> Bengali project class12 » Qবাংলা

Bengali project class12

Bengali project class12-দ্বাদশ শ্রেণীর wbchse বাংলা বিষয়ের প্রজেক্ট অর্থাৎ প্রকল্প নির্মাণে থাকে 20 নম্বর মূলত ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই প্রকল্প তৈরি করে বিদ্যালয়ে জমা দেয় খাতা এবং লেখা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে বিদ্যালয় শিক্ষক মহাশয় 20 নম্বর দিয়ে দেন প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী এই সিরিজে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকল্প নির্মাণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও একটি নমুনা উপস্থাপনা করা হলো। অনুরোধ প্রকল্পটি দেখার পাশাপাশি লেখার কৌশলটি লক্ষ্য কর দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ে আরো অন্যান্য প্রশ্ন উত্তর দেখার জন্য অবশ্যই click here

দ্বাদশ শ্রেণীর প্রকল্প নির্মাণ class 12 Bengali project 

দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের সর্বমোট আট প্রকারের প্রকল্প নির্মাণ আছে। তার মধ্যে সর্বশেষ প্রকল্পটি হল নির্বাচিত সাহিত্যিকের সাহিত্য অবদান সম্পর্কিত প্রকল্প নির্মাণ এই নির্বাচিত সাহিত্যিকের সাহিত্য অবদান সম্পর্কিত প্রকল্পে যে যে সাহিত্যিকের নাম দেওয়া আছে সেগুলি হল

  1. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
  2. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
  3. সুকুমার রায়
  4. অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  5. প্রেমেন্দ্র মিত্র
  6. শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়
  7. লীলা মজুমদার
  8. নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
  9. শিবরাম চক্রবর্তী
  10. সত্যজিৎ রায়
  11. শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
  12. হিমানীশ গোস্বামী
  13. নারায়ন দেবনাথ
  14. শৈলেন ঘোষ।  এই অংশে তোমাদের শিবরাম চক্রবর্তীর সাহিত্য অবদান সম্পর্কিত প্রকল্পটি নির্মাণ করে দেওয়া হল-

প্রকল্পের নাম:- নির্বাচিত সাহিত্যিকের সাহিত্য অবদান সম্পর্কিত প্রকল্প নির্মাণ

নির্বাচিত সাহিত্যিক এর নাম:- শিবরাম চক্রবর্তী

প্রকল্পের উদ্দেশ্য:- নির্বাচিত সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তীর বাংলা সাহিত্যে অবদান স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ রচনাশৈলী বিশ্লেষণ এবং কালের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিকতা বিচার করে শিবরাম চক্রবর্তীর সম্পর্কে প্রকল্প নির্মাণ

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:- আমার এই প্রকল্পটি নির্মাণ করতে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাশয় সহ অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলী প্রভূত সাহায্য করেছেন মূলত ইন্টারনেট এবং বাংলা সাহিত্য বই থেকে শিবরাম চক্রবর্তীর তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রকল্প নির্মাণ

তথ্য সংগ্রহ:- ইন্টারনেট এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বই থেকে শিবরাম চক্রবর্তীর তথ্য সংগ্রহ

শিবরাম চক্রবর্তী

ভূমিকা:- শিবরাম চক্রবর্তীকে আমরা মূলত ছোট গল্পকার হিসেবেই চিনে থাকি বিশেষ করে হাসির গল্প রচয়িতা হিসেবে শিবরাম চক্রবর্তী চির স্মরণীয় হয়ে আছেন আমাদের কাছে। ছোট ছোট আঙ্গিকে গল্প নির্মাণ করে হাসির ফোয়ারা ছুটিয়েছেন। বহু মজার মজার গল্প, রসজগতের কাহিনী নির্মাণ ইত্যাদি গল্প সৃষ্টি করে পাঠক হৃদয়ে তিনি চিরকালীন আসল লাভ করেছেন

জন্ম ও বংশ পরিচয়:- শিবরাম চক্রবর্তী ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর কলকাতার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি বড় হয়েছেন মালদা জেলার চাচড় গ্রামে কিশোর বয়সে তিনি অসহযোগ আন্দোলনও যোগ দিয়েছিলেন জীবনের শেষ 60 বছর তিনি কলকাতাতেই কাটিয়েছিলেন শিবরাম চক্রবর্তীর নিজের সম্পর্কেই লিখেছেন আমাদের বাড়িতে বাবা ছিলেন পরম বৈষ্ণব, বিষ্ণু ভক্ত, মা ছিলেন শাক্ত, শক্তির উপশিকা, আর আমার মামা ছিলেন নাম সাধক”। 

সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ:শিবরাম চক্রবর্তীর সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ 1929 খ্রিস্টাব্দে কাব্যগ্রন্থ রচনা মধ্যে দিয়ে যদিও তিনি মূলত গল্প লেখক প্রবন্ধ লিখেছেন বহু তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ রচনা মানুষ 1929 সালে প্রকাশিত হয় এরপর 1929 সালেই প্রকাশিত হয় তার অন্যতম কাব্যগ্রন্থ চুম্বন”। 

সাহিত্য সৃষ্টি:- শিবরাম চক্রবর্তী মূলত গল্প লেখক হিসেবেই আমাদের কাছে অধিক পরিচিত বিশেষ করে প্রানবন্ত হাসির গল্পগুলি সবচেয়ে বেশি আমাদের আকর্ষণ করে তার উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন গল্পগ্রন্থ গুলির মধ্যে রয়েছে:- পঞ্চাননের অশ্বমেধ, শুঁড়ওলা বাবা, কলকাতা হালচাল, মন্টুর মাস্টার, বাড়ি থেকে পালিয়ে, ঘোরার সঙ্গে ঘোরাঘুরি, কালান্তক লালফিতা, জীবনের সাফল্য, মালাই বরফ, যুদ্ধে গেলেন হর্ষবর্ধন, হর্ষবর্ধনের হর্ষধ্বনী, হর্ষবর্ধন অপহরণ, মামার জন্মদিন, জন্মদিনের উপহার, যত হাসি ততই মজা, ফুটলো বিয়ের ফুল। ইত্যাদি বহু হাসির গল্পগুলি আমাদের হৃদয়কে আকৃষ্ট করে বিশেষ করে হর্ষবর্ধনের গল্পগুলি আজও বাঙালি পাঠক কে আকৃষ্ট করে

রচনাশৈলীর বিশ্লেষণ:- শিবরাম চক্রবর্তীর গল্পগুলিতে চরিত্র চিত্রন এবং শব্দ নিয়ে খেলা করার একটা অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার গল্পের সবচেয়ে মূল আকর্ষণ হাসির প্রাণবন্ত তিনি যেমন নিজে হাসতেন তেমনি তার গল্পের মাধ্যমে অপরকেও হাসিয়েছেন তার গল্পের হাসির মূল উৎস কথা নিয়ে খেলা তার গল্পের ব্যাঙ রস কিংবা হর্ষবর্ধনের গল্পগুলি হর্ষবর্ধনের চরিত্র আমাদের কাছে সত্যি হাসির উদ্রেক

সাহিত্যে অবদান:শিবরাম চক্রবর্তীর অনেকগুলি গল্পের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গল্প হল দাদু নাতির দৌড়, কালান্তক লালফিতা , দাঁতের ডাক্তার মকরাক্ষ , হর্ষবর্ধনের চুল ছাটাই, গোঁফ নিয়ে টানাটানি, হাতির সঙ্গে হাতাহাতি, অঙ্ক সাহিত্যের যোগফল, একটি বেতার গঠিত দুর্ঘটনা, আমার বাগ শিকার, ভাগ্যে যদি ভাগ্নে থাকে, হর্ষবর্ধনের কাব্য চর্চা, ভালুকের স্বর্গ লাভ, নিখরচায় জলযোগ, গোবর্ধনের কেরামতি, ইত্যাদি গল্পগুলি কথার খেলার সঙ্গে তিনি ছিলেন ওস্তাদশ শিল্পী

তিনি ছিলেন রসজগতের সম্রাট মৌচাক পত্রিকায় তিনি প্রায়ই বিভিন্ন মজার মজার ছোট ছোট গল্প লিখতেন তার সৃষ্টি মন্টুর চরিত্র হর্ষবর্ধন গোবর্ধন আমাদের নাম শুনা মাত্রই হাসি জেগে ওঠে তার বিখ্যাত একটি উপন্যাস বাড়ি থেকে পালিয়ে এই উপন্যাসের গল্পকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক একটি সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন

শেষ জীবন:- শেষ জীবনে শিবরাম চক্রবর্তী অনেক অবহেলায় জীবন কাটিয়েছিলেন এবং তার কারণে তার বহু লেখা সংরক্ষণ করতে পারেননিতার বহু মূল্যবান লেখা সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে তার শেষ জীবনটা কেটেছিল চরম অবহেলায় এবং দুঃখ-কষ্টে কলকাতার মুক্তারাম লেনের একটি মিস বাড়িতে তার অবহেলায় জীবন কেটেছে অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে মাসিক ভাতা প্রদান করেছিলেন তিনি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় মারা যান|

for more bengali project class 12 click here

for more question answers click here

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading