> একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি » Qবাংলা

একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি

class11 বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি | প্রিয় ছাত্র ছাত্রী এই সিরিজ এই থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে | সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এই সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে| ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য করো।class11বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই click here

বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি একাদশ শ্রেণী প্রশ্ন উত্তর

১) “ভারতবর্ষ চার ভাষা বংশের দেশ”- এই চারটির পরিচয় দাও।/অথবা- “ভারত বর্ষ চার ভাষা বংশের দেশ”- উদ্ধৃতি অনুসারে চার ভাষা বংশের পরিচয় দাও।/    অথবা- “ভারতবর্ষ চার ভাষা বংশের দেশ”- চারটি ভাষা বংশ কি কি? যে কোন একটি ভাষা বংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উঃ ভাষাগত দিক থেকে ভারত সম্বন্ধে দুটি অভিধা খুব প্রচলিত। (এক) ভারত ভাষার অরণ্য এবং (দুই) ভারত চার ভাষাবংশের দেশ।  ভারতে প্রচলিত চারটি ভাষাবংশ হল-    (ক) ইন্দো- ইউরোপীয় (খ) অস্ট্রিক  (গ) দ্রাবিড় (ঘ) ভোট চীনা

(ক) ইন্দো-ইউরোপীয়:- ইউরোপের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্বের ভারত পর্যন্ত যতগুলি দেশ, তার বেশিরভাগ ভাষাই এই ইন্দো-ইউরোপীয় জাত। এই বংশের ভাষাগুলিকে দুটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়েছে। যথা- সতম এবং কেন্তুম গুচ্ছ। সতম গুচ্ছের অন্তর্গত ইন্দো-ইরানীয় শাখাটি দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে। যথা- ইরানি আর্য, যা ইরানে প্রবেশ করে এবং অন্যটি ভারতীয় আর্য নামে ভারতে চলে আসে। 

(খ) অস্ট্রিক ভাষাবংশ:– অস্ট্রিক ভাষা শুধু ভারতেই নয়, এর বিস্তার ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশেও। অস্ট্রিক বংশের দুটি শাখা অস্ত্র- (১) অস্ট্রো- এশিয়াটিক এবং (২) অস্ট্রনেশীয়। ভারতে প্রচলিত অস্ট্রিক শাখাটি হল অস্ট্রো- এশিয়াটিক। অস্ট্র- এশিয়াটিক শাখার প্রধান ভাষা হল- শবর, সাঁওতালি, খাসি, মন্ডারি, নিকোবরী। এগুলি আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ছোটনাগপুর, উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি স্থানে প্রচলিত ভাষা। 

(গ) দ্রাবিড় ভাষাবংশ:- দ্রাবিড় বংশের ভাষাগুলি প্রধানত দক্ষিণ ভারতেই প্রচলিত। এই বংশের ভাষাগুলোর মধ্যে- তামিলনাড়ুর ভাষা তামিল, অন্ধ্রপ্রদেশের ভাষা তেলেগু, কেরলের ভাষা মলয়ালম ও কর্ণাটকের ভাষা কন্নড় প্রধান। এগুলির মধ্যে প্রাচীন ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ তামিল ভাষা এবং সাহিত্যের আধুনিকতম পরীক্ষা নিরীক্ষায় প্রাগ্রসর মলয়ালম ভাষা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

(ঘ) ভোট-চিনা ভাষাবংশ:-  ভোট-চিনীয় বংশের দুই শাখা- তাইচিনা এবং ভোট-বর্মী। প্রথম শাখার প্রধান ভাষা হল চীনের চিনা ভাষা। এই ভাষাভাষী লোকের সংখ্যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় শাখার ভাষা শ্যাম দেশের ভাষা, শ্যামী বা সিয়ামী। ব্রহ্মদেশের ভাষা বর্মী এবং ভারতের কোন কোন অঞ্চলের প্রচলিত নাগা প্রভৃতি ভাষা। আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মনিপুর- এসব অঞ্চলে যে ভাষাগুলি দেখতে পাওয়া যায় তার প্রধানত চারটি ভাগ যথা:- বোরো, নাগা, কুকিচিন, এবং বর্মী  

২) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। / অথবা- ভারতীয় আর্য ভাষাকে কটি স্তরে ভাগ করা যায়? যেকোন একটি স্তরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উঃ) ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর যে শাখাটি ভারতে প্রবেশ করে, সেই শাখার নাম ভারতীয় আর্য। ভারতীয় আর্য ভাষার ইতিহাসকে তিনটি প্রধান যুগে ভাগ করা হয়। যথা:- (১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য  (২)  মধ্য ভারতীয় আর্য (৩) নব্য ভারতীয় আর্য।

মধ্য ভারতীয় আর্য:-মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার ব্যাপ্তিকাল আনুমানিক ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই পর্বের প্রধান ভাষা হল প্রাকৃত ভাষা। প্রাকৃত ভাষা, তার মূল উপাদান বৈদিক সংস্কৃত ভাষা থেকে যেহেতু এই ভাষাটি এসেছে, তাই তার নাম হল প্রাকৃত ভাষা। অথবা, প্রাকৃত জনের ভাষা বলে এর নাম প্রাকৃত ভাষাও বলা হয়। মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন অশোকের শিলালিপি। এছাড়াও এ পর্বে হীনযান পন্থী বৌদ্ধদের ব্যবহৃত সংস্কৃত এবং পালি ভাষায় দেখা যায়। মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার প্রথম স্তরের একটি ভাষা হল পালি।

মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার ব্যাক্তি প্রায় দেড় হাজার বছর এবং এই দীর্ঘ সময়কাল জুড়ে স্বাভাবিক নিয়মে এই পর্বের আর্য ভাষার নানা   স্থানিক বা আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠতে থাকে। যেমন ১০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মহারাষ্ট্রি প্রাকৃত, সৌরশেনী প্রাকৃত, পৈশাচী প্রাকৃত, মাগধী প্রাকৃত এবং অর্ধমাগধী প্রাকৃত- এই আঞ্চলিক রূপ পাওয়া যায়। এর পরবর্তীকালে স্তরকে অপভ্রংশের স্তর বলা হয়। যেমন মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত থেকে মহারাষ্ট্রী অপভ্রংশের জন্ম হয়। আবার অপভ্রংশের পরবর্তী স্তরের নাম অপভ্রংশ বা অবহট্ট। এই পর্যায়ে এসেই মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার কাল শেষ হয়।

৩)  অস্ট্রিক ভাষাবংশ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উঃ ভাষাগত দিক থেকে ভারত সম্বন্ধে দুটি অভিধা খুব প্রচলিত। (এক) ভারত ভাষার অরণ্য এবং (দুই) ভারত চার ভাষাবংশের দেশ।  ভারতে প্রচলিত চারটি ভাষাবংশ হল-    

  1. ইন্দো-ইউরোপীয় 
  2. অস্ট্রিক  
  3. দ্রাবিড় 
  4. ভোট-চিনা

(খ) অস্ট্রিক ভাষাবংশ:- অস্ট্রিক ভাষা শুধু ভারতেই নয়, এর বিস্তার ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশেও। অস্ট্রিক বংশের দুটি শাখা অস্ত্র- (১) অস্ট্রো- এশিয়াটিক এবং (২) অস্ট্রনেশীয়। ভারতে প্রচলিত অস্ট্রিক শাখাটি হল অস্ট্রো- এশিয়াটিক। অস্ট্র- এশিয়াটিক শাখার প্রধান ভাষা হল- শবর, সাঁওতালি, খাসি, মন্ডারি, নিকোবরী। এগুলি আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ছোটনাগপুর, উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি স্থানে প্রচলিত ভাষা। অস্ট্রোনেশীয় শাখার ভাষা মালয়, যবদ্বীপীয়  ইত্যাদি মালয়, যবদ্বীপ প্রভৃতি স্থানে প্রচলিত। অস্ট্রো- এশিয়াটিকের তিনটি ধারা ভারতের প্রচলিত। যথা:- পশ্চিমা, মধ্যদেশীয় এবং পূর্বী, অস্ট্রো- এশিয়াটিকের পশ্চিমা ধারাটি বৃহত্তম। প্রায় 58টি ভাষা এর অন্তর্ভুক্ত।

for more question answers click here – বাড়ির কাছে আরশিনগর- কবিতার প্রশ্নোত্তর সাজেশান

৪) প্রকৃত ভাষা কি? ভাষার এইরূপ নামকরণের কারণ কি?  / অথবা- প্রাকৃত ভাষার এইরূপ নামকরণের কারণ কি? এই ভাষার তিনটি আঞ্চলিক রূপের নাম লেখ।

উঃ) ভারতীয় আর্য ভাষার ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়। যথা:- প্রাচীন ভারতীয় আর্য, মধ্য ভারতীয় আর্য এবং নব্য ভারতীয় আর্য। মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার একটি স্তর হল প্রাকৃত ভাষা। সংস্কৃত ছিল প্রধানত শিক্ষিত লোকের ভাব বিনিময়ের ভাষা বা সাহিত্যের ভাষা। ক্রমে এই ভাষা বৃহত্তর জন সমাজের মুখের ভাষা থেকে দূরে সরে, তা লৌকিক বা কথ্য সংস্কৃতে পরিণত হয়েছিল। এই কথ্য সংস্কৃতই ধীরে ধীরে ক্রমবিবর্তনের ফলেই সাধারণের মুখের ভাষা হয়ে দাঁড়ায় প্রাকৃত ভাষা।

প্রাকৃত ভাষার, প্রাকৃত শব্দটির উদ্ভবের দুটি দিক আছে। একটি হল- প্রাকৃত শব্দটি প্রকৃতি থেকে জাত। প্রকৃতি শব্দের অর্থ হল মূল উপাদান অর্থাৎ যে প্রাকৃত ভাষা তার মূল উপাদান বৈদিক সংস্কৃত ভাষা থেকে যেহেতু এই নতুন ভাষাটি এসেছে, তাই তার নাম হল প্রাকৃত। আবার অন্য অর্থে- যেহেতু শিক্ষিত লোকের থেকে সরে গিয়ে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষারূপে এর উদ্ভব, তাই জনগণের ব্যবহৃত ভাষা বা প্রাকৃত জনের ভাষা বলে, এর নাম প্রাকৃত ভাষা। সময়ের দিক থেকে ৬০০খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই পর্বের প্রধান ভাষা হল প্রাকৃত ভাষা। মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষা তথা প্রাকৃত ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন অশোকের শিলালিপিতে পাওয়া যায় 

৫) নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার সময়কাল উল্লেখ করে, এই পর্বের সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।  

উঃ) ভারতীয় আর্য ভাষার ইতিহাসকে তিনটি প্রধান যুগে ভাগ করা হয়। যথা:- 

  1. প্রাচীন ভারতীয় আর্য 
  2. মধ্য ভারতীয় আর্য
  3. নব্য ভারতীয় আর্য

নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা: সময়কাল:- নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার বিস্তার কাল আনুমানিক নয়শো খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত

নিদর্শন:- নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার নিদর্শন হল, ভারতের আধুনিক যুগের প্রচলিত বিভিন্ন ভাষা। যথা- বাংলা, গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবি, উড়িয়া, অসমীয়া ইত্যাদি ভাষা।

সংক্ষিপ্ত পরিচয়:- মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার শেষতম স্তরে, আনুমানিক নবম শতকে, যে নানান আঞ্চলিক রূপ ফুটে উঠেছিল, সেখান থেকেই ক্রমে জন্ম নিয়েছিল আধুনিক ভারতীয় ভাষাগুলি। যেমন- পৈশাচী প্রাকৃত অপভ্রংশ থেকে জন্ম নিয়েছিল সিন্ধি, পশ্চিমা ও পূর্বা পাঞ্জাবি। সিন্দিভাষা ভারতের কচ্ছ অঞ্চলে প্রচলিত। পূর্বী পাঞ্জাবি পূর্ব পাঞ্জাব ও দিল্লি অঞ্চলে প্রচলিত। পশ্চিমা পাঞ্জাবি পশ্চিম পাঞ্জাবের ভাষামারাঠি প্রাকৃত অপভ্রংশ থেকে এসেছে মারাঠি,কোঙ্কনি। মারাঠি মহারাষ্ট্রে এবং কোঙ্কনি গোয়ায় প্রচলিত।

শৌরসেনী প্রাকৃত অপভ্রংশ থেকে জন্ম নিয়েছে নেপালি, কুমায়নি এবং গাড়োয়ালী। অর্ধমাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ থেকে তিনটি নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার আবির্ভাব ঘটে, যথা- অবধী, বাঘেলী এবং ছত্রিশগড়ী।মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ শাখাটি বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। 

৬) অবর্গীভূত ভাষা কাকে বলে? পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অবর্গীভূত ভাষার পরিচয় দাও। 

উঃ) যে ভাষাগুলিকে শ্রেণীবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি বা কোন সূত্রেই বর্গীভূত করা সম্ভব হয়নি সেই ভাষাগুলিকে অবর্গীভূত বা অশ্রেনিবদ্ধ ভাষা বলা হয়। কেননা, এই ভাষাগুলোর মধ্যে এক ভাষার সঙ্গে অন্য ভাষার সাদৃশ্য পাওয়া যায়নি বা কিছু পাওয়া গেলেও এমন কোন ভাষা তাত্ত্বিক প্রমাণ বা সূত্র স্থাপন করা যায়নি, যার মাধ্যমে তাদের বংশ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে।

পরিচয়:- অবর্গীভূত ভাষার মধ্যে পড়ে জাপানি, করীয়, বাস্ক ইত্যাদি। জাপানি ভাষা এবং কোরীয় ভাষাকে অনেকে আলতাই গোষ্ঠীভুক্ত করতে চেয়েছেন। আলতাই গোষ্ঠীভুক্ত অন্যান্য ভাষার সঙ্গে এই দুই ভাষার সাদৃশ্য যেমন আছে, বৈসাদৃশ্যও তেমনি অনেক। তাই এই অভিমত গ্রহণ করা যায় না। জাপানি ভাষা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হলেও তাতে চিনা সংস্কৃতি, ভাষা ও লিপির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কোরীয় ভাষার ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী মোঙ্গল-মাঞ্চু ভাষার প্রভাব আছে এবং কোরিয়ায় বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তারের পর সেখানেও চীনা ভাষার প্রভাব পড়ে।

৭) হায়ারোগ্রিফিক লিপি কি? এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।  

উঃ) পৃথিবীর প্রাচীন লিপি সমূহের মধ্যে অন্যতম হল হায়ারোগ্রিফিক লিপি। প্রাচীন মিশরের প্রাচীন লিপির নাম হায়ারোগ্লিফিক লিপি। মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল, এই লিপির প্রবর্তক পাখির মাথা আর মানুষের শরীর বিশিষ্ট দেবতা, থথ। “হায়ারোগ্লিফিক” শব্দটা অবশ্য গ্রীক। “হিয়োরাস” মানে পবিত্র, আর “গ্লিফেইন” শব্দের অর্থ খোদাই করা অর্থাৎ এক কথায় পবিত্র লিপি।

পরিচয়:-হায়ারোগ্রিফিক লিপি মূলত চিত্রলিপি হলেও কালক্রমে হায়ারোগ্রিফিক খুব কাছাকাছি এসে পড়েছিল। এই লিপির চিহ্ন সংখ্যা কিউনিফর্মের লিপি সংখ্যার থেকে ছিল অনেক কম। ভিন্ন ভিন্ন ব্যঞ্জনধ্বনি বোঝানোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকের ব্যবহার ছিল। স্বরচিহ্ন ছিল না। কতগুলি চিহ্ন একটিমাত্র ব্যঞ্জনধ্বনিকে প্রকাশ করত। কোন কোন চিহ্ন দুই ব্যঞ্জনকেউ বোঝত। এ লিপির লিখন শুরু হতো ডান দিক থেকে বামে। তবে কখন কখনও বাম থেকে ডানেও হায়ারোগ্রিফিক লিপি পাওয়া যায়। প্রথমে পাথর বা কাঠের লেখা হলেও, পরে প্যাপিরাস নামক নলখাগড়া পিটিয়ে পাতলা ফালি বানিয়ে কালি  ও কলম তৈরি করে লেখা হতো। হায়ারোগ্রিফিক লিপি খুবই জটিল লিপি। 

বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি একাদশ শ্রেণী প্রশ্ন উত্তর 2025

১) সমগোত্রজ ভাষা কাকে বলে?
উঃ) ‘সমগোত্রজ’ কথার অর্থ হল একই বংশজাত। একই বংশজাত ভাষাগুলিকে বলা হয় সমগোত্রজ ভাষা।

২) কুটিল লিপি কাকে বলে? 
উঃ) আনুমানিক সপ্তম শতকে সিদ্ধমাতৃকা লিপি থেকে যে লিপির জন্ম হয়, সেই লিপি কুটিল লিপি নামে পরিচিত। লিখন পদ্ধতি জটিল, তাই এই লিপির নাম কুটির লিপি অর্থাৎ এই লিপি কৌণিক নয়, ঘুরিয়ে লেখা হত।

৩) IPA এর পুরো নাম কি ?
উঃ IPA এর পুরো নাম হলো International Phonetic Alphabet.

৪) বাংলা ভাষার উপভাষা কটি ও কি কি?
উঃ) বাংলা ভাষায় প্রচলিত উপভাষা পাঁচটি যথা:- রাঢ়ী উপভাষা, বরেন্দ্রী উপভাষা, বঙ্গালী উপভাষা, কামরূপী উপভাষা এবং ঝাড়খন্ডী উপভাষা।

৫) সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সার্থক বিশ্বভাষাটির নাম কি? 
উঃ) সর্বাধিক জনপ্রিয় ও সার্থক বিশ্ব ভাষাটির নাম এসপেরাস্তো। পোল্যান্ড – এর অধিবাসী ড. এল.এল. জ্যামেনহফ প্রথম ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এসপেরাস্তো বিষয়ে তার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

৬) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার আনুমানিক সময়সীমা উল্লেখ কর।
উঃ) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার সময়কাল হল- ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

৭) কামরূপী উপভাষা কোন কোন অঞ্চলে প্রচলিত ?
উঃ) কামরূপী উপভাষা মূলত জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, শ্রীহট্ট, কাছাড়, রংপুর, ত্রিপুরা প্রভৃতি অঞ্চলের প্রচলিত।

৮) লিপি বলতে কী বোঝো? 
উঃ) লিপি হল মানুষের মুখের ভাষার এমন রুপায়ন যাকে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। যাকে এক  কাল থেকে অন্য কালে সংরক্ষিত করে রাখা যায়। অর্থাৎ যে ভাষা ছিল মুখের ভাষা, লিপির মাধ্যমে সেই ভাষাকে দৃশ্য রূপ দিয়ে লেখা এবং পড়ার সামগ্রী করে তুললো।

৯) কিউনিফর্ম বা কিলকাকৃতি লিপির নামকরন কে করেছিলেন ?
উঃ) মেসোপটেমিয়ার প্রাচীন লিপির নাম কিউনিফর্ম বা কিলকলিপি। বিখ্যাত লিপি বিশারদ টমাস হাইড এই লিপির নামকরণ করেন।

১০) বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত গদ্য উপভাষার প্রধান রূপ দুটি কি কি ?
উঃ)বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত গদ্য উপভাষার প্রধান রূপ দুটি হল- সাধু গদ্য এবং চলিত গদ্য।

১১)  ঋকবেদ কোন ভাষায় রচিত ?
উঃ) ঋগ্বেদ বৈদিক সংস্কৃত  ভাষায় রচিত।

১২) ইন্দো-ইরানীয় শাখাটি যে দুটি শাখার বিভক্ত, সেই দুটি শাখার নাম কি?
উঃ) ইন্দো-ইরানীয় শাখাটি যে দুটি শাখায় বিভক্ত, সেই দুটি শাখার নাম হল ইরানীয় আর্য এবং ভারতীয় আর্য।

১৩)  অলচিকি লিপির উদ্ভাবক কে ?
উঃ) সাঁওতালি লিপি অল চিকি লিপির উদ্ভাবক হলেন রঘুনাথ মুর্মু।

১৪) বিভাষা বলতে কী বোঝো? 
উঃ) এক ব্যক্তির ভাষার সঙ্গে আর এক ব্যক্তির ভাষার মধ্যে যে ফারাক এবং ব্যক্তির ভাষার মধ্যে যে বৈচিত্র, তাকে বলা হয় ব্যক্তি ভাষা বা বিভাষা।

১৫) অস্ট্রিক ভাষা শাখা কটি এবং কি কি?
উঃ) অস্ট্রিক ভাষাবংশের দুটি শাখা হল- অস্ট্রোনেশীয় এবং  অস্ট্রো-এশিয়াটিক।

১৬) দুটি অবর্গীভূত ভাষার উদাহরণ দাও।  
উঃ) দুটি অবর্গীভূত ভাষা হল জাপানি এবং কোরীয়।

১৭) ভাবলিপি কাকে বলে?
উঃ) চিত্রলিপির পরবর্তী পর্যায়ে, একটিমাত্র বস্তুকে না বুঝিয়ে তা বোঝাতে লাগল একটি ভাবকে, এই পর্যায়ে নামই হল ভাবলিপি।

১৮) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার নিদর্শন কোথায় পাওয়া যায়?
উঃ) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার নিদর্শন পাওয়া যায়- অশোকের শিলালিপিতে, বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র ত্রিপিটক, বুদ্ধের জীবন কাহিনী নিয়ে লেখা জাতকের গল্প ইত্যাদি।

১৯) উপভাষা কাকে বলে?  
উঃ) যখন একটি মূলভাষা কোন বৃহত্তর অঞ্চলে প্রচলিত থাকে, তখন সেই অঞ্চলে ওই ভাষার কতগুলি আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। মূল ভাষার এই আঞ্চলিক রূপকে বলা হয় উপভাষা

for more question answers click here

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading