> আমি দেখি কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2025 » Qবাংলা

আমি দেখি কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2025

উচ্চ মাধ্যমিক wbchse বাংলা বিষয়ে একটি অন্যতম পাঠ্য আমি দেখি |রচয়িতা কবি শঙ্খ ঘোষ| প্রিয় ছাত্র ছাত্রী এই সিরিজে এই কবিতাটি থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এই সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ। প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশলটি ভালোভাবে লক্ষ্য করো। উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই click here

আমি দেখি কবিতার বিষয়বস্তু

বর্তমানে নগরায়নের ফলে অর্থাৎ নগর উন্নয়নের ফলে পিপুল পরিমাণ গাছ কেটে বা সবুজ ধ্বংস করে শহর তৈরি করা হচ্ছে। আর তার অনিবার্য ফলো স্বরূপ শহরে সবুজের অনটন দেখা দিয়েছে। এইরকম এক পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে কবি আমি দেখি কবিতাটি রচনা করেছেন। আসলে কবি শঙ্খ ঘোষ শহরের কবি। তিনি শহরে থেকে এই সবুজের অভাবটাকে লক্ষ্য করেছেন। দিনের পর দিন শহরে এই সবুজ ক্রমশ নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই কংক্রিটের শহরে সবুজের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। আর এই সবুজের অভাবের কারণেই মানুষ আজ অবসাদে ভুগছে। মানুষ ক্লান্ত, রোগগ্রস্ত।

সেজন্যই হয়তো কবি বলেছেন- শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে।কবি বলেছেন আরোগ্যের জন্য এই সবুজের ভীষণ আজ প্রয়োজন। তিনি বহুদিন জঙ্গল সময় কাটাননি। অর্থাৎ তিনি সবুজের ছোঁয়া বহুদিন দেখেননি। কারণ তিনি শহরের কংক্রিটের উপরে বাস করছেন। সেখানে তিনি বিপুল পরিমাণ বৃক্ষ ছেদন লক্ষ্য করেছেন। তাই তার সকলকেই তিনি এই গাছ লাগানোর কথা বলেছেন।

অর্থাৎ বলা যায় যে, কবি শহরের বুকে সবুজের সমারোহকে দেখতে চান। তাই তিনি অত্যন্ত প্রত্যাশা নিয়ে বলেছেন কাজগুলো তুলে আনো বাগানে বসাও সুতরাং নগর জীবনের অর্থাৎ শহরে জীবনের সার্বিক অসম্পূর্ণতাকে দূরে সরিয়ে সবুজে ঘেরা অর্থাৎ সবুজময় পৃথিবী গড়ে তোলার জন্যই কবির এই কবিতা লেখার প্রয়াস।

আমি দেখি-বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা– যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা বিষয়ে খুব ভালো রেজাল্ট করতে চাইছো এবং উত্তরও খুব সুন্দর অথেন্টিক নোট চাইছো। তারা qbangla.com এই সাইটটিকে অনুসরণ কর। আমি দেখি কবিতা থেকে প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া আছে।

আমি দেখি কবিতার প্রশ্ন উত্তর mcq

১| ‘ আমি দেখি ‘ কবিতাটি মূল কাব্যগ্রন্থের নাম –
ক। অঙ্গুরি তোর হিরণ্য জল
খ। হে প্রেম হে নৈঃশব্দ্য
গ। যেতে পারি কিন্তু কেন যাব
ঘ। সোনার মাছি খুন করেছি
উঃ ক| অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল

২| “ গাছগুলো তুলে আনো”- গাছগুলো তুলে এনে –
ক। বাড়িতে বসাও
খ। বাগানে বসাও
গ। মাটিতে বসাও
ঘ। জঙ্গলে বসাও
উঃ। খ। বাগানে বসাও

৩। “ আমার দরকার শুধু”—-কবির একমাত্র দরকার-
ক। আকাশ দেখা
খ। জঙ্গল দেখা
গ। সবুজ দেখা
ঘ। গাছ দেখা
উঃ। ঘ। গাছ দেখা

৪‌। “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন”- কার বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন?
ক। কবি
খ। সাধারণ মানুষের
গ। শিশুদের
ঘ। লোকজনদের
উঃ। ক। কবি

৫। “..শরীরে দরকার”-কি দরকার?
ক। বেড়াতে যাওয়া
খ। সবুজ অংশটুকু
গ। গাছের সবুজটুকু
ঘ। বাগানে বেড়াতে যাওয়া
উঃ। গ। গাছের সবুজটুকু

৬। “গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার” – কিসের জন্য দরকার ?
ক। খেলা করার জন্য
খ। আনন্দের জন্য
গ। শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য
ঘ। আরোগ্যের জন্য
উঃ। ঘ। আরোগ্যের জন্য

৭। “বহুদিন— যায়নি”- কবি কোথায় বহুদিন যেতে পারেননি?—
ক। জঙ্গলে
খ। গ্রামে
গ। শহরে
ঘ। সবুজ ঘাসে
উঃ। ক। জঙ্গলে

৮। “বহুদিন _____ কাটেনি দিন”- কোথায় বহুদিন কাটেনি?
ক। জঙ্গলে
খ। সবুজ পাহাড়ে
গ। গ্রামে
ঘ। সবুজ গ্রামে
উঃ। ক। জঙ্গলে

৯। “আমি দেখি” কবিতায়-কবি বহুদিন কোথায় আছেন?
ক। সবুজ ঘাসে
খ। জঙ্গলে
গ। গ্রামে
ঘ। শহরে
উঃ। ঘ। শহরে

১০। “হাঁ করে কেবল সবুজ খায়”— কে ‘ হাঁ করে সবুজ খায় ’ ? –
ক। শহরের সবুজ
খ। বন্যপ্রাণী
গ। শহরের অসুখ
ঘ। কলকারখানা
উঃ। গ।শহরের অসুখ

১১। “শহরের অসুখ” – ‘ বলতে কবি বুঝিয়েছেন—
ক। নগরায়নের ফলে সবুজ ধ্বংস
খ। শহরের অসুস্থতাকে
গ। শহরে বনভূমি না থাকাকে
ঘ। শহরের মানুষজনকে
উঃ। ক। নগরায়নের ফলে সবুজ ধ্বংস

১২। “সবুজের অনটন ঘটে”– কোথায় সবুজের অনটন ঘটে?
ক। গ্রামে
খ। শহর
গ। কবির গ্রামে
ঘ। জঙ্গলে
উ। খ। শহরে

১৩। “সবুজের অনটন ঘটে”- বলতে কবি বুঝিয়েছেন-
ক। শহরে বৃক্ষ নিধনকে
খ। শহরের কলকারখানা কে
গ। শহরে সবুজ রঙের অভাবকে
ঘ। শহরে মানুষের অভাবকে
উঃ। ক। শহরে বৃক্ষ নিধনকে

১৪। শহরের অসুখ হাঁ করে কি খায়? –
ক। ঘাস
খ। বৃক্ষ
গ। মাটি
ঘ। সবুজ
উঃ।‌ ঘ। সবুজ

উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে  click here

১৬। “শহরের অসুখ হাঁ করে সবুজ” খাওয়ার ফলে ঘটে-
ক। সবুজের বৃদ্ধি
খ। সবুজের অনটন
গ। সবুজের অভাব পূরণ
ঘ। সবুজের সমারোহ
উঃ। খ। সবুজের অনটন

১৭। “গাছ তুলে আনো / বাগানে বসাও”- কবির এমন বলার কারণ-
ক। বহুদিন গ্রামে না যাওয়ার কারণে
খ। দীর্ঘদিন গ্রামে থাকার জন্য
গ। সবুজ বেড়ে যাওয়ার জন্য
ঘ। সবুজের অভাবের জন্য
উঃ। ঘ। সবুজের অভাবের জন্য

১৮। “তাই বলি”- কবি বলেছেন-
ক। গাছ তুলে আনো, বাগানে বসাও
খ। গ্রামে সবুজ দেখি
গ। আমার বাগানে সবুজ দেখি
ঘ। আমি সবুজ দেখি
উঃ। ক। গাছ তুলে আনো, বাগানে বসাও

১৯। ‘ আমি দেখি ‘ কবিতায় কবি গাছগুলো তুলে আনার কথা বলেছেন কেন?
ক। শহরে বসানোর জন্য
খ। বাড়ির বাগানে বসানোর জন্য
গ। গ্রামের বাগানে বসানোর জন্য
ঘ। বাগানে বসানোর জন্য
উ। ঘ। বাগানে বসানোর জন্য

২০। “আমি দেখি” কবির চোখ চায় –
ক। সবুজ
খ। সবুজ বাগান
গ। সবুজ জঙ্গল
ঘ। শহর
উঃ। ক। সবুজ

২১। “আমি দেখি” কবিতায় কবির দেহ চায়-
ক। গ্রামের সবুজ
খ। শহরে সবুজ
গ। সবুজ বাগান
ঘ। সবুজ
উঃ । গ। সবুজ বাগান

২২। “আরোগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার” আরোগ্য ‘ শব্দটির অর্থ –
ক। শারীরিক অসুস্থতা
খ। রোগ থেকে মুক্তি
গ। অসুস্থতা
ঘ। রোগে আক্রান্ত
উ। খ। রোগ থেকে মুক্তি

২৩। “.. ওই সবুজের ভীষণ দরকার”- যে জন্য সবুজের দরকার-
ক। আরোগ্য লাভের জন্য
খ। ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য
গ। শারীরিক অসুস্থতার জন্য
ঘ। আনন্দের জন্য
উঃ। ক। আরোগ্য লাভের জন্য

২৪। “তাই বলি গাছ তুলে আনো” কবি গাছ বসাতে চান-
ক। বাগানে
খ। গ্রামে
গ। শহরে
ঘ। জঙ্গলে
উঃ। ক‌। বাগানে

২৫। “সবুজের অনটন ঘটে”- এখানে “অনটন” শব্দটির অর্থ কি?
ক। ক্ষতি হওয়া
খ। নষ্ট হওয়া
গ। বৃদ্ধি হওয়া
ঘ। সবুজের অভাব
উ। ঘ। সবুজের অভাব

২৬। “ আমি দেখি” কবিতায় কবি “সবুজ খাওয়া” বলতে বুঝিয়েছেন-
ক। সবুজের ধ্বংসকে
খ। গ্রামে ফিরে যাওয়া কি
গ। গাছের ক্ষতিকে
ঘ। সবুজের বৃদ্ধি কমে যাওয়া
উঃ। ক। সবুজের ধ্বংসকে

২৭। “চোখ তো সবুজ চায় । / দেহ চায়”—
ক। গ্রামের সবুজ
খ। জঙ্গল
গ। সবুজ
ঘ। সবুজ বাগান
উ। ঘ। সবুজ বাগান

২৮। “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন”- বক্তার জঙ্গলে দিন না কাটার কারণ-
ক। বক্তা বহুদিন শহরে আছেন
খ। বক্তা বহুদিন গ্রামে আছেন
গ। বক্তা বহুদিন জঙ্গলে নেই
ঘ। বক্তা বহুদিন পাহাড়ে ছিলেন
উ। ক। বক্তা বহুদিন শহরে আছেন

২৯। “আমি দেখি”-কবিতায় কবি যা দেখতে চেয়েছেন-
ক। জঙ্গলে সবুজ
খ। শহরের মানুষ
গ। গ্রামের সবুজ
ঘ। সবুজ বাগান
উঃ। ঘ। সবুজ বাগান

৩০। “শহরের অসুখ”-কথাটির অর্থ-
ক। নগরায়ন
খ। মানুষের অভাব
গ। শহরের মানুষ নেই
ঘ। শহরে অট্টালিকার অভাব
উ। ক। নগরায়ন

বিশেষ কিছু কথা:-
“আমি দেখি”- কবিতা থেকে বহুবিকল্পধর্মী প্রশ্নের mcq উত্তর করার সময় একটু সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কবিতায় প্রশ্নের যে অপশন দেওয়া থাকবে, সেই অপশন গুলোর অর্থ বুঝে- যেটি সঠিক অর্থ হবে- সেটি ঐ প্রশ্নটির উত্তর হবে । সুতরাং এই কবিতা থেকে সঠিক উত্তরের অপশন চুজ করার ক্ষেত্রে অর্থটা একটু ভালোভাবে বুঝে নেবে।

আমি দেখি কবিতার প্রশ্ন উত্তর saq

১‌ ‘গাছ তুলে আনো’- কবিতায় কবি কোথায় গাছ বসাতে বলেছেন ?
উঃ ‘আমি দেখি ‘ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় গাছগুলো তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন কারণ তিনি সবুজের সমারোহ দেখতে চান।

২। “গাছগুলো তুলে আনো বাগানে বসাও”- কবি বাগানে গাছ বসাতে বলেছেন কেন?
উঃ নগরায়নের ফলে গাছ অর্থাৎ সবুজ ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে। ফলে নাগরিক মানুষের মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, রোগ ক্রমশ বাড়ছে। তাই কবি আরোগ্য লাভের জন্য গাছ এনে বাগানে বসানোর অনুরোধ করেছেন। যাতে সবুজের সমরহ তৈরি হয়

৩। আমি দেখি ’ কবিতায় নিজের উজ্জীবনীশক্তি কীভাবে কবি প্রকৃতির মধ্যে খুঁজতে চেয়েছেন ?
উ: শান্ত, স্নিগ্ধ এবং প্রাণের প্রতীক হল সবুজ অর্থাৎ উদ্ভিদ। কিন্তু নগরায়নের ফলে এই সবুজের ক্রমশ অবলুপ্তি ঘটছে। তাই কবি গাছ বসানোর মধ্যে দিয়ে নগর জীবনকে গড়ে তুলতে চান সবুজময় অর্থাৎ প্রকৃতির মধ্যেই কবি নিজের প্রাণশক্তি অর্থাৎ উজ্জীবনীশক্তি খুঁজেছেন।

৪। ‘ আমার দরকার … কার, কী দরকার ?
উঃ: ‘ আমি দেখি ’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এমন অনুরোধ করেছেন। তিনি শুধু গাছ দেখতে চান অর্থাৎ নগর জীবনে থেকে প্রকৃতির কোলে অর্থাৎ সবুজময় প্রাকৃতিক জীবন তার দরকার।

৫। “আমি দেখি” কবিতায় কবি গাছগুলি তুলে আনতে বলেছেন কেন?
উঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সকল সাধারণ মানুষকে গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন। কারণ তার চোখ গাছের সবুজ চায়, এবং দেহ চায় সবুজ বাগানের স্পর্শ। কেননা, নাগরিক জীবনে সবুজ ক্রমশ নিঃশেষিত হচ্ছে।

৬।‘আমার দরকার শুধু গাছ দেখা” কবির গাছ দেখার দরকার কেন?
উ: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে না যাওয়ার কারণে এবং শহরের কংক্রিটের উপরে জীবন যাপন করার ফলে, তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত। তাই তার দেহ এবং মনের আরোগ্যের জন্য শুধু গাছ দেখা দরকার অর্থাৎ সবুজের অংশ তিনি দেখতে চাইছেন।

৭। “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন”- কেন জঙ্গলে কবির দিন কাটেনি ?
উঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বহুদিন ধরে শহরেই জীবন যাপন করছেন। সবুজহীন নাগরিক জীবনেই তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই বহুদিন তিনি জঙ্গলে অর্থাৎ সবুজের ছোঁয়া পাননি।

৮‌। “সবুজের অনটন ঘটে….”-শহরে সবুজের অনটন কেন?
উ: শহরে সবুজের অনটন ক্রমশ ঘটেই চলেছে। কারণ শহরের ব্যাধি সবুজকে হা করে খাচ্ছে অর্থাৎ নগরায়নের ফলে ইট-পাথরের ইরামত তৈরি করার ফলে সবুজ নিঃশেষ হচ্ছে।

৯। আমি দেখি কবিতায় কবির চোখ ও দেহ কী চায়?
উ: আমি দেখি কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের চোখ সবুজকে দেখতে চাই আর তার দেহ চাই বাগানের সবুজ এর স্পর্শ।

১০। ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি “শহরের অসুখ” বলতে কি বুঝিয়েছেন?
উঃ আধুনিক যুগে নগরায়নের ফলে সবুজ ক্রমশ ধ্বংস করা হচ্ছে। অর্থাৎ শহর যেন সবুজকে খেয়ে ফেলার প্রতিজ্ঞা করেছে। কবি শহরের এই সবুজ নিধনকেই শহরের অসুখ বলে বলেছেন।

১১। ‘তাই বলি”- কে, কি বলেন ?
উঃ আমি দেখি কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় একথা বলেছেন। গাছ তুলে এনে বাগানে বসানোর কথা তিনি সকল সাধারণ মানুষকে বলেছেন।

১২। গাছ তুলে এনে কবি কোথায় বসাতে বলেছেন?
উ: আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় গাছ এনে বাগানে বসাতে বলেছেন। কারণ শহরে সবুজের বড়ই অভাব শহরে সবুজ ক্রমশ নিধন হচ্ছে।

১৩। ‘আমি দেখি’ কবিতায় হাঁ করে কে কি খায?
উ: ‘আমি দেখি’ কবিতায় শহরের অসুখ অর্থাৎ নগরায়ন ফলে শহর সবুজকে নিঃশেষিত করে ফেলছে অর্থাৎ শহর যেন সবুজকে হাঁ করে খেয়ে ফেলছে। কবি এখানে সবুজের অভাবকে বুঝিয়েছেন।

১৪। কোথায় কেন সবুজের অনটন ঘটছে?
উ: শহরে নগরায়নের ফলে সবুজের অনটন ঘটছে অর্থাৎ নগর উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণে সবুজ উদ্ভিদকে নিধন করা হচ্ছে।

১৫। ‘বহুদিন শহরেই আছে শহরে থেকে বক্তা কি উপলব্ধি করেছেন?
উঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার আমি দেখি কবিতায় শহরে, সবুজের অভাবকে লক্ষ্য করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন শহরে জীবন যাপন করার ফলে সবুজের ছোঁয়া উপলব্ধি করতে পারেননি অর্থাৎ নগরায়নের ফলে সবুজ ক্রমশ শেষ হচ্ছে।- সেই কথা বোঝানোর জন্য এমন মন্তব্য করেছেন।

১৬। ‘বাগানে বসাও আমি দেখি’— কবি কি বাগানে বসাতে বলেছেন?অথবা:- কবি এমন মন্তব্য কেন করেছেন?
উ: আমি দেখি কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সকল সাধারণ মানুষকে বাগানে বৃক্ষরোপণ অর্থাৎ বনসৃজন করতে বলেছেন। কারণ নাগরিক জীবনে এই সবুজের বড়ই অভাব । তাই কবি বাগানে গাছ লাগিয়ে পৃথিবীকে সবুজময় করে তুলতে চান।

১৭ ‘চোখ তো সবুজ চায়!’— কবির চোখ সবুজ চায় কেন?
উ: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার আমি দেখি কবিতায় এমন মন্তব্য করেছেন। নগরায়ণের জন্য সবুজের অভাব দেখা দিয়েছে। কবি নিজে শহরে থেকে এমন অনুভব করেছেন। তিনি কোথাও সবুজের লেশমাত্র দেখতে পাননি। এর ফলে কবির মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়েছেন। তার চোখ দুটি যেন সবুজের ছোঁয়া পেতে উন্মুখ।

১৮। ‘দেহ চায় সবুজ বাগান’—এ কথা কবি কেন বলেছেন?
উ: ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সবুজ গাছপালা হীন নাগরিক সভ্যতা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছেন। তাই নাগরিক মানুষের মানসিক আরগ্যের জন্য, সবুজ একান্ত প্রয়োজন।

১৯। ‘গাছ আনো, বাগানে বসাও।—কবি কেন গাছ বসানোর কথা বলেছেন ?
উঃ নগরায়নের ফলে সবুজের অভাব দেখা দিয়েছে এবং এর ফলে মানুষ মানসিকভাবে ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্থ। তাই কবি সকল সাধারণ মানুষকে গাছ এনে বৃক্ষরোপণ করতে বলেছেন। যাতে পৃথিবী সবুজময় হয়ে ওঠে।

২০‌। ‘তাই বলি, ‘—কবি কী বলেন?অথবা:- কবি কাদের কি বলেছেন?
উ: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি’ কবিতায় বনসৃজন এর মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজের সমারোহ করে তুলতে, সকল সাধারণ মানুষকে গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেন।

২১। ‘আমার দরকার শুধু গাছ দেখা’—এ কথা বলার কারণ কী?অথবা:- কবি গাছ দেখতে চাইছেন কেন?
উ: কবি দীর্ঘদিন শহরের কংক্রিটের ওপরে জীবন যাপন করার ফলে, তিনি মানসিকভাবে রোগগ্রস্ত এবং অবসাদগ্রস্থ। সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই তিনি শান্ত স্নিগ্ধ সবুজ প্রকৃতির কোলে আশ্রয় নিতে চেয়েছেন। তাই তার গাছ দেখা ভীষণ দরকার।

২২। ‘সবুজের অনটন ঘটে…..’—কী কারণে?
উঃ আধুনিক সময়ে নগর উন্নয়নের ফলে অর্থাৎ শহরে ইট-পাথরের ইরামত গড়ে তোলার কারণেই বিপুল পরিমাণে গাছকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এই কারণেই সবুজের অনটন ঘটছে।

২৩‌। ‘গাছগুলো তুলে আনো,’—গাছগুলি তুলে এনে কবি কী করতে বলেছেন?অথবা:- কবি গাছগুলো তুলে আনার কথা কেন বলেছেন? অথবা:- কবি কাদের কেন এই নির্দেশ দিয়েছেন?
উঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সকল সাধারণ মানুষকে গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন। কারণ বর্তমান সময়ে নগর উন্নয়নে ফলে এই সবুজ ক্রমশ নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই বনসৃজনের মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজময় করে তুলতে সকলকেই বাগানে গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

২৫। ‘হাঁ করে কেবল সবুজ খায়’—এ কথার অর্থ কী? অথবা:- কবি এ কথা কেন বলেছেন?অথবা:- কে কেন হাঁ করে সবুজ খায়?
উঃ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় লক্ষ করেছেন, বর্তমান সময়ে নগর উন্নয়নের ফলে ক্রমশ সবুজ নিধন হচ্ছে। কবি একে শহরের অসুখ বলেছেন। এই নগর উন্নয়নের ফলেই সবুজকে শহর যেন হাঁ করে খেয়ে ফেলছে। অর্থাৎ সবুজের অভাব ঘটেই চলেছে।

২৬‌ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ ও দেহ কি চাই?
উঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন শহরে আছেন। তিনি দীর্ঘদিন সবুজের ছোঁয়া থেকে দূরে আছেন। তাই তার চোখ চায় সবুজ এবং দেহ চায় সবুজ বাগান অর্থাৎ তিনি সবুজের সমারোহ দেখতে চাইছেন।

২৭। ‘সবুজেৱ অনটন ঘটে…..’–কোথায়, কেন ‘সবুজের অনটন’ ঘটেছে?অথবা:- কিভাবে এই সবুজের অনটন ঘটছে?অথবা:- এই সবুজের অনটনের ফলে কি ঘটছে?
উঃ আধুনিক যুগে শহরে নগর উন্নয়নের ফলে সবুজের অনটন ঘটছে অর্থাৎ সবুজ নিধন করে ইট-পাথরের ইরামত তৈরি করা হচ্ছে। একে কবি শহরের অসুখ বলেছেন।
অথবা:- নগর উন্নয়নের ফলে সবুজের অনটন ঘটছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ সবুজের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবং মানুষ শহরের যান্ত্রিকতায় ক্লান্ত, অবসাদগ্রস্থ এবং রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।

২৮। ‘আমি দেখি’—কবি কী দেখতে চান?অথবা:- “আমি দেখি” কবিতায় কি দেখতে চেয়েছেন?
উ: আমি দেখি কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সবুজের সমারোহকে দেখতে চেয়েছেন। কারণ তিনি শহরে দীর্ঘদিন থাকার ফলে সবুজের ছোঁয়া থেকে দূরে আছেন। তাই তিনি বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজময় দেখতে চাইছেন।

২৯। “বহুদিন জঙ্গলে যাইনি”—জঙ্গলে না যাওয়ার ফলে কী হয়েছে?অথবা:- কবি জঙ্গলে বহুদিন না যাওয়ার জন্য কি প্রত্যাশা করেছেন?অথবা:- কবি জঙ্গলে বহুদিন যাননি কেন?
উ: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন শহরের কংক্রিটের ওপরে বাস করছেন। এজন্যই তিনি জঙ্গলে অর্থাৎ সবুজের ছোঁয়া থেকে দূরে আছেন। যার ফলে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত এবং রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ থেকে মুক্তির জন্যই, তিনি সবুজের ছোঁয়া পেতে চেয়েছেন।

আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর 2025

১। “আমি দেখি’ -কবিতায় কবি কী দেখতে চেয়েছেন এবং এই দেখা তার প্রয়োজন কেন? ।[৫]
অথবা – “আমার দরকার শুধু গাছ দেখা”- উক্তিটির বক্তা কে? তার গাছ দেখার দরকার কেন?
অথবা- কোন পরিস্থিতিতে কবি কেন, এমন মন্তব্য করেছেন?

উঃ| কবি কী দেখতে চেয়েছেন- “আমি দেখি” কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়  সবুজের অভাবকে তুলে ধরেছেন। তিনি যেন পৃথিবীকে বনসৃজন এর মাধ্যমে সবুজময় করে তুলতে বদ্ধপরিকর। তাই তিনি তার দুচোখ ভরে শুধু সবুজের সমারোহ দেখতে চান।

উক্তিটির বক্তা- “আমি দেখি’ কবিতায় উল্লেখিত উক্তিটির বক্তা হলেন, রবীন্দ্রোত্তর কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি- কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়।

গাছ দেখার দরকার কেন?- আধুনিক যুগে নগর উন্নয়নের ফলে বিপুল পরিমাণে গাছকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে সবুজের অনটন ঘটছে। এবং মানুষ ক্লান্তি, অবসাদ, রোগগ্রস্ত হচ্ছে। কবি শহরে থেকে লক্ষ্য করেছেন- শহর নিরন্তর বৃক্ষ নিধন করে ক্রমশ সবুজের অনটন ঘটেই চলেছে। যাকে কবি শহরের অসুখ বলেছেন। শহরের কংক্রিটের ওপরে থেকে তিনি এই সবুজের ছোঁয়া দেখতে পাননি। তিনি জানেন, মানুষের আরোগ্য লাভের জন্য এই গাছের সবুজটুকু কতটা জরুরি।

তিনি সাধারণ মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন, সবুজের বাগান তৈরি করার জন্য। গাছ তুলে এনে বাগানে বসানোর জন্য। কারণ, তিনি এই সবুজটুকু দেখতে চান। তার আকাঙ্ক্ষা- পৃথিবী সবুজময় হয়ে উঠুক। তিনি পৃথিবীর এই সবুজময় অংশকেই দেখতে চান, তার আরোগ্যের জন্য তার ক্লান্তি দূর করার জন্য, শহরের জীবনের ক্লেদাক্ত পরিবেশ থেকে অর্থাৎ অবসন্ন জীবন থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্যই কবির এই গাছ দেখা তার ভীষণ প্রয়োজন। গাছ দেখার জন্য কবি তাই ব্যাকুল,- ‘আমার দরকার শুধু গাছ দেখা’

২।‘ আরোগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার ‘ ঐ সবুজ ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? সেই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন ?
অথবা- এই সবুজের ভীষণ প্রয়োজন কেন? এই প্রসঙ্গে কবি কি কি নির্দেশ দিয়েছেন তা কবিতা অনুসরণে লেখ.

উঃ রবীন্দ্র উত্তর কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার আমি দেখি কবিতায়, বর্তমান যুগে নগর উন্নয়নের ফলে সবুজকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করার ফলে অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে সবুজকে দেখতে চেয়েছেন। ঐ সবুজ বলতে এই প্রকৃতির সবুজময় বৃক্ষকেই বুঝিয়েছেন।

সবুজকে পাওয়ার জন্য কবির নির্দেশ – শহরের কংক্রিটের উপরে কবি সবুজের লেশমাত্র খুঁজে পাননি। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন জঙ্গলে দিনযাপন করেননি, অর্থাৎ তিনি দীর্ঘদিন সবুজের সান্নিধ্য পাননি। তাই তিনি দুচোখ ভরে সবুজের সমারোহকে দেখতে চান। নগরায়নের ফলে এই সবুজ ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে। যাকে কবি শহরের অসুখ বলেছেন। সবুজের শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশে কবি যেন মুক্তির আনন্দ খুঁজে পেতে চান। তার আরোগ্য তথা অবসাদকে দূর করতে চান। তাই তিনি সকল সাধারণ মানুষকে বাগানে গাছ তুলে এনে বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

তার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল সাধারণ মানুষজন যাতে বৃক্ষ রোপণে আগ্রহী হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশাই তিনি করেছেন। কেননা, তার চোখ চাই সবুজ আর শরীর চায় সবুজ বাগান। নাগরিক জীবনে তাই বৃক্ষকে ফিরিয়ে এনে তিনি শরীর ও মনের যাবতীয় কষ্ট দূর করতে চান । সবুজের নিবিড় সান্নিধ্যে থেকে কবি রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে চান।

৩। ‘ আমি দেখি’ কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখ।/ অথবা:- আমি দেখি কবিতার মর্মবস্তু নিজের ভাষায় লেখ।/ অথবা:-গাছগুলো তুলে আনো , বাগানে বসাও ’ –‘আমি দেখি কবিতা অবলম্বনে গাছেদের প্রতি কবির অন্তরের ভালোবাসা ও দরদ কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা লেখো ।

উঃ| কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার “আমি দেখি” কবিতায়, বর্তমান যুগে নগর উন্নয়নের ফলে সবুজকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করার ফলে অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে সবুজকে দেখতে চেয়েছেন।তিনি যেন পৃথিবীকে বনসৃজন এর মাধ্যমে সবুজময় করে তুলতে বদ্ধপরিকর।

মূল বক্তব্য- কবি শহুরে জীবনে সবুজের প্রয়োজনের কথা স্মরণ করে সবুজ – সতেজ প্রকৃতির প্রতি তাঁর অন্তরের অকৃত্রিম ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন । নাগরিক জীবনে থেকে কবি লক্ষ্য করেছেন- নগর উন্নয়নের ফলে এই সবুজকে ধ্বংস করা হচ্ছে। ফলে শহরে সবুজের অনটন ঘটছে। যাকে কবি শহরের অসুখ বলেছেন। এই শহরের অসুখ ক্রমশ সবুজকে খেয়ে ফেলছে। তাছাড়া কবি দীর্ঘদিন জঙ্গলে দিন যাপন করেননি। তিনি সবুজের ছোঁয়া থেকে দীর্ঘদিন দূরে আছেন। তাই তিনি পৃথিবীকে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজময় করে তুলতে সকল সাধারণ মানুষকে গাছ তুলে এনে বাগানে বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এই সবুজ তিনি যেন তার শরীরে স্পর্শ করতে পারেন। কারণ তিনি নাগরিক জীবনে এই সবুজের ছোঁয়া থেকে দূরে। শহরে থেকে তিনি ক্লান্ত অবসাদগ্রস্ত। তাই শান্ত, স্নিগ্ধ সবুজ পরিবেশে তিনি তার আরোগ্য লাভের মুক্তি কামনা করেছেন। তাই তিনি বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সকল মানুষকে পৃথিবীকে সবুজময় করে তোলার আবেদন করেছেন। তাই কবি বলেছেন – “গাছগুলো তুলে আনো বাগানে বসাও।/ আমার দরকার শুধু গাছ দেখা”

৪| ‘শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়। —‘শহরের অসুখ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কীভাবে সবুজের অনটন ঘটে?

উঃ: ‘শহরের অসুখ’ কী – কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তার “আমি দেখি” কবিতায়, বর্তমান যুগে নগর উন্নয়নের ফলে সবুজকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করার ফলে অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে সবুজকে দেখতে চেয়েছেন। শহরের অসুখ শহরের নগর উন্নয়নের ফলে সবুজের নিধনকে বুঝিয়েছেন। শহর যেন সবুজকে খেয়ে ফেলার জন্যই তৈরি হচ্ছে।

সবুজের অনটন :  আধুনিক যুগের একটি অন্যতম প্রবণতা হল বৃক্ষ নিধন করে ইট-পাথরের ইরামত তৈরি করা। দ্রুত শহরের উৎপত্তির ফলে এই বৃক্ষ নিধন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শহর যেন প্রতিজ্ঞা করেছে- এই সবুজকে খেয়ে ফেলার। অথচ মানুষের জীবনে এই সবুজের যে ভীষণ জরুরী- সেটাই বর্তমান সময়ে নগণ্য হয়ে পড়ছে। শহরের দিকে দিকে এই সবুজের অনটন ঘটেই চলেছে। তাই বর্তমান যুগের কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন – “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়”

সবুজকে নিধন করে শহর গড়ে তোলা যেন একটা শহরের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। কবি শহরে থেকে সবুজের এই অভাবকে লক্ষ্য করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন এই কংক্রিটের শহরেই আছেন। তাই সবুজের শান্ত স্নিগ্ধ ছোঁয়া থেকে তিনি বঞ্চিত। এজন্যই তিনি সকল সাধারণ মানুষকে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজময় করে তোলার আবেদন জানিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞ পরামর্শ:-উচ্চ মাধ্যমিকের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ:- তোমরা এই কবিতা থেকে ৫ নম্বরের জন্য বিভিন্ন প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর না করে বিষয়বস্তুকে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে, যে কোন প্রশ্নের উত্তর খুব সহজে লিখতে পারবে। কবিতায় সব প্রশ্নের উত্তর প্রায় একই রকম। সব লাইনে প্রায় একই রকম উত্তর হবে। প্রায় একই কথা কবি বারবার বলেছেন। সুতরাং বিভিন্ন লাইন তুলে বিভিন্ন প্রশ্ন হলেও তোমার কিন্তু উত্তর প্রায় একই রকম হবে।

শুধুমাত্র তোমার যে লাইনটা তুলবে সেই লাইনটার পরিপ্রেক্ষিতে তোমাকে বর্ণনা করে যেতে হবে। মানে লাইনটা তুললে হয়তো কেন বলেছেন ? কি বলেছেন? এইটুকু উত্তরটা তোমাকে নিজেকে লিখতে হবে। বাকি যে উত্তরটা চাওয়া হয়, সেটা কবিতার ভাব বস্তুর উত্তর চাওয়া হয়। সুতরাং কবিতার ভাববস্তু ভালোভাবে করলেই যে কোন প্রশ্নের উত্তর করা যাবে।

for more question answers click here

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading