> আমরা কেউ মিথ্যা কলঙ্ক রটাইনি বক্তা কে? আমরা বলতে বক্তা কাদের বুঝিয়েছেন? » Qবাংলা

আমরা কেউ মিথ্যা কলঙ্ক রটাইনি বক্তা কে? আমরা বলতে বক্তা কাদের বুঝিয়েছেন?

প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী এই সিরিজে দশম শ্রেণীর wbbse বাংলা বিষয়ের পাঠ্য নাটক শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত সিরাজদৌল্লা নামক ঐতিহাসিক নাটক থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আমরা কেউ মিথ্যা কলঙ্ক রটাইনি বক্তা কে? আমরা বলতে কারা- উত্তর খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ তোমরা উত্তর দেখার পাশাপাশি উত্তর লেখার কৌশলটি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য কর মাধ্যমিক বাংলা বিষয় আরও প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই click here 

1. আমরা কেউ মিথ্যা কলঙ্ক রটাইনি বক্তা কে? আমরা বলতে বক্তা কাদের বুঝিয়েছেন? মিথ্যা কলঙ্ক বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিতসিরাজদৌল্লা নামক ঐতিহাসিক নাটকের আলোচিত উক্তিটির বক্তা হলেন নবাব সিরাজের সভাসদ রাজবল্লভ

আমরা কারা:বক্তা রাজবল্লভ আমরা বলতে জগৎ শেঠ, মীরজাফর, রায় দুর্লভ সহ নবাব সিরাজদৌলার রাজসভায় উপস্থিত সকল সভাসদদের বুঝিয়েছেন

মিথ্যা কলঙ্ক:- বক্তা রাজবল্লভ মিথ্যা কলঙ্ক বলতে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা রটিয়ে বেড়ানোকে বুঝিয়েছেন নবাব সিরাজের মতে, রাজবল্লব, জগৎ শেঠসহ সকল সভাসদরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে তার কর্মচারী, এমনকি পরিমাণ পরিবারের লোকজনের কাছেও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন তাকে নানাভাবে অপমান ও অপদস্থ করার চেষ্টা করছেন সারাদেশে তার দুর্নাম রটিয়েছেন কর্মচারীদের মনে তার প্রতি অশ্রদ্ধা এনে দিয়েছেন এমনকি তাকে অনেক কটুক্তিও শুনিয়েছেন এই সমস্ত বিষয়গুলিকে রাজবল্লভ মিথ্যা কলঙ্ক বলতে চেয়েছেন তার দাবি তিনি এই সমস্ত মিথ্যা কলঙ্ক রটাননি

2.“আপনি আমাদের কি করতে বলেন জাঁহাপনা”- উক্তিটির বক্তা কে? জাহাঁপনা কি বলেছিলেন?

উঃ নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত সিরাজদৌল্লা নামক ঐতিহাসিক নাটকের উক্তিটির বক্তা হলেন নবাব সিরাজের সেনাপতি মীরজাফর

জাঁহাপনা কি বলেছিলেন:- মীরজাফর জাঁহাপনা বলতে নবাব সিরাজকে বলেছেন নবাব সিরাজদৌল্লা মীরজাফরের এই উক্তির উত্তরে সকল সদস্যকে তিনি তার বক্তব্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন তিনি বলেন, বাংলার মান, মর্যাদা, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সকলকেই শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে নবাবকে যেন সাহায্য করেন সকলের সমবেত চেষ্টার ফলেই এই সমূহ বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব এই সমূহ বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার পরেই সিরাজকে যে দন্ড দেবেন তিনি হাসিমুখে মেনে নেবেন

এমনকি তাকে সরিয়ে যদি অন্য কাউকে সিংহাসনে বসাতে চান তাহলেও তিনি হাসিমুখে সিংহাসন ছেড়ে দেবেন মীরজাফর শুধুমাত্র একজন সেনাপতি নয়, তিনি নবাবের পরম আত্মীয় বিপদে আপদে যিনি পাশে দাঁড়ান তিনিই হচ্ছেন পরম আত্মীয় তাই মীরজাফরকে তার মেরুদন্ড সোজা রেখে, পুরুষ হিসেবে তার পাশে দাঁড়াতে বলেছেন সেই ক্ষমতা তার আছে এভাবেই তিনি সকল সদস্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন এমনকি এই বাংলাকে তিনি হিন্দু মুসলমানের গুলবাগ বলে উল্লেখ করেন

আরো মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে প্রশ্ন উত্তর দেখতে– link below

১। ” তোরা সব জয়ধ্বনি কর ” – ” তোরা ”  কারা ? তাদের জয়ধ্বনি করতে বলা হচ্ছে কেন  ?উ: ।  ”প্রলয়োল্লাস “ নামক  কবিতায় কবি নজরুল ইসলাম “তোরা ” বলতে , পরাধীন ভারতবর্ষের মুক্তিকামী আপামর দেশবাসীকে বুঝিয়েছেন। জয়ধ্বনি করতে বলা হচ্ছে কেন-প্রলয় বা ধ্বংস ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে সমস্ত জরাজীর্ণ তথা পরাধীনতার গ্লানি বিনাশ করে নতুন যুগের স্বাধীনতার আগমনকে সূচিত করবে। কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো এই ভয়ংকর অর্থাৎ প্রলয়   Read More

2.“বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের”-কখন , কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল ?
(উত্তর)- তপন যে গল্পটি লিখেছিল , সেই গল্পটি তার লেখক মেসোমশাই ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেবেন বলে, নিয়ে গিয়েছিলেন | অনেকদিন পর তার ছোটমাসি এবং মেসোমশাই তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং হাতে একখানি “সন্ধ্যাতারা” পত্রিকার সংখ্যা | এই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা Read More

3.ফাইট কোনিফাইট”- সাধারণ সাঁতারু থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠতে গিয়ে কোনিকে কী ধরনের ‘ফাইট’ করতে হয়েছিলনিজের ভাষায় লেখ।  উ:- মতি নন্দীর ‘কোনি’ উপন্যাসে  একজন সাধারণ পরিবার থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওটার  উত্তরণ সহজে হয়ে ওঠেনি। তাকে বহু বাধা-বিপত্তি এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠতে হয়েছে। রীতিমতো তাকে ফাইট করেই এগিয়ে যেতে হয়েছিল।দারিদ্রতা বিরুদ্ধে ফাইট কোনির প্রথম লড়াইটা ছিল দারিদ্র্যের সঙ্গে। কোনি একজন সাধারণ বস্তির ঘরের মেয়ে তার পরিবার দিন আনা দিন খাওয়া নিত্য Read More

4. “মুঘল দরবারে ……… কতনা সম্মান।”- আলোচ্য অংশে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের খাতির ও সম্মানের পরিচয় দাও। উঃ বিশিষ্ট প্রবন্ধকার নিখিল সরকারের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে, সাধারণত যারা ওস্তাদ কলমবাজ অর্থাৎ ক্যালিগ্রাফিস্ট বা লিপি কুশলী, তাদের খাতিরের কথাই এখানে বলা হয়েছে। যারা কলম দিয়ে সুন্দর হস্তাক্ষরে কোন বিষয়ে লিপিবদ্ধ করেন কিংবা নকল করেন তাদের বলা হয় ক্যালিগ্রাফিস্ট বা লিপি কুশলী। মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের Read More

5.“পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন”- পঞ্চকন্যা কিভাবে চেতন ফিরে পেলেন?
অথবা- “পঞ্চ জনে বসনে ঢাকিয়া”- পঞ্চজন কারা? তাদেরকে কেন বসনে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল?
অথবা- “চিকিৎসিমু প্রাণপণ”-  কে, কার কিভাবে চিকিৎসা করেছিলেন? 
উঃ আরাকান রাজসভার কবি সৈয়দ আলাওলের নির্বাচিত “সিন্ধুতীরে” কাব্যাংশে,পদ্মাবতীসহ তার সখীরা সমুদ্রতীরে অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন। সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীরা মিলে, তাদের উদ্যানের মাঝে নিয়ে আসেন।অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর দেখতে অবশ্যই Read More

6.গান দাঁড়াল ঋষিবালক- ঋষিবালক কে? কবি কেন এমন কথা বলেছেন?  অথবা- উক্তিটির তাৎপর্য লেখ।(উঃ) “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতায় কবি জয় গোস্বামী যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে গানকেই ব্যবহার করেছেন। এই গানের প্রসঙ্গেই তিনি ঋষিবালকের কথা বলেছেন। এই ঋষি বালক শান্তির দূত। তিনি গান গেয়ে জগতকে মোহিত করেন। তার মাথায় ময়ূর পালক গোঁজা। আসলে এই ঋষিবালক হলেন বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণ Read More

7.“কিন্তু অনুমতি দেহ”- বক্তা কার কাছে অনুমতি চাইছেন? অনুমতি পেলে বক্তা কি করবেন?
উঃ “অভিষেক” নামক কাব্যাংশে, রাবনের বীরপুত্র ইন্দ্রজিৎ তার পিতা রাক্ষসরাজ রাবণের কাছে, রামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইছেন। রামচন্দ্রের হাতে ইন্দ্রজিতের ভ্রাতা বীরবাহুর হত্যা হয়েছে, তাই ইন্দ্রজিৎ তার পিতার কাছে রামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনুমতি চাইছে Read More

8.উদাহরণঃ-১) সে নির্দোষ। (হ্যাঁ বাচক বাক্য) > সে দোষী নয়। (না বাচক বাক্যএই ক্ষেত্রে বিপরীত শব্দ (নির্দোষ> দোষী) যোগ করে হ্যাঁ বাচক থেকে না বাচক করা হয়েছে।এবং সেই সঙ্গে “নয়” শব্দটি যোগ করা হয়েছে। কিন্তু দুটি বাক্যের অর্থ এক আছে। ২) সে উত্তর করিল না।( না বাচক বাক্য Read More

9.“ নদেরচাঁদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল ”—কী কারণে, নদের চাঁদের আমোদ হয়েছিল ?
উঃ- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত নদীর বিদ্রোহ নামক গল্পে নদীর জল পরিপূর্ণ অবস্থাকে দেখে নদের চাঁদের এমন আমোদ বোধ হয়েছিল। নদের চাঁদ নদীর ধারেই জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই নদের চাঁদ নদীকে বড়ো বেশি ভালোবাসতেন |ব্রিজের মাঝামাঝি ইট সুরকি আর সিমেন্টে গাঁথা ধারক Read More

10.নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লেখার কার্যকরী এবং যথাযত উপায় মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, কোনি এবং নাটক থেকে রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় অর্থাৎ ৫ নম্বরের এবং ৪ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এই প্রশ্নগুলি শিক্ষার্থীরা যদি সঠিকভাবে নিয়ম করে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে উত্তর লেখা অভ্যাস করলে ফুল মার্কস পাওয়া যায়। রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তরই ক্ষেত্রে ফুল মার্কস পাওয়ার Read More

Leave a Comment

Discover more from Qবাংলা

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading