> অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্নোত্তর » Qবাংলা

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্নোত্তর

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার – মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য কবিতা অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান | গল্পটির রচয়িতা কবি জয় গোস্বামী | প্রিয় ছাত্র ছাত্রী এই সিরিজে এই কবিতাথেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে | সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এই সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে |  ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য করো। মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই click here

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

(১) “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতাটিতে কবির যুদ্ধবিরোধী মনোভাবের যে প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় বিবৃত কর। অথবা- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখ।

(উঃ) অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় কবি জয় গোস্বামী অস্ত্রকে গানের পায়ে সমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ অস্ত্রের দ্বারা পৃথিবীতে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। বরং অস্ত্রের দ্বারা মানুষের মনে হিংসা বেড়ে ওঠে। সেজন্য কবি অত্যাচারী শাসক ও শোষকদের অস্ত্রকে পায়ে ফেলে দেওয়ার আহবান করেছেন।

বর্তমান সময়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী তথা যুদ্ধবাজ দল, অস্ত্রের দ্বারা ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। তারা মানুষের মানবিক অধিকারকে অবজ্ঞা করে, মানব প্রেমকে অস্বীকার করে, এক ধরনের অহিংসার পরিবেশ গড়ে তুলছে- কবি তাদের উদ্দেশ্যেই অস্ত্র ফেলে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি যুদ্ধের বিরুদ্ধে গানকে হাতিয়ার করে, রুখে দাঁড়াতে চাইছেন।

তিনি জানেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে পাল্টা যুদ্ধ কখনই মানবতার প্রতীক নয়, বরং তা ধ্বংসের প্রতীক। তিনি দু একটি গান জানেন। তাকেই খড় কুটোর মত আঁকড়ে ধরে হিংসা ভুলে যান। তিনি বিশ্বাস করেন, অস্ত্রের বিরুদ্ধে এই প্রেমের গানই হবে, একমাত্র হাতিয়ার, যা মানুষকে যুদ্ধবিমুখ করে তুলবে। কারণ একমাত্র গানের সুরই মানুষকে শান্তি প্রদান করে। গানের দ্বারা সকল মানুষকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে।

এই ভাবেই কবি যুদ্ধের বিরুদ্ধে তথা অস্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি গানকে হাতিয়ার করেছেন। তিনি অস্ত্রকে পায়ে রাখতে বলেছেন। শুধু তাই নয়এক ঋষিবালক আদুড় গায়ে, মাথায় ময়ূর পালক গুঁজে গান গেয়ে বেড়াচ্ছে অর্থাৎ মানুষকে, মানুষের প্রেমের মন্ত্র শেখাচ্ছে। তথা মানবিকতার বন্ধনকে দৃঢ় করছে। এই ঋষিবালক যেন গানেরই প্রতীক। যে গ্রামে-গঞ্জে প্রেমের মন্ত্রের গান গেয়ে বেড়াচ্ছে। তাই কবি সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে একতাবদ্ধ হতে বলেছেন।

২) “অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো গানের দুটি পায়ে”- কবি কাদের উদ্দেশ্যে এই আহবান করেছেন? তিনি অস্ত্র পায়ে রাখতে বলেছেন কেন? এই উক্তির মধ্যে দিয়ে কবি মানসিকতার কি পরিচয় পাওয়া যায়?

উঃ বর্তমান সময়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী তথা যুদ্ধবাজ দল, অস্ত্রের দ্বারা ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। তারা মানুষের মানবিক অধিকারকে অবজ্ঞা করে, মানব প্রেমকে অস্বীকার করে, কবি জয় গোস্বামী “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” শীর্ষক কবিতায়, তাদের উদ্দেশ্যেই অস্ত্র ফেলে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

কবি যুদ্ধের বিরুদ্ধে গানকে হাতিয়ার করে, রুখে দাঁড়াতে চাইছেন।তাই তিনি, হাত নাড়িয়ে বুলেটকে প্রতিহত করতে- “গানের বর্ম আজ পড়েছি গায়ে”। অর্থাৎ প্রেমের মন্ত্রে, মানবিকতার গানে, তিনি আজ সুরক্ষিত। তিনি জানেন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে পাল্টা যুদ্ধ কখনই মানবতার প্রতীক নয়, বরং তা ধ্বংসের প্রতীক। তিনি দু একটি গান জানেন। তাকেই খড় কুটোর মত আঁকড়ে ধরে হিংসা ভুলে যান। তিনি বিশ্বাস করেন, অস্ত্রের বিরুদ্ধে এই প্রেমের গানই হবে, একমাত্র হাতিয়ার, যা মানুষকে যুদ্ধবিমুখ করে তুলবে। কারণ একমাত্র গানের সুরই মানুষকে শান্তি প্রদান করে।

এই ভাবেই কবি যুদ্ধের বিরুদ্ধে তথা অস্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি গানকে হাতিয়ার করেছেন। তিনি অস্ত্রকে পায়ে রাখতে বলেছেন। শুধু তাই নয়। এক ঋষিবালক আদুড় গায়ে, মাথায় ময়ূর পালক গুঁজে গান গেয়ে বেড়াচ্ছে অর্থাৎ মানুষকে, মানুষের প্রেমের মন্ত্র শেখাচ্ছে। তথা মানবিকতার বন্ধনকে দৃঢ় করছে। এই ঋষিবালক যেন গানেরই প্রতীক। যে গ্রামে-গঞ্জে প্রেমের মন্ত্রের গান গেয়ে বেড়াচ্ছে। তাই কবি সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে একতাবদ্ধ হতে বলেছেন। আসলে গানের সুর যদি সর্বত্রই ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে কবি আশা করেন, সমাজে সুখ, শান্তি, আনন্দ বিরাজ করবে একদিন।

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১) “অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো”- কবি কোথায় অস্ত্র রাখতে বলেছেন? তার এ কথা বলার কারণ কি? /অথবা- “অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো পায়ে”- কবি অস্ত্রকে পায়ে রাখতে বলেছেন কেন ? কবি অস্ত্রকে কেন ফেলতে বলেছেন?

(উঃ) “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতায় কবি জয় গোস্বামী অস্ত্রকে গানের পায়ে সমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কবি যুদ্ধকে প্রতিহত করতে একমাত্র গানকেই হাতিয়ার করেছেন।

কারণ অস্ত্রের দ্বারা পৃথিবীতে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। বরং অস্ত্রের দ্বারা মানুষের মনে হিংসা বেড়ে ওঠে। সেজন্য কবি অত্যাচারী শাসক ও শোষকদের অস্ত্রকে পায়ে ফেলে দেওয়ার আহবান করেছেন।বর্তমান সময়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী তথা যুদ্ধবাজ দল, অস্ত্রের দ্বারা ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। তারা মানুষের মানবিক অধিকারকে অবজ্ঞা করে, মানব প্রেমকে অস্বীকার করে, এক ধরনের অহিংসার পরিবেশ গড়ে তুলছে- কবি তাদের উদ্দেশ্যেই অস্ত্র ফেলে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। 

২) “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান”- কবিতায় কবি অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানকে বেছে নিয়েছেন কেন?

(উঃ) “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতায় কবি জয় গোস্বামী যুদ্ধ তথা অস্ত্রকে প্রতিহত করতে একমাত্র গানকেই হাতিয়ার করেছেন। তিনি গানকে অবলম্বন করেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে মানব প্রেমের মন্ত্র শুনিয়েছেন।

গানের সুর মূর্ছনা মানুষকে প্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত করে তোলে। সংগীতের সুরই মানুষকে তার হিংসাত্মক দানবীয় আস্ফালনের পথ থেকে শান্তির পথ বেছে নিতে সাহায্য করে। সংগীত হল এমন এক হাতিয়ার যা মানুষকে তার হিংসাত্মক কার্যকলাপকে ভুলিয়ে দেয়। মানুষকে এক আনন্দময় জগতে বিচরণ করায়। তাই কবি জয় গোস্বামী আলোচিত আমাদের কবিতায় অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে চান। এজন্য তিনি একহাতেই বুলেটকে তাড়িয়ে দেন।

) গান দাঁড়াল ঋষিবালক- ঋষিবালক কে? কবি কেন এমন কথা বলেছেন?  অথবা- উক্তিটির তাৎপর্য লেখ।

(উঃ)অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় কবি জয় গোস্বামী যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে গানকেই ব্যবহার করেছেন। এই গানের প্রসঙ্গেই তিনি ঋষিবালকের কথা বলেছেন। এই ঋষি বালক শান্তির দূত। তিনি গান গেয়ে জগতকে মোহিত করেন। তার মাথায় ময়ূর পালক গোঁজা। আসলে এই ঋষিবালক হলেন বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণ

বর্তমান সময়ে অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী তথা যুদ্ধবাজ দল, অস্ত্রের দ্বারা ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। তারা মানুষের মানবিক অধিকারকে অবজ্ঞা করে, মানব প্রেমকে অস্বীকার করে, এক ধরনের অহিংসার পরিবেশ গড়ে তুলছে- কবি তাদের উদ্দেশ্যেই এই গানের মন্ত্র শোনাতে চেয়েছেন। এই প্রসঙ্গেই কবি ঋষিবালকের কথা বলেছেন। যিনি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নদীতে, গ্রামে-গঞ্জে গানের দ্বারা জগতকে অস্ত্র ধারণ থেকে বিরত করার আহ্বান তথা শান্তি প্রতিষ্ঠার একটা আহ্বান শোনা যায়।

(“অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটির বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ্য রেখে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রশ্ন খুবই সোজা পড়ে। বিভিন্ন প্রশ্নের জন্য বিভিন্ন রকম উত্তর না করে বিষয়বস্তুর ওপর লক্ষ্য রেখে উত্তর করলে খুবই সহজ হবে। কবিতাটির মূলভাব তথা মূলসুর হল- যুদ্ধবাজ তথা অস্ত্রের বিরুদ্ধে কবি গানকে দাঁড় করিয়েছেন। এই গানের সাহায্য নিয়েই তিনি বুলেটকে তাড়াতে পারেন। একটিমাত্র কোকিলের মাধ্যমে তিনি শান্তির বার্তা পাঠাতে চাইছেন। এমনকি পৌরাণিক শ্রীকৃষ্ণকেউ এখানে অবতারণা করেছেন। তিনি তিনি তার বংশীর সুরে গোটা জগতকে প্রেমের মন্ত্রের দীক্ষিত করে মানুষকে নিরস্ত করার আহবান করতেন।)

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার saq  প্রশ্নোত্তর

১) “রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে”- কথাটি অর্থ কি?
উঃ “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতায় কবি জয় গোস্বামী অস্ত্রকে প্রতিহত করতে গানকেই ব্যবহার করেছেন।গানের দ্বারাই তিনি রক্ত অর্থাৎ যুদ্ধকে প্রতিহত করে মানুষকে মানবতার মন্ত্রে দীক্ষিত করতে চাইছেন। তাই তিনি এমন কথা বলেছেন।

২) “অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো”- কোথায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে?
উঃ কবি জয় গোস্বামী তার “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” শীর্ষক কবিতায় কবি অস্ত্রকে পায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন

৩) “আমার শুধু একটা কোকিল”- কোকিল কি করবে?
উঃ “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতায় কবি জয় গোস্বামী আমাদের চারপাশে মাথার ওপর রক্তচোষক শকুন বা চিল স্বরূপ সাম্রাজ্যবাদীর দল ঘোরাফেরা করলেও, কবির শুধু একটা কোকিল সেই সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে সহস্র উপায়ে গান বাঁধবে এবং এই গানের দ্বারাই পৃথিবীকে তিনি শান্তির বার্তা পৌঁছাতে চাইছেন।

৪) “তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান”- কে, কোথায় নিয়ে গান গেয়ে বেড়াবে? 
উঃ “অস্ত্রে বিরুদ্ধে গান” শীর্ষ কবিতায় ঋষিবালক, যার মাথায় ময়ূর পালক গোঁজা,  তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, গান গেয়ে বেড়াবেন, নদীতে দেশ-গাঁয়ে তথা গ্রামে-গঞ্জে।

৫) “গান তো জানি একটা দুটো”- একটা দুটো গান নিয়ে কবি কি করতে চাইছেন?
উঃ) কবি জয় গোস্বামী গানের দ্বারা তিনি যুদ্ধকে প্রতিহত করতে চাইছেন। অস্ত্রের ব্যবহার থেকে মানুষকে বিরত করতে চাইছেন। তাই তিনি একটা দুটো গানের সাহায্যেই, আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছেন।

for more question answers click here

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading