সমাস কাকে বলে সমাসের শ্রেণীবিভাগ কি কি part-1

সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

সূচীপত্র
1 ৪) বহুব্রীহি সমাস:-সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

) বহুব্রীহি সমাস:-সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

যে সমাসে, সমস্যমান পদ দুটির অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে অন্য কোন তৃতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা হয় বহুব্রীহি সমাস।

যেমন:- নীলকন্ঠ= নীলকন্ঠে যার। অর্থাৎ মহাদেবের কথা এখানে বলা হচ্ছে। “বহুব্রীহি” শব্দটির অর্থ হলো বহু ধান্য আছে যার অর্থাৎ সম্পন্ন কৃষক।

বহুব্রীহি সমাসের শ্রেণীবিভাগ:–       (সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2)

বহুব্রীহি সমাসকে সাতটা ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:-

১) ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি:– যে বহুব্রীহি সমাসে, পূর্ব ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য হয় তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমন:- চক্রপানি= চক্র পানিতে যার। শশাঙ্ক= শশ অঙ্কে যার। বীণাপাণি= বিনা পানিতে যার।  (সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2)

) সমানাধিকরণ বহুব্রীহি: যে বহুব্রীহি সমাসে, পূর্বপদ এবং উত্তরপদ উভয়ই বিভক্তি শূন্য হয়, তাকে সমানাধিকরন বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমন:- গৌরাঙ্গ:- গৌর অঙ্গ যার। মিহিদানা= মিহি দানা যার। পঞ্চানন= পঞ্চ আনন যার। (সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2)

 

)ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস:–       সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

যে বহুব্রীহি সমাসে, একই শব্দের পুনরুক্তি হয়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমন:- লাঠালাঠি= লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ। হাসাহাসি= হাসিতে হাসিতে যে কাজ। ঘুষোঘুষি= ঘুষিতে ঘুষিতে যে যুদ্ধ।

) মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস: যে বহুব্রীহি সমাসে, ব্যাসবাক্যের মাঝে অবস্থিত পদ সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমন:- পদ্মমুখী= পদ্মের মতো সুন্দর মুখ যার। কোমললোচন= কমলের মতো লোচন যার।

) নঞ বহুব্রীহি বা না বহুব্রীহি সমাস:- যে বহুব্রীহি সমাসে, পূর্বপদে না বাচক অব্যয় হয়, তাকে না বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমন:- নির্ভুল= নেই ভুল যার। নিখোঁজ= নেই খোঁজ যার। অসীম= নেই  সীমা যার।

৬) সহার্থক বহুব্রীহি সমাস:- যে বহুব্রীহি সমাসে, পূর্ব পদের সঙ্গে সহার্থক উত্তর পদের সমাস হয়, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে।

যেমন:- সস্ত্রীক= স্ত্রীর সহিত বর্তমান। সপুত্র= পুত্রের সহিত বর্তমান।

) সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস:- যে বহুব্রীহি সমাসে, পূর্বপদটি সংখ্যা বাচক হয় তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলে যেমন:- ত্রিলোচন= ত্রি লোচন যার।  (সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2)

 

আরও পড়ুন- 

বাচ্য কয় প্রকার কি কি ?  বাচ্য পরিবর্তনের নিয়ম ও সাজেশান

 

) দ্বিগু সমাস:

যে সমাসে সমাহার বা সমষ্টি অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দিগু কথার অর্থ হল, দ্বি- দুই, গো- গরু অর্থাৎ দুই গরুর সমাহার।

যেমন:- সপ্তাহ= সপ্ত অহের সমাহার। পঞ্চভূত= পঞ্চ ভূতের সমাহার। পাঁচকড়ি=  পাঁচ কড়ির সমষ্টি। ইত্যাদি দ্বিগু সমাসের উদাহরণ।

) অব্যয়ীভাব সমাস:

যে সমাসে পূর্ব পদে অব্যয় এবং পূর্বপদের অর্থই প্রাধান্য পায়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অর্থাৎ সমাস নিসপন্ন হওয়ার পর অব্যয়ের ভাব প্রকাশ পায়। তাই একে অব্যয়ীভাব সমাস বলা হয়।

যেমন:- হায়াত= ভাতের অভাব। হাঘর= ঘরের অভাব। উপবন= বনের সদৃশ। দুর্ভিক্ষ= ভিক্ষার অভাব। প্রত্যঙ্গ= ক্ষুদ্র অঙ্গ। উপকূল= কুলের সমীপে। ইত্যাদি অবয়ীভাব সমাস।  (সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2)

 

) নিত্য সমাস:

যে সমাসের সাধারণত ব্যাসবাক্য হয় না বা ব্যাসবাক্য করতে গেলে অন্য কোন পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকেই নিত্য সমাস বলে।

যেমন:- ভাষান্তর= অন্য ভাষা। গ্রামান্তর= অন্য গ্রাম। দিনান্তর= অন্য দিন। হাঁটাহাঁটি= কেবল হাঁটা। জ্ঞানমাত্র= কেবল জ্ঞান।

) অলোপ সমাস:

যে সমাসে, পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না তাকেই, অলোপ সমাস বলে।

যেমন:- দুধেভাতে= দুধে ও ভাতে- অলপ দ্বন্দ্ব সমাস।

রোদেপোড়া= রোদে পোড়া- অলক তৎপুরুষ ইত্যাদি।   (সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2)

) বাক্যাশ্রয়ী সমাস: এক বা একাধিক বাক্য বা বাক্যাংশ যখন সমাসবদ্ধ রূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে বাক্যাশ্রয়ী সমাস বলে।

যেমন:- বসে আঁকা প্রতিযোগিতা।  (সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2)

ফেলে আসা দিনগুলি। ইত্যাদি

সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

মাধ্যমিকে যেমন প্রশ্ন আছে

নমুনা প্রশ্ন এবং তার উত্তর

১) “ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে তো একেবারেই গড়রাজি”- নিম্নরেক পদটি কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) অব্যয়ীভাব খ) নঞ তৎপুরুষ গ) বহুব্রীহি ঘ) কর্মধারায়, 2017

উঃ খ) অব্যয়ীভাব

২) কর্মধারয় সমাসে প্রাধান্য থাকে- ক)পূর্বপদের অর্থের খ) পরপদের অর্থের গ) উভয় পদের ঘ) ভিন্ন অর্থ সমস্ত পদের

উঃ খ) পরপদের অর্থের

) “চরণ কমলের ন্যায়”- ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখ।

উঃ চরন কমলের ন্যায়= চরণকমল, উপমিত কর্মধারয় সমাস।

 

) নিত্য সমাজ কাকে বলে?        সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

উঃ যে সমাসে সাধারণত ব্যাসবাক্য হয় না। ব্যাসবাক্য করতে গেলে অন্য কোন বাক্যের প্রয়োজন হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে।

যেমন: গ্রামান্তর= অন্য গ্রাম।

৫) গৌর অঙ্গ যাহার- ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখ।

উঃ গৌর অঙ্গ যাহার= গৌরাঙ্গ। সমাসের নাম- বহুব্রীহি সমাস।

৬) রামদাস আর কোন প্রশ্ন করি না।- নিম্নরেখ পদটি যে সমাসের উদাহরণ, সেটি হল-

ক)তৎপুরুষ খ)অব্যয়ীভাব গ) কর্মধারয় ঘ) দ্বিগু

উঃ ) কর্মধারয়

৭) পরপদটি প্রধান হয় যে সমাসে, সেটি-

ক) অব্যয়ীভাব খ)তৎপুরুষ গ) দ্বিগু ঘ) বহুব্রীহি

উঃ খ) তৎপুরুষ

৮) কৃত্তিবাস রামায়ণ রচনা করেন- নিম্নরেখ পদটি কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) কর্মধারয় সমাস খ) তৎপুরুষ সমাস গ) বহুব্রীহি সমাস ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস

উঃ ) বহুব্রীহি সমাস

৯) যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটির উভয় পদই বিশেষ্য ও পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলে-

ক) তৎপুরুষ সমাস খ) কর্মধারয় সমাস গ) দ্বন্দ্ব সমাস ঘ) অব্যয়ীভাব সমাস

উঃ খ) কর্মধারায় সমাস

 

১০) অলোপ সমাস কি?

উঃ যে সমাসে ঙঙঙঘীইঅ পদ গঠিত হবার পরেও, পূর্বপদের বিভক্তি, লুপ্ত হয় না, তাকে অলোপ সমাস বলে।

যেমন: হাতেপায়ে= হাতে ও পায়ে

১১) “মেঘে ঢাকা” শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম উল্লেখ কর।

মেঘে ঢাকা= মেঘ দিয়ে ঢাকা। করণ তৎপুরুষ সমাস (অলুক)

১২) ব্যাসবাক্য সহ একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।

উঃ সাদা-কালো= সাদা ও কালো।

১৩) সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি এবং দ্বিগু সমাসের পার্থক্য লেখ।

উঃ সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাসে, তৃতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য পায়, কিন্তু দ্বিগু সমাসে, সমাহার বা সমষ্টি বোঝাবে। যেমন- দশানন= দশ আনন যার অর্থাৎ রাবণ অন্যদিকে ত্রিফলা= ত্রি ফলের সমাহার অর্থাৎ তিনটি ফলের সমষ্টিকে বোঝাচ্ছে।

১৪) বাক্যাশ্রয়ী সমাসের একটি উদাহরণ দাও।

উঃ বসে আঁকো প্রতিযোগিতা

 

বিভিন্ন সমাসের উদাহরণ- এক নজরে:

১) মাতা-পিতা= মাতা ও পিতা- দ্বন্দ্ব সমাস।

২) তেমাতা= তিন মাথার সমাহার।- সমাহার দ্বিগু সমাস।

৩) নীলোৎপল= নীল যে উৎপল। রামদাস= যিনি রাম তিনিই দাস। কাঁচামিঠা= কাঁচা অথচ মিঠা।- কর্মধারয় সমাস।

৪) রথদেখা= রথকে দেখা। রাজ্যপাল= রাজ্যকে পালন করেন যিনি ‌- তৎপুরুষ সমাস

৫) গৌরাঙ্গ= গৌরাঙ্গ যার। বিনাপানি= বিনা পানিতে যার- বহুব্রীহি সমাস।

৬) গ্রামান্তর= অন্য গ্রাম- নিত্য সমাস

৭) অনুকূল= কূলের যোগ্য।- অব্যয়ীভাব

৮) স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির- বাক্যাশ্রয়ী সমাস।

 

টিপস:

১) অর্থ অনুযায়ী সমাসবদ্ধ পদকে ব্যাসবাক্যে ভাঙতে হবে, অর্থাৎ ব্যাসবাক্য এমন করতে হবে, যেন তার অর্থ হয়।

২) ব্যাসবাক্যকে এমনভাবে সমাসবদ্ধ করতে হবে, যেন তার অর্থ থাকে।

৩) ব্যাসবাক্য যেমন গঠন করা হবে সমাসের নাম তেমন হবে অর্থাৎ ব্যাসবাক্য যদি সঠিক ভাবে তৈরি করা হয়, তাহলে সমস্যার নাম সঠিক হবে।

you may like-

https://en.wikipedia.org/wiki/India

 

) সমাস কাকে বলে?

উঃ এক বা একাধিক পদকে এক পদে পরিণত করার নাম সমাস। সমাস কথার অর্থ- সংক্ষেপন | সমাস কাকে বলে সমাসের শ্রেণীবিভাগ কি কি part-1

যেমন:- “সিংহ চিহ্নিত আসন”= সিংহাসন।

এখানে “সিংহ”, “চিহ্নিত”, “আসন” তিনটি পদকে এক পদে পরিণত করে “সিংহাসন” পদটি তৈরি করা হলো।

 

সমাস সংক্রান্ত পরিভাষা:–   

) সমস্যমান পদ কাকে বলে?

উঃ যেসব পদের সমন্বয়ে সমাস গঠিত হয় তাদের প্রত্যেকটিকে সমস্যমান পদ বলে।

যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন। এখানে “সিংহ এবং “আসন এই দুটি পদের দ্বারা “সিংহাসন সমাস পদটি গঠিত হয়েছে। তাই সিংহ এবং আসন পদ দুটি হলো সমস্যামান পদ।

) পূর্বপদ এবং পরপদ বা উত্তর পদ কাকে বলে?

উঃ সমস্যমান পদের প্রথম পদটিকে বলা হয় পূর্বপদ এবং শেষের পদটিকে বলা হয় পরপদ বা উত্তরপদ।

যেমন:- সিংহাসন= সিংহ চিহ্নিত আসন। এখানে সিংহ হল পূর্বপদ এবং আসন হল পরপদ বা উত্তরপদ।

) সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ কাকে বলে?

উঃ সমস্যমান পদের সমন্বয়ে যে নতুন পদ সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ।

যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন

এখানে, “সিংহ এবং “আসন সমস্যমান পদের সমন্বয়ে “সিংহাসন নামক নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে।

 

) ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাস বাক্য কাকে বলে?   

উঃ যে সমস্ত বাক্য বা বাক্যাংশ দ্বারা সমাসবদ্ধ পদের অর্থ বিশ্লেষণ করা হয় তাকে,ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য বলে। যেমন:- সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন। এখানে “সিংহ চিহ্নিত আসন বাক্যাংশটির দ্বারা “সিংহাসন পদটির অর্থ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই “সিংহ চিহ্নিত আসন বাক্যাংশটি ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহ বাক্য।

সমাসের শ্রেণীবিভাগ:

বর্তমান পাঠ্যক্রম অনুযায়ী বাংলা সমাসকে মোট নয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:-

)দ্বন্দ্ব সমাস

)কর্মধারয় সমাস

)তৎপুরুষ সমাস

)বহুব্রীহি সমাস

)দ্বিগু সমাস

)অব্যয়ীভাব সমাস

)নিত্য সমাস

)অলপ সমাস এবং

) বাক্যশ্রয়ী সমাস

 

) দ্বন্দ্ব সমাস:– সমাস কাকে বলে সমাসের শ্রেণীবিভাগ কি কি part-1

যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটি কোন সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং দুটি পদেরই অর্থ সমানভাবে প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন:- সাদা-কালো= সাদা ও কালো। এখানে সাদা পূর্বপদ এবং কালো পরপদ উভয়ই অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

দ্বন্দ্ব সমাসের আরও উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:

ছেলে-মেয়ে= ছেলে ও মেয়ে

পিতা-মাতা= পিতা ও মাতা।

মাসি-পিসি= মাসি ও পিসি।

গণ্যমান্য=গণ্য ও মান্য

যাকে-তাকে= যাকে ও তাকে

কেনাবেচা= কেনা ও বেচা

চেয়ার-টেবিল= চেয়ার ও টেবিল

একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস:- যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে বহুবচনান্ত একটি মাত্র পদ অবশিষ্ট থাকে, তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

যেমন:- আমরা= আমি ও তুমি। তোমরা= তুমি ও সে

তোমাদের= আমার ও তোমার

২) কর্মধারায় সমাস:-  

যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটির একটি বিশেষ্য এবং অন্যটি বিশেষণ অথবা উভয়ই বিশেষ্য অথবা বিশেষণ এবং পরপদটির অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় কথার অর্থ, যে করে সেই ধরে (কর্ম চাসৌ ধারশ্চ) কর্মকে ধারণ করে বলে, এই সমাসটির নাম কর্মধারয়।

যেমন: মহাজন= মহান যে জন। এখানে পূর্বপদ মহান বিশেষণ এবং পরপদ জন বিশেষ্য এবং এই দুটি পদে সমাসবদ্ধ হবার পর জন পদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণীবিভাগ: কর্মধারয় সমাস পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।যথা:-

১) সাধারণ ২) মধ্যপদ লোপী ৩) উপমান ৪) উপমিত এবং ৫) রূপক কর্মধারয়

) সাধারণ কর্মধারয় সমাস: সাধারণ কর্মধারয় সমাসে পুর্বপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ অথবা পরপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়,

যেমন:পূর্ণচন্দ্র= পূর্ণ যে চন্দ্র।

কালপুরুষ= কাল যে পুরুষ

কারুশিল্পী= যিনি কারু তিনিই শিল্পী

) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:- যে কর্মধারয় সমাসে,ব্যাস বাক্যের মাঝে অবস্থিত পদ, সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন

এখানে “চিহ্নিত পদটি সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়েছে।

) উপমান কর্মধারয় সমাস:

উপমান বাচক পূর্বপদের সঙ্গে সাধারণ ধর্মবাচক পরপদের সমাস হলে তাকে বলা হয় উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- ঘনশ্যাম= ঘনের ন্যায় শ্যাম।

মসীকৃষ্ণ= মসীর ন্যায় কৃষ্ণ

এখানে উপমান ঘন এবং সাধারণ ধর্ম শ্যাম উপস্থিত কিন্তু উপমেয় নেই।

 

উপমেয়:- যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে।

উপমান:যার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে উপমান বলে।

সাধারণ ধর্ম: উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে যে, সাধারণ গুনগত সাদৃশ্য থাকে, তাকে সাধারণ ধর্ম বলে।

উদাহরণ:কাজলের মতো কালো চোখ।

এখানে, চোখ হল উপমেয়, কারন চোখের সঙ্গেই তুলনা করা হয়েছে।

কাজল হল উপমান, কারণ কজলের সঙ্গেই চোখকে,তুলনা করা হয়েছে।

কালো হল সাধারণ ধর্ম কারন, চোখ এবং কাজল উভয়েই কালো। অর্থাৎ প্রধান বিষয়টি হল উপমেয়, অপ্রধান বিষয়টি হল উপমান।যার জন্য উভয়ের মধ্যে মিল দেখানো হয় সেটিই সাধারণ ধর্ম।

 

) উপমিত কর্মধারয় সমাস:– 

উপমেয়বাচক পূর্বপদের সঙ্গে উপমানবাচক উত্তরপদ বা পরপদের সমাস হলে তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়।

এখানে উপমেয় পুরুষ এবং উপমান সিংহ উপস্থিত কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই।

(অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান থাকবে এবং সাধারণ ধর্ম থাকবে, উপমেয় থাকবে না, উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান উভয়ই থাকবে।)

 

উপমান কর্মধারয় সমাস এবং উপমিত কর্মধারয় সমাসের পার্থক্য:

১) উপমান কর্মধারয় সমাসে, পূর্বপদে উপমান থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় থাকবে।

২) উপমান কর্মধারয় সমাসে উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উত্তরপদে উপমান থাকবে।

৩) উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান এবং সাধারণ ধর্ম থাকে, উপমেয় থাকে না কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান তুই থাকে কিন্তু সাধারণ ধর্ম থাকে না।

উদাহরণ:-

উপমান কর্মধারয় সমাস:-

তুষারধবল= তুষারের ন্যায় ধবল। এখানে তুষার পদটি হল, উপমান আর ধবল হল সাধারণ ধর্ম কিন্তু উপমেয় এখানে নেই। অর্থাৎ তুষারের মতো কি ধবল, সেটা নেই।

উপমিত কর্মধারয় সমাস:

পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়। এখানে পূর্বপদ পুরুষ হলো, উপমেয় পরপদ সিংহ হল উপমান কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই অর্থাৎ পুরুষ সিংহের মতো কি সেটা নেই, কালো না সাদা না লম্বা না শক্তিশালী এরকম সাধারণ ধর্ম নেই।

 

) রূপক কর্মধারয় সমাস:

যে সমাসে উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- মনমাঝি= মন রূপ মাঝি। বিপদসিন্ধু= বিপদ রূপ সিন্ধু।

রূপক কর্মধারয় সমাসে, উপমান এবং উপমেয়ের মধ্যে রূপ শব্দটি থাকবে।

 

সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

২) কর্মধারায় সমাস:-  

যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটির একটি বিশেষ্য এবং অন্যটি বিশেষণ অথবা উভয়ই বিশেষ্য অথবা বিশেষণ এবং পরপদটির অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলা হয় কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় কথার অর্থ, যে করে সেই ধরে (কর্ম চাসৌ ধারশ্চ) কর্মকে ধারণ করে বলে, এই সমাসটির নাম কর্মধারয়।

যেমন: মহাজন= মহান যে জন। এখানে পূর্বপদ মহান বিশেষণ এবং পরপদ জন বিশেষ্য এবং এই দুটি পদে সমাসবদ্ধ হবার পর জন পদের অর্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণীবিভাগ: কর্মধারয় সমাস পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।যথা:-

১) সাধারণ ২) মধ্যপদ লোপী ৩) উপমান ৪) উপমিত এবং ৫) রূপক কর্মধারয়

) সাধারণ কর্মধারয় সমাস: সাধারণ কর্মধারয় সমাসে পুর্বপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ অথবা পরপদ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়,

যেমন:পূর্ণচন্দ্র= পূর্ণ যে চন্দ্র।

কালপুরুষ= কাল যে পুরুষ

কারুশিল্পী= যিনি কারু তিনিই শিল্পী

) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:- যে কর্মধারয় সমাসে,ব্যাস বাক্যের মাঝে অবস্থিত পদ, সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন

এখানে “চিহ্নিত পদটি সমাসবদ্ধ পদে লুপ্ত হয়েছে।

) উপমান কর্মধারয় সমাস:

উপমান বাচক পূর্বপদের সঙ্গে সাধারণ ধর্মবাচক পরপদের সমাস হলে তাকে বলা হয় উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- ঘনশ্যাম= ঘনের ন্যায় শ্যাম।

মসীকৃষ্ণ= মসীর ন্যায় কৃষ্ণ

এখানে উপমান ঘন এবং সাধারণ ধর্ম শ্যাম উপস্থিত কিন্তু উপমেয় নেই।

সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

উপমেয়:- যাকে তুলনা করা হয়, তাকে উপমেয় বলে।

উপমান:যার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে উপমান বলে।

সাধারণ ধর্ম: উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে যে, সাধারণ গুনগত সাদৃশ্য থাকে, তাকে সাধারণ ধর্ম বলে।

উদাহরণ:কাজলের মতো কালো চোখ।

এখানে, চোখ হল উপমেয়, কারন চোখের সঙ্গেই তুলনা করা হয়েছে।

কাজল হল উপমান, কারণ কজলের সঙ্গেই চোখকে,তুলনা করা হয়েছে।

কালো হল সাধারণ ধর্ম কারন, চোখ এবং কাজল উভয়েই কালো। অর্থাৎ প্রধান বিষয়টি হল উপমেয়, অপ্রধান বিষয়টি হল উপমান।যার জন্য উভয়ের মধ্যে মিল দেখানো হয় সেটিই সাধারণ ধর্ম।

 

) উপমিত কর্মধারয় সমাস:– 

উপমেয়বাচক পূর্বপদের সঙ্গে উপমানবাচক উত্তরপদ বা পরপদের সমাস হলে তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়।

এখানে উপমেয় পুরুষ এবং উপমান সিংহ উপস্থিত কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই।

(অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান থাকবে এবং সাধারণ ধর্ম থাকবে, উপমেয় থাকবে না, উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান উভয়ই থাকবে।)

 

উপমান কর্মধারয় সমাস এবং উপমিত কর্মধারয় সমাসের পার্থক্য:

১) উপমান কর্মধারয় সমাসে, পূর্বপদে উপমান থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় থাকবে।

২) উপমান কর্মধারয় সমাসে উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকবে কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উত্তরপদে উপমান থাকবে।

৩) উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমান এবং সাধারণ ধর্ম থাকে, উপমেয় থাকে না কিন্তু উপমিত কর্মধারয় সমাসে, উপমেয় এবং উপমান তুই থাকে কিন্তু সাধারণ ধর্ম থাকে না।

উদাহরণ:-

উপমান কর্মধারয় সমাস:-

তুষারধবল= তুষারের ন্যায় ধবল। এখানে তুষার পদটি হল, উপমান আর ধবল হল সাধারণ ধর্ম কিন্তু উপমেয় এখানে নেই। অর্থাৎ তুষারের মতো কি ধবল, সেটা নেই।

উপমিত কর্মধারয় সমাস:

পুরুষসিংহ= পুরুষ সিংহের ন্যায়। এখানে পূর্বপদ পুরুষ হলো, উপমেয় পরপদ সিংহ হল উপমান কিন্তু সাধারণ ধর্ম নেই অর্থাৎ পুরুষ সিংহের মতো কি সেটা নেই, কালো না সাদা না লম্বা না শক্তিশালী এরকম সাধারণ ধর্ম নেই।

 

) রূপক কর্মধারয় সমাস:

যে সমাসে উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন:- মনমাঝি= মন রূপ মাঝি। বিপদসিন্ধু= বিপদ রূপ সিন্ধু।

রূপক কর্মধারয় সমাসে, উপমান এবং উপমেয়ের মধ্যে রূপ শব্দটি থাকবে।

 

সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2 সমাস কাকে বলে বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে part-2

Ratan Das

Learn More