> সহায়িকা বই থেকে উত্তর লেখা কি উচিত » Qবাংলা

সহায়িকা বই থেকে উত্তর লেখা কি উচিত

প্রতিটি শিক্ষার্থীদের পছন্দ সহায়িকা বই| শিক্ষার্থীদের জীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হল: একটি মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং একটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নম্বরের উপর শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে যায় তাই শিক্ষার্থীদের এই দুটি পরীক্ষায় যথাযথ প্রিপারেশন নিয়ে ভালোভাবে যথেষ্ট নম্বর তুলে পাস করতে হয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৫%-৯৮% নাম্বার তুলতে গেলে বেশ কিছু বিষয় দিকে নজর দিতে হয় যেমন =

  • প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪ ঘন্টা নিয়মিত পড়াশোনা করা
  • প্রতিটি সাবজেক্ট এর জন্য আলাদা আলাদা খাতা তৈরি করে তাতে প্রশ্ন এবং উত্তর তৈরি করা 
  • একটি রুটিন তৈরি করা এবং সময় অনুযায়ী সাবজেক্টগুলোকে ভাগ করে পড়া 
  • স্মার্ট ভাবে পড়াশুনা করা
  • প্রতিটি সাবজেক্টের প্রশ্ন উত্তর লেখা অভ্যাস করা
  • টেক্সট বইগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে রিডিং পড়া
  • সহায়িকা বই থেকে মাছিমারা নকল না করে নিজে খেটে উত্তর তৈরি করতে হবে।
  • প্রচুর পরিমাণে প্রশ্ন এবং তার উত্তর স্বল্প করতে হবে

মোটামুটি ভাবে উপরের এই নিয়মগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করে চললে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে যথেষ্ট ভালো পরিমাণ নাম্বার তুলতে পারবে মনে রাখবে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে যথেষ্ট ভালো পরিমাণ নাম্বার পেলে তবে তোমাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুরক্ষিত হবে তাই সময় থাকতে নিজেকে গুছিয়ে নাও এবং টাইম অনুযায়ী পড়তে শুরু করে দাও।

উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা সহায়িকা বই থেকে উত্তর লেখা কি উচিত?

উচ্চমাধ্যমিকে  WBCHSE  বাংলা বিষয়ে কেন যেকোনো সাবজেক্টে ৯৯% নম্বর পেতে গেলে তোমাকে নিজেকে পরিশ্রম করতে হবে নিজেকে সময় দিয়ে পড়াশোনা করে তবে সাফল্য লাভ করতে পারবে। কোন সহায়িকা বই থেকে উত্তর লেখা একদমই উচিত নয়। সহায়িকা বই থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী হুবহু কপি করে উত্তর লিখতে যায়- এর ফলে উত্তরের মান গড়পর্তা হয়ে যায়বাজার চলতি যেকোনো সহায়িকা বই থেকে উত্তর লেখা উচিত নয় তার কারণ

  1. সহায়িকা বইগুলির উত্তর এর মান একেবারেই নিম্নমানের হয়ে থাকে তাই তুমি যদি সেই উত্তর পরীক্ষার খাতায় লিখে আসো, তাহলে ফুল মার্কস পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে।
  2. সহায়িকা বইগুলির উত্তর এমনভাবে লেখা থাকে যাতে প্রতিটি ছেলে-মেয়ে সহজে লিখতে পারে। তাই সাধারণ ছেলে-মেয়েদের পক্ষে সহায়িকা বই উপকারী হলেও যারা টপ লেভেলে নম্বর পেতে চাই। তাদের ক্ষেত্রে সহায়িকা বই থেকে উত্তর লেখা একদম উচিত নয়।
  3. অধিকাংশ শিক্ষার্থী সহায়িকা বই থেকে হুবহু কপি করে লেখে এর ফলে প্রত্যেকের উত্তর এর মান একই রকম হয়ে যায়। যার ফলে গড় নাম্বার এসে যায় ফুল মার্কস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থেকে যায়
  4. ফুল মার্কস পেতে গেলে বাজার চলতি সহায়িকা বই থেকে কপি করে উত্তর লেখা উচিত নয়। তুমি সহায়িকা বইটা ফলো করতে পারো কিন্তু সেই উত্তরটি খাতায় লেখায় উপযুক্ত নয়। তুমি নিজে খেটে তৈরি করে এর উত্তর তৈরি কর তাতে উত্তরের মান অনেক বাড়বে এবং ইউনিট উত্তর হবে
  5. সহায়িকা বই থেকে তুমি শুধু শব্দার্থ টিকা, বিষয়বস্তুগুলো বুঝে নাও। তারপর তোমার নির্দিষ্ট টেক্সট বইটিকে অনুসরণ করো সেখানে কিভাবে বলা আছে? কি লেখা আছে? ভালোভাবে পড়ে নিজে থেকে উত্তর লেখার চেষ্টা করো

উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলায় ৯৯% নম্বর তোলার কৌশল

উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয়ে প্রশ্ন খুবই সোজা হয়ে থাকে এবং প্রশ্নগুলো অনেক সময় হুবহু কমানও এসে থাকে। কারণ যে বছর যে প্রশ্ন পড়ে যায়- তার পরের বছর সেই প্রশ্নগুলি আসে না এর ফলে প্রশ্নগুলো বাছাই করুন সহজ হয়ে যায় তাই উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয়ে বহু ক্ষেত্রে প্রশ্ন অনেক কমন এসে যায়। এর একটা ভালো দিক যেমন আছে খারাপ দিকও তেমন আছে প্রশ্ন হুবহু কেমন পড়লে সেই প্রশ্নের উত্তর প্রতিটা ছেলেমেয়ে একই রকম লেখে এর ফলে ফুল মার্কসটা হয় না নম্বর কম আসে। এক্ষেত্রে তোমার কি করনীয় ??

  1. বাজার চলতি সহায়িকা বইগুলো থেকে একেবারেই উত্তর লিখবে না
  2. প্রশ্নের উত্তর ইউনিক তৈরি করো, টেক্সটবই অনুসরণ করে উত্তরগুলো নিজে তৈরি কর
  3. ৫ নম্বরে প্রশ্নের জন্য মিনিমাম তিনটি প্যারা ব্যবহার করে উত্তর লেখ সে তোমার প্রশ্ন যেমনই হোক অবশ্যই তিনটি প্যারা করে উত্তর লেখ
  4. পয়েন্ট করে উত্তর লিখতে যেও না কেননা পয়েন্ট করে উত্তর লিখলে যিনি খাতা দেখবেন তিনি স্কিপ করে যাবেন পয়েন্ট লক্ষ্য করব তোমার উত্তর পড়বে না।
  5. তিনটি প্যারার মধ্যে প্রথম প্যারাটি দুই থেকে তিন লাইনের লিখবে, মাঝের প্যারাটি বড় প্যারা হবে এবং শেষের প্যারাটি চার থেকে পাঁচ লাইনের লিখে উত্তর শেষ করে দেবে।
  6. একটি ৫ নম্বরে প্রশ্নের উত্তর শেষ করার পর মিনিমাম দু লাইন অথবা তিন লাইন গ্যাপ রেখে পরের প্রশ্নটির উত্তর লিখবে
  7. হাতের লেখাটা যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা করবে কাটাকাটি বা হিজিবিজি করলে ফুল মার্কস পাওয়া যাবে না।
  8. পাঁচ নম্বরে উত্তরের জন্য যে কবিতা বা গল্প থেকে তুমি উত্তরটি লিখবে, সেই কবিতা বা গল্পের প্রাসঙ্গিক লাইন কোটেশনসহ ব্যবহার করলে উত্তরের মান অনেকটা বেড়ে যায়এবং ফুল মার্কস সহজে পাওয়া যায়

উপরের কৌশল অনুসরণ করে তুমি তোমার উত্তর তৈরি করো বা উত্তর লেখা অভ্যাস করো, মনে রাখবে বাংলা প্রশ্ন খুব সোজা এবং কমন আসে বলে ৯৯% নম্বর তোলা খুবই সহজ ব্যাপার কিন্তু অনেক ছেলে মেয়ে বাংলা বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে ফুল মার্কস পায় না তাই তোমাকে ফুল মার্কস পেতে গেলে ওপরে লিখিত কৌশলগুলি অনুসরণ করে চলো

উচ্চমাধ্যমিকে প্রবন্ধ রচনা কী ফুল মার্কস পাওয়া যায়?

উচ্চমাধ্যমিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রবন্ধ রচনা এই প্রবন্ধ রচনায় ১০ নম্বর ধার্য করা থাকে। সঠিকভাবে পদ্ধতি অবলম্বন করে সঠিক প্রবন্ধ রচনা নির্বাচন করে লিখলে ফুল মার্কস পাওয়া যায়, আর বাংলায় ৯৯% নম্বর পেতে গেলে প্রবন্ধ রচনা ফুল মাক্স পাওয়া অত্যন্ত জরুরি উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় চার ধরনের প্রবন্ধ রচনা আসে যথা 

  1. কোন বিখ্যাত লেখক কবি মনীষীর জীবনী রচনা 
  2. কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা
  3. কোন একটি ভূমিকা অংশকে গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে প্রবন্ধ রচনা 
  4. কোন একটি মানষ মানচিত্র থাকবে সেটিকে অবলম্বন করে প্রবন্ধ রচনা করা

উপরের এই চারটি প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রেই কিছু তথ্য প্রশ্নেই উল্লেখ করা থাকবে সেগুলোই অবলম্বন করে তোমাদের প্রবন্ধ রচনা লিখতে হয়। উচ্চমাধ্যমিকে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী জীবনী রচনা লিখতে যায়। কারণ জীবনী রচনাতে যে লেখক বা কবিকে দেয় সেই লেখক বা কবির জন্ম সাল তারিখ কর্মজীবন শিক্ষাগত জীবন মৃত্যু সমস্ত বিষয়ই উল্লেখ করা থাকে ফলে রচনাটা লেখা খুব সহজ হয়। আর এখানেই শিক্ষার্থীরা ভুল করে থাকে।

প্রায় প্রতিটি সাধারণ ছেলে-মেয়ে এই রচনাটা লেখার ফলে নম্বর গড় আসে পাঁচ থেকে ছয় নম্বরে বেশি পরীক্ষক দিতেই চায়না কারণ যেহেতু উপাদানগুলি সব উল্লেখ করাই থাকে শিক্ষার্থীরা সেগুলোকেই হুবহু কপি করে লিখে দেয় এর ফলে নম্বর কম বা ফুল মার্কস একদমই ওঠে না। তুমি এমন প্রবন্ধ রচনা অভ্যাস করতে থাকো যেটাতে ফুল মার্কস পাওয়া যায়

কোন প্রবন্ধ রচনা লিখলে ফুল মার্কস পাওয়া যায়?

উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয় চার ধরনের প্রবন্ধ রচনা পরে সেটা আগেই বলা হলো। মূলত বিতর্ক মূলক প্রবন্ধ রচনাটি লিখলে ফুল মাকস্ পাওয়া যায় বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। সেই নিয়মগুলো সঠিকভাবে পদ্ধতি অনুসরণ করে অভ্যাস করতে থাকলে ফুল মার্কস তোমরা পেয়ে যাবে বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা নমুনা দেখতে নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে দেখে নিতে পারো

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা – Click Here

উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা প্রবন্ধ লেখার সহজ সরল কৌশলপ্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন উচ্চ মাধ্যমিকে একটা ভালো নম্বর নিয়ে পাস করা মোটামুটি ৯০ থেকে ৯৯% নম্বর পেলে তবেই তার ভবিষ্যৎ জীবন সুরক্ষিত হবে তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীদের উচিত নিয়ম করে প্রতিদিন স্মার্ট ভাবে পড়াশুনা করে যাওয়া এক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলা বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা লেখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে যাতে তোমরা ফুল মার্কস পেতে পারো, 

  • চারটি প্রবন্ধ রচনা মধ্যে তোমাকে সঠিক প্রবন্ধ রচনাটি নির্বাচন করতে হবে 
  • সেই প্রবন্ধ রচনাটি নির্বাচন করে প্রতিদিন নিয়মিত অভ্যাস করতে হবে 
  • প্রবন্ধ রচনা কখনোই পয়েন্ট তুলে লিখতে যেয়ো না। পয়েন্ট তুলে লিখলে পরীক্ষক স্কিপ করে যাবেন তোমার প্রবন্ধ রচনা পড়বেন না
  • হাতের লেখা অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে কাটাকাটি বা হিজিবিজি একদমই করবে না
  • নিয়মিত প্রতিদিন একটি করে প্রবন্ধ লেখা অভ্যাস করতে হবে
  • মূলত বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনাটি লেখার চেষ্টা করো এই প্রবন্ধ রচনাটি সঠিকভাবে লিখতে পারলেই ১০ মধ্যে ১০ পেয়ে যাবে।
  • অবশ্যই পরীক্ষার খাতায় মার্জিন ব্যবহার করবে
  • বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা লিখতে গেলে মিনিমাম সাত থেকে আটটি ছোট ছোট প্যারায় তোমার যুক্তি সাজিয়ে লিখবে

উপরের দেওয়া এই কৌশল গুলি ভালোভাবে আয়ত্ত করে প্রতিদিন একটি করে বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা অভ্যাস করতে থাকো। দেখবে এক সময় তুমি দুর্দান্ত বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা লিখতে পারছো মনে রাখবে এই একটি মাত্র প্রবন্ধ রচনা আছে যেখানে ফুল মার্কস পাওয়া যায় তার কারণ বাকি যে প্রবন্ধ রচনা গুলি আছে সেগুলি বানিয়ে বানিয়ে মূলত লিখতে হয় আর এর ফলে কি হয়? প্রবন্ধ রচনাটি সাধারণ মানের হয়ে যায়। যার ফলে ফুল মার্কসটা পাওয়া যায় না।

বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম

বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রেই ফুল মার্কস পাওয়া যায় তার কারণ হচ্ছে এই বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে তথ্য ভিত্তিক প্রবন্ধ রচনা লিখতে হয়। যুক্তিখন্ডন করতে হয়। এর ফলে এখানে বানিয়ে বানিয়ে উত্তর লেখার জায়গা নেই তাই তোমার প্রবন্ধ রচনাটি অত্যন্ত খাঁটি মানের হয়ে থাকেবিতর্ক মূলক প্রবন্ধ রচনা লেখা প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সহজ ব্যাপার নয় এর জন্য প্রচুর পরিমাণে অভ্যাসের দরকার হয়। নিচে কতগুলি সহজ সরল কৌশল দেওয়া হল যেগুলো অনুসরণ করতে পারলে তোমরা খুব সহজে বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা লিখতে পারবে

  1. যে বিষয়টি বিতর্কমূলক অংশ দেবে সেই বিষয়টি সম্পর্কে তোমাদের স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে তার ভালো দিক এবং খারাপ দিক উভয়ই ধারণা তোমাদের থাকতে হবে।
  2. পরীক্ষায় এমন বিষয় দিয়ে থাকে যেগুলো বিতর্ক তৈরি হয় অর্থাৎ একদিকে যেমন তার উপকারিতা বা ভালো দিক থাকে অন্যদিকে তেমনি তার অপকারিতা বা খারাপ দিকেও থাকে
  3. বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে যুক্তিগুলি পরপর সাজাতে হবে এবং প্রতিটি যুক্তি প্যারা ভিত্তিক করতে হবে প্রত্যেক প্যারার সঙ্গে একে অপরের পরিপূরক হতে হবে
  4. মিনিমাম আট থেকে দশটি যুক্তি সাজিয়ে লিখবে
  5. প্রতিটি যুক্তি পাঁচ থেকে ছয় লাইনের বেশি বড় হওয়া উচিত নয়, যুক্তিগুলো যেন ছোট ছোট আকারে হয়ে থাকে তাহলে পরীক্ষক এর পড়তে সুবিধা হবে এবং এর ফলে প্রবন্ধ রচনাটি সত্যিই বিতর্কমূলক প্রবন্ধ বলে মনে হয় এবং ফুল মার্কস পাওয়া যায়

জীবনী মূলক রচনা লেখার কৌশল

বহু শিক্ষার্থী আছে , যারা বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা বা অন্য কোন প্রবন্ধ রচনা লিখতে পারে না হাজার চেষ্টা করেও তারা বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা লিখতে পারে নাতাদের ক্ষেত্রে অপশন আছে জীবনী মূলক নামে একটি সহজ প্রবন্ধ রচনা লেখা জীবনী মূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে সমস্ত তথ্যই দেওয়া থাকে তাকে অনুসরণ করেই তোমার প্রবন্ধ রচনা তৈরি করতে হবে। জীবনী মূলক প্রবন্ধ রচনা লেখার সহজ এবং সরল কৌশল হল 

  1. যে তথ্যগুলি দেওয়া থাকবে সেগুলিকে হুবহু কপি করে লেখার চেষ্টা করবে না 
  2. অন্তত দেড় থেকে দুই পাতা প্রবন্ধটি লিখতে হবে। 
  3. যে তথ্যগুলি দেওয়া থাকবে সেই তথ্যগুলোর বাইরে তোমাকে কিছু না কিছু সংযোজন করতেই হবে 
  4. জিবনীমূলক রচনা ক্ষেত্রে তুমি যে সূচনা বা ভূমিকা লিখবে সেটি যেন নিজস্ব তৈরি করা বা নিজের লেখা বাক্য হয়ে থাকে
  5. প্রশ্নে যে তথ্যগুলো দেওয়া থাকবে সেগুলিকে অবলম্বন করে অতিরিক্ত কিছু বিষয় তোমাকে সংযোজন করে নতুনভাবে লিখতে হবে
  6. জীবনমূলক প্রবন্ধ রচনা শেষে যে উপসংহার লিখতে হয় সেখানেও তোমার নিজস্ব কিছু বক্তব্য লেখার চেষ্টা করবে। যে মনীষী বা কবি বা লেখককে দেবে সেই মনীষী বা লেখকের সম্বন্ধে তোমার নিজস্ব মতামত দিতে হবে

মোটামুটি ভাবে এই কতগুলি কৌশল সঠিকভাবে আয়ত্ত করে রচনা প্র্যাকটিস বা অভ্যাস করতে থাকলে আট থেকে নয় নম্বর জীবনী রচনা লেখার ক্ষেত্রে পাওয়া যায় তবে অবশ্যই আগে থেকে তোমাকে দীর্ঘদিন ধরে রচনা লেখা অভ্যাস করতে হবে যে লেখক বা মনীষী কে দেবে সেই লেখক বা মনীষীর সম্বন্ধে আগে থেকেই তোমাকে জেনে থাকতে হবে অবশ্য তুমি পরীক্ষার আগেই বুঝতে পেরে যাবে কোন লেখক বা মনীষীকে পরীক্ষায় দেওয়া হবে

উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪ জীবনী মূলক কিছু প্রবন্ধ রচনা সাজেশন নিচে দেওয়া হল

  • স্বামী বিবেকানন্দ 
  • জীবনানন্দ দাশ 
  • কাজী নজরুল ইসলাম 
  • এপিজে আবদুল কালাম 
  • বিদ্যাসাগর 
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪ বিতর্কমূল ক কিছু প্রবন্ধ রচনা সাজেশন নিচে দেওয়া হল

  • ই-বুক থাকলে বই কেনার প্রয়োজন নেই
  • Facebook আশীর্বাদ
  • শিক্ষাক্ষেত্রে পাশ ফেল তুলে দেওয়া উচিত
  • শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পরিপূরক অনলাইন পড়াশোনা
  • পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয় অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর অর্থাৎ এক নম্বরে প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সহায়িকা বই থেকে এই অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দেখে দেখে অভ্যাস করতে থাকে এবং মুখস্ত করে ফেলে এবং সেগুলোই পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়ে আসে।

  • এইরকম মাছি মারা নকল করা প্রশ্নের উত্তর লেখা একদমই উচিত নয়। 
  • তোমার যে পাঠ্য টেক্সট বইটি আছে সেটিকে ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে রিডিং পড়ো, দেখবে যে কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি নিজে নিজেই লিখতে পারছো 
  • আর প্রশ্নের উত্তর লেখার একটা ধরন আছে একটা স্টাইল আছে সেই স্টাইলটাকে রপ্ত করার চেষ্টা করো,
  • যতটা সম্ভব টেক্সট বইটাকে ফলো করে উত্তর লেখার চেষ্টা করবে তাহলে তোমার বিভিন্ন প্রশ্নের জন্য আলাদা আলাদা করে কোন প্রশ্ন মুখস্ত করতে হবে না
  • নিয়মিত ছোট ছোট প্রশ্নগুলো নিজে নিজে লেখার চেষ্টা করো এবং প্রতিদিন অভ্যাস করো।
  • টেক্সট বইটিকে খুঁটকে খুঁটিয়ে ভালো করে রিডিং পড়ো

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading