> HS last minute suggestion 2024 100% common class12 » Qবাংলা

HS last minute suggestion 2024 100% common class12

দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা  2024  সালের ১০০% কমন যোগ্য প্রশ্ন নিচে দেওয়া হল। তোমাদের সুবিধার্থে এর উত্তরগুলি নিয়েছে করে দেওয়া হলো। সাধারণত দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্নপত্র খুব সহজেই পড়ে। দু-একটা প্রশ্ন এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে আসতে পারে, কিন্তু তোমাদের যদি প্রিপারেশন সঠিক থাকে, তোমরা ১০০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসতে পারবে। খুব কঠিন প্রশ্ন হয় না। প্রায় প্রত্যেকেরই বাংলা পরীক্ষা খুব ভালো হয়। তার কারণ প্রশ্ন অত্যন্ত সোজা থাকে। আর বেশিরভাগ প্রশ্ন কমন পড়ে থাকে।সাজেশন দেওয়া অত্যন্ত সহজ সাজেশন থেকে। তোমরা নিশ্চয়ই কমন পেয়ে যাবে।আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি বাংলা পরীক্ষা।

তার আগে তোমরা দেখে নাও ১৬ই ফেব্রুয়ারি হতে চলা, বাংলা পরীক্ষাতে তোমাদের রচনা বিভাগ দেখে কোন কোন রচনা গুরুত্বপূর্ণ এবং তার কতগুলি নমুনা, ১০০% কমন আসার মত রচনার উত্তর করে দেওয়া হল। নিচে তোমরা দেখে নাও। তোমরা মনে রাখবে, বাংলা পরীক্ষার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, এই রচনা। এতে দশটি নম্বর থাকে, ঠিকমতো নিয়ম মেনে রচনা লিখতে পারলে, পূর্ণ নম্বর খুব সহজে পেয়ে যাবে।

দ্বাদশ শ্রেণীর রচনা সাজেশন 2024:

উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয়ে চার ধরনের রচনা পড়ে সেখান থেকে তোমাদের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে রচনা সাধারণত লিখতে হয়। এই চার ধরনের রচনা হল:

  1. ১) মানুষ মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা
    ২) প্রদত্ত অনুচ্ছেদকে ভূমিকা স্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে প্রবন্ধ রচনা
    ৩) বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা এবং
    ৪) সূত্র ও তথ্যের ভিত্তিতে প্রবন্ধ রচনা (এটা সাধারণত জীবনী দেয়)
    ১) মানুষ মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

১৬ই ফেব্রুয়ারি হতে চলা বাংলা পরীক্ষাতে কোন কোন রচনাবলী এবছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি দেখার আগে তোমাদের রচনা লেখার গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস দেখে নাও, যা অনুসরণ করলে তোমরা পূর্ণ নম্বর অবশ্যই পাবেই পাবে।

  1. ১) রচনা লেখার ক্ষেত্রে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, হাতের লেখা। রচনা লেখার সময় হাতের লেখা অত্যন্ত পরিষ্কার এবং ঝকঝকে করার চেষ্টা করবে, কাটাকাটি বা হিজিবিজি করার চেষ্টা করবে না । যতটা সম্ভব চেষ্টা করবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে লেখা। এতে পূর্ণ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
    ২) মানুষ মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে অবশ্যই তোমাকে একটি ভূমিকা বা সূচনা এবং শেষে উপসংহার পয়েন্ট তোমাকে যোগ করে নিয়ে লিখে নিতে হবে।
    ৩) মানুষ মানচিত্রটি ভালো করে পড়ে নাও এবং যে পয়েন্ট বা সূত্রগুলি দিয়েছে, সেগুলি এক নজরে পড়ে নিয়ে ভালোভাবে একটা ধারণা তৈরি করে নাও।
    ৪) মানুষ মানচিত্রের ঠিক মাঝ বরাবর, প্রবন্ধ রচনার শিরোনাম বা প্রবন্ধের নাম দেওয়া থাকবে। সেটি তোমাকে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ প্রবন্ধের নাম বা শিরোনাম দিতে হবে এবং একটু বড় করে লিখে, হাইলাইট করতে হবে। খাতার ঠিক মাঝ বরাবর।
    ৫) মানুষ মানচিত্রে যে পয়েন্ট বা তথ্যগুলি দেওয়া থাকবে, সেগুলিকে অনুসরণ করে তুমি তোমার প্রবন্ধ রচনা তৈরি করতে পারো। তবে নতুন কোন পয়েন্ট বা তোমার নিজস্ব কোন পয়েন্ট তুমি উল্লেখ করতে পারো।
    ৬) যে পয়েন্টগুলো দেওয়া থাকবে, সেগুলো যে পরপর সাজাতে হবে বা সাজিয়ে লিখতে হবে, এমন কোন কথা নেই। তুমি যে কোন পয়েন্ট আগে, পরে, পিছিয়ে সাজিয়ে নিয়ে লিখতে পারো।
    ৭) মানুষ মানচিত্রে যে পয়েন্ট বা যে তথ্যগুলো তোমার ছকের মধ্যে দেওয়া থাকবে, সেগুলোকে বাদ দেওয়া যাবে না। সেগুলোকে পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করেই লিখতে হবে।
    ৮) প্রবন্ধ রচনা শুরুতে ভূমিকা লেখার সময় অনেকেই কোন কবিতার কোটেশন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ লেখকের কোট তুলে লেখার চেষ্টা করে। এতে রচনার মান বৃদ্ধি পায়। যদি তোমার মনে হয়, এই ধরনের কোর্ট লেখা বা কোন কবিতার লাইন তুলে লেখা অসুবিধা হয় বা লিখতে পারো না, তাহলে কোন কবিতার লাইন বা কোটেশন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র রচনাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে পয়েন্টগুলোকে ভালো করে হাইলাইট করে সুন্দরভাবে পরপর সাজিয়ে লেখ এতেই তোমার বাজিমাত হবে এবং তুমি পুর্ন নম্বর পাবে।

দ্বাদশ শ্রেণীর রচনা সাজেশন

প্রিয় স্নেহের ছাত্র-ছাত্রী তোমাদের রচনা বা প্রবন্ধ রচনা লেখার সুবিধার জন্য এই মানুষ মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ লেখা গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবন্ধ রচনা তোমাদের করে দেওয়া হল:-
১) নিম্নলিখিত মানুষ মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা কর:-

শিরোনা:  ছাত্র-ছাত্রীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:-

সূচনা:- তরুণ ছাত্রসমাজ হল ভারতের আগামীর ভবিষ্যৎ। আগামীর পথের প্রদর্শক। এই ছাত্র সমাজ থেকেই আগামী দিনে তৈরি হয় সমাজের কোন নতুন নায়ক। যিনি সমাজের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে দেশকে তথা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার্থে ছাত্র-ছাত্রীদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হতে হয়। কেননা ছাত্র অবস্থাতেই দেশের আগামী দিনের তরুণ নায়কেরা শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায়, সমাজের প্রতি অনেক দায়িত্ব এবং কর্তব্য শিখে নেয়। যা আগামী ভারতের তথা সমাজের নতুন কোন পথের দিশা দেখাতে পারে এই তরুণ নায়ক।

বর্তমান সমাজ এবং ছাত্র :- ছাত্র সমাজের রক্তের শিরায় থাকে তরুন উদ্দীপনা। তাদের মধ্যে থাকে আগামী দিনের স্বপ্ন এবং দায়িত্ব। দেশের আগামী দিনের তরুণ ছাত্র সমাজ কখনই দেশ তথা সমাজের থেকে আলাদা নয়। এই ছাত্র-ছাত্রীরা সমাজের পরিমণ্ডলের মধ্যে থেকেই নানা অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার দেখে দেখেই বড় হয় এবং ভবিষ্যৎ লড়াই এর মানুষিক প্রস্তুতির একটা রাস্তা তৈরি করে ফেলে।এই ছাত্র সমাজের সম্মিলিতভাবে ওঠা আওয়াজই পারে দেশের তথা সমাজের সংকট থেকে উদ্ধারের পথ দেখানো। তাদের মধ্যেই থাকে সেই উদ্দীপনা, সেই উন্মাদনা যা সমস্ত অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারকে মুছে দিয়ে নতুন সমাজের পথ গড়ার এক নতুন অঙ্গীকার নিয়ে থাকে। তাই সমাজের প্রতি ছাত্রদের যে একটা দায়িত্ববোধ বা কর্তব্যবোধ আছে সেটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না।

সামাজিক দায়িত্ব ও ছাত্র সমাজ:- “প্রাণপণে দুই হাতে সরাব জঞ্জাল” – এই অঙ্গীকার যেন তরুন ছাত্র সমাজের রক্তের শিরায় শিরায় থাকে। সমাজ কল্যাণে এই ছাত্র সমাজেই প্রাণ উৎসর্গ করতে পারে। বর্তমানে সামাজিক অবক্ষয়ে, যেভাবে অন্যায় অত্যাচার বেড়ে চলেছে এবং সাধারণ মানুষ যেভাবে উপেক্ষিত ও অত্যাচার হয়ে চলেছে- সেখান থেকে ছাত্র সমাজের একটা কর্তব্য এবং দায়িত্ববোধ অবশ্যই থাকে। তারা এই সমস্ত জঞ্জালকে সরানোর জন্যই মুক্তিপণ লড়াইকে আপন করে নেয়। তারা বার বার দুর্গম পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করে। সমাজের বিভিন্ন কোনায় ছড়িয়ে থাকা ছাত্র সমাজ ন্যায়ের প্রতীক এবং তারাই সমাজের নগ্ন দিক তুলে ধরে মানুষের চোখ খুলে দেয়।

পরিবেশের প্রতি ছাত্র সমাজের দায়িত্ব: বর্তমানে আধুনিক সভ্যতার নগরায়নের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হতে চলেছে। নানাভাবে পরিবেশ আজ কুলুষিত হচ্ছে এবং এই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের ফলে আগামী দিনে সবুজ যে একটা ধ্বংসের মুখে পড়বে তা বলা যায়। তাই আজকের এই কুলুষিত পরিবেশকে উদ্ধার করতে, আমাদের ছাত্র সমাজ আগামী দিনের প্রজন্ম যারা, তারা এই জঞ্জালকে সরাতে বদ্ধপরিকর। তারাই এই পরিবেশের কুলুষিত রূপকে মানুষের সামনে তুলে ধরে, তাকে সংস্কারের রাস্তা দেখাতে পারে। তারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বা সেমিনারে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন করছে। সমাজের মানুষকে তারা নানাভাবে পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এজন্য পরিবেশ বিষয়ক পাঠ্যসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই পরিবেশের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কে উপেক্ষা করা যায় না।

নিরক্ষরতা দূরীকরণের ছাত্র সমাজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। :-
নিরক্ষরতা সমাজের যে একটা অভিশাপ -সেটা একমাত্র আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ছাত্র-ছাত্রীরাই অনুভব করতে পারে। কেননা মানুষ নিরক্ষর থাকলে , মানুষকে সচেতন করে তোলা অসম্ভব। তাই ছাত্র-ছাত্রীরাই একমাত্র পারে নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে এছে সঠিক পথ, সঠিক রাস্তা দেখানো। শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের সীমানায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেনা তারা পাড়ায় পাড়ায় গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার আলোকে পৌঁছে দেওয়ার পোস্টম্যান হিসেবে কাজ করে। তাই নিরক্ষরতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের দায়িত্ব কে উপেক্ষা করা যায় না। বোধ হয় এজন্যই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছিলেন “এদেশের বুকে আঠারো নেমে আসুক”

কুসংস্কার দূরীকরণে ছাত্র সমাজের দায়িত্ব:- আমাদের সভ্যতা আধুনিক হলেও, সভ্যতা বিজ্ঞানের দৌলতে অনেক দূর এগিয়ে গেলেও, এখনো পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় কুসংস্কার রয়ে গেছে। এই কুসংস্কার জাতির মজ্জায় ঘূণ ধরে রয়ে গেছে। এই কুসংস্কারের আসল কারণ হলো, নিরক্ষরতা। তাই শিক্ষিত যুবসমাজ তথা ছাত্র সমাজ এই কুসংস্কারকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। কুসংস্কার সমূলে নির্মূল করার জন্য যেন ছাত্র সমাজ সর্বদা প্রস্তুত থাকে। সবার আগে তাদের মধ্যেই যুক্তি চেতনার এবং নতুন চিন্তার উদ্ভব ঘটে। যা নতুন সমাজ গঠনের কারিগড়ের ভূমিকায হিসেবে কাজ করে। তাই সমাজের নতুন সত্যকে জানতে এবং জানাতে তথা কুসংস্কারকে দূরীকরণ করতে ছাত্র সমাজকেই এই দায়িত্ব তুলে নিতে হবে।

সাম্প্রদায়িকতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের দায়িত্ব:- আমাদের ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। যেখানে স্বাধীনভাবে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ নিজে নিজে ধর্ম-কর্ম পালন করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নানাভাবে মানুষকে উস্কানিমূলক বক্তব্য মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়। এর ফলস্বরূপ পরিণতি হয় দাঙ্গা। তাই সাম্প্রদায়িকতা দূরীকরণে ছাত্র সমাজের একটা গুরু দায়িত্ব থেকে যায়। ছাত্রসমাজ সাধারণত সুচিন্তক হয়। তারা সত্যকে সমাজের সামনে রাখতে চায়। তাই ছাত্র সমাজ সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে আবদ্ধ না থেকে মানুষ হিসেবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তারা বড় হতে থাকে এবং আগামী দিনে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে তারা সম্মানের সঙ্গে নিজের বুকে জড়িয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।

আধুনিক বিজ্ঞান ও ছাত্র সমাজ:- যেহেতু বর্তমান সমাজ ও সভ্যতা আধুনিক বিজ্ঞানের দ্বারা সভ্যতার চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। যেখানে এর মূল কর্ণধার ছাত্রসমাজ। অর্থাৎ ছাত্রসমাজকে আধুনিক শিক্ষার দ্বারা বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা উদ্ভব ঘটাতে পারলে সমাজের তথা দেশের, মঙ্গল সে কথা বলা যায়।
শেষ কথা:- দেশের তরুণ যুব সমাজ তথা ছাত্র সমাজ আধুনিক সমাজ গঠনের কারিগর। তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ সমাজকে তথা দেশকে নতুন পথের দিশা দেখায়। তারা যেমন সুচিন্তকের মতবাদের সমর্থক হয়, তেমনি সেই সুচিন্তক মতবাদকে দায়িত্ব হিসেবেই কর্তব্য পালনে আগ্রহী হয়। তারা আত্মসুখ থেকে বিমুখ থাকে এবং সার্বিকভাবে দায়িত্ব নিয়ে সমাজের কল্যাণকর কাজের মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

 

আগামী ১৬ তারিখে হতে চলা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ের মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়গুলি তোমরা করে রাখবে। আশা করছি হয়ে গেছে। সেগুলি হল

  1.  1)পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
    2) খেলাধুলার চরিত্র গঠনে ভূমিকা
    3) বিশ্ব উষ্ণায়ন
    4) বাংলা ঋতু বৈচিত্র্য
    5) প্রাকৃতিক বিপর্যয়
    6) গণমাধ্যমের ভূমিকা

২)প্রতিপক্ষের যুক্তির অসরতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা কর:-

বিতর্কমূলক প্রবন্ধ রচনা ক্ষেত্রে নিচের এই বিষয়গুলি অবশ্যই নজর রাখবে

  1. ১) যুক্তিক্রম গুলো পরপর সাজাবে। এক, দুই, তিন, চার- এইভাবে
    ২) মোটামুটি দশটি যুক্তি সাজানোর চেষ্টা করবে
    ৩) তারপর শেষে একটি কনক্লুশন অর্থাৎ উপসংহার টেনে দেবে।
    ,৪) যুক্তিগুলো শুধু নিজের পক্ষে দিলে হবে না প্রতিপক্ষের যুক্তি গুলোকে অসারতা অর্থাৎ যুক্তিহীন প্রমাণ করে তোমার মত তাকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে
    ৫) তোমার যুক্তিগুলো অবশ্যই যুক্তিনিষ্ঠ ভাবে তৈরি করবে, যুক্তিগুলি যেন নিরপেক্ষ হয় কোন পক্ষ অবলম্বন করে যেন না লেখা হয়

এই রচনা তুমি লিখলে পূর্ণ নম্বর পেয়ে যাবে। এই রচনাটি তথ্যমূলক হয় বলে অনেকে লিখতে চায় না। তাই এই রচনাটি টার্গেট করলে, ফুল মার্কস পাবে। আর এই রচনা কমন থাকে। এ বছর যে রচনাটি তোমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সেই রচনাটি আমি নমুনা হিসেবে নিচে করে দেওয়া হয়েছে।HS last minute suggestion 2024

২) প্রতিপক্ষের যুক্তি রচনা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিবিন্যাস সাজিয়ে প্রবন্ধ রচনা লেখ
বিতর্কের বিষয়:- পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর একমাত্র সাফল্যের মাপকাঠি
মতের পক্ষে:- বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মানদন্ড বিচার করা হয়, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে।তাছাড়া পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এর মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হয়। শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে দিয়ে তার আগামীর পথের যাত্রা সুনিশ্চিত হয়। তাই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর না থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেক বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। অযোগ্য ব্যক্তি যোগ্য স্থানে জায়গা করে নেবে তাই প্রাপ্ত নম্বর অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ।

এইরকম তোমাদের একটি প্রশ্ন বা অংশ থাকবে এর বিপক্ষে কি তোমাকে যুক্তিক্রম সাজিয়ে লিখতে হবে কিভাবে লিখবে নিচে দেওয়া হল:-
উঃ
বিতর্কের বিষয়:- পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি
মতের বিপক্ষে:-একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সাফল্যের পিছনে পরীক্ষার নম্বর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রতিভা। যার প্রতিভা থাকবে তাকে আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই। বর্তমানে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কোন জায়গায় গুরুত্ব নেই। যদি গুরুত্ব থাকে তা সেটা কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ক্ষেত্রে। কিন্তু তার জীবনের সফলতা সেই পরীক্ষার নম্বর দিয়ে কখনোই বিচার করা যায় না।
—-এই প্রসঙ্গেই প্রশ্নে উল্লেখিত মতের বিপক্ষে আমার যুক্তিক্রম গুলো নিম্নলিখিত:-

প্রথমত: বর্তমানে শিক্ষা জগতের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কোন গুরুত্ব নেই। যদি কোন গুরুত্ব থাকে তা সেটা হল তার প্রতিভা। হতেই পারে কোন ছাত্র বা ছাত্রীর পরীক্ষার নম্বর কম আছে। তা বলে ভবিষ্যতে সে সাফল্য পাবে না এমন কথা জোর গলায় বলা যায় না। হতেই পারে পরীক্ষার সময় তার পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বা ভালো হয়নি। তাই পরীক্ষা নম্বর কম এসেছে তার জন্য তার সারা জীবনের সাফল্য নির্ভর করবে না। তার প্রতিভা যদি ঠিক থাকে তাহলে সে একদিন না একদিন সাফল্য পাবেই।

দ্বিতীয়তঃ বর্তমানে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপের সৃষ্টি করে এর ফলে আত্মহত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর মানসিক অবসাদও ভোগে। এর ফলে তাদের জীবনের সাফল্যের পিছনে একটা প্রভাব পড়ে তারা সর্বদা পিছিয়ে থাকে তাই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর একটা শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ মহান বিচার করতে পারে না

তৃতীয়তঃ বর্তমানে আমাদের সমাজে অনেক প্রতিষ্ঠিত মানুষ আছে, যারা তাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কে কোন গুরুত্বই দেননি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মহেন্দ্র সিং ধোনি শচীন টেন্ডুলকার এনারা পৃথিবীজেরা সাফল্য লাভ করেছেন অথচ তাদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বলার মত কিছু নয় শুধুমাত্র তাদের দক্ষতা জোড়েই তারা পৃথিবীর পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন।

চতুর্থ: পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সাময়িকভাবে শিক্ষার্থীর একটি আনন্দের কারণ হয়ে থাকে বা আত্মতৃপ্তির কারণ হয়ে থাকে কিন্তু সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না কারণ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে বা সাফল্য লাভ করতে গেলে কঠোর তপস্যা এবং সেই সঙ্গে দক্ষতার প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কোন গুরুত্ব নেই

পঞ্চমত: বর্তমানে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাতে নম্বরের গুরুত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। সেখানে আলাদা করে চাকরি পরীক্ষায় তাদের বসতে হয়। ফলে সেই পরীক্ষায় যার দক্ষতা বেশি বা যার প্রতিভা আছে, সেই পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করে। তাই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর জীবনের সবকিছু নির্ণয় করতে পারে না।

ষষ্ঠত: বর্তমানে অনেক সরকারি চাকরির বিভাগ আছে, যেখানে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কোন গুরুত্ব নেই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী আধা সামরিক বাহিনী, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে পরীক্ষা নম্বর দেখা হয় না। সেখানে শুধুমাত্র প্রতিভা বা দক্ষতার জোড়েই সফলতা আসে। আর এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে।

সপ্তম: পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বরের জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের একটা চাপের সৃষ্টি করে। অভিভাবকরা তার সন্তানদের পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এর ফলে অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়।

অষ্টম:-বর্তমানে চারিদিকে পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তির দাবি উঠছে। শিক্ষাটা যাতে ছাত্রছাত্রীদের বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়- তারা যাতে সাবলীলভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, তার জন্য নানান রকম নীতি উপায় বের করার চেষ্টা চলছে।

যাই হোক পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বর একটা ছাত্র বা ছাত্রীর ভবিষ্যৎকে নির্ণয় করা উচিত নয়। কেননা ভবিষ্যতে ছাত্র-ছাত্রী কি করবে তার নির্ভর করবে তার একাগ্রতা এবং প্রতিভা এবং কঠিন লড়াই। তাই যদি প্রতিভা তার থেকে থাকে তাহলে তাকে সাফল্য থেকে কেউ আটকাতে পারবেনা । সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার নম্বর কোন গুরুত্ব নেই। তবে একথা একদমই উচিত নয় যে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর গুরুত্ব নেই বলে শিক্ষার কোন মূল্য নেই। শিক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে সেটা অবশ্যই বৈজ্ঞানিক মনোবিদ্যা সম্পন্ন শিক্ষা হতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রবন্ধ রচনাটি এরকমও আসতে পারে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর একমাত্র সাফল্যের মাপকাঠি নয় তখন ঠিক এর বিপরীত লিখতে হবে।HS last minute suggestion 2024

১৬ তারিখ হতে চলা উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় বিতর্কমূলক যে সমস্ত রচনাগুলি এবছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি হল

  1. চলভাষ ছাড়া চলমান জীবন অচল জীবিকার আদর্শ স্থান বিদেশ
    পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়

3.প্রদত্ত তথ্য ও সূত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা কর

এই অংশে যে লেখক বা লেখিকার বা মনীষীর জীবনী লিখতে বলা হবে, তার তথ্যগুলো সূত্রাকারে দেওয়া থাকবে অর্থাৎ তার জন্ম, কর্মজীবন, শিক্ষা জীবন, মৃত্যু তারিখ সবকিছু দেওয়া থাকবে। এই সমস্ত অবলম্বন করে তোমাকে একটি পূর্ণাঙ্গ রচনা লিখতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনীষীর নাম যেগুলো এবছর আসার সম্ভাবনা প্রবল

  1. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
    জীবনানন্দ দাশ
    স্বামী বিবেকানন্দ
    কাজী নজরুল ইসলাম

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

সূচনা: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সার্থক নাটক রচনা যার হাত ধরে শুরু হয়েছে তিনি হলেন, মধু কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।মহাকবি হওয়ার স্বপ্নকে বুকে করে নিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন মহাকাব্য মেঘনাদবধ কাব্য যা আধুনিক সাহিত্যে সাহিত্যিক মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। বাংলা সাহিত্যকে তিনি যেন বাংলা নব দিগন্তের পথ খুলে দিয়েছিলেন এবং সৃষ্টি করেছিলেন নতুন নতুন ছন্দ, নতুন কাব্যধারা। মূলত তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দ জন্য বাংলা সাহিত্যের স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

বংশ পরিচয়: “দত্তকূলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন”। মাইকেল মধুসূদন দত্ত মধ্যযুগীয় কাব্যধারা অনুসরণ করে তিনি তার বংশ পরিচয় দিয়েছেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার সাগরদাড়ি গ্রামে, ১৮২৪ সালের ২৫ শে জানুয়ারি ১ জমিদার বংশের জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা ছিলেন রাজনারায়ণ দত্ত। তার পিতা ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মা জান্হবী দেবী।

শিক্ষা জীবন: বাংলা সাহিত্যের মেরুদন্ড মাইকেল মধুসূদন দত্তের পাঠশালা শুরু হয় তার নিজের গ্রামের‌। এর পরে তিনি সাত বছর বয়সে কলকাতায় যান। সেখানে কয়েক বছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এই হিন্দু কলেজ থেকেই তিনি কাব্য চর্চা করতে শুরু করেন। এখান থেকেই তার কাব্য প্রতিভার বিকাশ ঘটতে থাকে। তারপর তিনি বিলেট যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তার ধারণা ছিল যে বিলেতে যেতে পারলেই তিনি মহাকবি বা বিশ্ব সাহিত্যের একজন বড় কবি হতে পারবেন। এরপর তিনি খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে হিন্দু কলেজ ত্যাগ করে সেখান থেকে তিনি বিশপ কলেজে ভর্তি হন। তিনি ইংরেজি ছাড়াও সংস্কৃত গ্রিক প্লেটিং প্রকৃতি প্রভৃতি ভাষার প্রতি দক্ষতা অর্জন করেন।

কর্ম জীবন:-১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে তিনি মাদ্রাজে চলে যান। সেখান থেকেই তিনি Timothy Penpoem ছদ্মনাম গ্রহণ করে অনেক সনেট গীতিকবিতা কিছু খন্ড কাব্য লিখেছিলেন। তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো the visions of the past the capative lady. ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে মধুসূদন কলকাতায় ফিরে আসেন। সেখানে তিনি প্রথমে পুলিশ কোর্টের কেরানি এবং পরে কলকাতা হাইকোর্টে দোভাষী কাজ গ্রহণ করেন।

সাহিত্যকৃতি: মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাংলা সাহিত্যের আবির্ভাব মূলত “রত্নাবলী” নাটকের অভিনয় দেখে। বাংলা সাহিত্যে নাটকের দৈনদশা অনুভব করে নিজে নাটক লেখার ব্রতী হন এবং ১৮৫৯ সালে পাশ্চাত্য রীতি অবলম্বন করে সৃষ্টি করলেন, বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক নাটক “শর্মিষ্ঠা”। একে একে তিনি লিখলেন “পদ্মাবতী” ও “কৃষ্ণকুমারী” নাটক এর মতো কালজয়ী কিছু নাটক। এরপর তিনি লিখলেন দুটি প্রহসন – “একেই কি বলে সভ্যতা” এবং “বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো”।

এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পদ্মাবতী নাটকেই তিনি পরীক্ষা মূলকভাবে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। পরে তিনি অমিত্রকর ছন্দেই রচনা করেছেন “তিলোত্তমার সম্ভব কাব্য”। এরপরে তিনি রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে সৃষ্টি করেছেন তার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যকৃতি “মেঘনাদবধ কাব্য”। এই কাব্যটি সাহিত্যিক মহাকাব্য নামে বাংলা সাহিত্যে চির অমর হয়ে আছে। তার সাহিত্য কৃতির মধ্যে আরও একটি কাব্য হল অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত “ব্রজাঙ্গনা কাব্য”।

কবির শেষ জীবন: “জন্মিলে মরিতে হবে,/ অমর কে কোথা কবে?” ( বিশেষ দ্রষ্টব্য:- এই লাইনটি যে কোন মনীষীর উপসংহার বা শেষ জীবন যে পয়েন্টটি করবে সেখানে ব্যবহার করে লিখতে পারো) বস্তুত কবির শেষ জীবন দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়েছিল। তিনি যশ, খ্যাতি লাভ করেছিলেন কিন্তু আর্থিক দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। তাই তার শেষ জীবন অত্যন্ত দুঃখময় হয়ে উঠেছিল। অসুস্থতা, অর্থাভাব, চিকিৎসা হীনতার কারণে ১৮৭৩ সালের ২৯ শে জুন কলকাতার এক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

উপসংহার:-দ্বিশত জন্মবর্ষে আজ এই মধু কবির বাংলা সাহিত্যে তার প্রভাব এবং অবদান আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। তার অমর সাহিত্যকৃতি আজও বাঙালি সাহিত্য প্রেমিকদের এবং পাঠকদের আকৃষ্ট করে। বিশেষ করে তার মেঘনাথবধ কাব্য আজও বাংলা সাহিত্যে চর্চার বিষয় হয়ে আছে। তাই আজ দ্বিশতবর্ষে মধু কবিকে জানাই আমাদের কোটি কোটি প্রণাম।

for more question answers click here

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading