কোন ক্যারিয়ার দ্বারা শুরু করতে পারে তা তাদের প্রাপ্ত নম্বর থেকেই নির্ধারিত হয়ে যায় প্রাপ্ত নম্বর দেখেই তারা সেই সমস্ত কোর্সের দিকে ধাবিত হয় সেই সমস্ত বিষয় চয়ন করে তার ক্যারিয়ার গঠন করতে থাকে তাই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষার্থীদের সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি সে কথা বলা যায়

অষ্টম:  পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর গাফিলতি বা অসংগতি ধরা পড়ে শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষায় কম নাম্বার পায় তাহলে সে নিজেকে পরিমাণ করে আবার তৈরি বা প্রস্তুত হতে পারে তাই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষার্থীর কাছে এক অমূল্য চাবিকাঠি, যার দ্বারা সে নিজেকে প্রতিনিয়ত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারে

  ⇒ এইভাবে বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনাটি তোমাদের লিখতে হবে। এবং এই ভাবেই তোমাদের প্রস্তুত হতে হবে। এতে কিন্তু ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যে বিষয়টি ভেবে সেই বিষয়টির বিপক্ষে তোমাকে যুক্তিক্রম সাজিয়ে সাজিয়ে লিখতে হবে

আশা করছি ছাত্র-ছাত্রীদের এই অংশটি প্রবন্ধ রচনা লেখার ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হবে ছাত্র-ছাত্রীদের এটি কাজে লাগলে তা আমরা ধন্য বলে মনে করব

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading